শনিবার | ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:২৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘অমৃতসরী জায়কা’ মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা একের পর এক কয়েদি, এক বছরে ১৯৬ শিশুর জন্ম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘শোলে’র পঞ্চাশ বছর : সন্দীপন বিশ্বাস বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ইতিহাস পালটাতে চায় : তপন মল্লিক চৌধুরী অশোক সম্পর্কে দু-চারটে কথা যা আমি জানি : অসিত দাস চৈত্রের শুরুতেই শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে শুরু হলো সন্ন্যাস মেলা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বাঙালি পরিচালকের প্রথম নির্বাক লাভ স্টোরি : রিঙ্কি সামন্ত গোপিনী সমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলি ও ধ্যানী অশোকবৃক্ষ : অসিত দাস শেখাওয়াটির হোলী-হাভেলী : নন্দিনী অধিকারী সংস্কৃত সাহিত্যে অশোকবৃক্ষ যখন দোহলী : অসিত দাস প্রাণগৌরাঙ্গের প্রিয় পঞ্চব্যঞ্জন : রিঙ্কি সামন্ত ‘দ্য স্টোরিটেলার’ — শিল্প এবং বাজারের মধ্যে দ্বন্দ্ব : কল্পনা পান্ডে অপুষ্টি আর দারিদ্রতা ঢাকতে সরকার আর্থিক উন্নয়নের পরিসংখ্যান আওড়ায় : তপন মল্লিক চৌধুরী দোহলী মানে অশোকবৃক্ষ, তা থেকেই দোল ও হোলি : অসিত দাস সিনেমা প্রেমীদের হোলির গান : রিঙ্কি সামন্ত দোলের আগের দিনের চাঁচর নিয়ে চাঁচাছোলা কথা : অসিত দাস খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল — দোলা লাগল কি : দিলীপ মজুমদার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত সিঙেরকোণ-এর রাধাকান্ত এখনও এখানে ব্যাচেলর : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ দোলপূর্ণিমা ও হোলি ও বসন্ত উৎসবের  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কালো চালের ভাত খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৬০৩ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কালো চালের ভাত খান। কারণ কালো চালের ভাত অনেক বেশি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর। ক্যানসার রোগপ্রতিরোধেও সহায়তা করে। এই চালের ভাতে শর্করার পরিমাণ অনেক কম এবং আয়রন ও ভিটামিন বি-এর পরিমাণ বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগিদের পক্ষে স্বাস্থ্যের অনুকূল।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, ব্ল‍্যাক রাইস চাষ করে চাষিরা ন্যায্য দাম পাবেন। তাছাড়া এই কালো চালের চাহিদাও বাড়ছে উত্তরোত্তর। এমনকী ভিন রাজ্যেও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। চাষিদের আগ্রহও লক্ষ্য করা যাচ্ছে এই ধরনের ধান চাষে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু যাচ্ছে কালো চাল। তাছাড়া ইউরোপের দেশগুলিতেও পশ্চিমবাংলার কালো চাল-এর কদর বাড়ছে। কৃষি বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কালো ধানের চাষ বাড়াতে চাষিদের সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। বীজ, সার এবং সেই সঙ্গে প্রযুক্তির সহায়তা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ব্লকে এই ধরনের ধানের চাষ করা সম্ভবপর। তবে আমনের মরসুমেই এই ধান চাষ করা যেতে পারে। কারণ, এই জাতের ধানে ফুল ফোটার সময় যদি তাপমাত্রা বেশি থাকে তাহলে ফুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমন মরসুমে শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময় এই চাষের পক্ষে উপযুক্ত সময়। জৈব সারে চাষ করতে পারলে ভালো ফলন হবে। মাজরা পোকা, ও ধানের পাতামোড়া রোগ দমনে মহুয়া ও নিমখোল ব্যবহার করলে ভালো ফল মেলে। রাজ্যের হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ইত্যাদি জেলায় কালো ধান চাষের জমির পরিমাণ বাড়ছে। এ জন্য ব্লক কৃষি দফতরও এগিয়ে এসেছে চাষিদের পাশে। পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে চাষিদের নিয়ে প্রশিক্ষণ, সচেতনা শিবিরও গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, কালো চালের ভাত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর হওয়ায় বাজারে চাহিদা বাড়ছে। যেভাবে দিনের দিন ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে তাতে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চালে যেসব পুষ্টি আছে তা হল-ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন-এ, আয়রন ইত্যাদি। এছাড়া এই চালের ভাত ক্যানসার প্রতিরোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পরিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে মানবশরীরে কালো চালের ভাত অত্যন্ত উপকারী। কারণ, ক্যানসার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ছাড়াও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে মানব শরীরে ধমনীতে রক্ত চলাচল যেসব কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয় কালো চালের উপাদান তা প্রতিহত করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ হয় না এবং হৃদরোগ অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে যায়।

ড. অনুপম পাল অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কৃষি অধিকর্তা, কৃষি অধিকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যিনি পশ্চিমবঙ্গে এই চালের প্রবর্তন করেছেন। অনুপম পাল বলেন — সাদা চালের যেমন বিভিন্ন জাত আছে সেই রকম কালো চালের বিভিন্ন জাত আছে। পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় কালো চালের জাতের নাম হলো কালা ভাত। ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের এটিসি ফুলিয়াতে নিয়ে আসা হয় উড়িষ্যা থেকে। আজ পশ্চিমবঙ্গে এই কালো চালের সর্বাধিক উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৪০০ টন। কিন্তু তার ৯৫ ভাগেরও বেশি অংশ অন্য রাজ্য থেকে রপ্তানি হয়ে যাচ্ছে। কালো চাল পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে পুষ্টিকর চাল। আন্টি ক্যান্সার এবং এন্টি ডায়াবেটিক এবং এর মধ্যে ভিটামিন-এ (বিটা ক্যারোটিন ) আছে। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে খনিজ পদার্থ ভরপুর পরিমাণে। এই চালের ভাত আঠালো কিন্তু সুগন্ধি। পায়েস, খিচুড়ি এবং চাল গুঁড়ো করে আটার সাথে মিশিয়ে রুটি করে খাওয়া যায়। পায়েসের রং হয় কিছুটা গোলাপি বর্ণের। চাল ভিজিয়ে রাখলে লাল রংয়ের অ্যান্থোসায়ানিন (যা বিটে পাওয়া যায়) যুক্ত চাল সুগন্ধী দ্রবন পাওয়া যায়। সামান্য গুড় বা চিনি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ছাতুর মত তাৎক্ষণিক খাবার হিসেবে (ব্ল্যাক বুন) আমাদের পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষক গোষ্ঠী বিক্রি করছেন। শিশু থেকে বয়স্ক অসুস্থ রোগী সবাই খেতে পারেন। সুস্বাদু। কালো চাল এর ভাত যদি ওষুধের মত করে রোজ খাওয়া যায় তাহলে চিকিৎসা ব্যয় অনেকাংশেই কমবে। কালাভাত কিন্তু উৎপাদন হয় সম্পূর্ণ জৈব সার প্রয়োগ করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন