মর্মান্তিক। লকডাউনে আর্থিক অনটনে চরম পথ বেছে নিলেন ৯ পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবার রয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মিলিয়ে ওয়ারাঙ্গল গ্রামীণ জেলার গীসুকোন্ডা মণ্ডলের গোরেকুন্টা গ্রামে কৃষিকাজে ব্যবহৃত একটি কুয়ো থেকে ৯ জনের দেহই উদ্ধার হয়েছে। কারও দেহে ক্ষতচিহ্ন না থাকায় পুলিশ মনে করছে, এটি আত্মহত্যা। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের চারজনের দেহ উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার ২২ মে উদ্ধার হয় বাকি পাঁচজনের দেহ। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের যাঁরা আত্মঘাতী হন তাঁরা হলেন মকসুদ আলম (৫০), তাঁর স্ত্রী নিশা (৪৫), তাঁদের দুই পুত্র শাহবাজ (২১), সোহেল (২০) এবং কন্যা বুসরা (২২)। বুসরার তিন বছরের পুত্রর দেহও উদ্ধার হয়েছে। বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিক শ্যাম (৪০) ও শ্রীরাম (৩৫) এবং স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক শাকিলের (৪০) দেহও ওই কুয়ো থেকে উদ্ধার হয়েছে। মকসুদ আলম তাঁর পরিবার নিয়ে গত ২০ বছর ধরে ওয়ারাঙ্গলের করিমবাদে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী একটি বস্তা তৈরির মিলে কাজ করতেন। লকডাউনে ভাড়াবাড়িতে ফিরতে না পেরে কারখানার একটি ঘরেই থাকছিলেন। মিলের মালিক প্রথমে বৃহস্পতিবার ২১ মে পুলিশকে জানান, তাঁর শ্রমিকদের সন্ধান মিলছে না। পরে কুয়ো থেকে চারজনের দেহ উদ্ধারের কথাও তিনি জানান। পুলিশ তদন্তে নেমে দেহগুলি ময়নাতদন্ত করতে পাঠায়।