শুক্রবার | ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৩৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
নেহরুর অনুপস্থিতিতে প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদও ৩৭০ অনুমোদন করেছিলেন : তপন মল্লিক চৌধুরী সিঁদুরের ইতিকথা আর কোন এক গাঁয়ের বধূর দারুণ মর্মব্যথা : দিলীপ মজুমদার সাহিত্যিকদের সংস্কার বা বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে শ্রীপাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত দশহরার ব্যুৎপত্তি ও মনসাপূজা : অসিত দাস মেনকার জামাই ও জামাইষষ্ঠী : শৌনক ঠাকুর বিদেশী সাহিত্যিকদের সংস্কার ও বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভক্তের ভগবান যখন জামাই (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-এর ছোটগল্প ‘সময়ের প্ল্যাকটফর্ম’ গুহাচিত্র থেকে গ্রাফিটি : রঞ্জন সেন জামিষষ্ঠী বা জাময়ষষ্ঠী থেকেই জামাইষষ্ঠী : অসিত দাস কার্বাইডে পাকানো আম দিয়ে জামাইষষ্ঠীতে জামাই খাতির নয়, হতে পারে ক্যান্সার : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ভক্তের ভগবান যখন জামাই (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত কাশ্মীর নিয়ে বিজেপির নেহরুকে দোষারোপ ধোপে টেকেনা : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্র নাটকের দুই ট্র্যাজিক রাজা : শৌনক দত্ত কবির মৃত্যু : দিলীপ মজুমদার শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণের সপ্তসঙ্গিনী : স্বামী তেজসানন্দ মহারাজ দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোক : সন্দীপন বিশ্বাস সিঁদুরে মেঘের গর্জন : অসিত দাস শতবর্ষে অন্য বিনোদিনী — তৃপ্তি মিত্র : শৌনক দত্ত আমার প্রথম অভিনয় দেখে সত্যেন বসুই বলেছিলেন— তোর হবে : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রজিৎ আমাকে ক্লান্ত করে কেবলই ক্লান্ত : তপন মল্লিক চৌধুরী মনোজ বসু-র ছোটগল্প ‘বাঁশের কেল্লা’ গ্রেস কটেজ বুলেটিন প্রকাশ : দীপাঞ্জন দে অথ ওয়াইন কথা : রিঙ্কি সামন্ত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিকিৎসাবিভ্রাট : অসিত দাস বাংলা ইসলামি গান ও কাজী নজরুল ইসলাম : আবু বকর সিদ্দিকি পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি : মনোজিৎকুমার দাস কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

সেকাল আর একালের কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা : মনোজিৎকুমার দাস

মনোজিৎকুমার দাস / ৬৮৯ জন পড়েছেন
আপডেট রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২২

বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে এক চিরন্তন প্রার্থনা। প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়ে থাকে। লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। ধন সম্পদের আশায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা হয়ে থাকে। নারী পুরুষ উভয়েই এই পূজায় অংশ গ্রহণ করেন।

‘কোজাগরী’ শব্দটির অর্থ জানা উচিত সবারই।

কোজাগরী’ শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতি’ থেকে। যার অর্থ, ‘কে জেগে আছ’?

হিন্দুদের বিশ্বাস, কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে দেবী লক্ষ্মী মর্তে আসেন তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ দান করতে। দেবী লক্ষ্মী পার্থিব এবং অপার্থিব সম্পদ, সৌভাগ্য এবং সৌন্দর্যের দেবী। এই তিথিতে যাঁরা রাত্রি জেগে দেবীর আরাধনা করে দেবীর আগমনের অপেক্ষায় থাকেন, তাঁরা লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন।

পুজোর অপরিহার্য অঙ্গের মধ্যে রয়েছে ধানের শিষ ও দেবী লক্ষ্মীর পায়ের পাতার আদলে আলপনা। তারসঙ্গে কলা গাছের খোলা দিয়ে তৈরি বাণিজ্য তরী, সঙ্গে বিশেষ ভোগ। এছাড়াও নারকেল নাড়ু, চিড়ে দেবীর প্রসাদের অঙ্গ হয়ে থাকে। দেবী লক্ষ্মীর পুজোয় নিয়ম মেনে পড়া হয় পাঁচালী। এই পাঁচালী পাঠ করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পাঁচালী পাঠের ভালো দিক জেনে নেওয়ার আগে দেখা যাক, লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে পেঁচাকে কেন বেছে নেওয়া হয়।

আমাদের মা ঠাকুমাদের আমালে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা সমারোহে সঙ্গে পালিত হতো। লক্ষ্মী পূজার ভোগের জন্য নানা ধরনের আয়োজন করা হতো।কত রকমের নাড়ু মুড়কি যে তৈরি হতো তা বলে শেষ করার নয়।

কত রকমের চেয়ে নাড়ু তা বলে শেষ করার নাই। নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু, চিড়ার নাড়ু, খইয়ের নাড়ু, মুড়ির নাড়ু ইত্যাদি ।

সেকালে লক্ষ্মীপুজোর নাড়ু বড়ু, খৈ,মুড়কি ইত্যাদিকে যশোর অঞ্চলে লক্ষ্মীপুজোর ভুজ বলা হত। বাবা-কাকার আমলে এমনকি আমার সৃময়েও গ্রামের লোকজন লক্ষ্মীপূজার ভুজো খাবার চল ছিল।

রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য প্রখ্যাত লেখিকা রানী চন্দ ‘আমার মায়ের বাপের বাড়ি’ বইয়ে সেকালের কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার নাড়ু মুড়কি ও আলপনার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা সেকালের  লক্ষ্মী পূজার উৎসব এর কথা উঠে এসেছে।

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা রাত্রে করার নিয়ম থাকলেও একালে নানা কারণে দিনের বেলায় হচ্ছে।

একালে লক্ষ্মী ঠাকুরণ কে জাগে? এ প্রশ্নের উত্তর পান কি!

সেকাল গত হয়েছে। নাড়ুবড়ুর কাল উধাও। নারকেল পাওয়া যায় না। গুড় চিনির দাম আকাশ ছোঁয়া। মুড়ি মুড়কি এখন আর গ্রামের মহিলারও এখন তৈরি করে না। এখন বিলবাওড় নেই। শাপলা ফুল নেই। শাপলার ঢ্যাপ কোথা থেকে আসবে। আগে কথায় বলতো, কাজ নেই খৈই ভাজো। এখন খৈয়ের ধান হয় না, হয় হাইব্রিড ধান, তাতে খৈই তৈরি হয় না।

তিলের নাড়ুর জন্য তিল দরকার,কৃষকের ঘরে তিল নেই। হাট বাজারেও তিল নেই।

একালে নম নম করে লক্ষ্মী পুজো সারছে যেনতেন প্রকারে। সম্পদের দেবী লক্ষ্মীদেবী আজ আর পেচঁকে পিঠে চড়ে এসে বলেন না, ‘কে জেগে আছো?’ কাউকে জেগে না থাকতে দেখে দেবী ফিরে যান সম্পদ না দিয়েই।

মনোজিৎকুমার দাস, প্রাবন্ধিক, লাঙ্গলবাঁধ, মাগুরা


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন