হাসপাতালগুলির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়, অন্ধকূপের চেয়েও খারাপ। বেসরকারি ল্যাবগুলিতে করোনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হচ্ছে না কি করোনা-তথ্য কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে? এভাবেই গুজরাটে বিজয় রূপাণি সরকারকে তুলোধোনা করল গুজরাট হাইকোর্ট। গুজরাটে মৃতের সংখ্যা ৮২৯। তার মধ্যে ৬৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে আমেদাবাদে। আমেদাবাদে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আইজে ভোরার ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, আমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। আট সপ্তাহ ধরে এখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় মারা গিয়েছেন। গরিব, অসহায় মানুষজন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাঁদের জীবনের কি দাম নেই? চারদিন বা তার বেশিদিন চিকিৎসার পরেও রোগী মারা যাচ্ছেন এখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের ব্যবস্থা যথাযথ নেই বলেই। সরকার কি জানে যে, ভেন্টিলেটরের অভাবে রোগী মারা যাচ্ছেন? ভেন্টিলেটরের কী ব্যবস্থা হয়েছে? দেখে মনে হচ্ছে, আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল যেন অন্ধকূপ বা তার চেয়েও খারাপ। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামোকে ডুবতে থাকা টাইটানিকের সঙ্গে তুলনা করে হাইকোর্ট বলেছে, দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকারি হাসপাতাল ছাড়া গরিব মানুষের কোনও অপশন নেই। গুজরাট সরকার বেসরকারি ল্যাবগুলিতে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে না কেন, তাতেও অবাক হাইকোর্ট। তথ্য গোপনেও ইঙ্গিত দিয়ে হাইকোর্ট বলেছে, তথ্য কৃত্রিম নিয়ন্ত্রণের জন্যই কি এই পদক্ষেপ?