বুধবার | ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:২৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপূজায় কবিগান ও যাত্রার আসর : অসিত দাস সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ছোটগল্প ‘ঋতুমতী হওয়ার প্রার্থনা’ সামাজিক মনস্তত্ত্বের প্রতিফলনে সিনেমা : সায়র ব্যানার্জী নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সুও দুও ভাসে’ বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (তৃতীয় পর্ব) : আবদুশ শাকুর ভিয়েতনামের গল্প (ষষ্ঠ পর্ব) : বিজয়া দেব নীলমণি ঠাকুরের মেছুয়া-যাত্রা, একটি ঐতিহাসিক পুনর্নির্মাণ : অসিত দাস বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (দ্বিতীয় পর্ব) : আবদুশ শাকুর কাদের প্রশ্রয়ে বাংলাদেশের জঙ্গিরা বাংলার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্রসাহিত্যে কবিয়াল ও কবির লড়াই : অসিত দাস নকল দাঁতের আসল গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (প্রথম পর্ব) : আবদুশ শাকুর মুর্শিদাবাদের কৃষি ঐতিহ্য : অনুপম পাল নক্সী কাঁথায় বোনা জসীমউদ্দীনের বাল্যজীবন : মনোজিৎকুমার দাস পঞ্চানন কুশারীর জাহাজী গানই কি কবির লড়াইয়ের মূল উৎস : অসিত দাস দিব্যেন্দু পালিত-এর ছোটগল্প ‘ঝালমুড়ি’ নকশালবাড়ি আন্দোলন ও বাংলা কবিতা : কার্তিক কুমার মণ্ডল নিঃসঙ্গ ও একাকিত্বের আখ্যান : পুরুষোত্তম সিংহ ভিয়েতনামের গল্প (পঞ্চম পর্ব) : বিজয়া দেব অন্তরের আলো জ্বালাতেই কল্পতরু উৎসব : সন্দীপন বিশ্বাস কল্পতরু — এক উত্তরণের দিন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চলচ্চিত্র উৎসবে পানাজি থেকে কলকাতা (শেষ পর্ব) : সায়র ব্যানার্জী ফেলে আসা বছরে দেশের প্রবৃদ্ধির পালে হাওয়া না ঝড় : তপন মল্লিক চৌধুরী কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার জোয়ানিতা ম্যালে-র ছোটগল্প ‘নাইট জব’ অনুবাদ মনোজিৎকুমার দাস দেশজ ফসলের বীজকে কৃষির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে নদিয়া বইমেলা মুখপত্র : দীপাঞ্জন দে চলচ্চিত্র মহোৎসবে পানাজি থেকে কলকাতা (প্রথম পর্ব) : সায়র ব্যানার্জী শৌনক দত্ত-র ছোটগল্প ‘গুডবাই মাষ্টার’ হেলান রামকৃষ্ণ শিশু বিতানের রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত হল মহাসমারোহে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই ২০২৫ ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ভিয়েতনামের গল্প (ষষ্ঠ পর্ব) : বিজয়া দেব

বিজয়া দেব / ৫৬ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ডে নাং-এর স্মৃতি আমার সাথে আছে। রাতে স্বপ্ন দেখছি সেই অন্ধকার কালো সমুদ্র, অবিরাম অবিশ্রাম জলকল্লোল এর ধ্বনি। কালো আঁধারের ভেতর জেগে আছে তার সাদা কল্লোলের চঞ্চলতা। সুদূর রেখায় লেডি বুদ্ধের স্বর্ণাভ আলো। যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছেন। আমি যেন এক অসামান্য জেলে, যাকে জীবন বাজি রেখে যেতে হয় মাঝ সমুদ্রে, যাকে লড়তে টাইফুনের সাথে, হাঙরের সাথে। হ্যারিকেন-এর সাথে।

স্বপ্নের দেবী

হঠাৎই ঘুম ভেঙে গেল। ছুটে গেলাম জানালার কাছে। কোথায় সমুদ্র? মাথা উঁচু সার সার হোটেল।

হ্যানয়।

অহো আমরা ডে নাং যে ছেড়ে এসে এসেছি। এভাবেই কত ভাল লাগা ছেড়ে দিয়ে ফেলে দিয়ে চলতে হয়। আর দেখাও হয় না, ফেরাও হয় না। ভালো থেকো ডে নাং, আরও সুন্দর হয়ে ওঠো। আপাতত হ্যানয়। হ্যাঁ এই গাইড মেয়েটা খুব আকর্ষক। উঁহু, আর একটুও দেরি নয়। আজ প্রাচীন প্যাগোডা, নিহ বিন প্রভিন্স। আগামীকাল হ্যালঙ বে। আগামীকাল ক্রুজ। তাড়াতাড়ি তাড়িতাড়া প্রাতঃকৃত্য, প্রাতরাশ। উফ কিম, তোমাকে ভুলব না। অতঃপর, যাত্রা শুরু।

উপাদেয় প্রাতরাশ সেরে অতঃপর রওনা দিলাম। আজ ল্যাম বলছে — বারবার তাদের দেশে পরদেশ দখলকারীরা এসেছে। ফরাসি রাজত্বে ভিয়েতনামের মানুষদের লেখাপড়ার কোনও অধিকার ছিল না। তারপর একটি হাসপাতাল দেখাল, বলল — এই দেশে বড় বেশি ক্যান্সার হয়। কেন হয় জানো? আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র রাসায়নিক তরল বর্জ্য এই দেশের দিকেই ছেড়ে দেয়। যেহেতু আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, তাই আমরা কিছু বলতে পারি না। নিজেদের ভাষা নিয়ে বলল আমাদের ভাষা শেখা খুব কঠিন। কোনও বিদেশি লোকের কাছে এটা শেখা প্রায় দুঃসাধ্য কারণ এতে টোনের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেটা কিম বলেছিল। একই শব্দ শুধু টোনের ব্যবহারে ভিন্ন ভিন্ন বস্তুকে বোঝায়।

নিহ বিন (Ninh bin province) প্রভিন্স এ চলে এলাম। এখানে মার্বেল পাথর এবং চুনাপাথরের পাহাড় রয়েছে। প্রথমেই নৌকোবিহার। লেক-এর মাঝে মাঝে চুনাপাথরের পাহাড়। প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় এই পাহাড়গুলো তৈরি করেছে গুহার। এবড়োখেবড়ো হয়ে এমনভাবে পাহাড় এক আশ্চর্য গুহার নির্মাণ করেছে যা না দেখলে ভাষা দিয়ে বোঝানো যায় না।

আশ্চর্য প্রাকৃতিক ভাস্কর্য।

নৌকো যায় এর গুহার ভেতর দিয়ে। এগুলো এতটাই নীচে নেমে এসেছে যে নৌকোয় সোজা হয়ে বসলে মাথায় আঘাত লাগতে পারে।

গুহার ভেতর ঢোকার প্রবেশ পথ।

নৌকোচালক এক মহিলা। পা দিয়ে বৈঠা ঠেলছে। বয়স্ক মহিলা। দেখে তো স্তম্ভিত হলাম। মুখে হাসি লেগে আছে। ভাষার বিনিময় নেই। হাই হুই সংকেতে কাজ চলছে। মাথার সামনে তার ফোকাস আলো লাগিয়ে রেখেছে। ভিডিও করতে করতে যাচ্ছি। মাথায় জোর ঠোক্কর লাগতো। সে কী একটা শব্দ আগে থেকেই বারবার করে বলছিল। মনে হয় সাবধান করে দিচ্ছিল। এবারে সে প্রায় চিৎকার করে উঠল। তারপর মাথা নোয়ালাম। একেবারে নিকষ অন্ধকার। ওর ফোকাস আলোয় গতিপথ এবং পাথুরে পাহাড়ের বিচিত্র আকৃতি দেখা যাচ্ছিল।

পা দিয়ে বৈঠা ঠেলছে নৌকোচালক মহিলা।

এভাবে বেশ কয়েকটি গুহা পেরিয়ে এলাম। নিহ বিন প্রভিন্স প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভান্ডারের জন্যে বিখ্যাত। যদিও আমাদের এই নৌকোবিহার ও প্যাগোডা ছাড়া বিশেষ কিছু দেখা হয়নি। প্যাগোডাটি শতাব্দীপ্রাচীন। পেছনে পাহাড়, প্রাচীন কালো পাথরের সারি উঠে গেছে ওপরে।

শতাব্দীপ্রাচীন প্যাগোডা।

কিছু সিঁড়ি ভেঙে দাঁড়িয়ে পড়লাম। উপরে আর ওঠার সাহস হলো না। পাহাড়ের দেয়াল ধরে দাঁড়িয়ে আছি। দেখছি একেবারে হালকা পলকা দেহের এক শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধ দিব্যি চটপট উঠে যাচ্ছে একা একাই।

উপরে যাওয়ার সাহস পাই নি।

ততক্ষণে ছবি তোলার হিড়িক পড়েছে যারা উপরে যায়নি তাদের মধ্যে। গাইড-এর সঙ্গে ছবি তুলল সমীর। আমিই ক্লিক করলাম নাতিদীর্ঘ শ্বাস ফেলে।

গাইডের সাথে সমীর।

সবাই ফিরে এলে নীচে নেমে প্যাগোডার ভেতর দেখতে গেলাম। উজ্জ্বল বুদ্ধমূর্তি। গাইডকে জিজ্ঞেস করলাম — তুমিও কি বৌদ্ধ? বলল — হ্যাঁ, এখানে বেশিরভাগই বৌদ্ধ।

বুদ্ধমূর্তি, ঝলমলে। সাত আটটি বিগ্রহ। সোনার মূর্তিও রয়েছে।

নিহ বিন প্রভিন্সে রয়েছে এই প্যাগোডা। এইসব প্যাগোডা বহু পুরনো শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। এই প্যাগোডাটির নাম bich dong প্যাগোডা। (ক্রমশ)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন