বুধবার | ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:১৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (চতুর্থ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী : সন্দীপন বিশ্বাস সাজানো বাগান, প্রায় পঞ্চাশ : অমর মিত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (তৃতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (একাদশ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের : তপন মল্লিক চৌধুরী মিয়ানমারের সীমান্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (দ্বিতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (দশম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বুদ্ধদেব গুহ-র ছোটগল্প ‘পহেলি পেয়ার’ ‘দক্ষিণী’ সংবর্ধনা জানাল সাইকেলদাদা ক্যানসারজয়ীকে : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (প্রথম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (নবম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘তোমার নাম’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (অষ্টম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘হাওয়া-বদল’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার প্রবোধিনী একাদশী ও হলদিয়ায় ইসকন মন্দির : রিঙ্কি সামন্ত সেনিয়া-মাইহার ঘরানার শুদ্ধতম প্রতিনিধি অন্নপূর্ণা খাঁ : আবদুশ শাকুর নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘শুভ লাভ’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ভোটের আগে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নানাদিকে মোড় ঘুরছে : তপন মল্লিক চৌধুরী সরকারি নিষেধাজ্ঞা, জমির চরম ক্ষতি ও জরিমানা জেনেও নাড়া পোড়ানো বন্ধে সচেতন নন চাষিরা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (চতুর্থ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ

বিশ্বজিৎ ঘোষ / ২৫ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

খ. ডেভিড হেয়ার

১৮১৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর হেয়ারের উদ্যোগে স্কুল সোসাইটি নামে আর একটি সভা স্থাপিত হইল। হেয়ার ও রাধাকান্ত দেব তাহার সম্পাদকের পদ গ্রহণ করিলেন। কলিকাতার স্থানে স্থানে নূতন প্রণালীতে ইংরাজি ও বাঙ্গালা শিক্ষার জন্য স্কুল স্থাপন করা এই সোসাইটির উদ্দেশ্য ছিল। হেয়ার ইহার প্রাণ ও প্রধান কার্য্য-নিবর্বাহক ছিলেন। তিনি ইহার উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিবার জন্য অবিশ্রাম পরিশ্রম করিতে লাগিলেন। এমনকি সেজন্য তাঁহার ঘড়ির ব্যবসায় রক্ষা করা অসম্ভব হইয়া উঠিল। তিনি তাঁহার বন্ধু গ্রেকে খড়ির কারবার বিক্রয় করিয়া, সেই অর্থে সহরের মধ্যে কিঞ্চিৎ ভূমি ক্রয়পূবর্বক তদুৎপন্ন আয় দ্বারা নিজের ভরণপোষণের ব্যয় নিবর্বাহ করিতে লাগিলেন; এবং অনন্যকর্ম্মা হইয়া এদেশের বালকদিগের শিক্ষাদান কার্য্যে নিযুক্ত হইলেন। ১৫

গ. হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও

ডিরোজিও এইরূপ উপাদান লইয়া তাঁহার (Academic Association) একাডেমিক এসোসিএশনের কার্য্য আরম্ভ করিলেন। প্রথমে কিছুদিন অন্য কোনো স্থানে উক্ত সভার অধিবেশন হইয়া, শেষে মাণিকতলার একটি বাটীতে অধিবেশন হইত। ডিরোজিও নিজে উক্ত সভার সভাপতি ও উমাচরণ বসু নামক একজন যুবক প্রথম সম্পাদক ছিলেন।… এই সভার অধিবেশনে সমুদয় নৈতিক ও সামাজিক বিষয় স্বাধীন ও অসঙ্কুচিতভাবে বিচার করা হইত। তাহার ফলস্বরূপ ডিরোজিওর শিষ্যদিগের মনে স্বাধীন চিন্তার স্পৃহা উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিল; এবং তাঁহারা অসংকোচে দেশের প্রাচীন রীতি-নীতির আলোচনা আরম্ভ করিলেন।… হিন্দু কলেজের অপেক্ষাকৃত অধিক বয়স্ক বালকদিগের এই সকল ভাব ক্রমে অপরাপর বালকদিগের মধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল। ঘরে ঘরে বৃদ্ধদিগের সহিত বালকদিগের বিবাদ, কলহ ও তাহাদিগের প্রতি অভিভাবকগণের তাড়না চলিতে লাগিল। ১৬

শিবনাথ শাস্ত্রী এই গ্রন্থে নবজাগরণের পুরোধা ব্যক্তিদের কথাই কেবল বলেননি, ওই আন্দোলনের ফলে বাংলা সাহিত্যে যে নবতরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল, সে-সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন। শিবনাথের দৃষ্টি ছিল সর্বত্রসঞ্চারী। তাই সাহিত্যের ক্ষেত্রে যে-রূপান্তর সূচিত হয়েছিল, তা তাঁর চোখ এড়িয়ে যায়নি। প্যারীচাঁদ মিত্র (১৮১৪-৮৩), মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-৭৩), দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-৭৩) প্রমুখ সাহিত্যিক সম্পর্কে এই গ্রন্থে শিবনাথ শাস্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়ন উপস্থাপন করেছেন। নিচে এই তিন লেখক সম্পর্কে শিবনাথ শাস্ত্রীর মূল্যায়নের চুম্বকাংশ উদ্ধৃত হলো : —

ক. প্যারীচাঁদ মিত্র

একটি বিশেষ কার্য্যের জন্য বঙ্গসাহিত্যে তিনি চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছেন। একদিকে পন্ডিতবর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অপরদিকে খ্যাতনামা অক্ষয়কুমার দত্ত, এই উভয় যুগপ্রবর্ত্তক মহাপুরুষের প্রভাবে বঙ্গভাষা যখন নবজীবন লাভ করিল, তখন তাহা সংস্কৃত-বহুল হইয়া দাঁড়াইল।… কিন্তু ‘আলালের ঘরের দুলাল’ বঙ্গসাহিত্যে এক নবযুগ আনয়ন করিল। এই পুস্তকের ভাষার নাম ‘আলালী ভাষা’ হইল।… এই আলালী ভাষার সৃষ্টি হইতে বঙ্গসাহিত্যের গতি ফিরিয়া গেল। ভাষা সম্পূর্ণ আলালী রহিল না বটে কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্রী রহিল না, বঙ্কিমী হইয়া দাঁড়াইল। এজন্য আমার পূজ্যপাদ মাতুল, ‘সোমপ্রকাশ’ সম্পাদক, খ্যাতনামা দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয় সোমপ্রকাশে কতই শোক করিলেন। কিন্তু আমার বোধহয় ভালই হইয়াছে; জীবন্ত মানুষ ও ভাষা যত কাছাকাছি থাকে ততই ভাল। ১৭

খ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত

তিলোত্তমা বঙ্গসাহিত্যে এক নূতন পথ আবিষ্কার করিল। বঙ্গীয় পাঠকগণ নূতন ছন্দ, নূতন ভাব, নূতন ওজস্বিতা দেখিয়া চমকিয়া উঠিলেন। মধুসূদনের নাম ও কীর্ত্তি সবর্বসাধারণের আলোচনার বিষয় হইল। ইহার পরে তিনি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ রচনাতে প্রবৃত্ত হন। ইহাই বঙ্গসাহিত্য সিংহাসনে তাঁহার আসন চিরদিনের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছে।… ইহা অত্যাশ্চর্য্য বলিয়া মনে হয় যে, তাঁহার লেখনী যখন ‘মেঘনাদের’ বীররস চিত্রণে নিযুক্ত ছিল, তখন সেই লেখনীই অপরদিকে ‘ব্রজাঙ্গনা’র সুললিত মধুর রস চিত্রণে ব্যাপৃত ছিল। এই ঘটনা তাঁহার প্রতিভাকে কি অপূবর্ববেশে আমাদের নিকট আনিতেছে! একই চিত্রকর একই সময়ে কিরূপে এরূপ দুইটি চিত্র চিত্রিত করিতে পারে! দেখিয়া মনে হয়, মধুসূদনের নিজ প্রকৃতিকে দ্বিভাগ করিবার শক্তিও অসাধারণ ছিল। তাহার জন্যই বোধ হয় এতো দুঃখ-দারিদ্রে্যর মধ্যে, এতো ঘনঘোর বিষাদের মধ্যে, এতো জীবনব্যাপী অতৃপ্তি ও অশান্তির মধ্যে বসিয়া তিনি কবিতা রচনা করিতে পারিয়াছেন! ১৮

গ. দীনবন্ধু মিত্র

যে সময়ে কেশবচন্দ্র সেন বাঙ্গালী জাতির নব শক্তি ও নব আকাঙ্ক্ষার উন্মেষের মুখপাত্র স্বরূপ হইয়া দাঁড়াইয়াছিলেন, যে সময়ে বঙ্কিমচন্দ্র ও ‘বঙ্গদর্শন’ আমাদের চিন্তার এতোটা স্থান অধিকার করিয়াছিলেন, সেই সময়ে দীনবন্ধু আর এক দিক দিয়া সেই উন্মেষে সহায়তা করিয়াছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই।… যাঁহার দুঃখ-সন্তপ্ত হৃদয় হইতে ‘নীলদর্পণ’ বাহির হইয়াছিল, তিনি যে নিজে দীনবন্ধু নাম পছন্দ করিয়া লইয়াছিলেন, এটা একটা বিশেষ স্মরণীয় ঘটনা বলিতে হইবে।… গভর্নমেন্টের কার্য্যোপলক্ষে যে তিনি নানা স্থানে ভ্রমণ ও নানা শ্রেণীর লোকের সহিত পরিচয় ও আত্মীয়তা করিতে পারিয়াছিলেন, তাহাই তাঁহার নাটক রচনার পক্ষে বিশেষ সাহায্য করিয়াছিল। এরূপ অভিজ্ঞতা, এরূপ মানব-চরিত্র দর্শন, ও এরূপ বিবিধ সামাজিক অবস্থার জ্ঞান আর কাহারও হয় নাই। তাহার রচিত নাটক সকলে আমরা এই সকলের যথেষ্ট পরিচয় প্রাপ্ত হই। ১৯

— উপর্যুক্ত উদ্ধৃতিত্রয় প্যারীচাঁদ মিত্র, মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং দীনবন্ধু মিত্রের সাহিত্যপ্রতিভা মূল্যায়নে শিবনাথ শাস্ত্রীর পরমসূক্ষ্ম বোধের পরিচায়ক। ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-৫৯), ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-৯১), বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-৯৪) প্রমুখ সাহিত্যিক সম্পর্কেও শিবনাথ শাস্ত্রীর সূক্ষ্ম বিবেচনাসম্ভূত মূল্যায়ন এই গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাংবাদিক-সত্তা সম্পর্কে শিবনাথের মূল্যায়ন স্মরণ করা যায় – ‘১৮৭২ সালে ‘বঙ্গদর্শন’ প্রকাশিত হইল। বঙ্কিমের প্রতিভা আর এক আকারে দেখা দিল। প্রতিভা এমনি জিনিষ, ইহা যাহা কিছু স্পর্শ করে তাহাকেই সজীব করে। বঙ্কিমের প্রতিভা সেইরূপ ছিল। তিনি মাসিক পত্রিকার সম্পাদক হইতে গিয়া এরূপ মাসিক পত্রিকা সৃষ্টি করিলেন, যাহা প্রকাশ মাত্র বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে স্থান পাইল। তাহার সকলি যেন চিত্তাকর্ষক, সকলি যেন মিষ্ট। বঙ্গদর্শন দেখিতে দেখিতে উদীয়মান সূর্যের ন্যায় লোকচক্ষের সমক্ষে উঠিয়া গেল। বঙ্কিমচন্দ্র যখন ‘বঙ্গদর্শনে’র সম্পাদক তখন তিনি রুসোর সাম্যভাবের পক্ষ, উদারনৈতিকের অগ্রগণ্য এবং বেন্থাম ও মিলের হিতবাদের পক্ষপাতী। তিনি তাঁহার অমৃতময়ী ভাষাতে সাম্যনীতি এরূপ করিয়া ব্যাখ্যা করিতেন যে, দেখিয়া যুবকদলের মন মুগ্ধ হইয়া যাইত।’ ২০

শিবনাথ শাস্ত্রীর আলোচ্য গ্রন্থে ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থার নানামাত্রিক ছবি চিত্রিত হয়েছে। ঔপনিবেশিক শোষণ সেদিন কীভাবে ভারতবাসীকে গ্রাস করেছিল, শোষণ করেছিল বাঙালি জাতিকে, শিবনাথের এই গ্রন্থপাঠে তার পরিচয় পাওয়া যায়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি নিজেদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সকল কাজ পরিচালনা করতো। তাদের কাছে দেশীয় মানুষের স্বার্থ কখনই প্রাধান্য পায়নি। এদেশের মানুষের প্রতি তাদের উপেক্ষা ছিল নির্মম ও ভয়াবহ। ১২৭৬ বঙ্গাব্দের মন্বন্তরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শিবনাথ শাস্ত্রী ঔপনিবেশিক শক্তির নির্মমতার ছবি চিত্রিত করেছেন এভাবে — ‘…১৭৬৮ ও ১৭৬৯ এই দুই বৎসর অনাবৃষ্টি হইয়া শস্যের সম্পূর্ণ ক্ষতি করিল। তাহার ফলস্বরূপ দেশে ভয়ানক মন্বন্তর উপস্থিত হইল। এরূপ দুর্ভিক্ষ এদেশে আর হয় নাই। ১২৭৬ বঙ্গাব্দে ঘটিয়াছিল বলিয়া এই দুর্ভিক্ষ ‘ছিয়াত্তুরে মন্বন্তর’ নামে চিরদিন বাঙ্গালীর মনে মুদ্রিত হইয়া রহিয়াছে।…  (ক্রমশ)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন