তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন শেষের দিনই রবিবার ১৭ মে দেশে একদিনে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৯৮৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৯২৭। করোনা পজিটিভ ৫৩ হাজার ৯৪৬। মারা গিয়েছেন ২৮৭২ জন।
করোনা সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে গুজরাট। মোদী-শাহের রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার, ছয় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আমেদাবাদে। আর সেখানেই উঠে এলো ভয়ঙ্কর ও উদ্বেগজনক ছবি। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে বলছে, সেখানে তা কমানো হচ্ছে আমেদাবাদ-সহ গুজরাটে।
কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে এ নিয়ে টুইট যুদ্ধ করছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণি। আহমেদ প্যাটেল প্রশ্ন তুলেছেন, গোটা দেশে যেখানে নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে বলা হচ্ছে, সেখানে আমেদাবাদে কেন তা ক্রমশ হচ্ছে? বক্তব্যকে সমর্থন করতে একটি গ্রাফ টুইট করেন প্যাটেল। যেখানে দেখা যাচ্ছে ১ মে যেখানে প্রতিদিন আমেদাবাদে ২৫৯২টি নমুনা পরীক্ষা হতো, ১৫ দিনে তা নেমে এসেছে ১২৪০-এ! অথচ আমেদাবাদে এখন রোজ সংক্রমণ বেড়ে চলেছে! তথ্য গোপন করা থেকে বিরত থাকতে সরকারকে পরামর্শ দেন প্যাটেল।
মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা টুইট করে এই পরিসংখ্যানের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেখান সামগ্রিকভাবে রাজ্যে কত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। যদিও প্যাটেলের দাবির পাল্টা সদুত্তর দিতে পারেননি রূপাণি। এরপর আহমেদ প্যাটেল পাল্টা লেখেন, তিনি সরকারের ওয়েবসাইট থেকেই তথ্য নিয়েছেন। তাহলে রূপাণি বা তাঁর সরকার, কে ভুল তথ্য দিচ্ছেন? এই মিথ্যাচারের জন্য কার পদত্যাগ করা উচিত। আহমেদ প্যাটেল আরও তথ্য দিয়ে দেখান গুজরাটেই রহস্যজনকভাবে গত ১৫ দিনে কমানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। প্যাটেল রূপাণি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লিখেছেন, বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সোজাসুজি সরকার জানাক গত ১৫ দিনে দৈনিক কতো নমুনা পরীক্ষা হয়েছে? এর পাল্টা টুইট এখনও করতে পারেননি রূপাণি।
বিজেপি এবার গুজরাটের হাল নিয়ে কিছু বলুক।