রবিবার | ২রা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৪৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
এত গুণী একজন মানুষ কত আটপৌরে : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সরস্বতীর উৎস সন্ধানে : অসিত দাস ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন, তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খামতি রয়েছে দলে : তপন মল্লিক চৌধুরী প্রথম পাঠ — মার্কসবাদের বিশ্বভ্রমণ : সন্দীপন চক্রবর্তী বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে ‘খানাকুল বাঁচাও’ দাবিতে সরব খানাকুল-সহ গোটা আরামবাগের মানুষ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হরি হরের কথা এবং বীরভূমের রায়পুরে বুড়োনাথের বিয়ে : রিঙ্কি সামন্ত ত্র্যম্বকেশ্বর দর্শনে মোক্ষলাভ : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কুম্ভমেলায় ধর্মীয় অভিজ্ঞতার থেকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি : তপন মল্লিক চৌধুরী রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়াবে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘হিড়িক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি অধরা, আমার আলোকপাত : অসিত দাস বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-র ছোটগল্প ‘শিকড়ের টান’ বাংলাভাষার নেচিতে ‘ময়ান’ ও ‘শাহিস্নান’-এর হিড়িক : অসিত দাস একটু একটু করে মারা যাচ্ছে বাংলা ভাষা : দিলীপ মজুমদার রাজ্যে এই প্রথম হিমঘরগুলিতে প্রান্তিক চাষিরা ৩০ শতাংশ আলু রাখতে পারবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সামরিক জান্তার চার বছর — মিয়ানমার পরিস্থিতি : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ১৯ ফেব্রুয়ারি ও স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত আলমবাজার মঠ (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার মোদীর মিডিয়া ব্যস্ত কুম্ভের মৃত্যুমিছিল ঢাকতে : তপন মল্লিক চৌধুরী রেডিওকে আরো শ্রুতিমধুর করে তুলেছিলো আমিন সায়ানী : রিঙ্কি সামন্ত গোপাল ভাঁড়ের আসল বাড়ি চুঁচুড়ার সুগন্ধ্যায় : অসিত দাস প্রতুলদার মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : সুমিত ভট্টাচার্য মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড়, মিথ এবং ডিকনস্ট্রাকশন : অসিত দাস মহাকুম্ভ ও কয়েকটি প্রশ্ন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভিয়েতনামের গল্প (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব কাশীকান্ত মৈত্রের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন : ড. দীপাঞ্জন দে অমৃতের সন্ধানে মাঘী পূর্ণিমায় শাহীস্নান : রিঙ্কি সামন্ত
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ১২ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

শনিবার কলকাতার শিশির মঞ্চে ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের যথোচিত মর্যাদায় স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হল। সভার সূচনা পর্বে দোলা সেন  শিল্পীর গাওয়া ‘ জন্মিলে মরিতে হবে ‘ গানটি গেয়ে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর শিল্পীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শিল্পীর স্ত্রী সর্বাণী মুখোপাধ্যায় শিল্পীর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ফুল ও মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, নিকট আত্মীয় স্বজন ও বিশিষ্টজনেরা।

উল্লেখ্য, এদিন প্রয়াত শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণ করেন জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক মজুমদার, নিকট আত্মীয় গীতবাণী চট্টোপাধ্যায় ও দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, ডা. সিদ্ধার্থ গুপ্ত, সান্টু গুপ্ত, নীতিশ রায়, রুদ্র দেব মুখোপাধ্যায়, সৈকত মিত্র, কল্যাণ রুদ্র, সমীর পূততুণ্ড, পূর্ণেন্দু বসু প্রমুখ। বিশিষ্টজনেরা সকলেই প্রয়াত শিল্পীর সৃষ্টি নিয়ে রেখাপাত করেন। সংগীতের মধ্য দিয়ে শিল্পীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সৈকত মিত্র।

প্রসঙ্গত, এদিন স্মরণ সভায় বক্তাদের স্মৃতিচারণে উঠে আসে প্রতুল মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন বাঙালি গায়ক, সৃজনশীল শিল্পী এবং গীতিকার। তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি ‘আমি বাংলায় গান গাই’ এবং ‘ডিঙা ভাসাও সাগরে’ নামের দুটি বিখ্যাত গান।

তিনি গোঁসাইবাগানের ভূত চলচ্চিত্রে নেপথ্য কণ্ঠ দেন। তিনি মনে করতেন, সৃষ্টির মুহূর্তে লেখক-শিল্পীকে একা হতে হয়। তারপর সেই সৃষ্টিকে যদি মানুষের সাথে মিলিয়ে দেওয়া যায়, কেবলমাত্র তাহলেই সেই একাকিত্বের সার্থকতা। সেই একক সাধনা তখন সকলের হয়ে ওঠে।

প্রতুল মুখোপাধ্যায় ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার অধুনা বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও মা বাণী মুখোপাধ্যায় ছিলেন গৃহিণী। দেশবিভাগের সময় তিনি পরিবারের সাথে ভারত চলে আসেন। শৈশব কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি নিজের লেখা ও সুরে গান গাইতেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে কবি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতায় প্রথম সুরারোপ করেন। নিজের লেখা গানের পাশাপাশি ছড়া, কবিতাতেও তিনি বিভিন্ন সময় সুরারোপ করেছেন।

দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পিজি তথা এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মত্যু হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, ৮২ বছর বয়সে। ‘আমি বাংলায় গান গাই’ জাতীয় সঙ্গীতের মতো জনপ্রিয়। তিনি বরাবরই প্রচারবিমুখ ছিলেন। গুণী শিল্পী এবং খুবই ব্যতিক্রমী শিল্পী ছিলেন। ওঁর গান গাওয়ার ধরন অথবা গান নিয়ে ভাবনাচিন্তা আর পাঁচজনের চেয়ে ভিন্ন ছিল। ওঁকে হারানো আমাদের কাছে বড় ক্ষতি। শুধু একটি গান নয়। ওঁর বহু ভাল অ্যালবাম ছিল। তিনি যে সময়ের মানুষ বা ওঁর যা ভাবনাচিন্তা, তা বর্তমানের শিল্পীদের মধ্যে নেই। এখন হয়তো অন্য রকমের কাজ তৈরি হবে। ওঁর সময়েও কিন্তু উনি ব্যতিক্রমী ছিলেন বলে বক্তাদের স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন