রবিবার | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:৩৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (সপ্তম পর্ব) : আবদুশ শাকুর যে শিক্ষকের অভাবে ‘বিবেক’ জাগ্রত হয় না : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভিয়েতনামের গল্প (সপ্তম পর্ব) : বিজয়া দেব বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (ষষ্ঠ পর্ব) : আবদুশ শাকুর দিল্লি বিধানসভা ভোটেই নিশ্চিত হচ্ছে বিজেপি বিরোধি জোটের ভাঙন : তপন মল্লিক চৌধুরী দ্বারকানাথ ঠাকুরের গানের চর্চা : অসিত দাস মমতা বললেন, এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দুষ্টচক্র হু জানাল চিন্তা নেই : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (পঞ্চম পর্ব) : আবদুশ শাকুর পৌষ পুত্রদা একাদশী : রিঙ্কি সামন্ত বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (চতুর্থ পর্ব) : আবদুশ শাকুর জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির দুর্গাপূজায় কবিগান ও যাত্রার আসর : অসিত দাস সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ছোটগল্প ‘ঋতুমতী হওয়ার প্রার্থনা’ সামাজিক মনস্তত্ত্বের প্রতিফলনে সিনেমা : সায়র ব্যানার্জী নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সুও দুও ভাসে’ বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (তৃতীয় পর্ব) : আবদুশ শাকুর ভিয়েতনামের গল্প (ষষ্ঠ পর্ব) : বিজয়া দেব নীলমণি ঠাকুরের মেছুয়া-যাত্রা, একটি ঐতিহাসিক পুনর্নির্মাণ : অসিত দাস বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (দ্বিতীয় পর্ব) : আবদুশ শাকুর কাদের প্রশ্রয়ে বাংলাদেশের জঙ্গিরা বাংলার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্রসাহিত্যে কবিয়াল ও কবির লড়াই : অসিত দাস নকল দাঁতের আসল গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (প্রথম পর্ব) : আবদুশ শাকুর মুর্শিদাবাদের কৃষি ঐতিহ্য : অনুপম পাল নক্সী কাঁথায় বোনা জসীমউদ্দীনের বাল্যজীবন : মনোজিৎকুমার দাস পঞ্চানন কুশারীর জাহাজী গানই কি কবির লড়াইয়ের মূল উৎস : অসিত দাস দিব্যেন্দু পালিত-এর ছোটগল্প ‘ঝালমুড়ি’ নকশালবাড়ি আন্দোলন ও বাংলা কবিতা : কার্তিক কুমার মণ্ডল নিঃসঙ্গ ও একাকিত্বের আখ্যান : পুরুষোত্তম সিংহ ভিয়েতনামের গল্প (পঞ্চম পর্ব) : বিজয়া দেব অন্তরের আলো জ্বালাতেই কল্পতরু উৎসব : সন্দীপন বিশ্বাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই ২০২৫ ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ব্রহ্মাস্ত্রই এখন ব্রহ্মাস্ত্র : রঞ্জন সেন

রঞ্জন সেন / ৪৪৭ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘লাল সিং চাড্ডা’ পারেনি, বলিউডের ভরসা এখন সবেধন নীলমণি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। দক্ষিণী ছবির কাছে বলিউড হেরেই চলেছে। চেনা তারকা, চেনা মুখ, চেনা ধামাকা কিছুই আর রক্ষা করতে পারছে না তাকে। এটা ঠিক ২০২০ ও ২১ এর তুলনায় অবস্থা কিঞ্চিৎ ভালো হয়েছে। কিন্তু একে সাফল্য বলা কঠিন। এবছরের প্রথম ৮ মাসে হিন্দি ছবির ব্যবসার অঙ্ক ২,২৯৯ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও বিশেষজ্ঞদের মতে এই ফল আশানুরূপ নয়। এটা ঠিক গত দু’বছরের তুলনায় এবছরে অতিমারির ধাক্কা বলিউড খানিকটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। তবে ২০১৯ এর ব্যবসার অঙ্কে পৌঁছতে এখনও ঢের দেরি। সময় তো আর মাত্র ৪মাস! মনে রাখতে হবে, ২০১৯ এ হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসার অঙ্ক দাঁড়িয়েছিল ৫,২০০ কোটি টাকা। তেমন কোন মিরাকল না ঘটলে এবছর এই অঙ্কে পৌঁছনো কঠিন। কোন আনুমানিক তথ্য নয়, বলিউডের এই চিত্রটি তুলে ধরেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অগাস্ট মাসের ইকোর‍্যাপ।

হারের কারণ

সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠবে এই হারের কারণ কি? বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল বিষয়, গোটা দেশ জুড়ে সিনেমা হলগুলির একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়া, হিন্দি ছবির ওপর বিনোদন কর বৃদ্ধি, জনবিন্যাসের ফারাক এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের আসমুদ্রহিমাচল বিস্তার, বিপদে ফেলেছে হিন্দি ছবিকে। এসবিআই এর বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করেছেন, দু’বছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতা বদলে দিয়েছে মানুষের বিনোদনের দৃষ্টিভঙ্গিটা। তাদের মতে মানুষ অতীতের জয়গান করলেও আদতে কখনোই পুরনো অভিজ্ঞতা ও অভ্যাসে ফিরতে চায় না। সবসময় তার ঝোঁক সামনে চলার দিকে। কাজেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল অভিজ্ঞতার বাইরে বেরিয়ে লোকজন যে আবার হলমুখো হবেন সেই সম্ভাবনা বেশ কম।

সবচেয়ে বড় কথা হল, নতুন প্রজন্মের দর্শকরা মনে করছেন নানা দুর্বলতা সত্বেও ওটিটি বিষয়বস্তুর অভিনবত্বের বিচারে এগিয়ে আছে। বলিউডের গতবছর মুক্তি পাওয়া ৪৩টি ছবির তুলনায় ওই বছরই ১৮টি ডাব করা হিন্দি ছবির বিষয়বস্তু অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং অভিনব। তাছাড়া প্যানডেমিক পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় এখন ছবির সংখ্যাও কমেছে। আগে বছরে গড়ে ৭০-৮০টি ছবি মুক্তি পেত। তা থেকে আয় দাঁড়াতো ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা। এর পাশাপাশি ডাবল ভার্সান ছবি বেশি হওয়ার কারণেও দক্ষিণী ছবির ব্যবসা বেড়েছে।

হল এবং মল

এটা ঘটনা দিনহীন সিনেমা হলগুলির তুলনায় ঝকঝকে মলের চকচকে স্ক্রিনে ছবি দেখার খরচ অনেক বেশি। হলগুলির সংস্কার করেননি মালিকরা। আবার মলে গিয়ে সিনেমা দেখাও একটা ব্যয়বহুল ব্যাপার। এই অবস্থাটা যে দক্ষিণী ছবির সাফল্যের পিছনে একটা বড় শক্তি তা মানতেই হবে। তাছাড়া হিন্দি ছবির বিনোদন কর বেশি হওয়ায় টিকিটের দামও বেশি হয়। এরকম পরিস্থিতিতে বলিউডকে শুধু বিষয়বস্তু বা তারকা নয়, ছবির প্রদর্শন নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ই এখন বলিউডের ব্রহ্মাস্ত্র। তার সূত্রেই আবার লড়াইয়ে ফিরতে পারে মুষড়ে পড়া বলিউড।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন