শুক্রবার | ২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:০৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
১৯ ফেব্রুয়ারি ও স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত আলমবাজার মঠ (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার মোদীর মিডিয়া ব্যস্ত কুম্ভের মৃত্যুমিছিল ঢাকতে : তপন মল্লিক চৌধুরী রেডিওকে আরো শ্রুতিমধুর করে তুলেছিলো আমিন সায়ানী : রিঙ্কি সামন্ত গোপাল ভাঁড়ের আসল বাড়ি চুঁচুড়ার সুগন্ধ্যায় : অসিত দাস প্রতুলদার মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : সুমিত ভট্টাচার্য মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড়, মিথ এবং ডিকনস্ট্রাকশন : অসিত দাস মহাকুম্ভ ও কয়েকটি প্রশ্ন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভিয়েতনামের গল্প (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব কাশীকান্ত মৈত্রের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন : ড. দীপাঞ্জন দে অমৃতের সন্ধানে মাঘী পূর্ণিমায় শাহীস্নান : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের যোগ : অসিত দাস ‘হরিপদ একজন বেঁটে খাটো সাদামাটা লোক’-এর গল্প হলেও… সত্যি : রিঙ্কি সামন্ত রোহিঙ্গা সংকট — ফেলে আসা বছর ও আগামীদিনের প্রত্যাশা : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ‘রাঙা শুক্রবার অথবা কহরকন্ঠ কথা’ উপন্যাস বিষয়ে শতদল মিত্র যা বললেন রবীন্দ্রনাথের ধর্মীয় পরিচয় : গোলাম মুরশিদ কেজরিওয়াল হারলো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অরাজকতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য : তপন মল্লিক চৌধুরী বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (চতুর্থ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সাহেব লেখক দেড়শো বছর আগেই বলেছিলেন পঞ্চানন কুশারীর কবিয়াল হওয়ার সম্ভাবনার কথা : অসিত দাস বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সর্বপাপবিনাশীনি জয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বাজেটে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নের একটি কথাও নেই : তপন মল্লিক চৌধুরী শঙ্খ ঘোষ-এর ‘এখন সব অলীক’ নস্টালজিক অনুভূতি দিয়ে ঘেরা মায়াময় এক জগৎ : অমৃতাভ দে বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (প্রথম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কালো গোঁসাইয়ের চিঠি — চিঠিকেন্দ্রীক স্মৃতির পুনর্জীবন : মোঃ তুষার উদ্দিন নব নব রূপে : নন্দিনী অধিকারী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ভিয়েতনামের গল্প (তৃতীয় পর্ব) : বিজয়া দেব

বিজয়া দেব / ১৯৯ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

ডে নাঙ সিটি, বা না হিলস

ভীষণ ঠান্ডা ভেতর থেকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। তেমন ভারি শীতবস্ত্র নেওয়া হয়নি। গোল্ডেন ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। হাঁটলে ঠান্ডা কম লাগবে। সুতরাং চরৈবেতি। কিমের সেই “চলো চলো তাড়িতাড়া চলো” সুতরাং চরৈবেতি। হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম বরবধূ ছবি তোলার জন্যে গোল্ডের ব্রিজে এসে উপস্থিত।

মেঘ কুয়াশায় আবৃত ভীষণ ঠান্ডায় নব বরবধূ এসেছে গোল্ডেন ব্রিজ এ ছবি তুলতে।

ছবি আর ছবি। পরীর কাছে, হনুমানের কাছে ফুলের কাছে, চার্চের কাছে, প্যাগোডার কাছে….। আরও কত কী ছিলো উপভোগ করার জন্যে, হায়, বৃষ্টি কুয়াশায় সেভাবে দেখা হলো না।

হনুমানের কাছে সহযাত্রীদের সাথে।

তখনও বৃষ্টি আসেনি। ঢালু হয়ে রাস্তা নেমে গেছে প্যাগোডার দিকে। মেঘ সারাদেহে চরছে ‘গাভীর মতো’.. মনে মনে শক্তি চট্টোপাধ্যায় আওড়াচ্ছি, “এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে”। শক্তি চট্টোপাধ্যায় এখানে এসেছিলেন বুঝি এমনই মেঘ বৃষ্টি কুয়াশার দিনে! নাহ নাহ এখানে কোথায় অবনীর বাড়ি?

প্যাগোডা বা না হিলস।

নেমে গেলাম প্যাগোডার দিকে। একেবারে জায়গাটা মেঘ কুয়াশায় আবৃত হয়ে আছে। প্রথমে চোখে পড়েনি, হঠাৎ চোখ পড়ল প্যাগোডার ওপরে বিশালাকার বুদ্ধমূর্তি।

একেবারে মেঘের আড়ালে, অস্পষ্ট, ধোঁয়াশাময়। ছবি তোলার চেষ্টা তো হলো, কিন্তু আবছা এক অবয়ব ছাড়া কিছুই এলো না।

বুদ্ধমূর্তির অবয়ব ছবি বা না হিলস।

ডে নাং সিটির লেডি বুদ্ধের কথা বলি। আরাধ্যকে আরাধ্যা রূপে প্রার্থনা করে প্রতিটি জাতিই বুঝি শান্তি পায়। বা না প্যাগোডায় তিনি রয়েছেন। তিনি ক্ষমা, শান্তি, রক্ষাকারীর প্রতীক। সামুদ্রিক ঝড় ঝঞ্ঝা বিপদ থেকে তিনি রক্ষা করেন, বিশেষ করে জেলেরা যখন দূর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় তখন লেডি বুদ্ধের কাছে প্রার্থনা করে যেন মাছ ধরে নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারে। দেবীর ডান হাতে পাত্র থেকে ঝরে পড়ছে ফুলের মধু, বাঁহাতে উইলো গাছের শাখা যা দিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন প্রকৃতির মধুময় নির্যাস।

প্যাগোডায় লেডি বুদ্ধ।

এরপরই নামল বৃষ্টি। এখান থেকে ফিরে যাওয়ারও উপায় নেই, কারণ লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানেই। আর একটি বিশেষত্ব বা না হিলসের যত ট্যুরিস্ট নাকি লাঞ্চ সারবেন ওখানেই। এখন এত মেঘ বৃষ্টি ভেদ করে না তো কিছু দেখা যাচ্ছে, না তো কোথাও যাওয়া যাচ্ছে। তার ওপর হাতে ছাতা। জড়োসড়ো হয়ে একটা কোণে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ উল্টোদিক থাকে ডাক শুনে দেখলাম একটা দোকানের বারান্দায় আমাদের সফরসাথী ক’জন বসে আছেন। আরও দুটো চেয়ার খালি আছে। সুতরাং ওখানেই বসে রইলাম। বৃষ্টির জোর কমছে, আবার বাড়ছে।

অত:পর লাঞ্চের সময় এলো। প্রবেশ করলাম এক বিশাল হলঘরে। চারপাশে খাবার, পানীয়ের সম্ভার। কত দেশের লোক জড়ো হয়েছে এখানে, যার যা পছন্দ তাই খাবে।

বা না হিলসে উপাদেয় লাঞ্চ।

সারাদিন কাটিয়ে আমরা অতঃপর নেমে এলাম ধাপে ধাপে কেবল কারে।

সারাদিন কেটে গেল বা না হিলস এ। তবে বিরূপ প্রকৃতি তেমন বিশেষ কিছুই দেখতে দিল না।

হো ফি ভু-কে জিজ্ঞেস করলাম — বা না হিলস নামের মানে কি? মানে বা না বলতে কি বোঝায়? বলল — বা না না। বা না না মানে কি কলা? মানে কি ওখানটায় কলাবাগান ছিল? কিন্তু দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করার আর সাহস হলো না। কী বলিতে কী বুঝিব হায়! আজ আর কোনও কিছু দেখার নেই। এত ক্লান্ত হওয়া সত্ত্বেও আমি শুধু শহরটাকে দেখতে বেরিয়ে পড়তে চাই। চারদিকে সমুদ্রে ঘেরা ভারি সুন্দর এ শহর। থেকে থেকে নীলাভ ঢেউ তটভূমিতে আছড়ে পড়ছে। জানালা দিয়ে দেখলাম এক পশ্চিমী তরুণ হাফপ্যান্ট টি শার্ট পরে কাঁধে ছোট্ট ব্যাকপ্যাক নিয়ে একা একা হেঁটে চলেছে। দেখে অনিবার্যভাবে দারুণ ঈর্ষা এলো।

যাকগে, এখন ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি।

আজ আর ভিউ পয়েন্ট নেই। এখন নিজেদের কথা বলি। বাসে আমরা দারুণ আনন্দ করেছি। আমাদের টিমে দস্তুর মত শিল্পী ছিলেন বেশ কয়েকজন। তার মধ্যে গান গেয়ে আনন্দ দিয়েছেন অচিন্ত্য বিশ্বাস, তিনি গান গেয়ে আমাদের ভরিয়ে দিয়েছেন।

যাত্রাপথে ইনি গান গেয়ে সবাইকে আনন্দ দিয়েছেন। অচিন্ত্য বিশ্বাস।

বাকি সকলের পরিচয় ধীরে ধীরে দিচ্ছি।

(ক্রমশ)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন