শুক্রবার | ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:৫৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস কন্নড় মেল্ল থেকেই সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ডের প্রাচীন নাম মেলুহা : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (তৃতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস লোকভুবন থেকে রাজনীতিভুবন : পুরুষোত্তম সিংহ চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (দ্বিতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত রবীন্দ্রনাথের ইরান যাত্রা : অভিজিৎ ব্যানার্জি
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

সুলতানি-মুঘল-নবাবি আমলের কোস মিনার এবং আকাশ দিয়া : বিশ্বেন্দু নন্দ

বিশ্বেন্দু নন্দ / ১০৬২ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২২

দক্ষিণ এশিয়ার বাংলা বহুকাল ধরেই বিশ্বব্যবসাকেন্দ্র ছিল [আজ খুবই অবিশ্বাস্য মনে হয়। নবাবি আমলেও বাংলায় ৩০টার বেশি দেশের বণিকেরা ঘাঁটিগেড়েছিল!]। আজকে ইওরোপ যাকে রেশমপথ বলে, তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারকারী অঞ্চল ছিল দক্ষিণ এশিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার কারিগর, চাষী অন্যান্য পেশাদারের পণ্য, জ্ঞান সেবা, এই রাজপথ ধরে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে গিয়েছে। যারা জীবন দিয়ে সেই কাজ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছেন তাদের রেশম পথই ছিল জীবন জীবিকার একমাত্র রাস্তা। ব্যবসায়ীক, পণ্য পরিবহক, জ্ঞানভিক্ষু, সন্ত, তীর্থযাত্রী, ডাক-পরিবহক ইত্যাদির কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে সে সময়ের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে পথ চলা রাস্তা মাপার জন্যে রাস্তায় কিছু চিহ্ন তৈরি করতে হয়েছিল। যুগে যুগে এই ব্যবস্থা সে সময়ের তাত্ত্বিকতায় তৈরি হয়েছে।

মেগাস্থিনিস মৌর্য যুগে রাস্তা মাপনের কাঠামো দেখেছিলেন। যদিও ঐতিহাসিকেরা বলছেন সুলতানি আমলে রাস্তা মাপনের কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু সুলতানি আমলের বাংলা, পুরোনো মালদায় নিমসরাই মুঘল আমলের আগের রাস্তা মাপনের কাঠামোর কথা মনে করিয়ে দেয়। নিমসরাই নিয়ে দুচার কথা বলে আমরা মূলত মুঘল আমলের রাস্তামাপন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব।

ফতেহপুর সিক্রির হিরন মিনার

নিমসরাই

শোনা যায় একদা বাংলায় প্রতি ছ কিমি অন্তর মুসাফির আর ব্যবসায়ীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে সরাইখানা ছিল। শের শাহ হিন্দুস্তানজুড়ে ১৭০০০ সরাইখানা তৈরি করান। নিমসরাইএর অর্থ হল নিম = অর্ধেক, সরাই = পথিকদের বিশ্রামস্থল। রাস্তা মাপা আর সরাই নির্দেশক মিনারের পাশেই ছিল সরাইখানা। এটি স্থাপিত ছিল গৌড় আর পাণ্ডুয়ার ঠিক মাঝখানে। মিনারের মাথায় রাতে আলো জ্বলত, যাতে জনগণ দূর থেকে মিনারটি লক্ষ্য করে সহজেই সরাইতে আসতে পারেন। এটাই মুঘলেরা বলতেন আকাশ দিয়া। পরে এখানে ডাচ, ফরাসি আর ব্রিটিশ কোম্পানি ব্যবসা কুঠি খুলেছিল।

মুঘল আমলের অন্যান্য মিনার

হস গোমানস বলছেন মুঘল বাদশারা রাজত্বের ৪০% সময় প্রাসাদের বাইরে কাটিয়েছেন। বাহাদুর শাহ একদিনও প্রাসাদে রাত কাটান নি। তারা যেখানে শিবির পাততেন সেখানে খুব উঁচু আকাশ দিয়া লাগাতেন যাতে মুসাফিরেরা প্রয়োজনে শিবিরে আসতে বিশ্রাম নিতে পারে। এটা তাদের মধ্য এশিয়ার ঘোড়ায় চড়া দিনগুলোর অভ্যেসক্রিয়া বজায় রাখার প্রচেষ্টা।

তাই তারা নির্দিষ্ট দূরত্বে কোস মিনার তৈরি করান। আকবরের একদা রাজধানী ফতেহপুর সিক্রির প্রধান দর্শনীয় হল হিরন মিনার, যেটা দেশের প্রধানতম কোস মিনার। এখান থেকে রাস্তার দূরত্ব গোনা শুরু হয়। ফতেহপুর থেকে প্রতি ক্রোসে যে মিনার পোঁতা হল তার নাম হল কোস মিনার (১ কোস = ১.৪৭ কিমি)। কোস মিনারের মাথায় থাকত আলো বা আকাশ দিয়া, যাকে লক্ষ্য করে দূর থেকে মানুষ রাতেও রাস্তার দিকচিহ্ন তৈরি করতেন।

আকবরের আগে বাবর জনৈক অভিজাত চিকমাক বেগকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তার আমলাদের সঙ্গে করে আগরা আর কাবুলের মধ্যের রাস্তা মাপন করে প্রতি নয় কোসে একটা করে ২৪/৩৬ ফুট উঁচু মিনার তৈরি করতে। বাবরের পর শের শাহ, যার প্রশাসনিক নানান দিক অনুসরণ করবেন সম্রাট আকবর। তিনি প্রত্যেক রাস্তায় কোস মিনার আর ৬/৭ কোস অন্তর সরাই আর ডাকচৌকি তৈরির নির্দেশ দেন। আকবর রাজত্ব শুরুর সময় থেকেই আঝমেড়ে তীর্থ করতে যেতেন। তিনিই প্রথম আগরা থেকে সেই রাস্তায় কোস মিনার তৈরি করতে নির্দেশ দেন। ১৬১৯-এ সম্রাট জাহাঙ্গির বাকির খানকে নির্দেশ দেন দুই রাজধানী, আগরা আর লাহোর মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বে কোস মিনার তৈরি করতে। অধিকাংশ কোস মিনার কালের হস্তাবলেপনে মুছে গেছে। শুধু পাঞ্জাবে ৩৪টা এখনও টিকে আছে – কিছু আছে বাংলায়। মিনারগুলি আট কোণা ভিত্তি করে তৈরি হত। মাথায় রাখতে হবে অধিকাংশ মিনার আলাদা আলাদা আকারে তৈরি হয়েছে। খুব কম মিনার আছে একটা অন্যটার জবাব বা নকল।


আপনার মতামত লিখুন :

3 responses to “সুলতানি-মুঘল-নবাবি আমলের কোস মিনার এবং আকাশ দিয়া : বিশ্বেন্দু নন্দ”

  1. শুভ্র কান্তি বসু says:

    বাংলায় টিকে থাকা আটটা মিনার ঠিক কোথায় কোথায় রয়েছে?

  2. Subhadeep Bhattacharjee says:

    Ei lekha ta pore etotai tothyosomriddho holam, je amar mone onek proshno jglo. European ra Bharoter ar Bnaglar ei Kos Minar er golpo ta puro chalan diyechen tader Light House gulor dik e. Othocho, concept ta ek i chilo.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন