শনিবার | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:২০
Logo
এই মুহূর্তে ::
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘প্রবাসী’ ম্যান মেড নয় ডিভিসি-র পরিকল্পনা আর রূপায়নে গলদ : তপন মল্লিক চৌধুরী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে রাখাইনে সেইফ জোন তৈরি করা আবশ্যক : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ফলের নামটি পাকা কলা : রিঙ্কি সামন্ত বই-বাই : নবনীতা দেব সেন হেমচন্দ্র বাগচীর ১২০তম জন্মবর্ষ : দীপাঞ্জন দে নিম্ন চাপের অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত আরামবাগ : দেবাশিস শেঠ আরামবাগে ভয়াবহ বন্যা, দুর্যোগের পদধ্বনি, ক্ষোভ জনমানসে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন মেয়েদের ক্ষমতায়নের পক্ষেও আওয়াজ তুলেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী কবি দেবদাস আচার্য-র কবিতাজগৎ — বহমান পৃথিবীর জীবনপ্রবাহ, চেতনাপ্রবাহ : অমৃতাভ দে মনসার নাম কেন ঢেলাফেলা : অসিত দাস ভোও.. ও ..ও.. কাট্টা…! ভো… কাট্টা…! : বিজয় চৌধুরী দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা : সন্দীপন বিশ্বাস নারীবেশী পুরুষ অভিনেতা শঙ্করকে সামাজিক ট্যাবুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় না : বিশ্বেন্দু নন্দ সাসারামের রোহতাসগড়, বৃহতের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ : নন্দিনী অধিকারী জমিদার রবীন্দ্রনাথ : আহমাদ ইশতিয়াক আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর, এবারও অধরা রইলো আলোচনা : সুমিত ভট্টাচার্য জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (ষষ্ঠ পর্ব) : বিজয়া দেব চাষির দুঃখের ঘরে সাপের বাসা, আজও রেহাই নেই ছোবলের হাত থেকে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সল্টলেক তথা লবণহ্রদই কি কুচিনান : অসিত দাস পদ্মা বা পার্শ্বপরিবর্তনী একাদশী ব্রতকথা : রিঙ্কি সামন্ত জয়া মিত্র-র ছোটগল্প ‘ছক ভাঙার ছক’ কত দিন বিনা চিকিৎসায় চলে যাবে অসুস্থ মানুষের প্রাণ? প্রশ্ন দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের : সুমিত ভট্টাচার্য দেবী করন্দেশ্বরীর পূজো ঘিরে উৎসবের আমেজ মন্তেশ্বরের করন্দা : প্রবীর কুমার সামন্ত প্রেতবৈঠকে (প্ল্যানচেট) আত্মার আগমন : দিলীপ মজুমদার সংগীত সাধক ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য : রিঙ্কি সামন্ত শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্যের অন্দরে বাহিরে বিরাজমান সিণ্ডিকেট : তপন মল্লিক চৌধুরী কবিতা সিংহ-এর ছোটগল্প ‘পশ্চিম রণাঙ্গন আজ শান্ত’ কলকাতার আর্মেনিয়ান জনগোষ্ঠী : অসিত দাস মঙ্গলবারের মধ্যে কাজে ফিরুন — সুপ্রিম ধমক, উৎসবে ফিরুন — মমতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ কৌশিকী অমাবস্যার-র আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে রাখাইনে সেইফ জোন তৈরি করা আবশ্যক : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন

হাসান মোঃ শামসুদ্দীন / ৪৭ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরতলীতে আরাকান আর্মি ও (এ এ) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ করছে এবং আবারও বড় ধরনের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গারা মনে করছে যে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকার পরিবর্তনের সুযোগে রাখাইনে তাদের উপর আক্রমনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নাফ নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। মংডু শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। রোহিঙ্গাদের মতে, রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে এ এ এই কৌশল নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের অধিকার সংগঠন ‘আরাকান সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মনে করে যে, রাখাইন রাজ্যে এ এ ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে রোহিঙ্গারা নির্মূল হচ্ছে এবং এই সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ দরকার। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নতুন সরকারের সহযোগিতা চায় এবং তারা বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে তাদের স্বপক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় সহজ হবে।

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা বর্তমানে এ এ’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ও রাখাইন জনগণ ত্রান সহায়তার অভাবে দুর্ভোগের শিকার। মিয়ানমার সরকারের বিধিনিষেধের কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জান্তা সরকার ত্রান সহায়তা বিদ্রোহী গুষ্টিগুলোর হাতে পড়তে পারে বলে তাদের কার্যক্রম চালাতে অনুমতি দিচ্ছে না। ত্রাণ সংস্থাগুলো বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ত্রাণ নিয়ে আসলে এ এ তাদের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে। জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ত্রাণ সংস্থা স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমার (এসএসি-এম) ১৯ আগস্ট এক বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যে একটি মানবিক করিডোর চালু করতে এবং রাষ্ট্রের সব জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য এ এ’র প্রতি আহ্বান জানায়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য এ এ’র সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা প্রয়োজন বলে মনে করে।

এ এ’র নিয়ন্ত্রণে থাকা সীমান্ত অঞ্চলে একটা সেইফ জোন প্রতিষ্ঠা করে সেখানে রোহিঙ্গাদেরকে সাময়িকভাবে  নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করা গেলে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রবণতা থামানো যাবে। একটা নিরাপদ করিডোর তৈরি করে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোকে রাখাইনের দুর্দশাগ্রস্থ জনগণকে সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে সেখানকার দুরবস্থা কমবে বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় অনেক রোহিঙ্গা বিজিবির হাতে ধরা পড়ছে, বিজিবি এসব রোহিঙ্গাকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার পরও জুন মাস থেকে প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। টাকার বিনিময়ে দালালরা অনেক রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে তারা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিচ্ছে বলে জানা যায়।  বি জি বি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করছে এবং সীমান্ত পেরিয়ে যাতে কোনো অপরাধী পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। এসব অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা কে কোন ক্যাম্পে রয়েছে, ইতিমধ্যে তার তালিকাও করা হয়েছে। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে আবার অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আধিপত্য ধরে রাখতে আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যরা গোলাগুলি ও অশান্তি সৃষ্টি করছে। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের মতে, মিয়ানমার থেকে নতুন ভাবে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা মিছিল করেছে  এবং  আরসা সদস্যরা আরএসওকে প্রতিরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে।  আরএসও ও  আরসা সহ রোহিঙ্গাদের ১৪টির বেশি সন্ত্রাসী বাহিনী সন্ধ্যার পর ক্যাম্পে প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠনের অপতৎপরতা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সেবা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত অর্ধশতাধিক এনজিও-আইএনজিওর কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন  সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে থমথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত এপিবিএন মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যাবাসন বিলম্ব হওয়ায় দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে। মাদক পাচার, চোরাচালান-সহ অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা নিজেদের এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। দীর্ঘদিন এদেশে থাকাতে রোহিঙ্গারা অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে, ক্যাম্পে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছে। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো মাদক ও অস্ত্র পাচারের পাশাপাশি নিরাপত্তাঝুঁকি সহ  নানা ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত। গত সাত বছরে মাদকের ২ হাজার ৪৭৯টি মামলায় ৩ হাজার ৭৭৬ জন এবং অস্ত্রের ৪০৯টি মামলায় ৮৫৬ জনকে আসামি করা হলেও চিহ্নিতদের অনেককে আইনের আওতায় আনা যায়নি। সন্ত্রাসীদের ধরতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্তের ৭টি মামলায় ৭৭ জনকে আসামি করা হয়। র‌্যাব, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সামরিক কমান্ডারসহ ১২৩ জনকে গ্রেপ্তার ও  ৫৮ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ৭৮টি দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গ্রেনেড ও গুলি জব্দ করেছে।

২০২২-এর জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ডে ২৪৬ জন রোহিঙ্গা খুন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২১ জন রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ রোহিঙ্গাও রয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৩৩টি,  ১ হাজার ৭২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং ২৪৫ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আসামিদের ৭০ শতাংশ ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ৩১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ও ২৪ মামলায় ১০১ জনকে আসামি করা হয় এবং ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্যাম্পগুলোতে মোট ৩ হাজার ৮২৩টি মামলাতে ৮ হাজার ৬৮৯ জন রোহিঙ্গাকে আসামি করা হয়। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ১১ ধরণের অপরাধে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংক্রান্ত ৩৮৩২ টি মামলা হয়েছে। এই মামলার সংখ্যা দেখে ক্যাম্পগুলোতে অপরাধের মাত্রা বোঝা যায়। নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ক্যাম্পের জনঘনত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন করে নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করছে।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন এই সমস্যার মূল সমাধান হলেও সংকট সমাধানে অনিশ্চয়তা এবং ক্যাম্পগুলোর জনঘনত্বের কারনে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এ প্রেক্ষিতে  ক্যাম্পের জনঘনত্ব কমাতে রোহিঙ্গাদেরকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার জন্য সহযোগিতা দরকার। আন্তর্জাতিক মহল দ্রুত এই উদ্যোগে সাড়া দিলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গুষ্ঠিগুলো ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, এই অবস্থা চলতে থাকলে ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়বে। ক্যাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সংকট সম্পর্কে অবহিত করে আসছে এবং এই সংকট সমাধানে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মহল ও বন্ধুরাষ্ট্র গুলোর সহায়তা আশা করে।  সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলে জানায়।

চলমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এ এ, এন ইউ জি  ও মিয়ানমার সরকারের সাথে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য গ্রহণযোগ্য পরিবেশ  সৃষ্টিতে জরুরী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশের উপর চেপে বসা এই সমস্যা দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা,পরিবেশ ও অন্যান্য বিষয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ সফলতার সাথে জনসচেতনতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিষয়টি প্রতিনিয়ত তুলে ধরছে। কূটনীতিক ভাবে ও আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে বাংলাদেশ এই সমাধানের চেষ্টা করলেও সফলতা এখনও আসেনি। সামনের দিনগুলোতে এই কার্যক্রম এগিয়ে নিতে কমিশন গঠন করে একটা কাঠামোর আওতায় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। চলমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য রাখাইনে সেইফ জোন সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। দুর্দশাগ্রস্থ রাখাইন জনগোষ্ঠী ও রোহিঙ্গাদের ত্রান ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য মানবিক করিডোর স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মোঃ শামসুদ্দীন, এন ডি সি, এ এফ  ডব্লিউ সি, পি এস সি, এম ফিল (অবঃ), মিয়ানমার ও  রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন