সপাটে থাপ্পড় খেয়ে খেয়ে লজ্জাবোধ হারিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু ক্ষেত্রকে লকডাউনের বাইরে রাখার ঘোষণা করতেই রে-রে করে সমালোচনায় নামে বঙ্গ বিজেপি। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই মোদী-শাহের কেন্দ্র একই ঘোষণা করতেই আর টিঁকি দেখা যাচ্ছে না বিজেপির বড়ো বোদ্ধাদের। কাজ নেই, কিছু তো করতে হবে! তাঁরা পড়লেন এবার সুজিত বোসকে নিয়ে। করোনায় আক্রান্ত হলেও ভালো আছেন সুজিতবাবু। পরিচারকের করোনা হয়েছে জেনেও তিনি কেন ঘুরে বেড়িয়েছেন সে প্রশ্ন তুলে বিজেপি টুইটারে লিখেছে, উনি সুপার স্প্রেডার, ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবে? বঙ্গ বিজেপি এতটাই অপয়া, এই প্রশ্ন তুলতেই গোটা বিজেপি সরকার কোয়ারেন্টিনে চলে গিয়েছে। হ্যাঁ, ঘটনা উত্তরাখণ্ডের।
স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী সৎপাল মহারাজের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁর বাড়ির লোকজন ও স্টাফ-সহ মোট ২২ জন করোনা আক্রান্ত। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কেঁপে যায় বিজেপি সরকার। ২৯ মে উত্তরাখণ্ড সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রীও ছিলেন। সপরিবারে তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেতেই সেল্ফ কোয়ারেন্টিনে চলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত, এমনকী গোটা মন্ত্রিসভাই! পর্যটনমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তা চিহ্নিতকরণ চলছে। বাংলায় তো এমন পরিস্থিতি হয়নি। তা বঙ্গ বিজেপির বোদ্ধারা উত্তরাখণ্ডে বিজেপি সরকারের সুপার স্প্রেডার কে? কোয়ারেন্টিনে থাকা সরকার কী পদক্ষেপ করছে? মুখ লুকানোর আগে বিজেপি জবাব দাও।