রবিবার | ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:০৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী শাহিস্নান নয়, আদতে কথাটি ছিল সহিস্নান : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ভূতের গল্পো ‘হোমস্টে’ রহস্য ঘেরা বলিউডের নক্ষত্রপতন : রিঙ্কি সামন্ত বাঁকুড়ার দু-দিন ব্যাপী দেশীয় বীজ মেলায় দেশজ বীজের অভূতপূর্ব সম্ভার পেজফোর-এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ২০২৫ এত গুণী একজন মানুষ কত আটপৌরে : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সরস্বতীর উৎস সন্ধানে : অসিত দাস ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন, তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খামতি রয়েছে দলে : তপন মল্লিক চৌধুরী প্রথম পাঠ — মার্কসবাদের বিশ্বভ্রমণ : সন্দীপন চক্রবর্তী বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে ‘খানাকুল বাঁচাও’ দাবিতে সরব খানাকুল-সহ গোটা আরামবাগের মানুষ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হরি হরের কথা এবং বীরভূমের রায়পুরে বুড়োনাথের বিয়ে : রিঙ্কি সামন্ত ত্র্যম্বকেশ্বর দর্শনে মোক্ষলাভ : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কুম্ভমেলায় ধর্মীয় অভিজ্ঞতার থেকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি : তপন মল্লিক চৌধুরী রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়াবে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘হিড়িক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি অধরা, আমার আলোকপাত : অসিত দাস বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-র ছোটগল্প ‘শিকড়ের টান’ বাংলাভাষার নেচিতে ‘ময়ান’ ও ‘শাহিস্নান’-এর হিড়িক : অসিত দাস একটু একটু করে মারা যাচ্ছে বাংলা ভাষা : দিলীপ মজুমদার রাজ্যে এই প্রথম হিমঘরগুলিতে প্রান্তিক চাষিরা ৩০ শতাংশ আলু রাখতে পারবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সামরিক জান্তার চার বছর — মিয়ানমার পরিস্থিতি : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন ১৯ ফেব্রুয়ারি ও স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত আলমবাজার মঠ (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৪৩ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

শেষ পর্যন্ত ভাবাদিঘীর জট কাটল হাইকোর্টের রায়ে। ‘আড়াই লক্ষ মানুষের স্বার্থের কাছে আড়াইশো মানুষের স্বার্থ বড় হতে পারে না’ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।

প্রসঙ্গত , তারকেশ্বর — বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে গোঘাট পর্যন্ত। তারকেশ্বর থেকে রেল চলাচল শুরু হয়েছে অনেক দিন আগেই। অপরদিকে বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি রেলের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। ময়নাপুর ও বড় গোপীনাথপুর হয়ে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেল স্টেশন ও লাইন পাতার কাজ  প্রায় শেষ পর্যায়ে। রেল সূত্রে জানা গেছে নতুন বছরের গোড়ার দিকে বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি রেল চলাচল শুরু হবে। এজন্য প্রস্তুতি চলছে। ভাবাদিঘীর জট কাটলেই গোঘাটের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হবে। তখনই সম্পূর্ণ হবে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের কাজ।

উল্লেখ্য, ভাবাদিঘির জট কাটাতে ৩ মাস সময় দিল হাইকোর্ট। ‘আড়াই লক্ষ মানুষের স্বার্থের কাছে আড়াইশো মানুষের স্বার্থ বড় হতে পারে না।’ থমকে থাকা তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প নিয়ে এবার এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে ভাবাদিঘির জটে আটকে রয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। সেই সমস্যা সমাধানে এবার হস্তক্ষেপ করল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। উচ্চ আদালতের সাফ নির্দেশ — ‘আগামী তিন মাসের মধ্যে যাবতীয় জটিলতা মিটিয়ে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। রাজ্য ও রেল উভয়পক্ষ বৈঠকে বসে এই সমস্যার সমাধান করবে।’ হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এই প্রকল্প শেষ হলে উপকৃত হবেন বহু মানুষ। প্রসঙ্গত, তারকেশ্বর ও বিষ্ণুপুর দুই-ই গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন ক্ষেত্র।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুই ক্ষেত্রকে রেলপথে যুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন। বর্তমানে তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত চলছে ট্রেন। গোঘাট থেকে যাত্রীরা এক ট্রেনে সরাসরি হাওড়ায় যাচ্ছেন।গোপীনাথপুর পর্যন্ত নতুন রেল লাইনে ‘ট্রায়াল রান’ হয়ে গিয়েছে বহু আগে। কামারপুকুর থেকে জয়রামবাটি হয়ে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত রেল লাইনের কাজও চলছে। কিন্তু, গোঘাট ও কামারপুকুরের মাঝে ভাবাদিঘিতে আটকে রয়েছে প্রকল্পের কাজ। দিঘি বাঁচিয়ে রেল পথ নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই এই মামলা। এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। শুরুতেই মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, রাজ্য সরকার ও রেলের মধ্যে রাজনৈতিক বিবাদের কারণে আটকে মাত্র দেড় কিমি পথ। এদিকে ভাবাদিঘি আন্দোলনকারীদের আইনজীবী পাল্টা বলেন, ‘১৭ একর জুড়ে এই দিঘি। আড়াইশো মানুষের রুজিরুটির প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে জলাভূমি সংরক্ষণের বিষয়টিও।’ এই বক্তব্য শুনেই প্রধান বিচারপতি বলে ওঠেন, ‘আড়াই লক্ষ মানুষের স্বার্থের কাছে আড়াইশো মানুষের স্বার্থ বড় হতে পারে না।তাছাড়া রেল প্রকল্পের জন্য দিঘির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। প্রয়োজনে দিঘির উপর পিলার করে রেলপথ সম্প্রসারণ করা যায়। বঙ্গোপসাগরের উপর যদি রেলপথ গড়া যায়, তাহলে এক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়?’ রেলের তরফে দাবি করা হয়, ‘নবান্ন গিয়ে মুখ্য সচিবের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সহযোগিতা করছে না। যে কারণে এই প্রকল্পের খরচ ৪৮০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৩০০ কোটি ছাড়িয়েছে।’ সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আদালত মনে করে যেহেতু এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন, তাই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সবরকম সাহায্য করা উচিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।’ এরপরই তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

যদিও দিঘিকে বাঁচিয়ে রেলপথ নির্মাণের ব্যাপারে এখনও অনড় ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায়।

আর হতাশা নয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এবার পূরণ হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে। খুশির হাওয়া জনমানসে। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর দীর্ঘ ৮২ কিলোমিটার রেলপথের সরাসরি সংযোগের মূল সমস্যা ছিল গোঘাট এবং কামারপুকুর স্টেশনের মাঝে ভাবাদিঘি। ২০১২ সালে যে রেল প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়ে যায় সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে আরও এক দশকের বেশি সময় লেগে গেল। আর ভাবাদিঘির সমস্যা সমাধানের জন্য লেগে গেল দীর্ঘ আট বছর। তারকেশ্বর থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত রেলপথ পুরোপুরি তৈরি। মাঝে শুধুমাত্র ভাবাদিঘি এলাকায় এক থেকে দেড় কিলোমিটারের কাজ বাকি। উল্টোদিকে বিষ্ণুপুর থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত রেলপথের কাজ জোরকদমে চলছে। ইতিমধ্যে বড় গোপীনাথপুর পর্যন্ত সিআরএস হয়ে গেছে। শীঘ্রই জয়রামবাটি পর্যন্ত সিআরএস হবে। আর তারপর জয়রামবাটী থেকে কামারপুকুর স্টেশন পর্যন্ত মাটি ফেলা, ব্রিজ নির্মাণ সহ ধাপে ধাপে কাজ হবার পর সিআরএস হবে।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এদিন শুনানিতেই আশার আলো দেখে রেল চাই পক্ষের সদস্যরা। রায়ের পর আরামবাগ জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে জানতে পেরে জনমানসে খুশির হাওয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন