নীলাচলের মাথায় মেঘ নেই। সুন্দর একটা গোধূলি আকাশ প্রসারিত হয়ে আছে ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে। অম্বুবাচীতে এমন একটা সাধারণত হয় না, মেঘ-বৃষ্টি থাকে। মুহূর্তটাকে কাজে লাগাতেই হবে, রাজীব দ্রুত ক্যামেরার অ্যাপারচার ঠিক করে সাটার বাটন টিপল-ক্লিক ক্লিক। সে তান্ত্রিক যোগিনীর অনেকগুলো ছবি তুলল। এই ব্লু আওয়ারে পছন্দমতো ছবি তুলতে পারলে রাজিবের মন ভালো হয়ে যায়। সে কামাখ্যা মন্দির চত্বরে ঘুরে ঘুরে আরো কিছু ছবি তুলে ফিরে এলো হোটেল নীলাচলে। পাহাড়ের পাদদেশের যাবতীয় হোটেলের নাম কামাখ্যা, নীলাচল পর্বতের নামে। নাম বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। হোটেলের ব্যালকনিতে দাঁড়ালে নীলাচল পর্বত, ব্রহ্মপুত্র চোখের এক ফ্রেমে ধরা পরে। মন্দির চত্বর আলোয় সজ্জিত, বাকি সব অন্য রঙের হলেও কামাখ্যা চূড়ায় পড়েছে রক্তিম আলো। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানতে টানতে চিত্র সাংবাদিক রাজীব মিত্র সারাদিনের কাজের জারণ করছিল। হঠাৎ মনে পড়ল সন্ন্যাসিনীর কথা, সে দ্রুত রুমে ঢুকল।
সে দিনের তোলা সবগুলো ছবি ক্যামেরা থেকে ল্যাপটপে কাট পেস্ট করা নিল। স্ক্রিনে ফুটে উঠছে ছবির পর ছবি। যেন গোটা অম্বুবাচী মেলার কোলাজ। দেশ বিদেশ থেকে আসা হাজার হাজার ভক্তের ঢল। গেরুয়া বসনধারী সাধুরা রক্ততিলক-রসোকলি কপালে ধ্যানরত। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। রুদ্র মানে শিব, অক্ষ আঁখি বা অশ্রুজল। সাধু-সন্ন্যাসী-যোগীদের গলায় এখানে রুদ্রাক্ষের মালা অনিবার্য, শিবকে খুশি করেই তো পার্বতীর কাছে পৌঁছানো যাবে। বেরিয়ে এলো সেই সন্ন্যাসিনীর ছবি। কপাল জুড়ে সিঁদুরের রক্ততিলক, চুল খোপা করে ব্রহ্মতালুতে বাঁধা, গলায় পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষের মালা। কামাখ্যা মন্দিরের দিকে মুখ করে ধ্যানরত। মুখে গোধূলি আভা। তামাম যোগী, সন্ন্যাসিনীদের ভিড়ে সে একেবারে আলাদা। উজ্জ্বল। রাজিব ছবিটাকে জুম করে দেখতে দেখতে চমকে উঠল-আরে এই মেয়েটিই তো কাল কলকাতা তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে এসেছে। পাশের সিটে বসেছিল। আনমনে আকাশ দেখছিল। কথা হয়নি। রাজীব এই হোটেল লাউঞ্জেও দেখেছে যুবতীকে। সে ভাবল, পারেও বটে। কিন্তু কেন এই ভেক?
সিগারেটের বাট অ্যাসট্রেতে চেপে দিয়ে সে উঠে পড়ল-না মেয়েটিকেই সরাসরি জিজ্ঞেস করলে হয়, অম্বুবাচী মেলায় এই ভেকে কেন? চেহারা বলে, ভিক্ষা-ঠিক্ষা করা দরকার নেই। পরক্ষণে একটু দমে গেল, যুবতীকে তো আঁচল পেতে রাখতে দেখেনি। তাহলে ভেকই বা কেন, তাকে জানতেই হবে। তবে এত গভীর রাতে এক যুবতীর দরজায় টোকা দেওয়া ঠিক হবে?
তিনশো সাতেয় বেল বাজাল রাজীব। না সাড়া নেই। দু’বার, তিনবার। সাড়াশব্দ নেই। শেষে জোড়ে জোড়ে কড়া নাড়তে কাজ হয়েছে, ভিতরে একটা পুরুষালী গলায় বিরক্ত ঝরে পড়ছে-কোন দামড়া রে? নিকম্মাগুলা একটু শান্তিতেও ঘুমাতে দেবে না।
দরজা খুলল। তার আলুথালু চেহারা, পরনে নাইটি। কপাল সিঁদুরের লেপ্টানো লাল। ঘুম জড়ানো চোখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে কর্কশস্বরে বলল-কী চাই? ও আপনিক! জানতাম আসবেন, তা বলে এত সকালবেলা কেউ মহিলাদের ঘুম ভাঙায়! ঘন্টাখানেক পরে আসুন, ফ্রেশ হয়ে নিই।
রাজীব রুমে ফিরে এলো। ঘড়িতে সময় আটটা অতিক্রান্ত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে গৌহাটির সূর্যবেলা বেশি। সকালবেল এক সুন্দরী মহিলার কাছ থেকে এমন বালতি খানেক চিরতা-পাচন খেতে হবে বাপের জম্মেও কল্পনা করেনি সে। তবু তাকে আবার যেতে হবে, পেপারের গল্প আপনা আপনি হেঁটে এসে তো ধরা দেবে না। খুঁজে আনতে হবে। গ্রাম বাংলায় খবরের ভিতর খবরের তালাশ করতে গিয়ে লাঠি ঝাটা কম জোটেনি। সে সবের পিছনে রাজনৈতিক মদত থাকত। এখানে না হয় মুখঝামটা দিয়ে শুরু। কে জানে দিন কেমন যাবে? তাকে তো শুধু কামাখ্যা মন্দির মাহাত্ম লেখার জন্য হাউস টাকা খরচ করে গৌহাটি পাঠায়নি। সতীপীঠ মেলার একটা জব্বর স্টোরি চাই।
রাজীব তার ভিজিটিং কার্ডটা এগিয়ে দিল যুবতীকে। কার্ডটি দেখে মৃদু হেসে সে বলল -কী রাগ পড়েছে তোসাংবাদিক বাবু?
রাজীব সামান্য অভিমানী স্বরে বলল-আমি সাংবাদিক, রাগ অভিমান থাকতে নেই। কিন্তু জানতে ইচ্ছে করে একজন সুন্দরী যুবতীর আচরণ এমন উগ্র হবে কেন?
যুবতী হেসে ফেলল-চেহারায় সুন্দরী হলে তার দেহ-মনে কোন আনুভূতি থাকতে নেই! সমাজ আমার সমস্ত আচরণবিধি বেঁধে দেবে?
— সমাজের কিছু নিজস্ব নিয়মকানুন তো আছেই। সবটাই ঠিক তা বলছি না। যাকগে ওসব কথা, কালকের আপনার ভৈরবী সাজে কিন্তু দারুন ছবি এসেছে। মেইল আইডি দিলে পাঠিয়ে দিতে পারি।
— বেশ। দেখলেন তো গেরুয়া রঙটা কেমন ঔজ্জল্য বাড়ায়। পরলে দেহ-মনে একটা শান্তির ভাবও আসে। আগে কোনো দিন কামাখ্যা আসিনি, কী যে একটা আত্মিক অনুভূতি হচ্ছিল কাল বিকেলে।
— ভাবনা মানুষকে হ্যালুসিনেশনে আচ্ছন্ন করে।
— হতে পারে।
— আপনার নাম পরিচয় কিছু জানা হলো না, বগর বগর করে যাচ্ছি।
যুবতী উঠে গিয়ে ইন্টারকমে রেস্ট্রুরেন্টকে দুটো কফি আর স্ন্যাক্স পাঠাতে বলল। ব্যালকনি গলে আসা সকালের আলোয় রমণীকে উজ্জ্বল লাগছে। যতক্ষণ না সে কথা বলে ততক্ষণ মেয়েটির মধ্যে একটুও খুঁত নেই। পুরুষালী স্বরটা বেরিয়ে এলেই কেমন তাল কেটে যায়। রাজীব অনুভব করল ভিতরে ভিতরে কেমন একটা অস্বস্তি হচ্ছে। যেমনটা হয় প্রায় সমবয়সী অচেনা যুবক-যুবতী সামনা সামনি বসলে। কারা যে ভিতরে কলকাঠি নাড়ে?
হোটেল বয় কফি দিয়ে গেল। কফির গন্ধে রুমের মেয়েলী গন্ধটা দ্রবীভূত হয়েছে। সঙ্গে গরমাগরম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। কফিতে তুমুক দিতে দিতে দিতে রাজীব আবার তাড়া দিল-বললেন না তো আপনার নাম কী, কোথা থেকে এসেছেন?
— তার আগে বলুন, আমাকে নিয়ে আপনার এত উৎসাহ কেন?
উলটো প্রশ্নে রাজীব নড়েচড়ে বসল-আসলে মেলা পার্বণগুলো আমিই কভার করি। অনেক সাধু-সন্ত দেখেছি জীবনে। আমার কেমন যেন মনে হয়, তাদের পুরানো কোনো ব্যথা আছে। আপনাকে দেখে তেমন কিছু পাচ্ছি না। হতে পারে গোটা দেখাই পূর্ব ভাবনা থেকে উঠে আসা।
— সে যাই হোক, সাধন ভজন করে যদি কেউ দুঃখ কষ্ট ভুলতে পারে খারাপ কি সাংবাদিক বন্ধু? এই যে আমি একজন অবমানব, তা আপনি চিনতে পারছেন? আমি কি নিজেকে চিনতে পারি?
— মানে! রাজীব মিত্র চমকে উঠল। সে গভীরভাবে দেখল দাড়ি গোঁফ ক্লিন সেভেড। মুখোমণ্ডল ব্রাস আপ করেছে।
— মানে আর কী, আমি একজন ট্রান্স নারী। নির্বাণের পরে নাম হয়েছে অপলা সেন। আগে ছিলাম আলাপন সেন।
রাজীব হা করে রইল। খানিকটা ধাতস্থ হয়ে বলল-নির্বাণ কারে কয়। অবমানব না ট্রান্স নারী কী যেন বললেন তারা কি সমকামী গোত্রের?
অপলা হো হো করে হেসে উঠল-এই যে দেখুন সাংবাদিক বন্ধু, আপনারা কত কিছু জানেন, অন্তত জানার ভান করেন কিন্তু অবমানবদের সম্বন্ধে ধারণা নেই আপনার। না না ঘাবড়াবেন না, গোটা সমাজটাই তো আমাদের চেনে না। আমাদের মা-বাবারা চেনে? অবমানবদের বৃহন্নলা দাগিয়ে সমাজ থেকে তাড়িয়ে দেয়। সমাজ ভাবেনা, তারা কারো ভাই-বোন, সন্তান। অবমানবরা যৌনাঙ্গে কোনো ঘাটতি নিয়ে জন্মায় না। গড়মিল বাঁধে মনের মানুষের সঙ্গে শরীরের মানুষের।
একমাত্র ভাঙা পুরুষালী স্বর ছাড়া অপলার শারীরীক কোনো অসঙ্গতি তার চখে পড়ছে না। তার বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না। সে জানতে চাইল- বিরোধটা ঠিক কোথায়?
— এই যে বললাম শরীরে যে মানুষটা পুরুষ, মনের চাহিদায় ইচ্ছায় সে নারী। বা তার বিপরীত। আমাকেই দেখুন না, আমি আপনার মতোই পুরুষ অঙ্গ নিয়ে হয়ে জন্মেছিলাম। কিন্তু মনের মধ্যে বাস করত অপলা নামের নারী। সে কিছুতেই পুরুষ আলাপনকে সহ্য করতে পারত না। পুরুষ-নারী শাড়ি পরতে চাইত। নূপুর ছন্দে হাঁটতে চাইত। যখন হাঁটতে শুরু করলাম, পিছনে লোকে আওয়াজ দিত, হিজড়া আলাপন। কলেজে পড়াতে গিয়ে ব্লাকবোর্ডে লেখা দেখতাম, চুপ! হক্কা স্যারের ক্লাস। সিদ্ধান্ত নিলাম লিঙ্গ পরিবর্তন করে দেহ মনে এক হবো। বাড়িতে তুমুল ঝড় বয়ে গেল, বাবা-মা জীবনে নাতি নাতনির মুখ দেখে মরতে পারবে না যে। সমাজ নমাজ কীভাবে নেবে? আমার অসহায়তার কথা প্রায় ছোট বেলা থেকে জানত, শেষে রাজি হলো। আমি ভাগ্যবতী, বাবা মা আমাকে মেনে নিয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ নিজেদের সন্তান বিসর্জন দেয়, তাড়িয়ে দেয়। তারা হিজড়ে নাচ নেচে পেট চালায়।
— তা হলে তো নির্বাণ নিয়ে এখন আপনি দেহ-মনে এক হয়েছেন, দুঃখ কোথায়।
— বন্ধু, ওসব আপনি কোনোদিন বুঝতে পারবেন না। এই যে আমি যখন পুরুষ ছিলাম, পুরুষের কাছে শুতে চাইতাম। ভিতরের আমি তো নারী। সমাজ আমাকে দাগিয়ে দিয়েছিল সমকামী হিসেবে। কেউ খুঁজে দেখেছে, আসলে তারা বিপরীত মনোলিঙ্গের নারী-পুরুষ। আপনারা সবাইকে শরীর দেখে পুরুষ অথবা নারীর চেনা খোপে খোপে বন্দি করে দেন। ও সব থাক, আসলে কারখানায় থেকে একবার খুঁত নিয়ে বেরুলে তাকে আর কিছুতেই নিখুঁত করা যায় না। ভগবানই চায়নি আমরা নিখুঁত হই। লিঙ্গ পাল্টালেও মানুষের চোখ পালটায় না। মেয়ে শরীরে যেদিন প্রথম লেডিস টয়লেটে গেলাম, মহিলা সহকর্মীরা ছিটকে বেরিয়েছিল, দামড়াটা মেয়েদের বাথরুমে কেন?
