দেশজুড়ে মদের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখে স্তম্ভিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা। কেন্দ্রীয় সরকার মদের দোকান খোলার নির্দেশ দিতেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং চুলোয় পাঠিয়ে রাত, ভোর থেকে লাইনে মানুষ। লকডাউনে মদের দোকান খোলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।
মঙ্গলবার ৫ মে টুইটারে তিনি লেখেন, সরকারের এই একটা সিদ্ধান্তে বড়ো মূল্য চোকাতে হতে পারে। প্রার্থনা করি, তা যেন না হয়। অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতাতে যদি মদের দোকান খুলতে হয় তাহলে লকডাউনের দরকার কী? সব কিছু খুলে দেওয়া হোক।
যেখানে আমরা জনঘনত্ব, দারিদ্র্য ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও ভালোভাবে করোনা মোকাবিলা করছি সেখানে এই ঝুঁকি নেওয়ার কী দরকার ছিল? রাজ্যগুলির রাজস্ব দরকার এটা ঠিক। কিন্তু যেভাবে মদের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখছি তাতে অনেক সামাজিক সমস্যা তৈরি হবে।
লকডাউনে অনেকের রোজগার নেই, তাঁরা নেশা করলে যে কী হবে তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানা হবে না। বিভিন্ন সংসারে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বাড়বে। আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা তৈরি হবে। সর্বোপরি এর ফলে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও বাড়বে।