শনিবার | ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৫৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘অমৃতসরী জায়কা’ মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা একের পর এক কয়েদি, এক বছরে ১৯৬ শিশুর জন্ম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘শোলে’র পঞ্চাশ বছর : সন্দীপন বিশ্বাস বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ইতিহাস পালটাতে চায় : তপন মল্লিক চৌধুরী অশোক সম্পর্কে দু-চারটে কথা যা আমি জানি : অসিত দাস চৈত্রের শুরুতেই শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে শুরু হলো সন্ন্যাস মেলা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বাঙালি পরিচালকের প্রথম নির্বাক লাভ স্টোরি : রিঙ্কি সামন্ত গোপিনী সমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলি ও ধ্যানী অশোকবৃক্ষ : অসিত দাস শেখাওয়াটির হোলী-হাভেলী : নন্দিনী অধিকারী সংস্কৃত সাহিত্যে অশোকবৃক্ষ যখন দোহলী : অসিত দাস প্রাণগৌরাঙ্গের প্রিয় পঞ্চব্যঞ্জন : রিঙ্কি সামন্ত ‘দ্য স্টোরিটেলার’ — শিল্প এবং বাজারের মধ্যে দ্বন্দ্ব : কল্পনা পান্ডে অপুষ্টি আর দারিদ্রতা ঢাকতে সরকার আর্থিক উন্নয়নের পরিসংখ্যান আওড়ায় : তপন মল্লিক চৌধুরী দোহলী মানে অশোকবৃক্ষ, তা থেকেই দোল ও হোলি : অসিত দাস সিনেমা প্রেমীদের হোলির গান : রিঙ্কি সামন্ত দোলের আগের দিনের চাঁচর নিয়ে চাঁচাছোলা কথা : অসিত দাস খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল — দোলা লাগল কি : দিলীপ মজুমদার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত সিঙেরকোণ-এর রাধাকান্ত এখনও এখানে ব্যাচেলর : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ দোলপূর্ণিমা ও হোলি ও বসন্ত উৎসবের  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা একের পর এক কয়েদি, এক বছরে ১৯৬ শিশুর জন্ম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ২৮ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫

এ রাজ্যের মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে গত এক বছরে ১৯৬ জন শিশুর জন্ম হয়েছে। এদের বাবা কে? উঠেছে জনমানসে প্রশ্ন। অবাক দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও এ রাজ্যের হাইকোর্ট। কীভাবে জন্মালো এই সমস্ত শিশু! দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে মনোযোগ দিয়েছে এবং বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এর উপর তদন্ত শুরু করার কথা বলেছে। সেই সঙ্গে এ রাজ্যের হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ”এটা খুবই অদ্ভুত যে, জেল-বন্দি মহিলারা জেলে থাকতে কীভাবে গর্ভবতী হচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে শিশু জন্মাচ্ছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে ১৯৬ জন শিশু অবস্থান করছে। তবে, তাদের বাবা কে? যা নির্ধারণ করা এখনও বাকি”। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলার মহিলা সংশোধনাগারে ১৯৬ শিশুর জন্ম! কীভাবে গর্ভবতী হলেন বন্দি মহিলারা? এক অদ্ভুত এবং আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে চলেছে। ২০২৪ থেকে ২০২৫-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৯৬ জন শিশু জন্মেছে জেলের মধ্যে। যেখানে এসব শিশুর মা-রা সকলেই দণ্ডিত মহিলা বন্দি। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, এই মহিলারা তাদের দণ্ডের সময় গর্ভবতী ছিলেন না এবং এসব শিশুর বাবার পরিচয় আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই পরিস্থিতি নিয়ে এখন তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এই মহিলারা কার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন এবং তারা কীভাবে গর্ভবতী হলেন? পশ্চিমবঙ্গের সংশোধনাগারগুলি নিয়ে রাজনৈতিক সমালোচনা এখন তুঙ্গে। একটি পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (পিআইএল) কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। যেখানে এই অস্বাভাবিক ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ১৯৬ শিশু, কিন্তু বাবা কে?

যাদের মধ্যে বেশিরভাগই সদ্যজাত। এই মহিলাদের মধ্যে কিছু অবিচার বা দণ্ডিত বন্দি, আবার কিছু এখনও বিচারাধীন। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়-এই মহিলাদের মধ্যে কোনও পুরুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ ছিল না, কারণ মহিলা বন্দিরা এবং কারারক্ষীরা সকলেই মহিলা। তাহলে, এই ১৯৬ জন শিশুর জন্ম হল কীভাবে? কেন এ ঘটনা ঘটছে? এ ধরনের ঘটনা প্রথমে নজরে আসতে শুরু করে যখন কিছু বন্দি মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় কোর্টে হাজির হয়ে জানান যে, তারা জেলের মধ্যে গর্ভবতী হয়েছেন। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে একাধিকবার শুনানি হয়েছে। “এটা সত্যিই বিস্ময়কর যে, যখন মহিলারা বন্দিত্বে রয়েছেন, তখন তারা গর্ভবতী হচ্ছেন। এটি কি শুধুমাত্র ঘটনা? নাকি এর পিছনে অন্য কোনো গভীর কারণ আছে?” এদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা এই বিষয়ে জানান, “আমি এই তথ্য জানি না, তবে কারাগারের জন্য আলাদা মন্ত্রী রয়েছেন। আমি বিষয়টি যাচাই করব।” অপরদিকে, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেছেন, “এই বিষয় বিচারাধীন রয়েছে। আইজি (সংশোধনাগার) এই রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছেন এবং তদন্ত চলছে।” তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হল, এত বড় ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সে প্রশ্নচিহ্নও দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, কোন পরিপ্রেক্ষিতে কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তা নিয়ে জেল প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়টির উপর হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এটা খুবই অদ্ভুত যে, জেল বন্দি মহিলারা জেলে থাকতে গর্ভবতী হচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে শিশু জন্মাচ্ছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলে ১৯৬টি শিশু অবস্থান করছে।

তবে, তাদের বাবা কে, তা নির্ধারণ করা এখনও বাকি।” এছাড়া, এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও মনোযোগ দিয়েছে এবং তারা বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এর উপর তদন্ত শুরু করার কথা বলেছে।

এখন কী হতে পারে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক চলছে, তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এখনও অজানা রয়েছে — এই ঘটনাগুলির পিছনে কারা দায়ী? কীভাবে বন্দি মহিলারা গর্ভবতী হচ্ছেন? সরকারি তরফে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আসন্ন হাইকোর্টের শুনানির পর হয়তো এই ঘটনার একটি পরিষ্কার দিক জানা যাবে। সমাজের কাছে এক কঠিন প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গের এই ঘটনায় যেমন রাজ্য সরকারের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে, তেমনি সমাজে প্রশ্ন উঠছে — এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে, যেখানে জেলে কোনো পুরুষ বন্দী নেই? কোথা থেকে আসছে এই সমস্যা, এবং এর পরিণাম কী হতে পারে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে এই ঘটনার মাধ্যমে অনেক অদেখা এবং অব্যাখ্যাত দিক সামনে আসবে, যা জনসাধারণের পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন