পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠল আমেদাবাদ। গুজরাটের এই শহরেই করোনা সংক্রমণ সর্বাধিক। আতঙ্কে ও আশঙ্কায় কয়েকশো অসহায় পরিযায়ী শ্রমিক সোমবার ১৮ মে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের একটাই দাবি, নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক সরকার। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে গেলে বস্ত্রপুর এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পরিযায়ী শ্রমিকরা ইট ছোঁড়েন এবং ২টি পুলিশের গাড়ি, একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পাল্টা লাঠিচার্জ করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিন হরিয়ানার সোনিপতের কুন্ডালি শিল্পাঞ্চল এলাকায় জড়ো হন ২০০০ পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের সকলের বাড়ি গোরক্ষপুর, প্রতাপগড়-সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। পরিযায়ী শ্রমিকরা জানান, যেখানে কাজ করতাম তা বন্ধ। টাকা-পয়সা ফুরিয়ে এসেছে। বলা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে ফেরানোর বাস দেওয়া হবে। এসে দেখছি বাস নেই। ফিরে যে যাব খাদ্যসামগ্রীও তো পাচ্ছি না।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে তিনটি স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়ার কথা উত্তরপ্রদেশ থেকে। বাড়ি ফিরতে শ্রমিকরা যে কতটা মরিয়া সে চিত্র ধরা পড়ল গাজিয়াবাদে। ট্রেনে ওঠার জন্য নাম লেখাতে রামলীলা ময়দানে গিজগিজে ভিড়। কেউ ভাবতেই পারেন মেলা বসেছে। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শিকেয় উঠেছে। কেন্দ্র উদাসীন, উত্তরপ্রদেশ সরকারও যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ন্যূনতম ভরসা দিতে ব্যর্থ তা ফের স্পষ্ট হলো।