বাইরে ঝেঁপে বৃষ্টি এসেছে। অপলা সেন বলল-চলুল বারান্দায় গিয়ে নীলাচলের বৃষ্টি দেখি।
রাজীবের এবেলা তেমন একটা কাজ নেই। অপলার জীবনের কথা শুনতে খারাপ লাগছে না। সে বলল-আমার কিন্তু সিগারেট টানতে ইচ্ছে হচ্ছে।
— আহা, টানো না। আমাকেও একটা দিও বন্ধু।
বৃষ্টিস্নাত নীলাচলের এখন অন্যরূপ। বৃষ্টি-কুয়াশা ব্রহ্মপুত্রে মিলে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। রাজীব বলল-সত্যি কামাখ্যা মন্দির, নীলাচল পর্বত, ব্রহ্মপুত্রের এত রূপ এখানে না এলে জানতামই না।
— এখন যে ধরিত্রী রজঃস্বলা হয়েছে। কৃষকরা ঋতুমতী মাটিতে হাল দেয় না, তাকে বিশ্রাম দেয়। নীলাচলের যোনীপাথর থেকে অনাদিকাল ধরে অম্বুবাচীর তিনদিন জলের ধারা বেরিয়ে আসে। আদিবাসীরা তাকে পুজা করত। পরে পুরাণের কিংবদন্তীতে একান্নপীঠের এক পীঠ হয়েছ। বিশ্বাসে রঙ লেগেছে। জরায়ুর কান্না রজঃস্বালা হয়ে নাকি ব্রহ্মপুত্র নদে মেশে। তাই নদের এত উচ্ছ্বলতা। এই দেখ, কলেজে পড়া্নোর মতো তোমাকেও ছাত্র ভেবে নিয়েছি।
— আজও তন্ত্রসাধনায় বসবেন।
— মায়ের কাছে থাকতে ভালই তো লাগছে। কাল পর্যন্ত তুমি থাবে তো?
— হ্যাঁ।
— তা হলে কাল রাতে ভৈরবী আখড়ায় এসো। পরশু সকালে কামাখ্যা মন্দিরের দরজা খুলবে। সারারাত আমরা ট্রান্সজেন্ডার নর-নারীরা ভৈরবী নৃত্য করব।
তিন দিনই মূল মন্দির তথা গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ। বাকি দু’দিন চুটিয়ে ছবি তুলেছে রাজীব। আষাঢ় মাসের সাত তারিখে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষে ধরিত্রী ঋতুময়ী হয়েছে। রাত বাড়তেই রাজীব মন্দির সংলগ্ন ভৈরবী আখড়ায় গেল। তার চক্ষু চড়ক গাছ, এত ট্রান্স নার-নারী! স্বদেশি বিদেশি যোগীদের ঢল নেমেছে। কেউ কেউ গাঁজায় বুঁদ হয়ে রয়েছে। গভীর রাতে নাচ শুরু হলো। আওয়াজ উঠছে-হর হর মহাদেব। কামাখ্যা মায়ী কী, জয়। রাতের গভীরে ট্রান্স তান্ত্রিকরা দেবীতে আত্মবিলীন হতে চাইছে। মেঝেতে গড়াগড়ি করে কেঁদে ভাসাচ্ছে বুক। কাতর আর্তি জানাচ্ছে, মা একটা ঋতুমতী জনম দিও। অবিচ্ছেদ্য খোল করতাল বাজছে, দ্রিম-দ্রিম।
রাত শেষে অপলা আর রাজীব নেমে যাচ্ছে হোটেলের দিকে। অপলা চূড়ান্ত ক্লান্ত। রাজীবও কম ক্লান্ত নয়, তাকেও নাচিয়েছ রূপান্তরিত যোগী-গোগিনীরা। সে ক্লান্ত পায়ে হাঁটতে হাঁটতে জিজ্ঞেস করল-কামাখ্যাদেবীর পূজায় এতো মাতোয়ারা হলে কেন অপলা?
— একটা পূর্ণ নারী জনমের জন্য।
— আশা করো পূজা করলেই ঋতুমতী হবে।
— না গো সাংবাদিক বাবু, এ জনমে আর নিখঁত রমণী হওয়ার জো নাই। মানুষ তো কল্পসুখে বাঁচে। পরজন্মও তো কল্পসুখ। পরজনমে ঋতুমতী নারী হওয়ার স্বপ্নে বাঁচাও তো ভাল বাঁচা। তাই না?
অপলার চোখ সিক্ত হয়ে উঠল।
বেশ ভালো লাগলো। সহসা কেউ নারী জন্ম চায় না। অপলা বলতেই পারত পুরুষ জন্ম চাই। এখানেই গল্পটার মূল ভাবনা বলে মনে হয়।