শনিবার | ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:২৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সিন্ধু সভ্যতার ভূখণ্ড মেলুহা-র সঙ্গে বাণিজ্যে মাগান দেশ : অসিত দাস তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস কন্নড় মেল্ল থেকেই সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ডের প্রাচীন নাম মেলুহা : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী

তপন মল্লিক চৌধুরী / ৩৩৩ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

জাল ওষুধে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। সেই জাল ওষুধ বিক্রি হচ্ছে শহর নগরের দোকানগুলিতে। যে জাল ওষুধ ডিস্ট্রিবিউটারদের হাত ধরেই খুচরো বিক্রেতাদের কাছে এসে পৌঁছচ্ছে। ওষুধ ভেবে সাধারণ মানুষ দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন যা, তা আসল ওষুধ নয় নকল বা ভুয়ো। ওষুধের স্ট্রিপ দেখে বা শিশি দেখে সাধারণ ক্রেতারা বুঝতে পারছেন না, আদতে তা তাদের জানা বোঝার কথাও নয় যে সেটা ভেজাল ওষুধ। এর থেকে ভয়ংকর আর কি হতে পারে অথচ প্রতিদিনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি সমস্যার চেনা ব্র্যান্ড নামের ওষুধ প্রায় সব ছোট-বড় দোকানগুলিতে বিক্রি হচ্ছে। চিকিৎসকরা বছরের পর বছর ধরে যে ব্র্যান্ড নামে ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখছেন। পয়সা দিয়ে কেনা সেই ওষুধ খেয়ে শরীরের সমস্যা দূর হচ্ছে না। আসলে সেই ওষুধ নকল। এর ফলে আতান্তরে পড়ে থাকছেন রোগী ও তার বাড়ির লোকেরা, চিকিৎসকেরাও রোগ নির্ণয় করতে গিয়ে হচ্ছেন নাজেহাল।

জানা গিয়েছে, গত একবছরে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলে টেস্টে ৯৭৬টি ওষুধ ফেল করেছে। এও জানা গিয়েছে ওই ওষুধের ৩১ শতাংশই এ রাজ্যের। যার মধ্যে রয়েছে স্যালাইন থেকে ইঞ্জেকশন, ভ্যাকসিন থেকে প্যারাসিটামল এবং নামী ও দামি ব্র্যান্ডের বহু ওষুধ। মাস দুই আগে কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে মারণ রোগ ক্যানসার থেকে ডায়াবেটিসের মতো প্রচুর পরিমাণ ভেজাল ওষুধ। তখনই স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছিল, দেশ জুড়ে বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির তৈরি ১১১টি ওষুধের মান নীম্ন ঘোষিত হয়েছিল৷ তার কয়েকদিন পরেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, ইস্ট জোন এবং রাজ্যের ড্রাগস কন্ট্রোল ডিরেক্টরেট-এর অভিযানে কোটি কোটি টাকার অ্যান্টি-ক্যানসার ও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ভেজাল ওষুধ উদ্ধার হয়৷

দুবছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ৩০০টি প্রয়োজনীয় ওষুধের গুণমান বজায় রাখতে সেইসব ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ওষুধের উপর কিউআর কোড লাগানোর নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুসারে ওষুধের স্ট্রিপ আর শিশিতে কিউআর কোড লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ওষুধের কিউআর কোডও জাল হয়ে যায়। ভেজাল আর নিম্ন মানের ওষুধের এই পরিস্থিতি রুখতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সরকারি হাসপাতাল থেকে পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের ড্রাগ কন্ট্রোলের টেস্টে যে সব সংস্থার যে ব্যাচের ওষুধ বাতিল হয়েছে, তার তালিকা জানাতে হবে, কোথাও কোনোভাবে এই খারাপ মানের ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। প্রশ্ন, কেবল নির্দেশ জারি করলেই কি বাজার থেকে জাল ও নীম্ন মানের ওষুধের রমরমা বন্ধ করা যাবে? নাকি দু-এক পাতার ছাপা নির্দেশিকা ছড়িয়ে দিলেই ড্রাগ কন্ট্রোলের সব দায় ফুরিয়ে যায়? স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই ওষুধ কোথাও বিক্রি হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখা কিংবা আচমকা পরিদর্শন চালানো অথবা নীম্ন মানের মানের ওষুধ যারা বানাচ্ছে সেইসব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার হবে না?

জাল ওষুধ এবং নীম্ন মানের ওষুধ নিয়ে এই যে ভয়ংকর অবস্থা তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জনস্বাস্থ্যের উপর। কিন্তু সাধারণ মানুষ কোন ওষুধ কিনবেন আর কোন ওষুধ কিনবেন না তার কোনো স্পষ্ট দিশা নেই সরকার, চিকিৎসক কোনো পক্ষের। এমনকি ওষুধ ব্যবসায়ী ও ফার্মেসির খুচরো বিক্রেতারাও এই পরিস্থিতিতে ধাঁধার মধ্যেই আছেন। অন্যদিকে, ওষুধে বিশ থেকে পঁচিশ শতাংশ ছাড় দেওয়ার যে প্রতিযোগিতা বাজারে চলছে তাতেও নাকি বাজারে নকল ওষুধের রমরমা বেড়েছে, এমন দাবিও করছেন অনেকে। প্রথমে বড় বা নামী ওষুধ বিক্রেতা সংস্থা ২০–২৫ শতাংশ হারে ওষুধ বিক্রি শুরু করেছিল। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ছোট ব্যবসায়ীরা সেই পথ অনুসরণ করে। এর জন্য নাকি ওষুধ বিক্রেতারা ভুঁইফোঁড় ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে বেশি বেশি ওষুধ কিনছে এবং বিক্রি করছে। আর সেই সুযোগেই ভেজাল ও নকল ওষুধ বাজারে ছড়াচ্ছে জাল ওষুধের কারবারিরা।

এই অবস্থায় বোকা বনছেন সাধারণ মানুষ। কারণ, সাধারণ জ্বর নামছে না প্যারাসিটামল বা ওই জাতীয় ওষুধে, এমনকি অ্যান্টি বায়োটিকেও কমছে না। পাশাপাশি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাতেও ধরা পড়ছে না। অনেক সময় চিকিৎসকও ধরতে পারেছন না। এই অবস্থায় দায়ী হচ্ছেন চিকিৎসক। আসলে যে সংস্থা সেইসব প্যারাসিটামল, অ্যান্টি বায়োটিক বানাচ্ছে দায়ী তারা, একই সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং সরকারও। কারণ, সাধারণ জ্বরের ওষুধ থেকে জীবনদায়ী ওষুধগুলির গুণগুত মান বারবার ফেল করছে। সঠিক দামে ওষুধ কিনেও ভেজাল মিলছে। এ দেশে যত ধরনের ওষুধ বাজারে বিক্রির অনুমতি পায় কোয়ালিটি কন্ট্রোল কি সেভাবে হয়? এ দেশে যত রকম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি আছে তা আর কোনো দেশে নেই। একই জেনেরিক ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক ১০০টা কোম্পানি নানা ব্র্যান্ড দিয়ে, নাম দিয়ে তৈরি করছে। কিন্তু কোয়ালিটি কন্ট্রোল বা রেগুলার ল্যাব টেস্টিং করার জন্য যে ধরনের পরিকাঠামো তা কি আছে? কীভাবে ওইসব সংস্থা ওষুধ তৈরি করছে, কী ভাবে প্রক্রিয়াকরণ করছে তা কি ড্রাগ কন্ট্রোল, স্বাস্থ্য দফতর জানে? সবকটি প্রশ্নের উত্তরই না। সেই কারণে সাধারণ মানুষ তো দুরের কথা, অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও বুঝবেন না ওষধটি সঠিক গুনমানের কি না। একমাত্র সরকারের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট ছাড়া এই বিষয়টি জানা বোঝার আর কোনও উপায় নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন