মঙ্গলবার | ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৫৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর, না লাক্ষানগর বা জতুনগর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী শাহিস্নান নয়, আদতে কথাটি ছিল সহিস্নান : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ভূতের গল্পো ‘হোমস্টে’ রহস্য ঘেরা বলিউডের নক্ষত্রপতন : রিঙ্কি সামন্ত বাঁকুড়ার দু-দিন ব্যাপী দেশীয় বীজ মেলায় দেশজ বীজের অভূতপূর্ব সম্ভার পেজফোর-এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ২০২৫ এত গুণী একজন মানুষ কত আটপৌরে : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সরস্বতীর উৎস সন্ধানে : অসিত দাস ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন, তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খামতি রয়েছে দলে : তপন মল্লিক চৌধুরী প্রথম পাঠ — মার্কসবাদের বিশ্বভ্রমণ : সন্দীপন চক্রবর্তী বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে ‘খানাকুল বাঁচাও’ দাবিতে সরব খানাকুল-সহ গোটা আরামবাগের মানুষ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হরি হরের কথা এবং বীরভূমের রায়পুরে বুড়োনাথের বিয়ে : রিঙ্কি সামন্ত ত্র্যম্বকেশ্বর দর্শনে মোক্ষলাভ : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কুম্ভমেলায় ধর্মীয় অভিজ্ঞতার থেকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি : তপন মল্লিক চৌধুরী রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়াবে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘হিড়িক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি অধরা, আমার আলোকপাত : অসিত দাস বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-র ছোটগল্প ‘শিকড়ের টান’ বাংলাভাষার নেচিতে ‘ময়ান’ ও ‘শাহিস্নান’-এর হিড়িক : অসিত দাস একটু একটু করে মারা যাচ্ছে বাংলা ভাষা : দিলীপ মজুমদার রাজ্যে এই প্রথম হিমঘরগুলিতে প্রান্তিক চাষিরা ৩০ শতাংশ আলু রাখতে পারবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

চাল চকচকে করতে বিষ, সবজিতেও বিষাক্ত হরমোন প্রয়োগ, চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ২১৭ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

এখন দোকান — বাজারে গেলে পালিশ করা চকচকে চাল, সতেজ সবুজ সবজি। নজর কাড়তে পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এর অন্তরালে বিষাক্ত হরমোন ও কীটনাশক বিষ প্রয়োগের ব্যবহার দিনের দিন বাড়ছে।আর তা মানুষের কাছে দুর্বিষহ যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিন্তায় পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কৃষি বিশেষজ্ঞ গোপাল সেতুয়া জানান, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মাঠে যেতাম। সবুজ খেতের ঘ্রাণ নিতাম। সবুজে চোখ রাখতাম। চোখ শান্তি পেত। আর বুক ভরে বিশুদ্ধ বাতাস নিতেও ভুলতাম না। কিন্তু এখন এসব নিতে গেলে ভয় হয়। সকালবেলায় মাঠে যাই। বিশুদ্ধ অক্সিজেনের বদলে কীটনাশকের গন্ধ পাই। এর গন্ধে ভরে গিয়েছে মাঠঘাট। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে এর গন্ধ। সবুজ ধান, সবুজ সবজি সবই যেন বিষাক্ত মনে হয়। চিন্তা হয় আর কতদিন এভাবে কাটাতে হবে। আসলে অতিরিক্ত কীটনাশকের প্রয়োগের ফলে চাল হচ্ছে বিষাক্ত। কেবল জমিতেই বিষ ছড়াচ্ছে না। রেহাই নেই রাইস মিলগুলিতেও। এখানেও ধান থেকে চাল বের হওয়ার পর চকচকে সুন্দরী এবং পোকা না লাগার জন্য যে ওষুধ প্রয়োগ হচ্ছে তা এক প্রকার বিষ বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই চালের ভাত আমরা খাচ্ছি। এ তো গেল চালের কথা। আবার শীতে মাঠের সবজি দেখলেই নজর কাড়ে। অথচ এখন খেতে ভয় লাগে। জৈব সারের পরিবর্তে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ওষুধ যে হারে প্রয়োগ হচ্ছে তা দেখলে গা শিউরে ওঠে। তিনি আরো বলেন, সন্ধ্যার আগে বহু চাষি আছে যারা বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল, ঝিঙে, করলা, উচ্ছে, বরবটি, শসা ইত্যাদি সবজিতে ভয়ানক কীটনাশক ওষুধ বা বিষ প্রয়োগ করছে। এমনকি সতেজ ও চকচকে রাখার জন্য কেমিক্যাল রঙের ব্যবহার‌ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটাই উদ্দেশ্য বেশি দামে ক্রেতাদের নজর কাড়া।

কিন্তু ওই সমস্ত চাষির হুঁশ নেই এই বিষাক্ত সবজি খেয়ে কঠিন রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বাঁচার ইচ্ছা থাকলেও পথ খোলা নেই তাঁদের কাছে। আর হবেই না কেন? বেগুন, করলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বরবটি, কাঁচালঙ্কা ইত্যাদির মতো সবজির খোসা না ছাড়িয়ে রান্না হয়। সমস্ত বিষ এই সমস্ত সবজির গায়ে লেগে থাকে। সরাসরি ঠিকমতো পরিষ্কার না করেই রান্না হচ্ছে। সরাসরি তা আমরা খাচ্ছি। আগে শসা তো খোসা না ছাড়িয়ে মাঠ থেকে তুলে আলপথ ধরে খেতে খেতে বাড়ি ফিরতাম। এখন ভয় পাই। বাড়িতে শসার খোলা না ছাড়ালে খেতে পারি না। আবার সেই কাঁচালঙ্কা যে খাব তার উপায় নেই। মুড়ি খাওয়ার সময় এতেও বিশেষ গন্ধ পাই। এ হয়েছে এক জ্বালা, কী খাব ভেবে পাই না।

আরামবাগ মহকুমার দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি আধিকারিকের মতে যখন দেখি পটল, ঢেঁড়স, বেগুন, করলা’র মতো সবজিতে বিষাক্ত রঙ মাখিয়ে বাজারে ক্রেতাদের আকর্ষণ করা হচ্ছে। চকচকে বড় সবজি দেখে আমরা লোভের বশবর্তী হয়ে ব্যাগে ভরছি। জানি না, এর বিষাক্ত কতখানি ভয়াবহ। ক্যানসার ছাড়াও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে কঠিন রোগের প্রাদুর্ভাব। তবুও আমাদের হুঁশ ফেরেনি। রাতারাতি এক ইঞ্চি কাঁচালঙ্কা পাঁচ ইঞ্চি হচ্ছে, কিংবা ছোট ফুলকপি, ছোট ঢেঁড়স, ঝিঙে, কুমড়ো, শসা, বেগুন, করলা’র মতো সবজি রাতারাতি দ্বিগুণ বড় হচ্ছে। কারণ হরমোন প্রয়োগ। বিষাক্ত হরমোন প্রয়োগে সবজি হচ্ছে বিষ। আর সেই বিষ আমরা মহানন্দে খাচ্ছি। এই ভয়ংকর খেলা কবে শেষ হবে জানি না। এজন্য চাষিদের নিয়ে সচেতনতা শিবির হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ধান ও সবজির বিষে মানুষ রোগাক্রান্ত। স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশুদ্ধ বাতাসে প্রকৃতিও যেন ভারাক্রান্ত। ভোরে মাঠে গিয়েও বাঁচার পথ খুঁজে পাচ্ছে না। এভাবে কতদিন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখবে মানুষ তার জানি না। তাই ভয় হয় গ্রামে খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোর কী হবে! জেনেশুনে বিষ পান। ইচ্ছে না থাকলেও পান করতে হবে। কারণ একমাত্র লড়াই করে বেঁচে থাকার জন্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন