বৃহস্পতিবার | ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:১৫
Logo
এই মুহূর্তে ::
নিম্ন চাপের অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত আরামবাগ : দেবাশিস শেঠ আরামবাগে ভয়াবহ বন্যা, দুর্যোগের পদধ্বনি, ক্ষোভ জনমানসে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন মেয়েদের ক্ষমতায়নের পক্ষেও আওয়াজ তুলেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী কবি দেবদাস আচার্য-র কবিতাজগৎ — বহমান পৃথিবীর জীবনপ্রবাহ, চেতনাপ্রবাহ : অমৃতাভ দে মনসার নাম কেন ঢেলাফেলা : অসিত দাস ভোও.. ও ..ও.. কাট্টা…! ভো… কাট্টা…! : বিজয় চৌধুরী দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা : সন্দীপন বিশ্বাস নারীবেশী পুরুষ অভিনেতা শঙ্করকে সামাজিক ট্যাবুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় না : বিশ্বেন্দু নন্দ সাসারামের রোহতাসগড়, বৃহতের কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ : নন্দিনী অধিকারী জমিদার রবীন্দ্রনাথ : আহমাদ ইশতিয়াক আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর, এবারও অধরা রইলো আলোচনা : সুমিত ভট্টাচার্য জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (ষষ্ঠ পর্ব) : বিজয়া দেব চাষির দুঃখের ঘরে সাপের বাসা, আজও রেহাই নেই ছোবলের হাত থেকে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সল্টলেক তথা লবণহ্রদই কি কুচিনান : অসিত দাস পদ্মা বা পার্শ্বপরিবর্তনী একাদশী ব্রতকথা : রিঙ্কি সামন্ত জয়া মিত্র-র ছোটগল্প ‘ছক ভাঙার ছক’ কত দিন বিনা চিকিৎসায় চলে যাবে অসুস্থ মানুষের প্রাণ? প্রশ্ন দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের : সুমিত ভট্টাচার্য দেবী করন্দেশ্বরীর পূজো ঘিরে উৎসবের আমেজ মন্তেশ্বরের করন্দা : প্রবীর কুমার সামন্ত প্রেতবৈঠকে (প্ল্যানচেট) আত্মার আগমন : দিলীপ মজুমদার সংগীত সাধক ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য : রিঙ্কি সামন্ত শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্যের অন্দরে বাহিরে বিরাজমান সিণ্ডিকেট : তপন মল্লিক চৌধুরী কবিতা সিংহ-এর ছোটগল্প ‘পশ্চিম রণাঙ্গন আজ শান্ত’ কলকাতার আর্মেনিয়ান জনগোষ্ঠী : অসিত দাস মঙ্গলবারের মধ্যে কাজে ফিরুন — সুপ্রিম ধমক, উৎসবে ফিরুন — মমতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (পঞ্চম পর্ব) : বিজয়া দেব বিবিসির ইয়ংগেস্ট হেডমাস্টার বাবর আলী (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত হাঁসের ডিমের উৎপাদন বাড়াতে এগিয়ে এল রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় এ আমার এ তোমার পাপ : দিলীপ মজুমদার জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (চতুর্থ পর্ব) : বিজয়া দেব রোহিঙ্গা সংকট — ত্রান সহায়তা ও কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে সকল বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ কৌশিকী অমাবস্যার-র আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা, ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

নিম্ন চাপের অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত আরামবাগ : দেবাশিস শেঠ

দেবাশিস শেঠ / ১২৬ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গভীর নিম্নচাপের ফলে টানা কয়েক দিন ধরে ভারীবৃষ্টি, বিশেষ করে পুরুলিয়া বাঁকুড়া প্রভৃতি এলাকার বৃষ্টির জলে দ্বারকেশ্বরের ভয়ংকর জলস্রোত এবং তার উপর ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। হাজার হাজার মানুষ জলবন্দী, ভেঙে পড়েছে বহু বাড়িঘর, হাটবাজার জলের তলায় এমনকি পানীয় জলের সমস্যা বহু এলাকায়। বুধবার বন্যা পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি দোষারোপ করে বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য টাকা বরাদ্দ না করা, ড্যামগুলির সংস্কার না করা ও ডিভিসি থেকে অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ার ফলেই মানুষের এই দুর্দশা।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার বক্তব্য, ‘ডিভিসি বলছে, আড়াই লক্ষ কিউসে জল ছাড়া হয়েছে কিন্তু আমাদের মনে হয় সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেকেরও বেশি জল ছাড়া হয়েছে কাউকে কিছু না জানিয়ে। তারা যদি একবারে জল না ছেড়ে খেপে খেপে ছাড়ত তাহলে এত ক্ষতি হতো না। কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতি এর জন্য দায়ী। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যদি টাকা দিত তাহলে ঘাটাল আরামবাগ প্রভৃতি জায়গায় বন্যার নাম থাকত না। তার উপর ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। নদী বাঁধের কাজ করতে পারা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে,এই এলাকায় সাতটি ব্লকের সমস্ত কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কৃষি দপ্তরকে বলা হয়েছে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব প্রস্তুত করতে। এই মুহূর্তে মানুষের জীবন রক্ষা করাই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানির খবর নেই। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শনে এসেছিলেন তিনি বিডিও, এসডিও ডিএম সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ত্রাণ পেতে মানুষের কোন অসুবিধা না হয় তা দেখার জন্য।

বৃষ্টির প্রকোপে গত রবিবার থেকেই এলাকায় বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসন বারবার অনুরোধ করেছে। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি যে এত ভয়ংকর আকার নেবে তা তখন কল্পনাও করা যায়নি। খানাকুল দুই ব্লকের ধান্যঘড়ি এলাকায় রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস ওই এলাকাকে প্লাবিত করেছে। এছাড়া মুণ্ডেশ্বরীর বাঁধ বাঁধ ভেঙেছে কাবিলপুর এলাকায়। খানাকুল ১ ব্লকের কিশোরপুর এলাকায় দারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এই ব্লকের কলিম্বা এলাকায় কানাদ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে জলের তলায় চলে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। আরামবাগ ব্লকের হরিণখোলার দর্জিপোতা এলাকা, রাউতবার এলাকার নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম।

এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট জলমগ্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষোভে ফুঁসছেন খানাকুল তথা আরামবাগ মহকুমা এলাকার মানুষজন। প্রতিবছর বন্যায় নদী বাঁধ ভাঙ্গে, বিপুল টাকা খরচ করে মেরামত হয় কিন্তু অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বারবার তা ভেঙে যায়। এমনকি এলাকার রাস্তাঘাটের কাজকর্ম অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ প্রশাসনিক মহলের প্রতি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শনে এলে হরিণখোলা এলাকায় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু মানুষ।

অনেকেই চান মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলুন, তাঁর কাছে সঠিক খবর হয়তো পৌঁছোচ্ছে না, চোখের সামনে দিয়ে সরকারি টাকার অপচয় হচ্ছে। কিন্তু এই বন্যা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার সময় সুযোগ না থাকা বা তিনি খুব অল্প সময়ে শুধু একটিমাত্র জায়গা ছুঁয়ে ঘাটালের দিকে চলে যাওয়ায় জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বেচারাম মান্না অবশ্য মন্তব্য করেছেন, ‘সাধারণ মানুষের ক্ষোভ নয় এটা বিজেপির পরিকল্পিত ব্যাপার।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন