বুধবার | ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৩২
Logo
এই মুহূর্তে ::
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী শাহিস্নান নয়, আদতে কথাটি ছিল সহিস্নান : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ভূতের গল্পো ‘হোমস্টে’ রহস্য ঘেরা বলিউডের নক্ষত্রপতন : রিঙ্কি সামন্ত বাঁকুড়ার দু-দিন ব্যাপী দেশীয় বীজ মেলায় দেশজ বীজের অভূতপূর্ব সম্ভার পেজফোর-এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ২০২৫ এত গুণী একজন মানুষ কত আটপৌরে : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সরস্বতীর উৎস সন্ধানে : অসিত দাস ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন, তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খামতি রয়েছে দলে : তপন মল্লিক চৌধুরী প্রথম পাঠ — মার্কসবাদের বিশ্বভ্রমণ : সন্দীপন চক্রবর্তী বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে ‘খানাকুল বাঁচাও’ দাবিতে সরব খানাকুল-সহ গোটা আরামবাগের মানুষ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হরি হরের কথা এবং বীরভূমের রায়পুরে বুড়োনাথের বিয়ে : রিঙ্কি সামন্ত ত্র্যম্বকেশ্বর দর্শনে মোক্ষলাভ : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কুম্ভমেলায় ধর্মীয় অভিজ্ঞতার থেকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি : তপন মল্লিক চৌধুরী রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়াবে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘হিড়িক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি অধরা, আমার আলোকপাত : অসিত দাস বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-র ছোটগল্প ‘শিকড়ের টান’
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

শীতের মরসুমে বাজারে সবজি আমদানি হলেও দামের ঝাঁজে গৃহস্থের চোখে জল : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ১৭৬ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

শীতের মরসুম মানেই বাজারে রকমারি অঢেল সবজির আমদানি। বছরের এই সময়টা বাঙালি পেটপুরে সবজি খাওয়ার সুযোগ পান। কারণ সবজির দামটাও নাগালের মধ্যে থাকে। এবারের শীত মরসুমে চিত্রটা একেবারে উল্টো। সবজি আমদানি হলেও দামের ঝাঁজে গৃহস্থের চোখে জল। আশাপূরণ অধরাই থেকে যাবে বাঙালির। তাই শীতের বাজারে নজর পড়েছে রাজ্য সরকারের।

প্রসঙ্গত,শীত মানেই সবজির মরসুম। অন্ততপক্ষে ডজন খানেক সবজির কদর এসময় থাকেই, কিন্তু শীত ফুরোলেই পেটপুরে সবজি খাওয়ার দিন শেষ হয়। কারণ, এ রাজ্যে শীতের মরসুমে যত সবজি উৎপাদন হয় ঠিক অন্য মরসুমগুলিতে সেটা হয় না বললেই চলে। এক কথায় সবজিতে টান পড়ে। আকাশছোঁয়া দাম, সেইসঙ্গে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। খেতে রুচি থাকে না। তবুও কিছু গরমে সবজি আছে যেগুলি সব সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। এ নিয়ে চিন্তাভাবনা কৃষি বিশেষজ্ঞদের। এবারে গরম বা খরিফ মরসুমেও সবজি উৎপাদন করে ঘাটতি যাতে মেটানো যায় সেদিকেই নজর সরকারের। এদিকে আধুনিক কৃষিবিজ্ঞান সারা বছর ধরে বিভিন্ন সবজির চাষ করে উৎপাদন সম্ভবপর বলে জানাচ্ছে। এছাড়া যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল, বেশি সবজি উৎপাদন করে বাইরের রাজ্য ছাড়াও কীভাবে বিদেশেও রপ্তানি বাড়ানো যায় সেদিকেই নজর দিচ্ছে কৃষিবিপণন দফতর। রাজ্য সরকারের একটাই লক্ষ্য তা হল আয় বাড়িয়ে চাষিদের আর্থিকভাবে সক্ষম করে তোলা। রাজ্যের প্রতিটি কৃষি ব্লকে শুরু হয়েছে সচেতনতা শিবির । শীতের পরই গ্রীষ্মে বিভিন্ন সবজির চাষ নিয়ে শুরু হয়েছে ভাবনা। এজন্য দফতরের আধিকারিকরা পঞ্চায়েত স্তরে সচেতনতা শিবির করছেন। কৃষকদের নিয়ে সবজি চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। একই জমিতে যে দু-তিনরকম সবজি উৎপাদন করা সম্ভব তা দেখানো হচ্ছে। এছাড়া সাথী ফসল হিসেবে দু-তিন ধরনের সবজি চাষ করে লাভ করতে পারেন চাষিরা। যেহেতু বাজারে সারা বছরই প্রায় সবজির দাম থাকে। সেইসঙ্গে আরও বেশি উৎপাদন করে রপ্তানির চিন্তাভাবনাও চলছে। এটা করতে পারলে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাবেন চাষিরা। তাই রাজ্য সরকার বিভিন্ন ভাবে সবজির চাষ বাড়িয়ে বাড়তি আয় করতে চাইছে।

প্রসঙ্গত, শীতে যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, পালং, মুলো, গাজর, বিট, কুমড়ো, লাউ ইত্যাদি সবজির চাষ হয়। সেক্ষেত্রে খরফি বা গ্রীষ্ম মরসুমে ঢেড়স, পটল, উচ্ছে, ঝিঙে, বেগুন, সজনে ডাঁটা ও ফুল ইত্যাদি চাষ করেও মুনাফা পেতে পারেন চাষিরা। রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলায় কোনও না কোনও সবজি চাষ হতে পারে। বাঁকুড়ায় যেমন করলা, কুদরি, টমেটো’র চাষ হতে পারে, একইভাবে হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া ইত্যাদি জেলাতে যে ধরনের মাটি তাতে বেগুন, ঢেড়স, পটল, উচ্ছে, ঝিঙে, সজনের চাষ হতে পারে। এগুলো সবই লাভজনক চাষ। গরমে এই সমস্ত সবজির চাহিদাও থাকে অনেক বেশি। বেশি উৎপাদন করতে পারলে ভিন রাজ্যে রপ্তানি করা যেতে পারে। তাছাড়া বিদেশেও রপ্তানির ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কথাবার্তা চলছে। তাই সবজি চাষে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, শাক-সবজি রপ্তানি বাড়াতে চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। শীত মরসুমে দেদার সবজির উৎপাদন। এসময় দামও কম থাকে। ভালো দাম পেতে রপ্তানির উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের কৃষিপণ্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাজ্যের উদ্যানপালন দফতর। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও। রপ্তানি বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও চাইছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন। ওয়েস্ট বেঙ্গল এফএডি এক্সপোর্টস ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক অঙ্কুশ সাহা বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে এদেশ থেকে কমেছে কৃষিপণ্য রপ্তানির পরিমাণ। তবে উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ব্যতিক্রম। বর্তমানে এই রাজ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে রপ্তানিকারকদের বক্তব্য, কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা।

এছাড়া উৎপাদিত পণ্যের উন্নতমানের প্যাকেজিং পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ আগ্রহ প্রকাশ করবে। এতে ন্যায্য দাম যেমন পাবেন চাষিরা, অপরদিকে রপ্তানি করে বৈদেশিক অর্থ আসবে দেশে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে রাজ্যের এ ব্যাপারে এক বৈঠকও হয়েছে। রপ্তানিকারকদের প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। এদিকে রাজ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর এ রাজ্যে যে পরিমাণ শাক-সবজি উৎপাদন হয় তার চারভাগের একভাগ নষ্ট হয়। কারণ প্রক্রিয়াকরণ বা গুদামজাত করণের সুব্যবস্থা না থাকার ফলেই এটা হচ্ছে। দেখা যায় বাজারে যা সবজির দাম, তার থেকে চাষিরা পাচ্ছেন অর্ধেকের কম দাম। গুদামজাত কিংবা রপ্তানি করা গেলে চাষিরা লাভবান হবেন। প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে সবজি চাষিদের জন্য কিছুটা হলেও সুখবর শুনিয়েছে রাজ্য সরকার। জাপানের সঙ্গে একটি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, যেখানে জাপান ১০০টি সৌরচালিত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত গুদামঘর তৈরি করবে, আর ওই গুদামঘরগুলিতে রাজ্যের উৎপাদিত সবজি সংরক্ষণ হবে। প্রয়োজন মতো রাজ্যে রেখে বাইরে রপ্তানি করা হবে। জাপান এই গুদামঘর তৈরি করে সবজি সংরক্ষণ করতে চাইছে সারা বছর ধরে। আর ওই সবজি এশিয়া কিংবা ইউরোপের দেশগুলিতেও রপ্তানি করবে। ১০০টি সৌরচালিত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত গুদামজাত ঘর তৈরি হলে প্রতিদিন ৬০টন পর্যন্ত সবজি সংরক্ষণ করা সম্ভবপর হবে। আব এটা হলে রাজ্যের চাষিরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন