শনিবার | ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:২৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (তৃতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় নানা পরিচয়ে গৌরী আইয়ুব : গোলাম মুরশিদ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (দ্বিতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (চতুর্থ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী : সন্দীপন বিশ্বাস সাজানো বাগান, প্রায় পঞ্চাশ : অমর মিত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (তৃতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (একাদশ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের : তপন মল্লিক চৌধুরী মিয়ানমারের সীমান্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (দ্বিতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (দশম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বুদ্ধদেব গুহ-র ছোটগল্প ‘পহেলি পেয়ার’ ‘দক্ষিণী’ সংবর্ধনা জানাল সাইকেলদাদা ক্যানসারজয়ীকে : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (প্রথম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (নবম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘তোমার নাম’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (অষ্টম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘হাওয়া-বদল’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার প্রবোধিনী একাদশী ও হলদিয়ায় ইসকন মন্দির : রিঙ্কি সামন্ত সেনিয়া-মাইহার ঘরানার শুদ্ধতম প্রতিনিধি অন্নপূর্ণা খাঁ : আবদুশ শাকুর
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ইতিহাস ও সৌন্দর্যের খোঁজে গন্তব্য মান্ডু সঙ্গে বর্ষাকালীন দুর্গবিলাস (৩য় পর্ব) : জমিল সৈয়দ

জমিল সৈয়দ / ২০৬ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

ছপ্‌পন মহল, মাণ্ডু

একটি সমাধিসৌধ। কার? কেউ জানে না। কিন্তু কবে এই সৌধ নির্মিত হয়েছিল, তার সময়কালও জানা নেই। ভিতরে সমাধিও আর নেই। তার বদলে এখানে মধ্যপ্রদেশ সরকার একটি মিউজিয়াম বানিয়েছেন।

তাহলে যাঁদের সমাধি এখানে একদা ছিলো, তাঁদের আত্মারা নিশ্চয়ই এতদিনে পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্ক রহিত করে স্বর্গালোকে চিরশান্তির দেশে বিরাজ করছেন!

অক্টোবরের পড়ন্ত বিকেলবেলায় বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। বিভিন্ন ভাঙাচোরা ও পরিত্যক্ত সৌধ দেখতে দেখতে নির্জন মাণ্ডুকে অনেকখানি দেখা হয়ে গেল। রাস্তায় লোকজনের চলাচল খুব কম, কোথাও মানুষের কণ্ঠস্বর ও হৈ-হল্লা শোনা যায় না। সর্বত্রই শান্তি বিরাজমান। রাস্তায় কোনও টোটো-অটোরিকশা চলে না, তাই নিজেদের সঙ্গে গাড়ি না থাকলে পায়ে হেঁটে ঘুরতে হবে, যা আমাদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব ।

এসে দাঁড়ালাম ৫৬ মহলের সামনে। ১৩ ফুট উঁচু চাতালে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। বাম দিকে একটি প্রশস্ত কক্ষ আছে, যেখানে কয়েকজন কর্মচারী শুয়ে-বসে আছেন। ডানদিকে নিচুতে একটি আয়তাকার কক্ষ, সেখানে সুলতানি আমলে ভৃত্যরা থাকতেন কিংবা অতিথিরা এলে থাকতে পারতেন।

এদের ঠিক মাঝখানে উঁচু হয়ে আছে লাল রঙের স্যাণ্ডস্টোনে গড়া সমাধি স্তম্ভ কিংবা বলা ভালো মিউজিয়াম।

৫৬ মহল নামকরণের রহস্য কী?

বিক্রম সংবৎ ১৯৫৬ সালে এই সৌধের সংস্কার হয়েছিল। তাই এর নাম ছাপান্ন মহল।

সংবৎ ১৯৫৬ — সেটাই ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দ।

অর্ধবৃত্তের মতো আর্চের ভিতর দিয়ে প্রবেশপথ। ভিতরে ঢুকে দেখি বেশ বড় চৌকো কক্ষ, দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে সাড়ে ৩১ ফুট (না, আমি মেপে দেখিনি !!!), সেখানে থরে থরে সাজানো আছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি। মাণ্ডু ও পার্শ্ববর্তী ধার শহর ও সংলগ্ন ক্ষেত্র থেকে পাওয়া মূর্তিগুলো এখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

অনেকক্ষণ ধরে মূর্তিগুলো দেখলাম। বাইরে বেরিয়ে দেখি, খোলা প্রাঙ্গণে অনেক মূর্তি ও পাথরে খোদিত শিল্পকলা রোদ-বৃষ্টি-বাতাস মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এক মহিলা সন্তের সমাধি, মাণ্ডু

সকালবেলায় টুরিস্ট লজে ব্রেকফাস্ট করে চলেছি জাহাজমহলের দিকে। কিন্তু টুরিস্ট লজ থেকে একটু এগিয়েই — রাস্তার বামদিকে, রাস্তা থেকে একটু দূরে, মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে একটি সৌধ।

আমি ড্রাইভারকে বললাম, ছবি তুলবো?

— হ্যাঁ নিশ্চয়ই।

— তাহলে একটু থামুন। …

আমি ভেবেছিলাম, ওই সরু মেঠোপথ ধরে হেঁটে যাবো।

ড্রাইভার বলল, নামবেন না, গাড়িটা ওখানে নিয়ে যাচ্ছি।

সরু পথ ধরে গাড়িটা এগিয়ে দাঁড়ালো সৌধের সামনে।

সামনে একটি বোর্ড লাগিয়ে রেখেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার — Tomb of Roza. হিন্দিতে “রোজা কা মকবরা”— তারপর বন্ধনী চিহ্নের মধ্যে — “খদীজা বিবি কা রোজা”। যাঃ, আমার গুলিয়ে গেল, ভাবছিলাম এখানে সমাধির নিচে চিরশয্যায় শুয়ে আছেন জনৈকা রোজা — কিন্তু রোজা শব্দের অর্থ হয়তো সমাধি!

লেখা আছে, এটি এক মহিলা সুফি সন্ন্যাসিনী খাদিজা বিবির সমাধি। সেসময়ে ইনিই ছিলেন একমাত্র সন্ন্যাসিনী (সন্ত)।

বোর্ডে লেখা আছে, “গুলজার-ই-আবরার’ (Gulzar-i-Abrar) নামে একটি বইয়ে (বইয়ের নাম অবশ্য ভুল লেখা আছে), সেইসময়ের শত শত পীর-দরবেশ-সন্তদের তালিকায় ওই একটি মাত্র মহিলা সন্ত বা সন্ন্যাসিনীর নামের উল্লেখ আছে।

ভিতরে ঢুকে দেখলাম, পাশাপাশি চারটি সমাধি, দ্বিতীয় সারিতে আরও একটি। এসব সমাধি কাদের৷ কে জানে। শুনেছি বিশিষ্ট পির বা ধর্মগুরুর সমাধিকে অতি পবিত্র ভেবে, তাঁদের শিষ্য বা অনুসারীরাও সেই জায়গায় নিজেদের শেষ শয্যা পাতেন ।

দরজার সামনে একটি লোক অবনত হয়ে দুহাত তুলে কিছু প্রার্থনা করে যাচ্ছে।

বাড়ি ফিরে, এই মহিলা সন্তের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম, কিন্তু কোথাও কিছু লেখা নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন