করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজনীতিকে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানালেন বীরভূম জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার ৪ মে তিনি বলেন, আমার কাছে বিজেপির দুজন কর্মী এসে জানালেন তাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল করতে চান। আমি কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, ওপরতলা থেকে নির্দেশ এসেছে সব রেশন দোকানে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের ‘ঝামেলি’ (ঝামেলা) করতে হবে। আমরা তা করব না। আমি তাই বলি, দিলীপ ঘোষ কত বড় মাথামোটা তা আমি দেখছি। রেশন দোকানে ঝামেলা করতে উস্কানি দেওয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের সব সৈনিককে বলেছি, আপনারা রেশন দোকানে নজর রাখুন, বিজেপি কত ‘ঝামেলি’ করতে পারে দেখছি। তবে রেশন ডিলারদেরও বলছি, সাধারণ মানুষকে যেন কম রেশন না দেওয়া হয়। রেশন ডিলারদের আমি কেয়ার করি না। দোকান থাকল কি উঠে গেল তা বড় কথা নয়, রেশন যেন কম না দেওয়া হয়। কোথাও কোনও সমস্যা হলে জেলাশাসক, বিডিও বা আমাদের বীরভূম পার্টি অফিসে জানান।
বিজেপিকে তুলোধনা করে অনুব্রত বলেন, ওটা একটা নোংরা, মিথ্যাবাদী, ভাঁওতাবাজ দল। ওদের লজ্জা নাই। মায়া নাই। বাংলা একটা গরিব রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে টাকা পান সেটা দিলে এতদিনে তো করোনাকে আমরা পরাস্ত করে ফেলতাম। বিজেপি যাঁরা করেন তাঁরা ওই দিলীপ ঘোষকে বলুন কেন্দ্রকে বলতে রাজ্যের টাকা দিয়ে দিতে। পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে অনুব্রত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনুন। তিনি সব রাজ্য থেকে আটকে পড়া মানুষদের ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন। আজ গুজরাটে দেখলাম পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে! তাই বলি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখুন। তিনি দিলীপ ঘোষ, নরেন্দ্র মোদীর মতো মিথ্যা কথা বলেন না। আমাদের পার্টি অফিসে যা চাল, ডেল, তেল মজুত আছে ছয় মাস কোনও অসুবিধা হবে না। তার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছয় মাসের রেশন বিনামূল্যে দিচ্ছেন। আর মোদী? তিন মাসের বেশি দিতে পারেন নাই।
লকডাউনে যেভাবে ঘরে থাকতে হচ্ছে তা তাঁর স্বভাববিরুদ্ধ। অনুব্রতর কথায়, বাড়িতে তো বেশি থাকি না। ছোটো থেকে বাইরেই বেশি ঘুরি। তাই এটা একটা মানসিক যন্ত্রণা। তবে নিয়ম মেনে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে চলুন, ভালো থাকবেন।