লরা মার্কস (Laura Marx) (১৮৪৯-১৯১১) // কার্ল মার্কসের মেয়ে
ব্রাসেলসে জন্মগ্রহণ করেন লরা। ১৮৪৯ সালে মার্কসের পরিবার লণ্ডনে বসতি স্থাপনের আগে তাঁরা প্রথমে ফ্রন্সে ও তারপরে প্রুশিয়াতে যান। ফরাসি সমাজতান্ত্রিক পল লাফার্গ ১৮৬৬ সালে লণ্ডনে আসেন। কার্ল মার্কসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মার্কস পরিবারে তাঁর যাতায়াত শুরু হয় এবং লরার সঙ্গে লাফার্গের প্রণয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৮৬৮ সালের এপ্রিল মাসে সেন্ট প্যানক্রাস রেজিস্ট্রি অফিসে তাঁদের বিয়ে হয়।
সন্তান সুখ তাঁদের কপালে ছিল না। তাঁদের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে জন্ম নিয়েছিল। কিন্তু শৈশবেই তাদের মৃত্যু হয়। লরা ও পল রাজনৈতিক কাজে নিযুক্ত হন। তাঁরা মার্কসের বেশ কিছু রচনা ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেন। ফ্রান্স ও স্পেনে তাঁরা মার্কসবাদের প্রচার করেন।
আর্থিক অবস্থা তাঁদের ভালো ছিল না। এঙ্গেলসের আর্থিক সাহায্যের উপর তাঁরা নির্ভরশীল ছিলেন। ১৮৯৫ সালে এঙ্গেলস মারা যাবার পরে তাঁরা তাঁর বেশিরভাগ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন।
১৯১১ সালের ২৫ নভেম্বর আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তখন লরার বয়েস ৬৬ এবং পলের বয়েস ৬৯। তখন তাঁরা প্যারিসের উপকণ্ঠে ড্রেভিল গ্রামে বসবাস করতেন। একটি চিঠিতে তাঁরা তাঁদের আত্মহত্যার কারণ লিখে গিয়েছিলেন সুস্পষ্টভাবে। অবশ্য আত্মহত্যার চিঠিটি লিখেছিলেন পল লাফার্গ। বার্ধক্যের কারণে শারীরিক ও মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলার কারণে, অন্যদের কাছে বোঝা হয়ে ওঠার ভয়ে তাঁরা আত্মহত্যা করেছিলেন। এই বিশ্বাস নিয়ে তাঁরা মৃত্যু বরণ করেছিলেন যে এতদিন তাঁরা যে আদর্শের জন্য আত্নত্যাগ করেছেন, তা একদিন সফল হবেই।
‘Healthy in body and mind, I end my life before pitiless old age which has taken from me my pleasure and joys one after another ; and which has been stripping me of my physical and mental powers, can paralyse my energy and break my will, making me a burden to myself and o others.
‘For some years I had promised myself not to live beyond 70 ; and I fixed the exact year for my departure from life. I prepared the method for the execution of our resolution; it was a hypodermic of cyanide acid.
‘I die with the supreme joy of knowing that at some future time, the cause to which I have been devoted for forty-five years will triumph .
‘Long live Communism ! Long live the International Socialism.’
আত্মহত্যার এই চিঠিতে বহুবার ‘I’ আছে, একবার মাত্র আছে ‘our’. (ক্রমশ)