শুক্রবার | ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১:২১
Logo
এই মুহূর্তে ::
চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস কন্নড় মেল্ল থেকেই সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ডের প্রাচীন নাম মেলুহা : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (তৃতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস লোকভুবন থেকে রাজনীতিভুবন : পুরুষোত্তম সিংহ চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (দ্বিতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত রবীন্দ্রনাথের ইরান যাত্রা : অভিজিৎ ব্যানার্জি ঠাকুরকে ঠাকুর না বানিয়ে আসুন একটু চেনার চেষ্টা করি : দিলীপ মজুমদার যুদ্ধ দারিদ্র কিংবা বেকারত্বের বিরুদ্ধে নয় তাই অশ্লীল উন্মত্ত উল্লাস : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ, পঁচিশে বৈশাখ ও জয়ঢাক : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী ও শান্তিনিকেতন : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বাঙালী রবীন্দ্রনাথ : সৈয়দ মুজতবা আলী অনেক দূর পর্যন্ত ভেবেছিলেন আমাদের ঠাকুর : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথের প্রথম ইংরেজি জীবনী : সুব্রত কুমার দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (প্রথম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস শুক্লাম্বর দিঘী, বিশ্বাস করে দিঘীর কাছে কিছু চাইলে পাওয়া যায় : মুন দাশ মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত নিজের আংশিক বর্ণান্ধতা নিয়ে কবিগুরুর স্বীকারোক্তি : অসিত দাস ঝকঝকে ও মজবুত দাঁতের জন্য ভিটামিন : ডাঃ পিয়ালী চ্যাটার্জী (ব্যানার্জী) সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা : লুৎফর রহমান রিটন সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম বসন্ত চৌধুরী : রিঙ্কি সামন্ত আংশিক বর্ণান্ধতাজনিত হীনম্মন্যতাই রবীন্দ্রনাথের স্কুল ছাড়ার কারণ : অসিত দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ভিয়েতনামের গল্প (ষষ্ঠ পর্ব) : বিজয়া দেব

বিজয়া দেব / ৩২৫ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ডে নাং-এর স্মৃতি আমার সাথে আছে। রাতে স্বপ্ন দেখছি সেই অন্ধকার কালো সমুদ্র, অবিরাম অবিশ্রাম জলকল্লোল এর ধ্বনি। কালো আঁধারের ভেতর জেগে আছে তার সাদা কল্লোলের চঞ্চলতা। সুদূর রেখায় লেডি বুদ্ধের স্বর্ণাভ আলো। যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছেন। আমি যেন এক অসামান্য জেলে, যাকে জীবন বাজি রেখে যেতে হয় মাঝ সমুদ্রে, যাকে লড়তে টাইফুনের সাথে, হাঙরের সাথে। হ্যারিকেন-এর সাথে।

স্বপ্নের দেবী

হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেল। ছুটে গেলাম জানালার কাছে। কোথায় সমুদ্র? মাথা উঁচু সার সার হোটেল।

হ্যানয়।

অহো আমরা ডে নাং যে ছেড়ে এসে এসেছি। এভাবেই কত ভাল লাগা ছেড়ে দিয়ে ফেলে দিয়ে চলতে হয়। আর দেখাও হয় না, ফেরাও হয় না। ভালো থেকো ডে নাং, আরও সুন্দর হয়ে ওঠো। আপাতত হ্যানয়। হ্যাঁ এই গাইড মেয়েটা খুব আকর্ষক। উঁহু, আর একটুও দেরি নয়। আজ প্রাচীন প্যাগোডা, নিহ বিন প্রভিন্স। আগামীকাল হ্যালঙ বে। আগামীকাল ক্রুজ। তাড়াতাড়ি তাড়িতাড়া প্রাতঃকৃত্য, প্রাতরাশ। উফ কিম, তোমাকে ভুলব না। অতঃপর, যাত্রা শুরু।

উপাদেয় প্রাতরাশ সেরে অতঃপর রওনা দিলাম। আজ ল্যাম বলছে — বারবার তাদের দেশে পরদেশ দখলকারীরা এসেছে। ফরাসি রাজত্বে ভিয়েতনামের মানুষদের লেখাপড়ার কোনও অধিকার ছিল না। তারপর একটি হাসপাতাল দেখাল, বলল — এই দেশে বড় বেশি ক্যান্সার হয়। কেন হয় জানো? আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র রাসায়নিক তরল বর্জ্য এই দেশের দিকেই ছেড়ে দেয়। যেহেতু আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, তাই আমরা কিছু বলতে পারি না। নিজেদের ভাষা নিয়ে বলল আমাদের ভাষা শেখা খুব কঠিন। কোনও বিদেশি লোকের কাছে এটা শেখা প্রায় দুঃসাধ্য কারণ এতে টোনের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেটা কিম বলেছিল। একই শব্দ শুধু টোনের ব্যবহারে ভিন্ন ভিন্ন বস্তুকে বোঝায়।

নিহ বিন (Ninh bin province) প্রভিন্স এ চলে এলাম। এখানে মার্বেল পাথর এবং চুনাপাথরের পাহাড় রয়েছে। প্রথমেই নৌকোবিহার। লেক-এর মাঝে মাঝে চুনাপাথরের পাহাড়। প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় এই পাহাড়গুলো তৈরি করেছে গুহার। এবড়োখেবড়ো হয়ে এমনভাবে পাহাড় এক আশ্চর্য গুহার নির্মাণ করেছে যা না দেখলে ভাষা দিয়ে বোঝানো যায় না।

আশ্চর্য প্রাকৃতিক ভাস্কর্য।

নৌকো যায় এর গুহার ভেতর দিয়ে। এগুলো এতটাই নীচে নেমে এসেছে যে নৌকোয় সোজা হয়ে বসলে মাথায় আঘাত লাগতে পারে।

গুহার ভেতর ঢোকার প্রবেশ পথ।

নৌকোচালক এক মহিলা। পা দিয়ে বৈঠা ঠেলছে। বয়স্ক মহিলা। দেখে তো স্তম্ভিত হলাম। মুখে হাসি লেগে আছে। ভাষার বিনিময় নেই। হাই হুই সংকেতে কাজ চলছে। মাথার সামনে তার ফোকাস আলো লাগিয়ে রেখেছে। ভিডিও করতে করতে যাচ্ছি। মাথায় জোর ঠোক্কর লাগতো। সে কী একটা শব্দ আগে থেকেই বারবার করে বলছিল। মনে হয় সাবধান করে দিচ্ছিল। এবারে সে প্রায় চিৎকার করে উঠল। তারপর মাথা নোয়ালাম। একেবারে নিকষ অন্ধকার। ওর ফোকাস আলোয় গতিপথ এবং পাথুরে পাহাড়ের বিচিত্র আকৃতি দেখা যাচ্ছিল।

পা দিয়ে বৈঠা ঠেলছে নৌকোচালক মহিলা।

এভাবে বেশ কয়েকটি গুহা পেরিয়ে এলাম। নিহ বিন প্রভিন্স প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভান্ডারের জন্যে বিখ্যাত। যদিও আমাদের এই নৌকোবিহার ও প্যাগোডা ছাড়া বিশেষ কিছু দেখা হয়নি। প্যাগোডাটি শতাব্দীপ্রাচীন। পেছনে পাহাড়, প্রাচীন কালো পাথরের সারি উঠে গেছে ওপরে।

শতাব্দীপ্রাচীন প্যাগোডা।

কিছু সিঁড়ি ভেঙে দাঁড়িয়ে পড়লাম। উপরে আর ওঠার সাহস হলো না। পাহাড়ের দেয়াল ধরে দাঁড়িয়ে আছি। দেখছি একেবারে হালকা পলকা দেহের এক শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধ দিব্যি চটপট উঠে যাচ্ছে একা একাই।

উপরে যাওয়ার সাহস পাই নি।

ততক্ষণে ছবি তোলার হিড়িক পড়েছে যারা উপরে যায়নি তাদের মধ্যে। গাইড-এর সঙ্গে ছবি তুলল সমীর। আমিই ক্লিক করলাম নাতিদীর্ঘ শ্বাস ফেলে।

গাইডের সাথে সমীর।

সবাই ফিরে এলে নীচে নেমে প্যাগোডার ভেতর দেখতে গেলাম। উজ্জ্বল বুদ্ধমূর্তি। গাইডকে জিজ্ঞেস করলাম — তুমিও কি বৌদ্ধ? বলল — হ্যাঁ, এখানে বেশিরভাগই বৌদ্ধ।

বুদ্ধমূর্তি, ঝলমলে। সাত আটটি বিগ্রহ। সোনার মূর্তিও রয়েছে।

নিহ বিন প্রভিন্সে রয়েছে এই প্যাগোডা। এইসব প্যাগোডা বহু পুরনো শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। এই প্যাগোডাটির নাম bich dong প্যাগোডা। (ক্রমশ)


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “ভিয়েতনামের গল্প (ষষ্ঠ পর্ব) : বিজয়া দেব”

  1. Sikha Chatterjee says:

    লিখতে গিয়ে হারিয়ে ফেলছি, আর বিজয়া বন্ধু আমার তুমি টুকরো টুকরো ছবি গুলো এক ফ্রেমে সাজিয়ে আমাদের পরিবেশন করছো, যত পড়ছি, তত মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি, তোমার কলম বলিষ্ঠ হয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করছে।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন