শনিবার | ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৪৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
বাংলাভাষার নেচিতে ‘ময়ান’ ও ‘শাহিস্নান’-এর হিড়িক : অসিত দাস একটু একটু করে মারা যাচ্ছে বাংলা ভাষা : দিলীপ মজুমদার রাজ্যে এই প্রথম হিমঘরগুলিতে প্রান্তিক চাষিরা ৩০ শতাংশ আলু রাখতে পারবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সামরিক জান্তার চার বছর — মিয়ানমার পরিস্থিতি : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ১৯ ফেব্রুয়ারি ও স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত আলমবাজার মঠ (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার মোদীর মিডিয়া ব্যস্ত কুম্ভের মৃত্যুমিছিল ঢাকতে : তপন মল্লিক চৌধুরী রেডিওকে আরো শ্রুতিমধুর করে তুলেছিলো আমিন সায়ানী : রিঙ্কি সামন্ত গোপাল ভাঁড়ের আসল বাড়ি চুঁচুড়ার সুগন্ধ্যায় : অসিত দাস প্রতুলদার মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : সুমিত ভট্টাচার্য মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড়, মিথ এবং ডিকনস্ট্রাকশন : অসিত দাস মহাকুম্ভ ও কয়েকটি প্রশ্ন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভিয়েতনামের গল্প (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব কাশীকান্ত মৈত্রের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন : ড. দীপাঞ্জন দে অমৃতের সন্ধানে মাঘী পূর্ণিমায় শাহীস্নান : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের যোগ : অসিত দাস ‘হরিপদ একজন বেঁটে খাটো সাদামাটা লোক’-এর গল্প হলেও… সত্যি : রিঙ্কি সামন্ত রোহিঙ্গা সংকট — ফেলে আসা বছর ও আগামীদিনের প্রত্যাশা : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ‘রাঙা শুক্রবার অথবা কহরকন্ঠ কথা’ উপন্যাস বিষয়ে শতদল মিত্র যা বললেন রবীন্দ্রনাথের ধর্মীয় পরিচয় : গোলাম মুরশিদ কেজরিওয়াল হারলো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অরাজকতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য : তপন মল্লিক চৌধুরী বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (চতুর্থ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সাহেব লেখক দেড়শো বছর আগেই বলেছিলেন পঞ্চানন কুশারীর কবিয়াল হওয়ার সম্ভাবনার কথা : অসিত দাস বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সর্বপাপবিনাশীনি জয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বাজেটে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নের একটি কথাও নেই : তপন মল্লিক চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

বাংল ছাড়াও তামিলনাড়ু, কেরালা, উত্তর প্রদেশেও বিজেপির থেকে মুখ ঘুরিয়েছে মানুষ লিখছেন তপন মল্লিক চৌধুরী

তপন মল্লিক চৌধুরী / ৪৩৭ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১

সোনার বাংলা ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু উত্তর প্রদেশের জেলা পঞ্চায়েত ভোট ছিল সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে সেমিফাইনাল। বাংলায় চূড়ান্ত আশা ভঙ্গের উত্তর প্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বিজেপিকে আরও চিন্তায় ফেলল। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভোটের আগে পঞ্চায়েত ভোট ছিল শেষ শক্তি পরীক্ষা। বিধানসভা ভোটের আগে জেলা পঞ্চায়েত দখল সব রাজনৈতিক দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।কিন্তু সেখানে বিজেপি সমাজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোক দলের তুলনায় পিছিয়ে।

একদিকে করোনার ভয়াবহ প্রকোপ, অন্যদিকে কৃষক আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব পড়ে উত্তর প্রদেশের সব জেলাতেই। ফলে বিজেপির বরাবরের শক্ত ঘাঁটি বারানসি অযোধ্যা, মথুরাতে বিজেপির ভরাডুবি হয়। বারানসি আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী এলাকা। তিন জেলাতেই মন্দির আন্দোলন তীব্রতর। অথচ দেখা গেল, বারানসির ৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে মাত্র ৮টি। এসপি পেয়েছে ১৫, বিএসপি ৫।

অযোধ্যার হাল আরও খারাপ। সেখানে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৬টি আসন। এসপি পেয়েছে ২২, বিএসপি ৪। মন্দির শহর মথুরাতেও বিজেপির হাল তথৈবচ। জয় সেখানে মাত্র ৩ আসনে। এই জেলায় সিংহভাগ আসন জিতেছে বিএসপি (১২)। আরএলডি পেয়েছে ৯টি আসন। গড় বলে পরিচিত মিরাটেও বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। পেয়েছে মাত্র ৬টি আসন। এসপি ও বিএসপি জিতেছে যথাক্রমে ৯ ও ১২টি। পশ্চিম উত্তর প্রদেশে আম আদমি পার্টিও বেশ কিছু আসন জিতেছে।

একদিকে সোনার বাংলা দখলের স্বপ্ন অধরা অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটে খারাপ ফল বিজেপির কপালে স্পষ্ট ভাজ ফেলেছে। এর মাত্র কয়েক দিন আগে কর্ণাটকের পুরসভার ভোটেও বিজেপির ভরাডুবি হয়। ১০টি বড় শহরের পুর নির্বাচনে বিজেপি পায় মাত্র ১টি আসন।

আগামী বছর দেশের ৩টি রাজ্য উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও পাঞ্জাব বিধানসভার ভোট। তার আগে কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ধ্বস নেমেছে। অন্যদিকে জোরদার কৃষক আন্দোলন, ব্যাপক করোনার প্রকোপ তারসঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের কারণে দেশব্যাপী বিজেপির ভাবমূর্তি একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ছিল কেরল এবং তামিলনাড়ুতে। কেরলে প্রথম থেকেই বিজেপির তেমন কিছু করার ছিল না, বরং বাংলায় একটা প্রবল গেরুয়া ঝড়ের সম্ভবনা ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবেই বাংলায় সেই ঝড় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় ঘাস ফুলের পক্ষে। চমকে দেওয়া ফলাফল হয় তামিলনাড়ুতেও। দুই রাজ্যের দুটি অ-বিজেপি দলের কাছে বিজেপি পুরোপুরি ধরাশায়ী হল কিভাবে। পুরোপুরি অঘটন না হলেও বাংলা ও তামিলনাড়ুতে বিজেপির এইভাবে পতনের জন্য একাধিক কারণ রয়েছে ঠিকই তবে তার সঙ্গে রয়েছে আরও বড় দু-একটি কারণ।

২০১৯-র লোকসভা ভোটের পর থেকেই বাংলার বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করে বিজেপি দফায় দফায় সংগঠন সাজিয়েছে, বুথে বুথে সমীক্ষা চালিয়ে ভোটের অঙ্ক কষেছে, বাইরে থেকে হেভিওয়েট নেতারা এসে রাজ্যে ঘুরে বেরিয়েছেন, কিন্তু মানুষর মনে ভরসা জোগাতে পারেননি তাঁরা। বরং তারা বাংলার মানুষের আস্থা হারিয়েছেন কথায় কথায় হিন্দুত্ব, বাঙালি সংস্কৃতির অবমাননা করে। তাই বাংলা জয়ের জন্য মোদী-শাহ ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা দিল্লি থেকে কার্যত ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করলেও তা কার্যকর হয় নি। বাংলায় তাদের থেকে আরও বড় মুখ মমতা বন্দ্যোপাধায়। তার জনপ্রিয়তার কাছে ধোপে টেকেনি এ রাজ্যে মোদির ২০ ও শাহের ৬০টি জনসভা।

কিন্তু তামিলনাড়ুতে? সেখানে জয়ললিতার মৃত্যুর পর একটি মুখও ছিল না। এডিএমকে ছিল একেবারে দিশাহীন অবস্থায়। একাধিক নেতা জড়িয়ে পড়েছিল নিজেদের মধ্যে দলাদলীতে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চরম ব্যর্থ ছিল এডিএমকে। সেদিক থেকে ডিএমকের স্টালিনকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে মানুষের। করুণানিধির পর দলের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন স্টালিন। আর সেই আস্থায় ভর করেই মানুষের ভরসা এবং বিশ্বাস জয় করতে পেরেছে ডিএমকে। সেখানে বাইরে থেকে নেতাদের নিয়ে এসে প্রচারে দাঁড় করিয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি বিজেপি।

তবে বাংলা ও তামিলনাড়ুতে অবিজেপি এই দুই শক্তির বিপুল জয়ের মূল মন্ত্র ছিল আম জনতার ভরসা, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। যেটা বিজেপি কিছুতেই করে উঠতে পারেনি। তাই সর্বভারতীয় সর্ববৃহৎ দল হলেও বাংলা, কেরল ও তামিলনাড়ুর মানুষের কাছে স্থানীয় রাজনৈতিক দলই বেশি বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়েছে। সেকারণেই মানুষ স্থানীয় রাজনৈতিক দলকে আপন করে নিয়েছে। কেরলে বামেদের উপরেই ভরসা রেখেছেন মানুষ। কিন্তু বাংলায় রাখতে পারেনি। যোগীগড় উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ফলাফল হয়েছে সেখানেও একই কারণ, মানুষ বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

4 responses to “বাংল ছাড়াও তামিলনাড়ু, কেরালা, উত্তর প্রদেশেও বিজেপির থেকে মুখ ঘুরিয়েছে মানুষ লিখছেন তপন মল্লিক চৌধুরী”

  1. asitavo sen ray says:

    বিশ্লেষণধর্মী লেখা, দক্ষ কলমে রাজনৈতিক ব্যাখ্যা।

  2. Buddhadeb Chatterjee says:

    সবখানে হারবে। পাঞ্জাবে বিজেপির জামানত যাবে। খাতা খুলতে পারবে কিনা সন্দেহ।

  3. vaswar mukhopaddhaya says:

    আগামী বেশ কিছু বছর পঞ্জাব,হরিয়ানায় বিজেপি কথাটাই কেউ উচ্চারণ করবে না। উত্তরপ্রদেশের একটা বিশাল অংশেও
    একই অবস্থা, অন্যান্য রাজ্যে ধীরে ধীরে হলেও বিজেপি বিরোধি হাওয়া সামান্য হলেও বইতে শুরু করেছে। ২০২৪-এ ওরা
    উৎখাত হবেই।

  4. prashanta bhoumik says:

    konodin ki manush oder sange chhilo,zara chhilo tara asole katagulo kukur sheayal, jangal
    theke berie vire gechhilo, chitay-kabare oder jayga nei.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন