গরমে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই সময় রোদ্দুর থেকে ঘরে ফিরে এক গ্লাস আমপোড়ার সরবত যদি পাওয়া যায়, মনে হয় যেন প্রাণ জুড়ায়। আসলে ‘আম ‘দু’ অক্ষরের এই শব্দটি বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে আছে। অথচ সেই আমই নাকি মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী আম তাড়াতাড়ি পাকানোর জন্য ইচ্ছামতো ব্যবহার করছে কার্বাইড। আর সেই আম বাজার ছেয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্বাইডে পাকানো অকালপক্ব সেই আম খেলে শরীরে হতে পারে মারাত্মক রকমের বিষক্রিয়া।
সম্প্রতি কার্বাইডে আম পাকানোর বিষয়টি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। আমনগরী মালদা, এখানকার বিখ্যাত ফজলি, হিমসাগর, গোলাপখাস ইতিমধ্যে বাজার ছেয়ে গেছে। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল বেশিরভাগ কার্বাইডে পাকানো অকালপক্ব আম। চলতি বছরে আমের ফলন বেশি হওয়া সত্ত্বেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বেশী লাভের আশায় ওইসব আম বিক্রি করছে। চলতি বছরে গত বছরের তুলনায় আমের দাম কম থাকায় বেশিরভাগ মানুষ প্রায় প্রতিদিনই আম খাচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা জানেন না, যে আম মুখে তুলছে তা কতটা স্বাস্থ্যকর? রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই কার্বাইড দিয়ে আম পাকানোর প্রবণতা চোখে পড়ছে।
প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একঝুড়ি কাঁচা আম পাকানোর জন্য দরকার ২৫০-৩৫০ গ্ৰাম কার্বাইড। আবার কখনও কখনও অল্প পাকা আমকে দ্রুত পাকাতেও কার্বাইড ব্যবহার হচ্ছে। প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী লাভের আশায় এই ভয়াবহ কাজটি করে যাচ্ছে। বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মতে কার্বাইডে পাকানো আম খেলে শরীরে মারাত্মক বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই আগেভাগেই সাবধান হতে হবে মানুষের। এছাড়াও প্রশাসনকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বিষয়ে এবার কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে তারা।