বুধবার | ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:০০
Logo
এই মুহূর্তে ::
মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ভূতের গল্পো ‘হোমস্টে’ রহস্য ঘেরা বলিউডের নক্ষত্রপতন : রিঙ্কি সামন্ত বাঁকুড়ার দু-দিন ব্যাপী দেশীয় বীজ মেলায় দেশজ বীজের অভূতপূর্ব সম্ভার পেজফোর-এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ২০২৫ এত গুণী একজন মানুষ কত আটপৌরে : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সরস্বতীর উৎস সন্ধানে : অসিত দাস ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন, তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খামতি রয়েছে দলে : তপন মল্লিক চৌধুরী প্রথম পাঠ — মার্কসবাদের বিশ্বভ্রমণ : সন্দীপন চক্রবর্তী বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে ‘খানাকুল বাঁচাও’ দাবিতে সরব খানাকুল-সহ গোটা আরামবাগের মানুষ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হরি হরের কথা এবং বীরভূমের রায়পুরে বুড়োনাথের বিয়ে : রিঙ্কি সামন্ত ত্র্যম্বকেশ্বর দর্শনে মোক্ষলাভ : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কুম্ভমেলায় ধর্মীয় অভিজ্ঞতার থেকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি : তপন মল্লিক চৌধুরী রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়াবে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘হিড়িক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি অধরা, আমার আলোকপাত : অসিত দাস বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-র ছোটগল্প ‘শিকড়ের টান’ বাংলাভাষার নেচিতে ‘ময়ান’ ও ‘শাহিস্নান’-এর হিড়িক : অসিত দাস একটু একটু করে মারা যাচ্ছে বাংলা ভাষা : দিলীপ মজুমদার রাজ্যে এই প্রথম হিমঘরগুলিতে প্রান্তিক চাষিরা ৩০ শতাংশ আলু রাখতে পারবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সামরিক জান্তার চার বছর — মিয়ানমার পরিস্থিতি : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ১৯ ফেব্রুয়ারি ও স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত আলমবাজার মঠ (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার মোদীর মিডিয়া ব্যস্ত কুম্ভের মৃত্যুমিছিল ঢাকতে : তপন মল্লিক চৌধুরী রেডিওকে আরো শ্রুতিমধুর করে তুলেছিলো আমিন সায়ানী : রিঙ্কি সামন্ত গোপাল ভাঁড়ের আসল বাড়ি চুঁচুড়ার সুগন্ধ্যায় : অসিত দাস প্রতুলদার মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : সুমিত ভট্টাচার্য মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড়, মিথ এবং ডিকনস্ট্রাকশন : অসিত দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নায়ক যখন পায়রা : রিঙ্কি সামন্ত

রিঙ্কি সামন্ত / ২৭৫ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২

অতীতে সংবাদ আদান-প্রদান করার জন্য পায়রা ছিলো এক অপরিহার্য বাহক। ক্ষমতায়নের যুদ্ধ যখন থেকে শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই মানুষ বুঝেছিল বার্তা বাহকের ভূমিকা কতখানি। মানুষকে দূত হিসেবে কাজে লাগলে সুবিধাও যেমন আছে তেমনি অসুবিধা তার থেকে বেশি। এছাড়া মানুষ সব দুর্গম জায়গায় পৌঁছতেও সহজে পারে না। কেবলমাত্র পাখিরাই খুব সহজে কম সময়ের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে যেতে পারে। পথ চেনার প্রাকৃতিক ক্ষমতার জন্য পায়রাকে মানুষ ব্যবহার করছে তাই বহুকাল আগে থেকে। এরা পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে সক্ষম। দুরদূরান্তে গিয়েও নিজের ঠিকানায় এরা সহজেই ফিরে আসতে পারে।

এই দক্ষতাকেই কাজে লাগানো হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ছাড়াও জুলিয়াস সিজার, চেঙ্গিস খান ইত্যাদি ইতিহাসের বহুযুদ্ধে পায়রাদের অংশগ্রহণ ছিল এক অবাক করা ঘটনা। এই প্রসঙ্গে ৩ অক্টোবর, ১৯১৮ প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের একটি ঘটনার উল্লেখ করি।

মেজর চার্লস হোয়াইট হুইটলসি (একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি মেডেল অফ অনার প্রাপক যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিউস-আর্গোন আক্রমণে “হারানো ব্যাটালিয়ন”-এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।) এবং ৫৫০ জনেরও বেশি লোক খাবার বা গোলাবারুদ ছাড়াই শত্রুপক্ষের সীমানায় আটকা পড়েছিলো। এমন একটা জায়গায় আটকে পড়েছিলো সেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা পাওয়া যাচ্ছিল না। জার্মানদের দ্বারা প্রহরাবেষ্টিত হয়ে অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছিল। মাত্র ১৯৪ জন পুরুষ তখনও জীবিত ছিল।

পরিস্থিতি এমন হয়েছিলো হুইটলসির যে বার্তাবাহক দৌড়বিদরা ছিলো তারাও জার্মানদের দ্বারা ধারাবাহিকভাবে আটকা পড়ে বা নিহত হয়। এই পরিস্থিতিতে হুইটলসি তখন পায়রার মাধ্যমে বার্তা পাঠাতে শুরু করেন। প্রথমে একটি পায়রার সাহায্যে বার্তা লিখে পাঠানো হয়, ‘গোলাবর্ষণ কারণে অনেকেই আহত। এখান থেকে সরতে পাচ্ছি না।’ কিন্তু আকাশে ওড়ার সময় পায়রাটিকে জার্মান সেনাবাহিনী গুলি করে মেরে ফেলে।

এরপর দ্বিতীয় বার্তা দিয়ে পাঠানো হয় অন্য একটি পায়রা দিয়ে, “মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সমর্থন পাঠানো যাবে?” কিন্তু এবারেও ভাগ্যদেবী সহায় হলেন না। শত্রুবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারালো পায়রা দূত।

তখন তাদের কাছে আর একটি মাত্র প্রশিক্ষিত পায়রা বেঁচে ছিল ‘চের অ্যামি (Cher Ami)’। এই মিশন ব্যর্থ হলে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত।

চের অ্যামি (ফরাসি ভাষায় অর্থ “প্রিয় বন্ধু”) ছিলো একটি পুরুষ হোমিং পায়রা যাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সে ইউএস আর্মি সিগন্যাল কর্পস দ্বারা ব্যবহারের জন্য ব্রিটেনের পায়রা অনুরাগীদের দ্বারা দান করা হয়েছিল এবং প্রশিক্ষিত হয়েছিল আমেরিকান পায়রা দ্বারা।

চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে চের অ্যামির ডান পায়ে একটি ক্যানিস্টারে পেঁয়াজের কাগজে লেখা চিরকুট দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। বার্তায় লেখা হলো, ” আমরা ২৭৬.৪ নম্বর রোডের সমান্তরাল জায়গায় আটকে পড়েছি। আমাদের নিজেদের আর্টিলারি সরাসরি আমাদের উপর গোলাবর্ষণ করছে। ঈশ্বরের দোহাই এটি বন্ধ করুন।”

পায়রাটি এই বার্তা নিয়ে সেখান থেকে উড়ে বের হতেই জার্মান সৈন্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে আরম্ভ করে। চারিদিকে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ হতে লাগলো। কমান্ডার দেখলেন পায়রটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে । কিন্তু এক চোখে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়াতে অন্য চোখের সাহায্যে সে উড়তে শুরু করলো।

মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে ২৫ মাইল (৪০ কিমি) দূরে হেডকোয়ার্টারে সাহায্যের বার্তা পৌঁছিয়ে দিয়ে ১৯৪ জন সৈন্যদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেন এই পক্ষী। এটাই ছিল চের অ্যামি’র শেষ মিশন। তার বুকে গুলি করা হয়েছিল, একটি চোখ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং একটি পা শুধুমাত্র একটি টেন্ডন দ্বারা ঝুলে ছিল।

চের আমি ৭৭তম পদাতিক ডিভিশনের নায়ক হয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর চিকিৎসকরা বহু চেষ্টা করেও তার সেই পা’টিকে রক্ষা করতে পারে নি। বুকে ক্ষতের চিহ্ন নিয়ে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয়েছিল চের আমিকে।

যথেষ্ট সুস্থ হয়ে উঠার পর এক পায়ের পাখিটিকে একটি নৌকায় করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল, জেনারেল জন জে পারশিং তাকে বিদায় দিয়েছিলেন।

Verdun এ ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান ও তার বীরত্বপূর্ণ সেবার জন্য পায়রাটিকে ফরাসীরা একটি পাম ওক লিফ ক্লাস্টার সহ ক্রোইক্স ডি গুয়েরে পদক দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধে প্রাপ্ত ক্ষত থেকে ১৩ জুন, ১৯১৯ তারিখে নিউ জার্সির ফোর্ট মনমাউথে মারা যায় এবং পরে ১৯৩১ সালে রেসিং পিজিয়ন হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়াও আমেরিকান রেসিং পিজিয়ন ফ্যান্সিয়ারের সংগঠিত সংস্থা থেকে একটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তার সেবার স্বীকৃতিস্বরূপ।

শুধু চের অ্যামি নয় বেশ কিছু পায়রা তাদের পারদর্শিতা এবং বিশেষ গুনাবলীর জন্য আজো ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।।

Source : Adapted from various articles.


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নায়ক যখন পায়রা : রিঙ্কি সামন্ত”

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন


StatCounter - Free Web Tracker and Counter Statcounter