রাজ্যপাল যখন বিধানসভায় ভাষণ দেন তিনি বলেন ‘মাই গভর্নমেন্ট’। এটা তাঁকে বলতেই হয়। সেই রাজ্য সরকারের সমালোচনা যে তিনি অকারণে বারবার করছেন, এতে তিনি তো নিজের সমালোচনাই করছেন। কেন না, এটা তো তাঁরও সরকার। মঙ্গলবার ৫ মে এ কথা বলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল একবারও ত্রুটিপূর্ণ কিট নিয়ে কিছু বলেননি। কেন্দ্রীয় সরকার যখন একের পর এক নির্দেশিকা পাঠিয়ে দোকানপাট খুলে দিতে বলছে, রাজ্যপাল তো একবারও বলছেন না এতো দোকানপাট খুলে দিলে লকডাউনের মানে কী? রাজীব আরও বলেন, দেশে লকডাউন হওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেন। হু যখন অতিমারী ঘোষণা করল তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মেনে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিলে এই দুর্দশা হতো না দেশে। এতদিনে হয়তো আমরা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে পারতাম। করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা সারা দেশকে পথ দেখালেও কেন্দ্র রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। আর্থিক প্যাকেজ পাঠাচ্ছে না, কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছে। সেই দল বাংলায় পৌঁছে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হচ্ছে! ঘোলা জলে অনেকে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে। খবরের কাগজে থাকছেন, অথচ মানুষের পাশে নেই বিজেপি নেতারা। এটা রাজনীতির সময় নয় ওঁদের মনে রাখা উচিত। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। বিরোধীরা যে দাবি করছে রাজ্য সরকার তথ্য গোপন করছে বলে, তা ভিত্তিহীন। তথ্য গোপনের প্রয়োজন পড়ে না। কো মরবিডিটি ঘোষণার কথা গাইডলাইনেই বলা আছে।