ততদিনে কালিম্পং-এ বছর চারেক কাটিয়ে ফেলেছি। আমার ভাড়াবাড়িটা ছিল ডম্বর চকের থেকে বাঁ দিকের সরু রাস্তা বেয়ে। গম্পুজ রেস্তরাঁকে বাঁয়ে রেখে একটু এগিয়েই গোর্খা জনমুক্তি পার্ক পেরিয়ে। একটা পাহাড়ের বাঁকের শেষ বাড়ি। তারপর আর কিচ্ছুটি নেই। সামনে তাকালে সোজা দেখা যায় সমুদ্রের ঢেউয়ের মত সবজে কালো পাহাড়ের সারি, আর তাঁরই ফাঁকফোকর দিয়ে বয়ে চলা তিরতিরে রঙ্গিত নদী। সূর্যের আলো পড়লে জল চিকচিক করে। আর সেখান থেকে সময় করে ঘাড় ঘোরাতে পারলেই….কাঞ্চনজঙ্ঘা। খুব ভোরে কেমন ফ্যাকাসেপানা, ধীরে ধীরে সূর্য উঠতে থাকে। কাঞ্চনে টকটকে লালের ছোঁয়া লাগে। প্রথমে একেবারে মাথায়। তারপর সেই রঙ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে তাঁর সারা দেহে। কিছু বুঝবার আগেই কেমন করে যেন লাল বরণ সোনালী হয়। ঝকঝকে সোনার তৈরি মুকুটের মত জ্বলতে থাকে কাঞ্চন। তাও বড়জোর মিনিট দশেক। সূর্য আরও উপরে ওঠে। সোনা রঙ এবার রূপোর পরতে ঢাকে। আমি অবাক চোখে চেয়ে দেখি। আমার কিছু করার নেই। সত্যি বলতে কি কারও কিছু করার নেই আজ। গত চারদিন কালিম্পং বন্ধ। সব বন্ধ। দোকান বাঁজার, অফিস, গাড়ি ঘোড়া। গোর্খাল্যান্ডের জন্য আন্দোলন চরমে উঠেছে। গাড়িতে গাড়িতে নতুন নম্বর প্লেট বসেছিল। জিএল নং। জি এল- গোর্খাল্যান্ড। দার্জিলিং জেলাতে এই নম্বর ছাড়া নাকি গাড়ি চলবে না। শুনলাম শিলিগুড়িতে কিছু গাড়ি আটক করেছে। সেই জন্যেই এই বন্ধ।
প্রথমদিকে একটু সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে এই বনধ কালচারের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছিলাম। আগেরদিন কালিম্পং এর চকে পোস্টার পড়ত। হাতে লেখা। নেপালীতে। নেপালী শেখাটা এইভাবে অন্তত কাজে এসেছিল। তাতে ফিরিস্তি থাকত কি কারণে এই সপ্তাহে কতদিন বনধ থাকবে। আর ওখানে তো যেকোন বনধ মানেই সর্বাত্মক সফল। একটাও দোকান খোলা নেই। গাড়ি চলছে না। ছেলেমেয়েরা মেইন রোডে ক্রিকেট খেলছে। মাঝে দুই একদিন ছাড় দেওয়া হত। সেইদিনগুলোতে দোকান উপচে পড়ত ভীড়ে। লাইন লাগত লম্বা। জিনিসের গায়ের দামের দুইগুণ তিনগুণ দামে খাবার বিক্রি হত। শুকনো আলু আর গাছ গজিয়ে যাওয়া পেঁয়াজের জন্য কাড়াকাড়ি লাগত মানুষে মানুষে। ব্যাগ থেকে গড়িয়ে পড়া ওদলাবাড়ির লাল আলু কুড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যেত দুইদিন না খেতে পাওয়া নেপালি শিশু। আমরা রুটিন রাখার মত শুধু হিসেব রাখতাম কোন দিন দোকান খুলবে। দোকান খুললেও যে অফিস খুলবে তা না। নাও খুলতে পারে। এ এক অনন্ত অপেক্ষা… ফোনটা এসেছিল তেমনই এক নিষ্কর্মা সকালে। অচেনা নম্বর। ফোন ধরতেই খুব চেনা একটা গলা বলল “কি রে ব্যাটা, কেমন আছিস?”
গলা শুনতেই আমার কিশোরবেলা যেন হুড়মুড় করে আবার আমার কাছে ফিরে এল। তখন বোধহয় ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি। পাড়ার সুদীপ্তদার ডেকে নিয়ে গেছিল ওঁর বাড়িতে। গিয়ে দেখি গেরুয়া পরা এক সাধু। বয়স কত? চল্লিশ মত হবে। আমায় দেখেই একগাল হেসে বললেন “আয়। নে লজেন্স খা” বলে হাতে গুঁজে দিলেন চারপাঁচটা ক্যান্ডি। অপরিচয়ের যে প্রাথমিক বাধা, সেটা যে কীভাবে দূর হয়ে গেল, বুঝতেই পারলাম না। শুনলাম উনি বেলঘরিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ। বিশ্বরূপ মহারাজ। একটা গালভরা কঠিন নাম আছে যদিও “স্বামী নিত্যসত্যানন্দ”। “কি বলে ডাকব আপনাকে? এত বড় নাম…”
“ধুশ শালা। এত বড় নামে ডাকবি কেন? সবাই যেমন বিশ্বরূপ মহারাজ বলেন তেমনই বলবি। নাম ধরেও ডাকতে পারিস। কোন সমস্যা নেই” বলেই একগাল হেসে হো হো করে উঠলেন। শুরুর দিনই মহারাজ আমায় যাকে বলে হুক করে নেওয়া, তেমনটা করে নিলেন। সাধু বা মহারাজ বলতে যে ভাবগম্ভীর ধীরোদাত্ত গুণান্বিত মানুষের কথা মনে আসে, একেবারেই তেমন নন। যেন বন্ধু। যার কাছে মনের সব কথাই বলা যায়। তারপরে বেলঘরিয়া রামকৃষ্ণ মিশনে গেছি কতবার। এই মানুষটাকেই দেখতে। আমাকে প্রথমবার জন ডেনভারের গান, সাইমন গারফাঙ্কেল আর ইংরাজি সিনেমা সিডিতে দেখিয়ে হাতেখড়ি দিয়েছিলেন। এক মুহুর্ত বসে থাকতে দেখতাম না। মিশনের কোথাও একটা লাইট ভেঙে গেছে। মিস্তিরি আসবে। তার আগে নিজেই মইটই নিয়ে উঠে আলো ঠিক করে দিলেন। ঠিক একই উৎসাহে মেথরের কাজও করতে দেখেছি কতবার। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক দুটোতেই স্ট্যান্ড করেছিলেন। নিজে বলেন নি। শুনেছিলাম। বলতে গেলে বলতেন” বাদ দে। ওসব গতজন্মের কথা”। সাধু নাকি নিজের আর বাবা মায়ের শ্রাদ্ধ করে সাধু হয়। পূর্বাশ্রম নিয়ে পড়ে থাকলে তার চলবে নাকি? তবুও কি ভোলা যায়? মজা করে বলতেন” আমরা তিন ভাই বুঝলি। বিশ্বরূপ, স্বরূপ আর রূপ। রূপের জন্মের পরেই বাবামা সিরিয়াসলি ডিসিশান নিলেন আর ছেলে নেবেন না। কেন জানিস?” “কেন মহারাজ?” “এবার যদি আর একটা ছেলে হয়ে যায়, তবে তো নাম রাখতে হবে প। সে এক বিচ্ছিরি ব্যাপার” বলেই সেই প্রাণখোলা হাসি। সারা ঘরে কয়েকশো গানের ক্যাসেট ছিল মহারাজের। গান শুনতে বড্ড ভালবাসতেন। একদিন গিয়ে দেখি একটাও নেই। আমি রীতিমত শকড। “কোথায় গেল ক্যাসেটগুলো!”। “বিদেয় করে দিয়েছি,” বললেন মহারাজ “মায়া বেড়ে যাচ্ছিল”। আরও একদিনের কথা মনে পড়ে। ভিতরে কি একটা প্রার্থনা না আলোচনা হচ্ছে। আমরা সবাই সেখানে। কি কারণে বাইরে বেরিয়ে দেখি এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা জুতোগুলো সব একত্রে গুছাচ্ছেন মহারাজ। কোন দোষারোপ নেই। অভিযোগ নেই। অনেকদিন বাদে একই কাজ করতে দেখেছিলাম তাঁকে। তখন তিনি দার্জিলিং মঠ এর মঠাধ্যক্ষ। ভিতরের মানুষটা বদলায়নি একটুকুও।
মাঝে নানা কাজে মহারাজের সঙ্গে দেখা হত না। কথাও কমে সেছিল। কালিম্পং এর সেই অজ্ঞাতবাসে তাঁর ফোন পেয়ে চমকে উঠলাম। মহারাজ জানালেন রায়ভিলা-কে সরকার থেকে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আসছেন দার্জিলিং। যার সূত্রে তাঁর সঙ্গে পরিচয়, সেই সুদীপ্তদাও আছে। এমন সুযোগ হাতছাড়া করা যায় নাকি? মুশকিল শুধু এক জায়গায়। রায়ভিলা জিনিষটা কি সেটা আমি বিলকুল জানতাম না। ফোনেই বিস্তর কানমলা দিয়ে মহারাজ যা বললেন তা অনেকটা এই রকম-
১৯০৯ সালের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি পূজাবকাশে ভগিনী নিবেদিতা চলে এলেন দার্জিলিং। সঙ্গী বসু পরিবার। জগদীশচন্দ্র আর তাঁর স্ত্রী অবলা। জগদীশকে খোকা বলে ডাকতেন তিনি। পরের বছরও পুজোর ছুটি কাটাতে বেছে নিলেন দার্জিলিং পাহাড়কেই। এ যাত্রায় বেশি দিন থাকা সম্ভব হল না। টেলিগ্রাম এল, মিসেস বুল গুরুতর অসুস্থ। খবর পাওয়া মাত্র দেরি করলেন না। দার্জিলিং থেকেই যাত্রা করলেন আমেরিকার উদ্দেশে। আমেরিকা থেকে ফিরে আসার পর দেখা গেল তাঁর সেই ইস্পাতকঠিন স্বাস্থ্য আর নেই। অবনতি ঘটেছে। নিবেদিতার ভগ্ন স্বাস্থ্য উদ্ধারের আশায় জগদীশচন্দ্র প্রস্তাব দিলেন দার্জিলিং যাত্রার। ঠিক হল, অবলা বসুর ভগ্নীপতি দ্বারকানাথ রায়ের ‘রায়ভিলা’ই হবে তাঁদের প্রবাসের বাসস্থান। সম্মতি দিলেন নিবেদিতা। বসু দম্পতি বেরিয়ে পড়লেন আগেই। পৌঁছে প্রস্তুতি নিলেন সিকিম সফরে যাওয়ার। ১৭ বোসপাড়া লেন বাগবাজার থেকে ২১ সেপ্টেম্বর নিবেদিতা মিস্টার ও মিসেস এস কে রাটক্লিফ-কে লিখে জানালেন ‘‘উই উইল লিভ টুমরো ফর দার্জিলিং।’’ দার্জিলিংয়ে এসে জগদীশচন্দ্রর সিকিম যাওয়ার পরিকল্পনা শুনে নিবেদিতা মহা খুশি, ‘‘ওখানে একটি মঠ আছে, দেখব।’’ দার্জিলিং থেকে তিব্বতের পথ ধরে যেতে হবে সান্দাকফু। সেখানে ১২ হাজার ফুট উঁচুতে বৌদ্ধ মঠ, সেটাই দ্রষ্টব্য। ঘোড়ায় জিন বাঁধা হল। বিছানাপত্র খাবারদাবার সঙ্গে নিয়ে যাত্রার আয়োজন যখন সম্পূর্ণ, হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়লেন নিবেদিতা। জ্বর, সঙ্গে রক্ত-আমাশা। ডাক্তার নীলরতন সরকার তখন দার্জিলিংয়ে। খবর পাঠানো হল তাঁকে। চিকিৎসা শুরু করে বুঝলেন, নিরাময় সম্ভব নয়। সেবাযত্নের ভারটি নিলেন বসুজায়া। নিবেদিতা বুঝতে পারছিলেন, শেষ সময় চলে আসছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল প্রতি দিন। ৭ অক্টোবর, নিবেদিতার কথা মতো উকিল ডেকে আনা হল। নারীশিক্ষা প্রসারের যে সংকল্প করেছিলেন, জীবনের শেষ লগ্নেও তা অটুট। তৈরি করলেন দানপত্র। সঞ্চিত সমস্ত অর্থ, এমনকী ভবিষ্যতে গ্রন্থস্বত্ব থেকে আয়ের অর্থও স্ত্রী-শিক্ষা প্রচলনের জন্য বেলুড় মঠের ট্রাস্টিদের হাতে সমর্পণ করলেন। নিজের সব সম্পত্তি উইল করে দিলেন ভারতীয় মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্নে গড়ে ওঠা নিবেদিতা স্কুলের নামে, স্বামী বিবেকানন্দের বেলুড় মঠের মাধ্যমে।
নিবেদিতার রোগশয্যার পাশেই সর্বক্ষণ বসে থাকতেন অবলা। প্রবোধ দিতেন—‘‘এ রোগ প্রাণঘাতী নয়। শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবে।’’ কিন্তু নিবেদিতা বুঝতে পেরেছিলেন, শেষের দিন আসন্ন। আশ্বাস দিয়ে মৃত্যুকে এড়ানো যাবে না। বললেন, ‘‘লেট দেয়ার বি নো হাইডিং অ্যান্ড ডোন্ট ট্রাই টু প্রোলং।’’ জগদীশচন্দ্র তখন বিষয়টিকে ভুলিয়ে রাখার জন্য, মনকে ভরিয়ে রাখার জন্য পড়ে শোনাতেন নিবেদিতারই কোনও প্রিয় গল্প। তাঁর মন আলোড়িত হবে ভেবে তখন কোনও কোনও রচনাংশ বাদ দিয়ে পড়তেন জগদীশচন্দ্র, কিন্তু রোগশয্যায় শুয়েও নিবেদিতা কিন্তু সচেতন। ঠিক ধরে ফেলতেন এবং ফলে জগদীশচন্দ্রকে আবার পুরোপুরি পড়তে হতো। শরীর অসুস্থ, রোগাক্রান্ত—কিন্তু চেতনা প্রখর, জাগ্রত।
শেষ প্রহরে নিবেদিতারই অনূদিত বৌদ্ধ প্রার্থনাবাণী পাঠ করে শোনালেন অবলা। আর নিবেদিতার কণ্ঠে ক্ষীণস্বরে উপনিষদের সেই দিব্যবাণী—‘‘অসতো মা সদ্গময়, তমসো মা জ্যোতির্গময়, মৃত্যোর্মা অমৃতংগময়…।’’
ক’দিন ধরেই চলছিল মেঘ-কুয়াশার খেলা। শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর। কোনও খাবার মুখে তুললেন না। ওষুধও নয়। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ওঠা সূর্যের প্রথম আলো স্পর্শ করেছে হিমশিখরের চূড়া। ঘরে এসে পড়েছে তারই সোনালি আভা। খুলে ফেললেন অক্সিজেনের নলটি। বললেন, ‘‘তরণী ডুবছে, আমি কিন্তু সূর্যোদয় দেখব।’’ মাত্র ৪৪ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ফেললেন এই শৈলশহরের বুকে।
দার্জিলিং শহরে তাঁর প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁকে শেষ দেখা দেখতে রায়ভিলার সামনে ভিড় জমে যায়। শেষ যাত্রায় পা মেলান বসু দম্পতি, ডাক্তার নীলরতন সরকার, শশীভূষণ দত্ত, যোগেন্দ্রলাল বসু, শৈলেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, নিশিকান্ত সেন বাহাদুর, বশীশ্বর সেনগুপ্ত, রাজেন্দ্রলাল দে প্রমুখ বিশিষ্ট জনেরা। দার্জিলিঙে খবর ছড়িয়ে পড়ল। দার্জিলিং শহর সেই প্রথম দেখল কোনও শবযাত্রা ঘিরে এত মানুষের উপস্থিতি, এক বিদেশিনীর জন্য মানুষের অফুরন্ত ভালবাসা। বিকেল চারটে পনেরোতে নিবেদিতার মুখাগ্নি করলেন রামকৃষ্ণ মিশনের ব্রহ্মচারী গণেন্দ্রনাথ। ঠিক ১৪ বছর পরে, স্বামী অভেদানন্দ, আমেরিকায় বেদান্ত প্রচার শেষে দার্জিলিঙে আসেন। তিনি উদ্যোগী হয়ে নিবেদিতার চিতাস্থলে একটি স্মৃতি-মন্দির নির্মাণ করেন (ছবিতে)। লিখে দেওয়া হয়, ‘এখানে শান্তিতে শুয়ে আছেন ভগিনী নিবেদিতা, যিনি, তাঁর সবকিছু ভারতবর্ষকে দিয়ে দিয়েছিলেন’। ১৫ অক্টোবর ‘বেঙ্গলি’ পত্রিকা লিখল : ‘‘দার্জিলিঙে এত বড় শোভাযাত্রা ইতিপূর্বে কেহ দেখে নাই।’’
শৈলশহরে নিবেদিতার স্মৃতি- বিজড়িত একমাত্র স্মারক ‘রায়ভিলা’ ২০১৩-র ১৬ মে মুখ্যমন্ত্রী নাকি হস্তান্তরিত করেছেন রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে। ১০ জুলাই থেকে মিশনের কাজ শুরু হবে বাড়িটিকে কেন্দ্র করে। প্রথমে সংস্কার। তালা ভেঙে ঢুকবেন মহারাজরা। আমিও তাতে সামিল হব কিনা তাই জানতে চাইছেন। আর this was the offer I could not refuse. (ক্রমশ)