শুক্রবার | ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:৫৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
সিঁদুরের ইতিকথা আর কোন এক গাঁয়ের বধূর দারুণ মর্মব্যথা : দিলীপ মজুমদার সাহিত্যিকদের সংস্কার বা বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে শ্রীপাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত দশহরার ব্যুৎপত্তি ও মনসাপূজা : অসিত দাস মেনকার জামাই ও জামাইষষ্ঠী : শৌনক ঠাকুর বিদেশী সাহিত্যিকদের সংস্কার ও বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভক্তের ভগবান যখন জামাই (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-এর ছোটগল্প ‘সময়ের প্ল্যাকটফর্ম’ গুহাচিত্র থেকে গ্রাফিটি : রঞ্জন সেন জামিষষ্ঠী বা জাময়ষষ্ঠী থেকেই জামাইষষ্ঠী : অসিত দাস কার্বাইডে পাকানো আম দিয়ে জামাইষষ্ঠীতে জামাই খাতির নয়, হতে পারে ক্যান্সার : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ভক্তের ভগবান যখন জামাই (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত কাশ্মীর নিয়ে বিজেপির নেহরুকে দোষারোপ ধোপে টেকেনা : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্র নাটকের দুই ট্র্যাজিক রাজা : শৌনক দত্ত কবির মৃত্যু : দিলীপ মজুমদার শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণের সপ্তসঙ্গিনী : স্বামী তেজসানন্দ মহারাজ দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোক : সন্দীপন বিশ্বাস সিঁদুরে মেঘের গর্জন : অসিত দাস শতবর্ষে অন্য বিনোদিনী — তৃপ্তি মিত্র : শৌনক দত্ত আমার প্রথম অভিনয় দেখে সত্যেন বসুই বলেছিলেন— তোর হবে : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রজিৎ আমাকে ক্লান্ত করে কেবলই ক্লান্ত : তপন মল্লিক চৌধুরী মনোজ বসু-র ছোটগল্প ‘বাঁশের কেল্লা’ গ্রেস কটেজ বুলেটিন প্রকাশ : দীপাঞ্জন দে অথ ওয়াইন কথা : রিঙ্কি সামন্ত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের চিকিৎসাবিভ্রাট : অসিত দাস বাংলা ইসলামি গান ও কাজী নজরুল ইসলাম : আবু বকর সিদ্দিকি পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি : মনোজিৎকুমার দাস কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ফেলে আসা শীতকাল… : যীশু নন্দী

যীশু নন্দী / ৪৩৭ জন পড়েছেন
আপডেট রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২

বড়োদিন। কাতসুমিকে সান্তাটুপিতে দেখিনি অনেকদিন। সোনি নর্দিও মালয়েশিয়ার এক কোণে পড়ে আছেন। দেখা নেই ওডাফা ওকোলিরও যিনি হাফ ফিট হয়েও নাচিয়ে গেছেন ওপারাকে। বড়োদিন এসে গেলো। শহরে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। এতদিন রাতগুলোতে উত্তাপের পারদ চড়িয়েছিলো ফুটবল বিশ্বকাপ। এখন বিশ্বকাপ নেই, তাই আমাদেরও শীত কাটছে বড্ডো আলসেমিতে। অথচ অনেককাল আগে এই রাতগুলো কত চিন্তায়-দুশ্চিন্তায় কাটতো আমাদের। অক্টোবরের থেকে শুরু হয়ে যেতো জাতীয় লিগ। আর ডিসেম্বরের বড়োদিনের সময় মানেই জাতীয় লিগের ভরাট মরশুম। এইসময়টায় লিগের প্রায় সাত-আটটা ম্যাচ খেলা হয়ে যেতো। ব্যারেটো-আলভিটো-বাইচুংরা খেলতো মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের হয়ে, তার সাথে নামতো থিও সানডে-মাইক ওকোরো মহামেডানের হয়ে, নামতো র‍্যান্টি মার্টিন্স-বেটো ডেম্পোর হয়ে, নামতো ওডাফা-কালু চার্চিলের হয়ে, জেসিটিকে গাঁট করে তুলতো সুখবিন্দর সিং, কখনও আবার চিরাগ ইউনাইটেড টিডি হয়ে অর্ণব মন্ডল-মহম্মদ রফিদের স্টার করে তুলতো সুব্রত ভট্টাচার্য।

লাল, নীল, সবুজ, হলুদ—রংবেরঙের দলে মেতে উঠতো জাতীয় লিগ। আর এর সাথে সাথেই চায়ের ভাঁড়ে তুফান উঠতো কোচ-খেলোয়াড়-বিদেশীদের চর্চায়। ইয়াকুবু, সন্দীপ, ব্যারেটো-সহ মহিন্দ্রা ইউনাইটেড ভারতের বুকে এঁকে দিচ্ছে কর্পোরেট ফুটবল ক্লাবের ভ্রুণ। ওদিকে কার্লোস পাহিড়ার মোহনবাগান জিতে চলেছে একের পর এক ডার্বি। বেলজিয়ান কোচ ফিলিপ রাইডার বাহারি পনিটেল বেঁধে লাফিয়ে উঠছেন বাইচুংয়ের প্রতিটা গোলে, ওদিকে মোহনবাগান ঘুরে ডেম্পোয় গিয়ে বেটো যেন আরও ভয়ংকর আরও ধারালো। দিন, কাল, মাস পেরিয়ে জাতীয় লিগ আমাদের সাতসকালের শীতকালীন চা-আড্ডার রূপরেখা আঁকতো বছরের পর বছর। শীতের রাতগুলো কাটতো চিন্তায় দুশ্চিন্তায়। মোহনবাগান স্ট্যানলির লাজংয়ের কাছে হেরে যাবেনা তো? কিংবা সাব্বির আলি কি পারবেন মহামেডানকে জিতিয়ে ফিরতে?—সাতপাঁচ চিন্তায় ঘুম হতোনা আমাদের।

শীত জড়িয়ে থাকতো আমাদের। আর আমরা জড়াতাম ময়দানকে। কখনও আমাদের আড্ডায় বাইচুং ঘুরতো, আলভি ঘুরতো; কখনও ঘুরতো সোনি নর্দি, কখনওবা নাওরেমের বিস্ময়গোল। খইতে খইতে ক্ষয়ে গেছে আমাদের ময়দানবিভর শীতকাল, ক্ষয়ে গেছে জাতীয় লিগমুখর প্রাত্যহিক আড্ডা। কর্পোরেট দানব ঠান্ডা করে দিয়েছে আমাদের শীতকালীন আড্ডার উত্তপ্ত চায়ের ভাঁড়গুলো।

আগামীকাল বড়োদিন। রাত আসে, রাত যায়। ইস্টবেঙ্গল জেতেনা আর। মোহনবাগান নিজেদের বন্ধক রেখেছে। মহামেডান ডুরাণ্ড রানার্স, লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জিইয়ে রাখছে নিজেদের কোনোমতে। ময়দানের স্মার্টেস্ট কর্মকর্তা নবাব ভট্টাচার্য লড়াই করছেন অনেকগুলো প্রতিকূলতার সাথে। বাইচুং, সোনি, বেইতিয়া হয়ে নিভে গেছে আমাদের ময়দানি আঁচ। পাল্স অক্সিমিটার ছাড়াই বলে দেওয়া যায় ময়দানের অক্সিজেন স্যাচুরেশন সত্তর শতাংশেরও নীচে। ময়দান বেঁচে আছে ধুঁকতে ধুঁকতে।

আমাদের হারিয়ে যাওয়া চিন্তা-দুশ্চিন্তার শীতের রাতগুলোর কথা, হারিয়ে যাওয়া ময়দানি তর্কমুখর শৈত্য আড্ডাগুলোর কথা বেঁচে থাক বড়োদিনের দুপুরের পৌষের রোদ হয়ে; বেঁচে থাক ওরা ঘাসের মতো করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন