গুজরাটের সুরাট তো বটেই। মধ্যপ্রদেশ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক থেকে তেলেঙ্গানা, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার অন্ত নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ মোদী সরকার। মোদীবাবুর কথায় পাত্তা না দিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বা বেতন দিচ্ছেন না মালিকরা। হয়তো তাঁদের বেশিরভাগ শ্রমিকদের টাকা মেরে সেই টাকা ঢালছে মোদীবাবুর পিএম কেয়ারসে! আর ডিসট্রেস বাড়ছে শ্রমিক, কর্মচারীদের। টাকা ফুরিয়েছে, তাঁরা বাড়ি ফিরতে মরিয়া। আর মোদীবাবুর সরকার এবং বিজেপি ও বিজেপি বন্ধু সরকারের রাজ্যগুলির ব্যর্থতার কারণে স্রেফ বাড়ি ফিরতে চেয়ে পুলিশের মার খাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। মোদীবাবু, আপনি এঁদের আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়ে, এঁদের ভোট পেয়ে জিতেছেন। আর তাঁদের দুর্দশায় ফেলে নিজের আরাম বাড়িয়ে চলেছেন?
মধ্যপ্রদেশে শ্রমিকদের বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে কিছু পুলিশকর্মী আহত হন। পরিযায়ী শ্রমিকদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কর্নাটক। সোমবার ৪ মে বাড়ি ফেরানোর দাবিতে বেঙ্গালুরুতে জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক। অবরোধ তুলতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। শেষমেশ ওই শ্রমিকদের বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল এগজিবিশন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং চুলোয় যাওয়া এই সব ঘটনা নিয়ে বাংলার বিজেপি নেতারা নীরব কেন?
এখানেই শেষ নয়। এদিন তেলেঙ্গানায় হায়দরাবাদে রাস্তা ধরে হাজার খানেক শ্রমিক হেঁটে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে মিথ্যা বলে আগেই জানিয়েছে, শ্রমিকরা নাকি আর রাস্তায় নেই! যাই হোক, রাতে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাহাদুরপাড়ায় আটকায় পুলিশ। স্টেশনের পরিবর্তে বাসে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় একটি ফাংশন হলে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার কোভুরু। সেখানেও বাড়ি ফিরতে মরিয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা যথোপযুক্ত ব্যবস্থার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পুলিশ বিক্ষোভ হঠাতে গেলে শ্রমিকরা ইট ছুঁড়তে থাকেন বলে অভিযোগ। এরপর পুলিশ জোর লাঠিচার্জ শুরু করে।
মোদীবাবুর হঠকারী সিদ্ধান্ত আর পরিকল্পনায় ব্যর্থতার জন্য দুর্দশা বেড়েই চলেছে দেশে। আর সত্য ঘটনা নিয়ে নীরব থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি আর ফেক নিউজের ফ্যাক্টরি চালাতেই ব্যস্ত বিজেপি-বাবুরা! কী, দিলীপ-বাবুল চুপ কেন? মানবদরদীর বুকের পাটা এতো যে ৫৬ ইঞ্চিকে বলার সাহস নেই! হাফ প্যান্টের এতো মায়া?