শনিবার | ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৫৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
বাংলাভাষার নেচিতে ‘ময়ান’ ও ‘শাহিস্নান’-এর হিড়িক : অসিত দাস একটু একটু করে মারা যাচ্ছে বাংলা ভাষা : দিলীপ মজুমদার রাজ্যে এই প্রথম হিমঘরগুলিতে প্রান্তিক চাষিরা ৩০ শতাংশ আলু রাখতে পারবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সামরিক জান্তার চার বছর — মিয়ানমার পরিস্থিতি : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ১৯ ফেব্রুয়ারি ও স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত আলমবাজার মঠ (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার মোদীর মিডিয়া ব্যস্ত কুম্ভের মৃত্যুমিছিল ঢাকতে : তপন মল্লিক চৌধুরী রেডিওকে আরো শ্রুতিমধুর করে তুলেছিলো আমিন সায়ানী : রিঙ্কি সামন্ত গোপাল ভাঁড়ের আসল বাড়ি চুঁচুড়ার সুগন্ধ্যায় : অসিত দাস প্রতুলদার মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : সুমিত ভট্টাচার্য মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড়, মিথ এবং ডিকনস্ট্রাকশন : অসিত দাস মহাকুম্ভ ও কয়েকটি প্রশ্ন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভিয়েতনামের গল্প (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব কাশীকান্ত মৈত্রের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন : ড. দীপাঞ্জন দে অমৃতের সন্ধানে মাঘী পূর্ণিমায় শাহীস্নান : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের যোগ : অসিত দাস ‘হরিপদ একজন বেঁটে খাটো সাদামাটা লোক’-এর গল্প হলেও… সত্যি : রিঙ্কি সামন্ত রোহিঙ্গা সংকট — ফেলে আসা বছর ও আগামীদিনের প্রত্যাশা : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ‘রাঙা শুক্রবার অথবা কহরকন্ঠ কথা’ উপন্যাস বিষয়ে শতদল মিত্র যা বললেন রবীন্দ্রনাথের ধর্মীয় পরিচয় : গোলাম মুরশিদ কেজরিওয়াল হারলো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অরাজকতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য : তপন মল্লিক চৌধুরী বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (চতুর্থ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সাহেব লেখক দেড়শো বছর আগেই বলেছিলেন পঞ্চানন কুশারীর কবিয়াল হওয়ার সম্ভাবনার কথা : অসিত দাস বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সর্বপাপবিনাশীনি জয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বাজেটে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নের একটি কথাও নেই : তপন মল্লিক চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

পৃথিবীর পরিবেশকে বাঁচাতে হলে পরিবর্তন করতে হবে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ৪১০ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের গরম আমরা সবাই অনুভব করেছি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন গত ১২০ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে এ রকম গরম দেখা যায় নি। শুধু তো ভারতবাসী নয়, সারা বিশ্বের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ফল তো ভোগ করছে প্রতি নিয়ত। খরা ও বন্যার প্রবণতা বাড়ছে। ভূমিভাগ পরিণত হচ্ছে মরুভূমিতে। বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলস্তর। গলে জল হচ্ছে গ্লেসিয়ার। অথচ পুঁজিবাদীরা জলবায়ুর এই পরিবর্তনকে স্বীকার করতে চান না। অ্যালায়েন্স ট্রাস্টের সিইও ক্যাথারিন গ্যারেট কক্স (Katherine Lucy Garrett-Cox) — বলেছেন যে কর্পোরেট জগতের মাথারা জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারটাকে আজগুবি বলে উড়িয়ে দিতে চান। তাঁদের উক্তি, “It’s not real, it’s not something I should be bothered about.” জলবায়ু পরিবর্তনে আমার তো কিছু হচ্ছে না, তাই তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাব কেন?

২০১৪ সালে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রকাশিত হয় একটি বই। নাম ‘দিস চেঞ্জেস এভরিথিং : ক্যাপিটালিজম ভার্সেস ক্লাইমেট (This Changes Everything: Capitalism vs. the Climate)।’ বইটির লেখক নাওমি ক্লেইন (Naomi Klein)। ইনি একজন পুরস্কারবিজয়ী সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক। ৩টি অধ্যায় ও ১৩টি উপ-অধ্যায়ে সম্পূর্ণ এই বইটিকে নিউইয়র্ক টাইমস ‘আন্দোলনের বাইবেল’ আখ্যা দিয়েছেন। আমাদের জলবায়ুকে, সামগ্রিকভাবে পৃথিবীর পরিবেশকে বাঁচাতে হলে পরিবর্তন করতে হবে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার। আন্দোলন করতে হবে সেজন্য।

ক্লেইন নানা তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে ১৯৯৭ সালে কিয়েটো প্রোটোকল থেকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি পর্যন্ত বিস্তর আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় নি। সেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রধান স্থান অধিকার করেছে। তাই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক হাস্যরসে।

পুঁজিবাদীরা চান উন্নয়ন। কি তার বৈশিষ্ট্য? তার বৈশিষ্ট্য হল প্রাণজগতকে বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাশনের বিশাল মলাধাররূপে ব্যবহার করে সমাজের উপর পরিবেশগত ধ্বংসের দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া। ক্লেইন বলেছেন নব্য উদারনীতিবাদ ও বাজার অর্থনীতি অবারিত করেছে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমনকে . অবারিত করেছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, দুর্যোগকে আপনাপন স্বার্থ সাধনের কাজে লাগিয়েছে — যাকে ক্লেইন বলেন ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ (Disaster Management)।

জলবায়ু সমস্যা যত প্রকট হচ্ছে, ততই তাকে অস্বীকার করার চেষ্টাও প্রকট হচ্ছে। পরিবেশ আন্দোলনে ফাটল ধরাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিবেশকর্মীদের নিষ্ক্রিয় ও বিপথগামী করার চেষ্টা হচ্ছে। জিও ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাহায্যে অলীক সমাধানের চেষ্টাও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্লেইনের মতে এ সব হল ‘ম্যাজিক্যাল থিংকিং’। এই ধরনের ভাবনাকে পরিহাস করে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘মন্ত্রবলে সোনা ফলাইবার চেষ্টা’।

ক্লেইনের এই বই তাই একটা দিগদর্শন, আন্দোলনের একটা হাতিয়ার। ওয়াশিংটন মান্থলিতে এই বই সম্বন্ধে ডি আর টাকার সঠিকভাবে বলেছেন, ‘এটা শুধুমাত্র একটা বই নয়, শুধু একটা আন্দোলন নয়, এটা ন্যায়বিচারের অস্ত্র, এই বই আমাদের বেঁচে থাকার একটা প্রকৃষ্ট পন্থা।’

লেখক সিনিয়র ফেলোশিপপ্রাপ্ত গবেষক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন