মঙ্গলবার | ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:১৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী : তপন মল্লিক চৌধুরী সাত্যকি হালদার-এর ছোটগল্প ‘ডেলিভারি বয়’ নব নব রূপে এস প্রাণে : মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য ভারতের সংবিধান লেখার সেই ঝর্না কলমটা… : দিলীপ মজুমদার গীতা রাজনৈতিক অস্ত্র নয়, ভারতাত্মার মর্মকথা : সন্দীপন বিশ্বাস সিন্ধুসভ্যতা ও সুমেরীয় সভ্যতায় কস্তুরীর ভূমিকা : অসিত দাস রবি ঠাকুর ও তাঁর জ্যোতিদাদা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী তরল সোনা খ্যাত আগর-আতর অগুরু : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সাদা-কালো রীল’ গঙ্গার জন্য লড়াই, স্বার্থান্বেষীদের ক্রোধের শিকার সাধুরা : দিলীপ মজুমদার সিন্ধুসভ্যতার প্রধান মহার্ঘ রপ্তানিদ্রব্য কস্তুরী : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক করিডোর : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন রামকৃষ্ণ মিশন মানে ধর্মকর্ম নয়, কর্মই যাঁদের ধর্ম তাঁরাই যোগ্য : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সিংহবাহিনী মন্দির, নবগ্রাম (ঘাটাল) : কমল ব্যানার্জী পরিবেশ মেলা ২০২৫ : ড. দীপাঞ্জন দে মন্দির-রাজনীতি মন্দির-অর্থনীতি : দিলীপ মজুমদার স্বাধীনতা-সংগ্রামী মোহনকালী বিশ্বাস স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে অক্ষয়তৃতীয়া, নাকি দিদিতৃতীয়া : অসিত দাস আরএসএস-বিজেপি, ধর্মের তাস ও মমতার তৃণমূল : দিলীপ মজুমদার সাবিত্রি রায় — ভুলে যাওয়া তারার খোঁজে… : স্বর্ণাভা কাঁড়ার ছ’দশক পর সিন্ধু চুক্তি স্থগিত বা সাময়িক অকার্যকর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন : তপন মল্লিক চৌধুরী বিস্মৃতপ্রায় বঙ্গের এক গণিতবিদ : রিঙ্কি সামন্ত অসুখবেলার পাণ্ডুলিপি : পুরুষোত্তম সিংহ বাবু-ইংরেজি আর সাহেবি বাংলা : মাহবুব আলম সিন্ধুসভ্যতার ফলক ও সিলে হরিণের শিং-বিশিষ্ট ঋষ্যশৃঙ্গ মুনি : অসিত দাস বৈশাখ মাসে কৃষ্ণপক্ষে শ্রীশ্রীবরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত সিন্ধুসভ্যতার লিপি যে প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার অকাট্য প্রমাণ : অসিত দাস বাঙালির মায়াকাজল সোনার কেল্লা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ : রিঙ্কি সামন্ত ফের আমেদাবাদে হিন্দুত্ববাদীদের অন্য ধর্মের উপর হামলা : তপন মল্লিক চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ভারতের সংবিধান লেখার সেই ঝর্না কলমটা… : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ৪৩ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

কলকাতার ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস-এ এক উৎসব হয়ে গেল। পেন উৎসব। পেন মানে ঝর্না কলম। যে কলম আজ আর নেই। চিঠির মতো যা হারিয়ে গিয়েছে। এই উৎসবে যোগ দিয়েছে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, ইন্দোর, জার্মানি, জাপান, চিনের বিভিন্ন সংস্থা।

এই পেন উৎসবের প্রসঙ্গে মনে পড়ল প্রেমবিহারী নারয়ণ রায়জাদা ও তাঁর ঝর্না কলমের কথা।

