মঙ্গলবার | ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:০২
Logo
এই মুহূর্তে ::
বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর, না লাক্ষানগর বা জতুনগর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী শাহিস্নান নয়, আদতে কথাটি ছিল সহিস্নান : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ভূতের গল্পো ‘হোমস্টে’ রহস্য ঘেরা বলিউডের নক্ষত্রপতন : রিঙ্কি সামন্ত বাঁকুড়ার দু-দিন ব্যাপী দেশীয় বীজ মেলায় দেশজ বীজের অভূতপূর্ব সম্ভার পেজফোর-এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ২০২৫ এত গুণী একজন মানুষ কত আটপৌরে : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সরস্বতীর উৎস সন্ধানে : অসিত দাস ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন, তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খামতি রয়েছে দলে : তপন মল্লিক চৌধুরী প্রথম পাঠ — মার্কসবাদের বিশ্বভ্রমণ : সন্দীপন চক্রবর্তী বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে ‘খানাকুল বাঁচাও’ দাবিতে সরব খানাকুল-সহ গোটা আরামবাগের মানুষ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হরি হরের কথা এবং বীরভূমের রায়পুরে বুড়োনাথের বিয়ে : রিঙ্কি সামন্ত ত্র্যম্বকেশ্বর দর্শনে মোক্ষলাভ : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কুম্ভমেলায় ধর্মীয় অভিজ্ঞতার থেকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি : তপন মল্লিক চৌধুরী রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়াবে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘হিড়িক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি অধরা, আমার আলোকপাত : অসিত দাস বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-র ছোটগল্প ‘শিকড়ের টান’ বাংলাভাষার নেচিতে ‘ময়ান’ ও ‘শাহিস্নান’-এর হিড়িক : অসিত দাস একটু একটু করে মারা যাচ্ছে বাংলা ভাষা : দিলীপ মজুমদার রাজ্যে এই প্রথম হিমঘরগুলিতে প্রান্তিক চাষিরা ৩০ শতাংশ আলু রাখতে পারবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ১৫৫ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

রোল্যাণ্ড ড্যানিয়েলস (Roland Daniels) (১৮১৯-১৮৫৫)

রোল্যাণ্ড ড্যানিয়েলস ছিলেন জার্মান চিকিৎসক, লেখক, সমাজতন্ত্রী ও কার্ল মার্কসের বন্ধু। সমাজ, পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়ে কার্ল মার্কসের মতামত তাঁকে প্রভাবিত করে। মার্কসের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় প্যারিসে। তিনি যোগদান করেন ‘কমিউনিস্ট লিগে’। মার্কসের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করেন। মেটাবলিজিমের চেতনাকে বিকশিত করার চেষ্টা করেন।

১৮৫১ সালে কোলোন কমিউনিস্ট ট্রায়ালের সময় তিনি কারারুদ্ধ হন। কারাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তিনি আক্রান্ত হন যক্ষ্মারোগে। এর ফেলে ১৮৫৫ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।

জোহান ফ্রেডারিখ উইলহেল্ম উল্ফ (Johann Friedrich Wilhelm Wolff) (১৮০৯-১৮৬৪)

সাইলেশিয়ার টার্নাউ-এর এক কৃষক পরিবারের সন্তান জোহান। ১৮৩১ সালে তিনি এক বিপ্লবী ছাত্র সংগঠনের সদস্য হন। ১৮৩৪ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৮৪৬ সালে ব্রাসেলসে কার্ল মার্কস ও ফ্রেডারিখ এঙ্গেলসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। তিনি ব্রাসেলসের ‘কমিউনিস্ট করসপনডেন্স কমিতি’ ও ‘লিগ অব দ্য জাস্ট’-এর সদস্য হন। ১৮৪৮ সালে যে ‘লিগ অব দ্য কমিউনিস্ট’ গড়ে ওঠে তিনি তার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৮৪৮-৪৯ সালে তিনি সম্পাদনা করেছেন ‘নিউ রাইনিশে সাইতুং’ পত্রিকা। ‘ফ্রাঙ্কফুর্ট ন্যাশনাল অ্যাসে্মব্লি’র সদস্য হিসেবে তিনি ১৮৪৯ সালে সুইজারল্যাণ্ড ও ১৮৫১ সালে ইংল্যাণ্ডে যান। সাইলেশিয়ায় তাঁতিদের বিদ্রোহ নিয়ে তাঁর প্রবন্ধের উপর ভিত্তি করে গেরহার্ট হাপ্টম্যান লেখেন ‘দ্য উইভারস’ নামক এক নাটক।

কার্ল মার্কস তাঁর ‘দাস ক্যাপিটেল’ এর প্রথম খণ্ড জোহান ফ্রেডরিখ উইলহেল্মকে উৎসর্গ করে লিখেছিলেন — ‘To my unforgettable friend, Wilhelm Wolff, intrepid, faithful, noble protagonist of the proletariat’

জর্জ রিথ (George Reith) (১৮২২-১৮৫৬)

ডেটমল্ডের ওয়েস্টফালিয়ান শহরে জর্জ রিথের জন্ম। বাবা ছিলেন যাজক ও বিদ্যালয়ের সংস্কারক। ‘নিউ রাইনিশে সাইটুং’ পত্রিকায় তিনি লিখতেন ব্যঙ্গ কবিতা। সে সব কবিতা বিদ্ধ করত শাসককে। ফলে তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে ১৮৪৩ সালে চলে আসেন ইংল্যাণ্ডে। এখানেই ফ্রেডারিখ এঙ্গেলসের সঙ্গে তাঁর আলাপ ও বন্ধুত্ব হয়।

শিল্পবিপ্লবের প্রভাব নিয়ে তিনি গবেষণা শুরু করেন। চার্টিস্টদের সভাতেও যেতেন নিয়মিত। এই সব সভাতে পরিচয় হয় জুলিয়াস হাসে, আর্নেস্ট জোনস প্রভৃতির সঙ্গে। ১৮৪৬ সালে ব্রাসেলসে গিয়ে সাক্ষাৎ হয় কার্ল মার্কসের সঙ্গে। কিউবা গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে হেনরিক হাইনেকে চিঠিতে লিখেছিলেন যে আগামী দিনে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় সংঘর্ষ হবে কিউবায়।

নিকোলাই ফ্রানৎসেভিচ ড্যানিয়েলসন (Nikolai Frantsevich Danielson) ( ১৮৪৪-১৯১৮)

সেন্ট পিটাসবার্গের কর্মাসিয়াল স্কুল থেকে স্নাতক হন ড্যানিয়েলসন। তারপরে তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেন। ১৮৬০ সাল নাগাদ তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং নারোদনিক আন্দোলনে যোগ দেন।

১৮৭২ সালে রাশিয়ান ভাষায় অনূদিত কার্ল মার্কসের ‘দাস ক্যাপিটেলে’র প্রথম খণ্ড প্রকাশ করন তিনি। রাশিয়ান ভাষায় এই অনুবাদ শুরু করেছিলেন মিখাইল বাকুনিন, তার পরে হাত লাগিয়েছিলেন জার্মান লপটিন। অনুবাদের কাজ শেষ হবার পরে ড্যানিয়েলসন যোগাযোগ করেন কার্ল মার্কসের সঙ্গে। সে যোগাযোগ মার্কসের মৃত্যু পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ড্যানিয়েলসন ‘দাস ক্যাপিটেলে’র দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডেরও অনুবাদ করেছিলেন এবং সেগুলি প্রকাশিত হয় যথাক্রমে ১৮৮৫ ও ১৮৯৬ সালে। ১৮৮০ সালে ‘স্লোভো’ পত্রিকার দশম সংখ্যায় ড্যানিয়েলসনের ‘স্টাডিজ অব আওয়ার পোস্ট-রিফর্ম ইকনোমি’ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হলে মার্কস তার প্রশংসা করেন।

ড্যানিয়েলসন নিজেকে মার্কসবাদী বলে মনে করতেন। কিন্তু জর্জি প্লেখানভ, ভ্লাদিমির লেনিন, পেটার স্ট্রুভ প্রভৃতি তাঁকে যথার্থ মার্কসবাদী বলে মনে করতেন না।

ফ্রেডারিখ লেশনার (Fredrick Lessner) (১৮২৫-১৯১০)

ওয়েমারের কাছে ব্লাঙ্কেনহেনে জন্মগ্রহণ করেন লেশনার। দর্জির কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি ‘লিগ অব কমিউনিস্টস’ এর সদস্য হন এবং ১৮৪৮-৯ এ জার্মানির বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেন। ১৮৫২ সালে কোলোনে কমিউনিস্টদের যে বিচার হয় তার ফলে লেশনার তিন বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন। মুক্ত হবার পরে তিনি লণ্ডনে চলে যান। ১৮৬০ সালে তিনি ‘প্রথম আন্তর্জাতিকে’ অংশগ্রহণ করেন এবং তার জেনারেল কাউন্সিলের সদস্য হন। মার্ক ও এঙ্গেলসের মতবাদ তিনি প্রচার করতে থাকেন। মার্কস-এঙ্গেলসের স্মৃতিকেন্দ্রিক যে বইটি তিনি লিখেছিলেন তা হল ‘রেমিনিসেন্সেস অ্যাবাউট মার্কস অ্যাণ্ড এঙ্গেলস’ (১৯৫৬)।

হাইনরিখ হাইনে (Heinrich Heine) ( ১৭৯৭-১৮৫৬)

হাইনরিখের জন্ম জার্মানির ডুসেলডর্ফে। শৈশবে তাঁর উপর পড়েছিল ফরাসি প্রভাব। ব্যবসা শেখার জন্য তিনি হামবুর্গে যান কাকা সালোমনের কাছে। কিন্তু ব্যবসা্য় তাঁর মন ছিল না। তাই আইনবিদ্যা শেখার জন্য চলে আসেব বন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে তিনি লিবারেল রাজনৈতিক চিন্তাধারায় প্রভাবিত হলেন। আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করলেন ইতিহাস ও সাহিত্য। শুরু করলেন কবিতা লিখতে। তারপর এলেন বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে সংস্কৃতভাষা বিশারদ ফ্রানজ বপ, হোমার বিশেষজ্ঞ এফ.এ.উল্ফ এবং দার্শনিক হেগেলের দ্বারা প্রভাবিত হন। প্রকাশিত হয় তাঁর কবিতার বই ও ঐতিহাসিক উপন্যাস।

কার্ল মার্কস ছিলেন তাঁর কবিতার ভক্ত। ১৮৪৩ সালে প্যারিসে মার্কসের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মার্কসের নতুন পত্রিকা ‘ফরোয়ার্ডে’ প্রকাশিত হয় হাইনরিখ হাইনের কবিতা।

লুই আউগুস্ট ব্লাংকি (Louis Auguste Blanqui) ( ১৮০৫-১৮৮১)

দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের পাগেট-থানেইয়ারসে ব্লাংকির জন্ম। তিনি উদারনৈতিক অর্থনীতিবিদ জেরম অ্যাডলফ ব্লাংকির সহোদর। চিকিৎসা ও আইন নিয়ে পড়াশুনো করলেও তাঁর আসল আগ্রহ ছিল রাজনীতিতে। কার্বোনারি সমিতির সদস্য হিসেবে রাস্তায় লড়াই করতে গিয়ে আহত হন। ১৮৩০ সালের বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেন। যোগ দেন ‘ফ্রেণ্ডস অব দ্য পিপল’ সমিতিতে। লুই ফিলিপের রাজত্বকালে গ্রেপ্তার হন। ১৮৩৯ সালে তিনি যে আন্দোলন করেন তাতে কার্ল মার্কসের ‘কমিউনিস্ট লিগে’র পূর্বসূরী ‘লিগ অব দ্য জাস্ট’এর সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। ১৮৪০ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়।

১৮৪৮ সালে মুক্তি লাভ করলেও সরকারবিরোধী কাজের জন্য দশ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। কারাগারে থাকার সময়ে লণ্ডনের সোশ্যাল ডেমোক্রাটদের উদ্দেশ্যে তিনি এক বিবৃতি পাঠান। কার্ল মার্কস এই বিবৃতিটি পড়েছিলেন বলে জানা যায়। ১৮৬৫ সালে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান এবং বাহির থেকে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। অ্যামেনেস্টির উদ্যোগে ১৮৬৯ সালে ফ্রান্সে ফেরেন। ১৮৭০ সালে দুবার তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আবার তাঁর কারাদণ্ড হয়। মুক্তি পান ১৮৭৯ সালে।

তাঁর মতবাদ ‘ব্লাংকিবাদ’ হিসেবে পরিচিত। মার্কসবাদের সঙ্গে সে মতবাদের পার্থক্য আছে। তাঁর মতে বিপ্লবে শ্রমজীবীদের কোন ভূমিকা নেই। বিপ্লব পরিচালনা করবে ছোট একটি দল। বলপ্রয়োগের দ্বারা সাময়িকভাবে একনায়কতন্ত্র স্থাপন করবে, পরে জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হবে ক্ষমতা। তিনি সোশ্যালিস্ট, তবে অ-মার্কসবাদী সোশ্যালিস্ট। এক রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তৃতা করার সময়ে হৃদরোগে তাঁর মৃত্যু হয়। [ক্রমশ]


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন