রাজ্যপাল পদটাকে আমরা সকলেই সম্মান করি। কিন্তু বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ। যে ভাষায়, যেভাবে তিনি পদের অপব্যবহার করছেন তাঁর প্রতিবাদ জানাই। রাজভবনে বসে তিনি বিরোধী দলনেতার কাজ করছেন। মঙ্গলবার ৫ মে এভাবেই রাজ্যপালকে বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ কিট নিয়ে রাজ্যপাল চুপ কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কেন্দ্রকে যে একের পর এক চিঠি লিখছেন তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা হলো তা কেন্দ্রের কাছে জানতে চাননি তো রাজ্যপাল! তিনি তো একবারও বলছেন না, পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে বাড়ি ফেরার পয়সা নেওয়ার দরকার নেই। গুজরাট, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি নীরোর মতো চুপ কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যখন প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় পরিশ্রম করে চলেছেন, তাঁদের সহযোগিতা করে সেই কাজ ত্বরান্বিত করতে রাজ্যপাল ব্যর্থ।
বিজেপি-সহ বিরোধীদের একহাত নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের বদনাম করতে লাগাতার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। টিকিয়াপাড়ায়, বাদুড়িয়ায় যে গণ্ডগোল হয়েছে সব ঘটনার পিছনেই বিজেপির যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলছে। চক্রান্ত করে বিজেপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে কখনও রেশন দোকান নিয়ে, কখনও জাত-ধর্ম নিয়ে। এখন এ সবের সময় নয়। বাংলার মানুষের জন্য দু মুঠো চাল দিয়ে সাহায্য না করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ে রাজনীতির পতাকা উড়িয়ে চলেছে! বাংলার মানুষ এদের চরিত্র বুঝে গিয়েছে। বাংলায় করোনা পরিস্থিতি ভালো, কোনও ত্রুটি খুঁজে পাচ্ছে না। এটাই ওদের জ্বালা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের বিষয়ে পার্থবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার কথা বলেছেন। কিন্তু একতরফা তো সমন্বয় হয় না। বিজেপি শাসিত রাজ্যে খারাপ অবস্থা হলেও বাংলায় আগে প্রতিনিধিদল পাঠানো হলো। তাঁরা এসে কোয়ারেন্টিনে থাকলেন না, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালেন না, রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলে ফিরে গেলেন! এটা সমন্বয়? আমরা প্রশ্ন তুলছি, বাংলায় কেন ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠানো হলো?