১৯০১ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রেমবিহারী জন্মগ্রহণ করেন দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। ছোটবেলাতেই তাঁর মা-বাবা মারা যান। দাদু রামপ্রসাদ সাক্সেনা ও কাকা চতুরবিহারী নারয়ণ সাক্সেনা মানুষ করেন তাঁকে। দিল্লির স্টেন স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক হন প্রেমবিহারী। কিন্তু তাঁর মন ঝুঁকেছিল ক্যালিগ্রাফির দিকে। ক্যালিগ্রাফি বা হস্তলিখন শিল্প ভারতে প্রাচীনকাল থেকে সমাদৃত হয়ে আসছে। দাদু রামপ্রসাদও ক্যালিগ্রাফি চর্চা করতেন। তিনিই প্রথমত প্রেমবিহারীর অনুপ্রেরণা। প্রেমবিহারীর পরে এদেশে ক্যালিগ্রাফার হিসেবে যাঁরা নাম করেছেন তাঁরা হলেন দেবনাগরীতে আচার্য শ্রীকৃষ্ণ শর্মা (১৯২৪-২০০২), মারাঠিতে অচ্যুৎ পল্লব (১৯৩১-২০১৮), দেবনাগরীতে এ.ভি.ভাটকর (১৯২০-২০০৮), ওড়িয়াতে গোপাল সাহু (১৯৩৩-২০২১)।

স্বাধীনতা লাভের পরে আম্বেদকরের নেতৃত্বে প্রস্তুত হয় ভারতের সংবিধানের খসড়া। সেই খসড়া সুন্দর করে হাতে লেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ডেকে পাঠান প্রেমবিহারী নারায়ণ রায়জাদাকে। তখন ক্যালিগ্রাফার হিসেবে তাঁর নামডাক হয়েছে। সংবিধান হাতে লিখে দিতে রাজি হন প্রেমনারায়ণ। তখন পারিশ্রমিকের কথা ওঠে। উত্তরে প্রেমনারায়ণ বলেন, ‘এক পয়সাও না। ঈশ্বরের কৃপায় আমার সবকিছু আছে এবং আমি আমার জীবন নিয়ে খুশি।’

তবে একটা শর্ত আছে।

কি শর্ত ?

শর্ত হল প্রতি পাতায় থাকবে তাঁর নাম, আর শেষ পাতায় থাকবে তাঁর দাদুর নাম।

শর্ত মেনে নিলেন স্বাধীন ভারতের নেতারা।

সংসদ ভবনের একটি কক্ষে (আজ যা ‘সংবিধান ক্লাব’ নামে পরিচিত) বসে কাজ শুরু করে দিলেন প্রেমনারায়ণ। ইংল্যাণ্ড আর চেকোশ্লোভাকিয়া থেকে এল ৩০৩ নম্বর নিব। মোট ৪৩২টি নিব লেগেছিল। লেখার জন্য পুনের ‘হ্যাণ্ডমেড পেপার ইন্সটিটিউট’ থেকে এল পার্চমেন্ট কাগজ। কিন্তু কোন ঝর্না কলমে লিখেছিলেন তিনি? সেটা কি উইলসন ভ্যাকুমেটিক, বিখ্যাত পার্কার ভ্যাকুমেটিকের নকল? টানা ৬ মাস ধরে ২৫১ পার্চমেন্ট কাগজে প্রেমনারায়ণ লিখলেন ৩৯৫ ধারা, ৮ তফশিল ও প্রস্তাবনা।। পাণ্ডুলিপির ওজন হল ৩.৭৫ কেজি। হাতে লেখা সেই সংবিধান অলঙ্কৃত করার জন্য এগিয়ে এলেন শিল্পী নন্দলাল বসু ও অন্যান্য শিল্পীরা।

প্রেমনারায়ণের হাতে লেখা সেই সংবিধানের আয়ু হাজার বৎসর। সেটি আছে সংসদ ভবনের গ্রন্থাগারে। কিন্তু যে ঝর্না কলমে তিনি লিখেছিলেন, সেটি কোথায় আছে? কেমন আছে?


আপনার মতামত লিখুন :

2 responses to “ভারতের সংবিধান লেখার সেই ঝর্না কলমটা… : দিলীপ মজুমদার”

  1. SASIM KUMAR BARAI says:

    ভালো লাগল

  2. SASIM KUMAR BARAI says:

    ভালো লাগল। পেনটির হদিস পেলে দারুণ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন