শুক্রবার | ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:৩১
Logo
এই মুহূর্তে ::
চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (প্রথম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস শুক্লাম্বর দিঘী, বিশ্বাস করে দিঘীর কাছে কিছু চাইলে পাওয়া যায় : মুন দাশ মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত নিজের আংশিক বর্ণান্ধতা নিয়ে কবিগুরুর স্বীকারোক্তি : অসিত দাস ঝকঝকে ও মজবুত দাঁতের জন্য ভিটামিন : ডাঃ পিয়ালী চ্যাটার্জী (ব্যানার্জী) সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা : লুৎফর রহমান রিটন সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম বসন্ত চৌধুরী : রিঙ্কি সামন্ত আংশিক বর্ণান্ধতাজনিত হীনম্মন্যতাই রবীন্দ্রনাথের স্কুল ছাড়ার কারণ : অসিত দাস পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী : তপন মল্লিক চৌধুরী সাত্যকি হালদার-এর ছোটগল্প ‘ডেলিভারি বয়’ নব নব রূপে এস প্রাণে : মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য ভারতের সংবিধান লেখার সেই ঝর্না কলমটা… : দিলীপ মজুমদার গীতা রাজনৈতিক অস্ত্র নয়, ভারতাত্মার মর্মকথা : সন্দীপন বিশ্বাস সিন্ধুসভ্যতা ও সুমেরীয় সভ্যতায় কস্তুরীর ভূমিকা : অসিত দাস রবি ঠাকুর ও তাঁর জ্যোতিদাদা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী তরল সোনা খ্যাত আগর-আতর অগুরু : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সাদা-কালো রীল’ গঙ্গার জন্য লড়াই, স্বার্থান্বেষীদের ক্রোধের শিকার সাধুরা : দিলীপ মজুমদার সিন্ধুসভ্যতার প্রধান মহার্ঘ রপ্তানিদ্রব্য কস্তুরী : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক করিডোর : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন রামকৃষ্ণ মিশন মানে ধর্মকর্ম নয়, কর্মই যাঁদের ধর্ম তাঁরাই যোগ্য : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সিংহবাহিনী মন্দির, নবগ্রাম (ঘাটাল) : কমল ব্যানার্জী পরিবেশ মেলা ২০২৫ : ড. দীপাঞ্জন দে মন্দির-রাজনীতি মন্দির-অর্থনীতি : দিলীপ মজুমদার স্বাধীনতা-সংগ্রামী মোহনকালী বিশ্বাস স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে অক্ষয়তৃতীয়া, নাকি দিদিতৃতীয়া : অসিত দাস আরএসএস-বিজেপি, ধর্মের তাস ও মমতার তৃণমূল : দিলীপ মজুমদার সাবিত্রি রায় — ভুলে যাওয়া তারার খোঁজে… : স্বর্ণাভা কাঁড়ার ছ’দশক পর সিন্ধু চুক্তি স্থগিত বা সাময়িক অকার্যকর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন : তপন মল্লিক চৌধুরী বিস্মৃতপ্রায় বঙ্গের এক গণিতবিদ : রিঙ্কি সামন্ত
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

বিষহীন দাঁড়াশ সাপ কৃষকের সবচেয়ে বড় বন্ধু : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়

জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় / ১৪০৩ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ৯ জুন, ২০২১

মূলত ইঁদুর খেয়েই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি কৃষকের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে দাঁড়াশ সাপ।

মানুষের অন্ধ বিশ্বাস হল, সাপ মানেই বিপদ, অতএব সাপেদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। যদি ধরেও নিই যে সাপ মানেই বিপদ, তাও তো সে যেচে কারও ক্ষতি করতে যায় না, বরং মানুষ দেখলেই পড়ি কি মরি করে ছুটে পালায়। ‘কালনাগিনীর মারাত্মক বিষ’, ‘লাউডগা চোখ খুবলে নেয়’, ‘ঘরচিতির কামড়ে প্রাণ যেতে পারে’ আজ অবধি এ সবের কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি।

ধান পাকার ঠিক আগে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা যায় কৃষি জমিতে। ফসল নষ্ট করে এই ইঁদুরেরা।

প্রবীণ কৃষকরা বলছেন, ইঁদুরের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে। সাপের সংখ্যা কমে যাওয়াই এর কারণ। সাপ থাকলে ইঁদুর এভাবে হাজারে বিজারে বংশ বিস্তার করতে পারত না। তাঁর কথায়, বন্যার জল নে‌মে যাওয়ার পর পর ইঁদুরের উপদ্রব বেশি দেখা যায়। যত দিন যাচ্ছে ইঁদুরের উপদ্রব তত বারছে। অজ্ঞতার কারণে লোকজন দাঁড়াশ সাপ মেরে ফেলছে। একেকটা দাঁড়াশ সাপ সারা বছর ধরে কয়েক হাজার ইঁদুর সাবাড় করে দেয়।

গ্রামের এই প্রবীণ কৃষকদের কথা একেবারেই ফেলনা নয়।

সাপ না থাকায় এখন ঘরে-বাইরে সমান তালে ক্ষতি করছে ইঁদুর। ধানের গোছা বের হওয়ার আগেই গাছ নষ্ট করে দিয়েছে। জমিতে গেলে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। বাজারের ওষুধেও কাজ হচ্ছে না, জানালেন এই প্রবীণ কৃষক।

তাঁর কাছ থেকেই জানলাম—

দাঁড়াশ সাপ কৃষকের নীরব বন্ধু। সারা দেশেই এদের দেখা মেলে। এ সাপ এখনো বিপন্ন না হলেও আগের মতো তেমন একটা দেখা যায় না। বাস্তবে কৃষকের বন্ধু হলেও অজ্ঞতা আর কু-সংস্কারের কারণে মানুষের হাতে প্রাণ দিতে হয় প্রতিনিয়ত। দাঁড়াশ সাপ কৃষি জমিতে থাকতে পছন্দ করে এবং যে জমিতে থাকে তার আশপাশে প্রায় ৩ একর এলাকাজুড়ে সে বিচরণ করে এবং এই জায়গায় খুঁজে খুঁজে ইঁদুর ধরে। যার ফলে ইঁদুরের কারণে যে ফসলহানি ঘটে তা থেকে রক্ষা মেলে। দাঁড়াশ এখনো বিপন্ন পর্যায়ে না গেলেও বর্তমান তেমন একটা দেখা যাচ্ছেনা। দাঁড়াশ দেখতে খুবই সুন্দর। এদের ইংরেজি নাম Rat Snake বৈজ্ঞানিক নাম Ptyas mucosa।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি বছর ইঁদুর যে পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট করে তার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এর মধ্যে বেশি ক্ষতি করে ধান ও গমের। এ সাপ রক্ষা করতে পারলে বছরে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার ফসলের পাশাপাশি কৃষি বিভাগ যে টাকা ইঁদুর দূর করতে খরচ করে তাও রক্ষা করা সম্ভব।

মানুষের ধারণা দাঁড়াশ সাপের কোমরে বা লেজে কাঁটা আছে, যা দিয়ে আঘাত করলে মানুষের প্রাণ যায়। এ ছাড়া দাঁড়াশ সাপ রাতে গরুর দুধের বাঁট থেকে দুধ চুষে খেয়ে থাকে বলেও মনে করে অনেকে। তবে এর সবই ভুল। দাঁড়াশ সাপের কোমর বা লেজে কোনো কাঁটা নেই। বাস্তবে সাপটি খুব নিরীহ। তবে রেগে গিয়ে বা ভয় পেয়ে কাউকে কামড় দিলেও ক্ষতি হয় না।

প্রাণীবিদ্জ্ঞানী ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে বিপুল অঙ্কের রবি ফসল বাঁচাতে এ সাপের প্রজনন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা উচিত। এ জন্য তার আবাসস্থল ধ্বংস এবং প্রজনন সমস্যা দূর করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “বিষহীন দাঁড়াশ সাপ কৃষকের সবচেয়ে বড় বন্ধু : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়”

  1. Debasish Bhattacharyya says:

    Darun excellent.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন