শুক্রবার | ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:১৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
আঠালো মাটি ফুঁড়ে জন্মানো শৈশব : আনন্দগোপাল হালদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত ওয়াকফ হিংসার জের কি মুর্শিদাবাদেই থেমে গিয়েছে : তপন মল্লিক চৌধুরী এক বাগদি মেয়ের লড়াই : দিলীপ মজুমদার এই সেনসরশিপের পিছনে কি মতাদর্শ থাকতে পারে : কল্পনা পাণ্ডে শিব কম্যুনিস্ট, বিষ্ণু ক্যাপিটেলিস্ট : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গায়ন’ থেকেই গাজন শব্দের সৃষ্টি : অসিত দাস কালাপুষ্প : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু হোক বাঙালি-অস্মিতার প্রচারযাত্রা : দিলীপ মজুমদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত পেজফোর-এর নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩২ প্রকাশিত হল সিন্ধিভাষায় দ্রাবিড় শব্দের ব্যবহার : অসিত দাস সিন্ধুসভ্যতার জীবজগতের গতিপ্রকৃতির মোটিফ : অসিত দাস হনুমান জয়ন্তীতে নিবেদন করুন ভগবানের প্রিয় নৈবেদ্য : রিঙ্কি সামন্ত গল্প লেখার গল্প : হাসান আজিজুল হক ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (শেষ পর্ব) : জমিল সৈয়দ চড়কপূজা কি আসলে ছিল চণ্ডকপূজা : অসিত দাস অরুণাচলের আপাতিনি : নন্দিনী অধিকারী ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (সপ্তম পর্ব) : জমিল সৈয়দ শাহরিয়ার কবিরকে মুক্তি দিন : লুৎফর রহমান রিটন ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (ষষ্ঠ পর্ব) : জমিল সৈয়দ ওয়াকফ সংশোধনী আইন এই সরকারের চরম মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ : তপন মল্লিক চৌধুরী ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (পঞ্চম পর্ব) : জমিল সৈয়দ যশোধরা — এক উপেক্ষিতা নারীর বিবর্তন আখ্যান : সসীমকুমার বাড়ৈ কলকাতার কাঁচাভেড়া-খেকো ফকির ও গড়ের মাঠ : অসিত দাস ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (চতুর্থ পর্ব) : জমিল সৈয়দ রামনবমী পালন এবং হুগলী চুঁচুড়ার শ্রীরামমন্দির : রিঙ্কি সামন্ত ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (তৃতীয় পর্ব) : জমিল সৈয়দ মিয়ানমারে ভূমিকম্প — প্রতিবেশী দেশের জনগণের পাশে বাংলাদেশ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (দ্বিতীয় পর্ব) : জমিল সৈয়দ
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ভিয়েতনামের গল্প (চতুর্থ পর্ব) : বিজয়া দেব

বিজয়া দেব / ৩০২ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

অসাধারণ আবৃত্তি করেন বুবুন মুখার্জি। তার উপস্থাপনা এককথায় অনবদ্য। দীর্ঘ কবিতাগুলিতে কণ্ঠস্বরের modulation কান পেতে শোনার মতই। তাঁর স্মরণশক্তিও বিস্ময়কর। তিনি কবি সুবোধ সরকারের কবিতা, অনুপম সৌরিশ সরকারের দীর্ঘ কবিতা শুনিয়ে আমাদের মুগ্ধ করেছেন।

বাচিকশিল্পী বুবুন মুখার্জি।

এরপর আসি শিখা চ্যাটার্জির কথায়। রবীন্দ্রনাথের গানে গানে তিনি যাত্রাপথে ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছেন।

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শিখা চ্যাটার্জি।

গাইছিলেন আত্মনিবেদনমূলক খুব প্রিয় গান — “চিরসখা হে ছেড়ো না মোরে ছেড়ো না….” অজস্র গানে গানে তিনি সমগ্র যাত্রাপথে কখনো উজ্জীবিত কখনো শ্রান্ত ক্লান্ত পথিকদের অবগাহন করিয়েছেন।

নানা ধরনের চুটকি গল্পও আমাদের আনন্দ দিয়েছে। বা ছোট্ট একটি কবিতাও আমাদের দারুণ আনন্দ দিয়েছে।

দুর্দান্ত সব চুটকি গল্প বা একটুখানি হাসো সুলভ গল্প বলে বলে যাত্রাপথকে আনন্দঘন করে তুলেছেন আমাদের দাদা মাণিক দাস এবং আশীস সাহা।

সস্ত্রীক দাদা মাণিক দাস। ইনি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েও আনন্দ দিয়েছেন।

আশীস সাহা শুধু চুটকি গল্প বলে আনন্দ দেননি, ইনি হোটেলের লাউঞ্জে রাখা পিয়ানোতে রবীন্দ্র গানের সুর তুলেছেন দক্ষ হাতে।

পিয়ানোতে সুরতরঙ্গ তুলছেন আশীস সাহা।

এখন আসি আমাদের দিদির কথায়। দিদি, সুচেতা ব্যানার্জি। দিদিই প্রকৃতপক্ষে আমাদের উজ্জীবিত করেছেন প্রাত্যহিক জীবনের একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে পড়ার জন্যে। আর বারবার করে বলছিলেন-এই ভ্রমণপথ নিয়ে লেখার কথা কি ভাবছ?

তখন ভাবছিলাম কখনও তো তেমন করে ভ্রমণকাহিনি লিখিনি, এবার লিখব। পরবর্তীতে মাননীয় সম্পাদক মহাশয়ের অনুমোদনও পেয়ে গেলাম। দিদি আমাকে প্রাণিত করেছেন নানাভাবে।

দিদি সুচেতা ব্যানার্জির সাথে।

ভ্রমণরত অবস্থায় কবিতা লিখে ফেললেন ড. পরিতোষ বিশ্বাস। আর আমাদের প্রভূত আনন্দ দিলেন।

ড.পরিতোষ বিশ্বাস। ইনি বোটানিক্যাল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। গাছপালায় খুব আগ্রহী। এখানে সহযাত্রীদের সাথে।

মনোরঞ্জন রায় আমাদের হিন্দি গান শুনিয়ে আনন্দ দিয়েছেন। তাছাড়া ছবি তুলেছেন প্রচুর। এতে আমাদের সাহায্য হয়েছে অনেক।

মনোরঞ্জন রায়। গান গেয়ে প্রচুর আনন্দ দিয়েছেন।

ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। ভিয়েতনামের বাস গাড়ি সবগুলোর স্টিয়ারিং হুইল থাকে বাঁদিকে। আর গাড়ি চলে রাস্তার ডানপাশে। সব বাসই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং আরামপ্রদ। রাস্তায় হর্ণের আওয়াজ পাইনি।

 

ডে নাং সিটির বাসের সামনে সমীর দেব।

সুতরাং পুরো ভ্রমণটাই আরামপ্রদ হয়েছে। সেজন্যে অবশ্যই সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে আমাদের ট্যুর অপারেটর সুভাষ কুন্ডু মহাশয়ের।

ট্যুর অপারেটর সুভাষ কুন্ডু মহাশয়।

অতঃপর রাতে ডিনার সেরে রওনা হলাম বেশ ক’জন মিলে সমুদ্রতটের দিকে। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম অংশ এসে মিশেছে চিন সাগরের সাথে। সারাদিন বা না হিলে কেটে গেল কিন্তু ভেতরে কিংবদন্তি গায়ক ভূপেন হাজারিকা গুনগুন করছিলেন।

“সাগর সঙ্গমে সাঁতার কেটেছি কত কখনো তো হই নাই ক্লান্ত / তথাপি মনের মোর প্রশান্ত সাগরে উর্মিমালা অশান্ত… ”

কখন যাবো সমুদ্রের কাছে?

এইনার চলেছি সমুদ্রতটে, বেশ রাত। এখানে রাত দশটার কাঁটা পেরিয়ে গেছে।

(ক্রমশ)


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন