বৃহস্পতিবার | ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:০৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
বৈশাখ মাসে কৃষ্ণপক্ষে শ্রীশ্রীবরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত সিন্ধুসভ্যতার লিপি যে প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার অকাট্য প্রমাণ : অসিত দাস বাঙালির মায়াকাজল সোনার কেল্লা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ : রিঙ্কি সামন্ত ফের আমেদাবাদে হিন্দুত্ববাদীদের অন্য ধর্মের উপর হামলা : তপন মল্লিক চৌধুরী লোকসংস্কৃতিবিদ আশুতোষ ভট্টাচার্য ও তাঁর চিঠি : দিলীপ মজুমদার নববর্ষের সাদর সম্ভাষণ : শিবরাম চক্রবর্তী নববর্ষ গ্রাম থেকে নগরে : শিহাব শাহরিয়ার ফিরে আসছে কলের গান : ফজলুল কবির সিন্ধুসভ্যতার ফলকে খোদিত ইউনিকর্ন আসলে একশৃঙ্গ হরিণ : অসিত দাস একটু রসুন, রসুনের কথা শুনুন : রিঙ্কি সামন্ত ১২ বছর পর আরামবাগে শোলার মালা পরিয়ে বন্ধুত্বের সয়লা উৎসব জমজমাট : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কোনিয়াকদের সঙ্গে দু’দিন : নন্দিনী অধিকারী স্বচ্ছ মসলিনের অধরা ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস বাড়বে গরম, চোখের নানান সমস্যা থেকে সাবধান : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী আঠালো মাটি ফুঁড়ে জন্মানো শৈশব : আনন্দগোপাল হালদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত ওয়াকফ হিংসার জের কি মুর্শিদাবাদেই থেমে গিয়েছে : তপন মল্লিক চৌধুরী এক বাগদি মেয়ের লড়াই : দিলীপ মজুমদার এই সেনসরশিপের পিছনে কি মতাদর্শ থাকতে পারে : কল্পনা পাণ্ডে শিব কম্যুনিস্ট, বিষ্ণু ক্যাপিটেলিস্ট : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গায়ন’ থেকেই গাজন শব্দের সৃষ্টি : অসিত দাস কালাপুষ্প : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু হোক বাঙালি-অস্মিতার প্রচারযাত্রা : দিলীপ মজুমদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত পেজফোর-এর নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩২ প্রকাশিত হল সিন্ধিভাষায় দ্রাবিড় শব্দের ব্যবহার : অসিত দাস সিন্ধুসভ্যতার জীবজগতের গতিপ্রকৃতির মোটিফ : অসিত দাস হনুমান জয়ন্তীতে নিবেদন করুন ভগবানের প্রিয় নৈবেদ্য : রিঙ্কি সামন্ত গল্প লেখার গল্প : হাসান আজিজুল হক
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী

তপন মল্লিক চৌধুরী / ২৬০ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

জাল ওষুধে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। সেই জাল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে শহর নগরের দোকানগুলিতে। যে জাল ওষুধ ডিস্ট্রিবিউটারদের হাত ধরেই খুচরো বিক্রেতাদের কাছে এসে পৌঁছচ্ছে। ওষুধ ভেবে সাধারণ মানুষ দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন যা, তা আসল ওষুধ নয় নকল বা ভুয়ো। ওষুধের স্ট্রিপ দেখে বা শিশি দেখে সাধারণ ক্রেতারা বুঝতে পারছেন না, আদতে তা তাদের জানা বোঝার কথাও নয় যে সেটা ভেজাল ওষুধ। এর থেকে ভয়ংকর আর কি হতে পারে অথচ প্রতিদিনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি সমস্যার চেনা ব্র্যান্ড নামের ওষুধ প্রায় সব ছোট-বড় দোকানগুলিতে বিক্রি হচ্ছে। চিকিৎসকরা বছরের পর বছর ধরে যে ব্র্যান্ড নামে ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখছেন। পয়সা দিয়ে কেনা সেই ওষুধ খেয়ে শরীরের সমস্যা দূর হচ্ছে না। আসলে সেই ওষুধ নকল। এর ফলে আতান্তরে পড়ে থাকছেন রোগী ও তার বাড়ির লোকেরা, চিকিৎসকেরাও রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে হচ্ছেন নাজেহাল।

জানা গিয়েছে, গত একবছরে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলে টেস্টে ৯৭৬টি ওষুধ ফেল করেছে। এও জানা গিয়েছে ওই ওষুধের ৩১ শতাংশই এ রাজ্যের। যার মধ্যে রয়েছে স্যালাইন থেকে ইঞ্জেকশন, ভ্যাকসিন থেকে প্যারাসিটামল এবং নামী ও দামি ব্র্যান্ডের বহু ওষুধ। মাস দুই আগে কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে মারণ রোগ ক্যানসার থেকে ডায়াবেটিসের মতো প্রচুর পরিমাণ ভেজাল ওষুধ। তখনই স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, দেশ জুড়ে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তৈরি ১১১টি ওষুধের মান নীম্ন ঘোষিত হয়েছিল৷ তার কয়েকদিন পরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, ইস্ট জোন এবং রাজ্যের ড্রাগস কন্ট্রোল ডিরেক্টরেট-এর অভিযানে কোটি কোটি টাকার অ্যান্টি-ক্যানসার ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ভেজাল ওষুধ উদ্ধার হয়৷

দুবছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ৩০০টি প্রয়োজনীয় ওষুধের গুণমান বজায় রাখতে সেইসব ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ওষুধের উপর কিউআর কোড লাগানোর নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুসারে ওষুধের স্ট্রিপ আর শিশিতে কিউআর কোড লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ওষুধের কিউআর কোডও জাল হয়ে যায়। ভেজাল আর নিম্ন মানের ওষুধের এই পরিস্থিতি রুখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সরকারি হাসপাতাল থেকে পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের ড্রাগ কন্ট্রোলের টেস্টে যে সব সংস্থার যে ব্যাচের ওষুধ বাতিল হয়েছে, তার তালিকা জানাতে হবে, কোথাও কোনোভাবে এই খারাপ মানের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। প্রশ্ন, কেবল নির্দেশ জারি করলেই কি বাজার থেকে জাল ও নীম্ন মানের ওষুধের রমরমা বন্ধ করা যাবে? নাকি দু-এক পাতার ছাপা নির্দেশিকা ছড়িয়ে দিলেই ড্রাগ কন্ট্রোলের সব দায় ফুরিয়ে যায়? স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই ওষুধ কোথাও বিক্রি হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখা কিংবা আচমকা পরিদর্শন চালানো অথবা নীম্ন মানের মানের ওষুধ যারা বানাচ্ছে সেইসব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হবে না?

জাল ওষুধ এবং নীম্ন মানের ওষুধ নিয়ে এই যে ভয়ংকর অবস্থা তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জনস্বাস্থ্যের উপর। কিন্তু সাধারণ মানুষ কোন ওষুধ কিনবেন আর কোন ওষুধ কিনবেন না তার কোনো স্পষ্ট দিশা নেই সরকার, চিকিৎসক কোনো পক্ষের। এমনকি ওষুধ ব্যবসায়ী ও ফার্মেসির খুচরো বিক্রেতারাও এই পরিস্থিতিতে ধাঁধার মধ্যেই আছেন। অন্যদিকে, ওষুধে বিশ থেকে পঁচিশ শতাংশ ছাড় দেওয়ার যে প্রতিযোগিতা বাজারে চলছে তাতেও নাকি বাজারে নকল ওষুধের রমরমা বেড়েছে, এমন দাবিও করছেন অনেকে। প্রথমে বড় বা নামী ওষুধ বিক্রেতা সংস্থা ২০–২৫ শতাংশ হারে ওষুধ বিক্রি শুরু করেছিল। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ছোট ব্যবসায়ীরা সেই পথ অনুসরণ করে। এর জন্য নাকি ওষুধ বিক্রেতারা ভুঁইফোঁড় ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে বেশি বেশি ওষুধ কিনছে এবং বিক্রি করছে। আর সেই সুযোগেই ভেজাল ও নকল ওষুধ বাজারে ছড়াচ্ছে জাল ওষুধের কারবারিরা।

এই অবস্থায় বোকা বনছেন সাধারণ মানুষ। কারণ, সাধারণ জ্বর নামছে না প্যারাসিটামল বা ওই জাতীয় ওষুধে, এমনকি অ্যান্টি বায়োটিকেও কমছে না। পাশাপাশি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাতেও ধরা পড়ছে না। অনেক সময় চিকিৎসকও ধরতে পারেছন না। এই অবস্থায় দায়ী হচ্ছেন চিকিৎসক। আসলে যে সংস্থা সেইসব প্যারাসিটামল, অ্যান্টি বায়োটিক বানাচ্ছে দায়ী তারা, একই সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং সরকারও। কারণ, সাধারণ জ্বরের ওষুধ থেকে জীবনদায়ী ওষুধগুলির গুণগুত মান বারবার ফেল করছে। সঠিক দামে ওষুধ কিনেও ভেজাল মিলছে। এ দেশে যত ধরনের ওষুধ বাজারে বিক্রির অনুমতি পায় কোয়ালিটি কন্ট্রোল কি সেভাবে হয়? এ দেশে যত রকম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আছে তা আর কোনো দেশে নেই। একই জেনেরিক ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক ১০০টা কোম্পানি নানা ব্র্যান্ড দিয়ে, নাম দিয়ে তৈরি করছে। কিন্তু কোয়ালিটি কন্ট্রোল বা রেগুলার ল্যাব টেস্টিং করার জন্য যে ধরনের পরিকাঠামো তা কি আছে? কীভাবে ওইসব সংস্থা ওষুধ তৈরি করছে, কী ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করছে তা কি ড্রাগ কন্ট্রোল, স্বাস্থ্য দফতর জানে? সবকটি প্রশ্নের উত্তরই না। সেই কারণে সাধারণ মানুষ তো দুরের কথা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও বুঝবেন না ওষধটি সঠিক গুনমানের কি না। একমাত্র সরকারের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট ছাড়া এই বিষয়টি জানা বোঝার আর কোনও উপায় নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন