বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:১৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
নানা পরিচয়ে গৌরী আইয়ুব : গোলাম মুরশিদ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (দ্বিতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (চতুর্থ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী : সন্দীপন বিশ্বাস সাজানো বাগান, প্রায় পঞ্চাশ : অমর মিত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (তৃতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (একাদশ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের : তপন মল্লিক চৌধুরী মিয়ানমারের সীমান্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (দ্বিতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (দশম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বুদ্ধদেব গুহ-র ছোটগল্প ‘পহেলি পেয়ার’ ‘দক্ষিণী’ সংবর্ধনা জানাল সাইকেলদাদা ক্যানসারজয়ীকে : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (প্রথম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (নবম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘তোমার নাম’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (অষ্টম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘হাওয়া-বদল’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার প্রবোধিনী একাদশী ও হলদিয়ায় ইসকন মন্দির : রিঙ্কি সামন্ত সেনিয়া-মাইহার ঘরানার শুদ্ধতম প্রতিনিধি অন্নপূর্ণা খাঁ : আবদুশ শাকুর নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘শুভ লাভ’
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

সুভাষচন্দ্রের আই. সি. এস এবং বইয়ে ভুল-ত্রুটি (দ্বিতীয় পর্ব) : উৎপল আইচ

উৎপল আইচ / ২১১ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আবার বিদেশে পড়াশুনা

দু’বছর নষ্ট হওয়ার পর ১৯১৭ খৃষ্ঠাব্দের জুলাই মাসে আবার শ্রী সুভাষচন্দ্র বসু তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে (অর্থাৎ বি-এ ফার্ষ্ট ইয়ারে) ভর্তি হন। এদিকে এক বছর প্রাকটিকাল কেমিস্ট্রিতে ফেল করে সুভাষচন্দ্রের উৎসাহে ১৯১৮ সালে আবার পরীক্ষা দিয়ে বি-এস-সিতে গণিতে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণিতে পাস করে এম-এস-সিতে ভর্তি হয়েছেন বন্ধু দিলীপ কুমার রায়। এবার আমি শ্রী দিলীপ কুমার রায়-এর ‘স্মৃতিচারণ’ বই থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি।

“১৯১৯-এর মাঝামাঝি সুভাষ দর্শন শাস্ত্রে অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। আমি ছুটে গেছি এলগিন রোডে। ও আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি বললাম: ‘আমি অবিলম্বে বিলেত রওনা হচ্ছি – সেখানে ট্রাইপস নেব গণিতে আর আই-সি-এস পরীক্ষার জন্যে তৈরি হব।’

“সুভাষ বলল যে, সে-ও বিলেত যাবে স্থির করেছে। তা ভালই হল, আমি আগে রওনা হচ্ছি। বলল: ‘আমিও কেমব্রিজ থেকে আই-সি-এস পরীক্ষা দেব ঠিক করেছি। তবে শুনছি কেমব্রিজে ভারতীয় ছাত্রদের জন্যে সিট বেশি নেই। তা তুমি আগে যাচ্ছ ভালই হল। কেমব্রিজে পৌঁছে আমার জন্য একটা সিট পেয়ে তার করলেই আমি পাড়ি দেব।’

“আমি কানকে বিশ্বাস করতে পারলাম না, বললাম: ‘তুমি…তুমি সুভাষ…দেবে আই-সি-এস পরীক্ষা?’

“সুভাষ (হেসে) : করি কি বল? বাবা বললেন — তিনি আমাকে বিলেত পাঠাবেন না যদি না আমি আই-সি-এস দিই। তাঁর ধারণা — আই-সি-এস দিয়ে, হাকিম হয়ে না বসলে আমার জেলে যাওয়ার ফাঁড়া কাটতে পারে না। কাজেই কথা দিতে হল।

“আমি (তবু স্তম্ভিত) : বুঝলাম, কিন্তু তাই বলে তুমি কথা দিলে আই-সি-এস পরীক্ষা দেবে? তুমি!!

“সুভাষ (ফের হেসে) : আহা, ঘাবড়াচ্ছ কেন? আমি আই-সি-এস পরীক্ষা দেব মাত্র এই কথাই দিয়েছি, পরীক্ষায় পাশ হলে কী করব সে-সম্বন্ধে তো কোনও কথাই দিইনি।

“আমি (হদিশ না পেয়ে) : মানে?

“সুভাষ (ঠোঁটে তর্জনী রেখে) : এর মধ্যেই চাণক্য-শ্লোক ভুলে গেলে: মনসা চিন্তিতং কর্ম বচসা ন প্রকাশয়েৎ? মন্ত্রগুপ্তি না হলে মন্ত্রসিদ্ধি হয় কি?”

স্মৃতিচারণ (প্রথম খণ্ড), যার থেকে উপরের অংশটা নেওয়া হয়েছে, ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ৪১ বছর পুরনো কথা শ্রী দিলীপকুমার রায় কতটা মনে রেখেছিলেন তা আমার পক্ষে বলা অসম্ভব। তবে আমার অনুমান এর মধ্যে অনেকটাই কল্পনাপ্রসূত।

এবার দেখুন একই লেখক অন্য বইতে কি লিখছেন। দিলীপ কুমার রায় তাঁর ‘নেতাজী — দি ম্যান রেমিনিসেন্সেস’ [বাংলা অনুবাদ: ‘আমার বন্ধু সুভাষ’, অনুবাদক শ্রী গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য] বইতে লিখেছেন, “It was after he had passed B.A. with first class honours in philosophy that he visited me again. It was an unexpected call. I was preparing to sail for England to sit for the I.C.S. and qualify simultaneously as a barrister in London. I had decided also to take the Mathematical Tripos. Subhas confided to me that he was likely to follow – to sit for the I.C.S. Could I secure for him a seat in a Cambridge college? / I could hardly believe my ears!/ ‘You, Subhas! You propose to sit for the I.C.S.!!’/ He only gave me a cryptic smile for an answer. I nursed a hurt till about a year later when, in Cambridge, he decided to draw me and a few others into his confidence: he had had to sit for the I.C.S., because otherwise he would not have been sent by his father to England. So he had taken a secret vow to resign his post in case he passed, of course.” “দর্শনশাস্ত্রে অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে বি-এ পাশ করার পর সে আবার এল আমার কাছে — এটা অপ্রত্যাশিতভাবে সাক্ষাৎ করতে আসা…সে গোপনে জানাল যে খুব সম্ভব সেও আই-সি-এস পরীক্ষা দিতে যাবে। আমি কি তার জন্য কেমব্রিজ কলেজে একটা সিটের ব্যবস্থা করতে পারি?”

“আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারি না।

“তুমি সুভাষ! তুমি আই-সি-এস পরীক্ষায় বসতে চাও!!

“জবাবে সে শুধু রহস্যময় হাসি হাসে।

“আমি প্রায় এক বছর বেদনা পোষণ করার পর কেমব্রিজে সে একদিন আমায় ও আরও কয়েকজন ছেলেকে ডেকে গোপনে জানায় যে আই-সি-এস পরীক্ষায় তাকে এজন্য বসতে হচ্ছে কারণ তা না হলে তার বাবা তাকে বিলেতে পাঠাতেন না। তাই সে একটা গোপন প্রতিজ্ঞা করেছে যে যদি সে পাশ করে ফেলে তবে চাকরি থেকে ইস্তফা দেবে।” [যদিও সাবলীল হয়নি, ইংরেজি থেকে অনুবাদের বেশীটাই আমার নিজের; কারণ আমি ভাবানুবাদের বিপক্ষে। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই মূল লেখার অর্থ বদলে যায়। আমি পাঠককে সম্ভব হ’লে মূলটা পড়তেই পরামর্শ দিচ্ছি।] এই লেখাটা আমার কাছে বেশী গ্রহণযোগ্য মনে হয়। পাঠক নিজেই মিলিয়ে দেখুন একই লেখকের দুই বইতে কত গড়মিল। এই বইটা লেখা হয়েছিল ১৯৪৬ খৃষ্টাব্দের শেষে। দুটোতে ঘটনার স্থান, বিষয় ইত্যাদিতে কত অমিল। তিনি ব্যস্ত মানুষ ছিলেন; তাই এরকম বিস্মরণ হওয়া হয়তো স্বাভাবিক ছিল। তাছাড়া তাঁর সব বই পড়ে আমার মনে হয়েছে উপরে উপরে যাই লিখে থাকুন, প্রকৃতপক্ষে সুভাষচন্দ্রকে তিনি তাঁর প্রায় সমকক্ষই মনে করতেন। নিজে রাজনীতির সাথে জড়িত না হয়ে বা তেমন রাজনীতি না বুঝলেও নেতাজীর কত রাজনৈতিক ভুল আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন! ইংরেজদের সম্বন্ধে সুভাষচন্দ্রের কিছু মন্তব্যের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা করে তাঁর এও মনে হয়েছে যে সুভাষচন্দ্রের ইংরেজদের সম্বন্ধে একটা inferiority complex ছিল! তাঁর কাছ থেকে পাওয়া এই মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ সাদাচামড়ার Caucasian গর্ডন সাহেব সাদরে গ্রহণ করেছেন। সাহেব লিখেছেন, ‘Dilip was right. Subhas pushed himself and others because he felt inferior.’ অর্থাৎ, ‘দিলীপের কথাই ঠিক। সুভাষ সবাইকে এইজন্য সাবধান করত কারণ তার অবচেতন মনে হীনতাভাব ছিল।’ তাছাড়া জওহরলালের প্রশংসায় সে বই (Netaji — the Man …) সমৃদ্ধ। এরকম না হলে প্রকৃত বা আদর্শ বন্ধু বলা যায়? পরে বোধহয় অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে স্মৃতিচারণে কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৬০ এবং ১৯৬২ তে প্রকাশিত ‘বাঙলা ভাষায় লেখা’ ৬২৯ পাতার এই স্মৃতিচারণ গ্রন্থে আশ্চর্যজনক ভাবে সেই জওহরলালের নাম অনুপস্থিত! [আমি আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত স্মৃতিচারণ অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় মুদ্রণ থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছি।]

দিলীপ কুমার রায় অবশ্যই সুভাষচন্দ্রের বন্ধু ছিলেন, কিন্তু সব গোপণ কথা তাকেও সুভাষচন্দ্র বলতেন না। স্মৃতিচারণে দিলীপ নিজেই একথার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ওটেন-নিগ্রহের ঘটনায় তাকে দলে না নেওয়ার ব্যাপারে তিনি সুভাষচন্দ্রের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। সুভাষচন্দ্র দিলীপকুমার রায়কে সেবার বলেছিলেন, “হ্যাঁ ভাই। তা ছাড়া, এসব ব্যাপারে মন্ত্রগুপ্তি চাই। তুমি যে পেট-আলগা মানুষ — হয়তো কাউকে বলে ফেলতে।”

সুভাষচন্দ্রও মানুষ ছিলেন। কলকাতায় তাঁরও সমবয়সী বন্ধুর প্রয়োজন ছিল যার কাছে মনের কথা খুলে বলা যায়। হেমন্ত তখন কৃষ্ণনগরে পড়তেন। তার উপর দিলীপ ছিলেন বহু বিখ্যাত-সব স্বদেশী গানের রচয়িতা স্বর্গীয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সন্তান। আর দিলীপ তাঁর বাবার রচিত সেসব স্বদেশী গান ভাল গাইতে পারতেন। স্বদেশপ্রেমী সুভাষচন্দ্র ছিলেন এইসব দেশাত্মবোধক গানের প্রকৃত গুণগ্রাহী। তাই হয়ত আগ বাড়িয়ে দিলীপ রায়কে বন্ধু বলে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন। এগুলো অবশ্য আমার অনুমান।

এম-এ ক্লাসে ভর্তি

যাইহোক, এখানে জানানো উচিত যে স্কটিস চার্চেস কলেজে (পরে চার্চেস এর পরিবর্তে চার্চ হয়েছিল) চতুর্থ বর্ষটা (অর্থাৎ বি-এ ফার্স্ট ইয়ারটা) গভর্নমেন্ট ভারত-রক্ষা বাহিনীর ট্রেনিং সংক্রান্ত ব্যাপারেই কেটে যায়। বি-এ ফাইনাল ইয়ারে গিয়ে পড়াশুনায় মন দিলেন। ভারত পথিক-এ লিখেছেন যে তাঁর বি-এ পরীক্ষার ফল ভাল হলেও, আশানুযায়ী হ’লনা। দর্শনে প্রথম শ্রেণীতে অনার্স পেলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় হলেন। বন্ধু হেমন্তকুমার সরকারকে একবার (কটক থেকে ২৭/৩/১৯১৫ তারিখে) লিখেছিলেন যে ‘B.A.-তে Philosophy Honours লইব এবং first হইব।’ প্রথম হতে পারলেন না। তাই আপশোস থেকে গেল। প্রথম কে হয়েছিলেন তা নিয়েও বিভিন্ন বইতে মতভেদ আছে; সেসব কথা এখানে নিষ্প্রয়োজন।

আমার অনুমান সুভাষচন্দ্র তখন তাঁর সহজাত আত্মসন্মানবোধে আর বিদেশে পড়ার ইচ্ছে কারু কাছে প্রকাশ করেননি। তিনি জানতেন যে তাঁর পিতৃদেবের স্বাস্থ্য অনেকটা ভেঙ্গে গেছে, তাছাড়া তিনি তখন বড় ছেলে সতীশচন্দ্রকে সদ্য বিলেত পাঠিয়েছেন। তাছাড়া সুভাষচন্দ্রের নিজের বয়স প্রায় ২২ বছর ৭ মাস। আই-সি-এস পরীক্ষায় বসার বয়স-সীমা ২১ থেকে ২৪। একবারই মাত্র পরীক্ষা দেওয়া যাবে। যে পরীক্ষা দিতে কমপক্ষে ২ বছরের প্রস্তুতি প্রয়োজন, এই কয়েক মাসে তৈরি হ’য়ে সে পরীক্ষা দেওয়ার কথা তাঁর বাবা হয়ত অসম্ভব মনে করেছেন। সেজন্য হয়ত আর সেকথা তুলছেন না। আবারো বলেছি এগুলো সব আমার অনুমান।

এদিকে দর্শনের প্রতি তাঁর মোহ কেটে গেছে; তাঁর মৌলিক সমস্যার একটাও দর্শন সমাধান করতে পারেনি। এম-এ তে তাই তিনি Experimental Psychology বা পরীক্ষামূলক মনস্তত্ব নিয়ে ভর্তি হলেন। কিন্তু কয়েক মাসের বেশী এই চিত্তাকর্ষক বিষয়টাও তাঁর আর পড়া হয়ে উঠল না। [ক্রমশ]


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন