বুধবার | ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:২৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী শাহিস্নান নয়, আদতে কথাটি ছিল সহিস্নান : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ভূতের গল্পো ‘হোমস্টে’ রহস্য ঘেরা বলিউডের নক্ষত্রপতন : রিঙ্কি সামন্ত বাঁকুড়ার দু-দিন ব্যাপী দেশীয় বীজ মেলায় দেশজ বীজের অভূতপূর্ব সম্ভার পেজফোর-এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ২০২৫ এত গুণী একজন মানুষ কত আটপৌরে : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সরস্বতীর উৎস সন্ধানে : অসিত দাস ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন, তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খামতি রয়েছে দলে : তপন মল্লিক চৌধুরী প্রথম পাঠ — মার্কসবাদের বিশ্বভ্রমণ : সন্দীপন চক্রবর্তী বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে ‘খানাকুল বাঁচাও’ দাবিতে সরব খানাকুল-সহ গোটা আরামবাগের মানুষ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হরি হরের কথা এবং বীরভূমের রায়পুরে বুড়োনাথের বিয়ে : রিঙ্কি সামন্ত ত্র্যম্বকেশ্বর দর্শনে মোক্ষলাভ : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কুম্ভমেলায় ধর্মীয় অভিজ্ঞতার থেকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি : তপন মল্লিক চৌধুরী রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়াবে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘হিড়িক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি অধরা, আমার আলোকপাত : অসিত দাস বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-র ছোটগল্প ‘শিকড়ের টান’
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী

তপন মল্লিক চৌধুরী / ৪০ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

জাল ওষুধে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। সেই জাল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে শহর নগরের দোকানগুলিতে। যে জাল ওষুধ ডিস্ট্রিবিউটারদের হাত ধরেই খুচরো বিক্রেতাদের কাছে এসে পৌঁছচ্ছে। ওষুধ ভেবে সাধারণ মানুষ দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন যা, তা আসল ওষুধ নয় নকল বা ভুয়ো। ওষুধের স্ট্রিপ দেখে বা শিশি দেখে সাধারণ ক্রেতারা বুঝতে পারছেন না, আদতে তা তাদের জানা বোঝার কথাও নয় যে সেটা ভেজাল ওষুধ। এর থেকে ভয়ংকর আর কি হতে পারে অথচ প্রতিদিনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি সমস্যার চেনা ব্র্যান্ড নামের ওষুধ প্রায় সব ছোট-বড় দোকানগুলিতে বিক্রি হচ্ছে। চিকিৎসকরা বছরের পর বছর ধরে যে ব্র্যান্ড নামে ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখছেন। পয়সা দিয়ে কেনা সেই ওষুধ খেয়ে শরীরের সমস্যা দূর হচ্ছে না। আসলে সেই ওষুধ নকল। এর ফলে আতান্তরে পড়ে থাকছেন রোগী ও তার বাড়ির লোকেরা, চিকিৎসকেরাও রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে হচ্ছেন নাজেহাল।

জানা গিয়েছে, গত একবছরে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলে টেস্টে ৯৭৬টি ওষুধ ফেল করেছে। এও জানা গিয়েছে ওই ওষুধের ৩১ শতাংশই এ রাজ্যের। যার মধ্যে রয়েছে স্যালাইন থেকে ইঞ্জেকশন, ভ্যাকসিন থেকে প্যারাসিটামল এবং নামী ও দামি ব্র্যান্ডের বহু ওষুধ। মাস দুই আগে কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে মারণ রোগ ক্যানসার থেকে ডায়াবেটিসের মতো প্রচুর পরিমাণ ভেজাল ওষুধ। তখনই স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, দেশ জুড়ে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তৈরি ১১১টি ওষুধের মান নীম্ন ঘোষিত হয়েছিল৷ তার কয়েকদিন পরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, ইস্ট জোন এবং রাজ্যের ড্রাগস কন্ট্রোল ডিরেক্টরেট-এর অভিযানে কোটি কোটি টাকার অ্যান্টি-ক্যানসার ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ভেজাল ওষুধ উদ্ধার হয়৷

দুবছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ৩০০টি প্রয়োজনীয় ওষুধের গুণমান বজায় রাখতে সেইসব ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ওষুধের উপর কিউআর কোড লাগানোর নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুসারে ওষুধের স্ট্রিপ আর শিশিতে কিউআর কোড লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ওষুধের কিউআর কোডও জাল হয়ে যায়। ভেজাল আর নিম্ন মানের ওষুধের এই পরিস্থিতি রুখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সরকারি হাসপাতাল থেকে পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের ড্রাগ কন্ট্রোলের টেস্টে যে সব সংস্থার যে ব্যাচের ওষুধ বাতিল হয়েছে, তার তালিকা জানাতে হবে, কোথাও কোনোভাবে এই খারাপ মানের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। প্রশ্ন, কেবল নির্দেশ জারি করলেই কি বাজার থেকে জাল ও নীম্ন মানের ওষুধের রমরমা বন্ধ করা যাবে? নাকি দু-এক পাতার ছাপা নির্দেশিকা ছড়িয়ে দিলেই ড্রাগ কন্ট্রোলের সব দায় ফুরিয়ে যায়? স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই ওষুধ কোথাও বিক্রি হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখা কিংবা আচমকা পরিদর্শন চালানো অথবা নীম্ন মানের মানের ওষুধ যারা বানাচ্ছে সেইসব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হবে না?

জাল ওষুধ এবং নীম্ন মানের ওষুধ নিয়ে এই যে ভয়ংকর অবস্থা তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জনস্বাস্থ্যের উপর। কিন্তু সাধারণ মানুষ কোন ওষুধ কিনবেন আর কোন ওষুধ কিনবেন না তার কোনো স্পষ্ট দিশা নেই সরকার, চিকিৎসক কোনো পক্ষের। এমনকি ওষুধ ব্যবসায়ী ও ফার্মেসির খুচরো বিক্রেতারাও এই পরিস্থিতিতে ধাঁধার মধ্যেই আছেন। অন্যদিকে, ওষুধে বিশ থেকে পঁচিশ শতাংশ ছাড় দেওয়ার যে প্রতিযোগিতা বাজারে চলছে তাতেও নাকি বাজারে নকল ওষুধের রমরমা বেড়েছে, এমন দাবিও করছেন অনেকে। প্রথমে বড় বা নামী ওষুধ বিক্রেতা সংস্থা ২০–২৫ শতাংশ হারে ওষুধ বিক্রি শুরু করেছিল। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ছোট ব্যবসায়ীরা সেই পথ অনুসরণ করে। এর জন্য নাকি ওষুধ বিক্রেতারা ভুঁইফোঁড় ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে বেশি বেশি ওষুধ কিনছে এবং বিক্রি করছে। আর সেই সুযোগেই ভেজাল ও নকল ওষুধ বাজারে ছড়াচ্ছে জাল ওষুধের কারবারিরা।

এই অবস্থায় বোকা বনছেন সাধারণ মানুষ। কারণ, সাধারণ জ্বর নামছে না প্যারাসিটামল বা ওই জাতীয় ওষুধে, এমনকি অ্যান্টি বায়োটিকেও কমছে না। পাশাপাশি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাতেও ধরা পড়ছে না। অনেক সময় চিকিৎসকও ধরতে পারেছন না। এই অবস্থায় দায়ী হচ্ছেন চিকিৎসক। আসলে যে সংস্থা সেইসব প্যারাসিটামল, অ্যান্টি বায়োটিক বানাচ্ছে দায়ী তারা, একই সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং সরকারও। কারণ, সাধারণ জ্বরের ওষুধ থেকে জীবনদায়ী ওষুধগুলির গুণগুত মান বারবার ফেল করছে। সঠিক দামে ওষুধ কিনেও ভেজাল মিলছে। এ দেশে যত ধরনের ওষুধ বাজারে বিক্রির অনুমতি পায় কোয়ালিটি কন্ট্রোল কি সেভাবে হয়? এ দেশে যত রকম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আছে তা আর কোনো দেশে নেই। একই জেনেরিক ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক ১০০টা কোম্পানি নানা ব্র্যান্ড দিয়ে, নাম দিয়ে তৈরি করছে। কিন্তু কোয়ালিটি কন্ট্রোল বা রেগুলার ল্যাব টেস্টিং করার জন্য যে ধরনের পরিকাঠামো তা কি আছে? কীভাবে ওইসব সংস্থা ওষুধ তৈরি করছে, কী ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করছে তা কি ড্রাগ কন্ট্রোল, স্বাস্থ্য দফতর জানে? সবকটি প্রশ্নের উত্তরই না। সেই কারণে সাধারণ মানুষ তো দুরের কথা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও বুঝবেন না ওষধটি সঠিক গুনমানের কি না। একমাত্র সরকারের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট ছাড়া এই বিষয়টি জানা বোঝার আর কোনও উপায় নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন