শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:১৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
বাড়বে গরম, চোখের নানান সমস্যা থেকে সাবধান : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী আঠালো মাটি ফুঁড়ে জন্মানো শৈশব : আনন্দগোপাল হালদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত ওয়াকফ হিংসার জের কি মুর্শিদাবাদেই থেমে গিয়েছে : তপন মল্লিক চৌধুরী এক বাগদি মেয়ের লড়াই : দিলীপ মজুমদার এই সেনসরশিপের পিছনে কি মতাদর্শ থাকতে পারে : কল্পনা পাণ্ডে শিব কম্যুনিস্ট, বিষ্ণু ক্যাপিটেলিস্ট : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গায়ন’ থেকেই গাজন শব্দের সৃষ্টি : অসিত দাস কালাপুষ্প : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু হোক বাঙালি-অস্মিতার প্রচারযাত্রা : দিলীপ মজুমদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত পেজফোর-এর নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩২ প্রকাশিত হল সিন্ধিভাষায় দ্রাবিড় শব্দের ব্যবহার : অসিত দাস সিন্ধুসভ্যতার জীবজগতের গতিপ্রকৃতির মোটিফ : অসিত দাস হনুমান জয়ন্তীতে নিবেদন করুন ভগবানের প্রিয় নৈবেদ্য : রিঙ্কি সামন্ত গল্প লেখার গল্প : হাসান আজিজুল হক ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (শেষ পর্ব) : জমিল সৈয়দ চড়কপূজা কি আসলে ছিল চণ্ডকপূজা : অসিত দাস অরুণাচলের আপাতিনি : নন্দিনী অধিকারী ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (সপ্তম পর্ব) : জমিল সৈয়দ শাহরিয়ার কবিরকে মুক্তি দিন : লুৎফর রহমান রিটন ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (ষষ্ঠ পর্ব) : জমিল সৈয়দ ওয়াকফ সংশোধনী আইন এই সরকারের চরম মুসলিম বিরোধী পদক্ষেপ : তপন মল্লিক চৌধুরী ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (পঞ্চম পর্ব) : জমিল সৈয়দ যশোধরা — এক উপেক্ষিতা নারীর বিবর্তন আখ্যান : সসীমকুমার বাড়ৈ কলকাতার কাঁচাভেড়া-খেকো ফকির ও গড়ের মাঠ : অসিত দাস ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (চতুর্থ পর্ব) : জমিল সৈয়দ রামনবমী পালন এবং হুগলী চুঁচুড়ার শ্রীরামমন্দির : রিঙ্কি সামন্ত ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (তৃতীয় পর্ব) : জমিল সৈয়দ মিয়ানমারে ভূমিকম্প — প্রতিবেশী দেশের জনগণের পাশে বাংলাদেশ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

মহাকুম্ভ উপলক্ষে এবার যে জনপ্লাবন দেখা যাচ্ছে, তা এককথায় অভূতপূর্ব : অসিত দাস

অসিত দাস / ২৪৯ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বিরাট দুর্ঘটনা ঘটল আসমুদ্রহিমাচল জনজোয়ারের কুম্ভমেলায় আছড়ে পড়ার জন্যেই। কতজন মারা গেল, ৩০ না আরও বেশি, তার মধ্যে যাচ্ছি না। তবে এবারের মতো উন্মাদনা আগে কখনও দেখা যায়নি।

ভারতীয় ধর্মের পণ্ডিত জেমস লোচটেফেল্ডের মতে, কুম্ভ মেলা শব্দটি এবং এ সম্পর্কে ঐতিহাসিক তথ্য প্রামাণিক ভারতীয় গ্রন্থে অনুপস্থিত। লোচফেল্ড বলেন, এই ঐতিহাসিক গ্রন্থগুলি “স্পষ্টভাবে বৃহৎ সংগঠিত স্নান-উৎসব প্রকাশ করে”। এগুলো বার্ষিক বা বৃহস্পতি গ্রহের বারো বছরের চক্রের উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু তপস্বী এবং যোদ্ধা-সন্ন্যাসীদের সাথে সম্পর্কিত পাণ্ডুলিপিতে — ইসলামি সালতানাত এবং মুঘল সাম্রাজ্যের যুগের সাথে লড়াই করা আখড়াগুলি — স্নান, উপহার প্রদান, বাণিজ্য এবং সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত ধর্মীয় উৎসবগুলিতে স্নান তীর্থযাত্রা এবং হিন্দুদের একটি বড় পর্যায়ক্রমিক সমাবেশের উল্লেখ রয়েছে। হরিদ্বার কুম্ভ মেলার একটি প্রাথমিক বিবরণ ক্যাপ্টেন টমাস হার্ডউইক ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেছিলেন।

হিন্দু যোগ পাণ্ডুলিপি এবং সন্ন্যাস সম্প্রদায়ের পণ্ডিত জেমস ম্যালিনসনের মতে, প্রয়াগে তীর্থযাত্রীদের বিশাল সমাবেশের সাথে স্নান উৎসবগুলি কমপক্ষে প্রথম সহস্রাব্দের মাঝামাঝি থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, যদিও মধ্যযুগীয় সময় থেকে অন্যান্য প্রধান পবিত্র নদীগুলিতে অনুরূপ তীর্থযাত্রার বিবরণ পাওয়া যায়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে (ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগ) এর মধ্যে চারটি কুম্ভ মেলা শাসক পরিচালিত মেলায় রূপান্তরিত হয়েছিল। শাসক যুদ্ধ-প্রবণ সন্ন্যাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল এবং এই হিন্দু তীর্থযাত্রার উৎসবগুলিতে লাভজনক কর ও বাণিজ্য রাজস্ব নিজহাতে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। পুরোহিতরা ব্রিটিশ প্রশাসনের কাছে এই উৎসবকে স্বীকৃতি দিতে এবং তাদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন বেশ কয়েকবার।

হরিদ্বারে অনু্ষ্ঠিত ১৯৫৪-এর দশকের কুম্ভমেলা

মহাকুম্ভ শেষ হয়েছিল ১৪৪ বছর আগে, ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে। এই প্রয়াগেই হয়েছিল।

সেবারের মহাকুম্ভও ছিল ঘটনাহুল।সেবারেও ভক্তরা সেখানে সহিস্নান তথা শাহি-স্নানের জন্যে ভিড় করেছিল। নাগা সন্ন্যাসীরা তখনও স্বমহিমায় বিরাজ করত। তখন যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল অপ্রতুল। পদব্রজে ও গরুর গাড়িতে অনেকে সেখানে যেত। ট্রেনের তখন প্রাথমিক দশা। কম লোকজনই ট্রেনে যাওয়ার সামর্থ্য রাখত। আর ছিল ডুলি বা পালকি। বাংলা থেকেও গরুর গাড়ি ও পালকি করে তীর্থযাত্রীরা সেখানে যেত।

তখন দেশে ব্রিটিশ রাজত্ব চলছে। ইংরেজের ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি তখনও চলতো। তাই হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার জন্যে ইংরেজ প্রশাসন চার বছর পরে ১৮৮৫-র কুম্ভমেলার ম্যানেজার নিযুক্ত করেছিল একজন সংখ্যালঘু ব্যক্তিকে। তাঁর নাম ছিল হুসেন।

এই হুসেন আবার ছিলেন ইংরেজের নেওটা। তিনি কুম্ভমেলার সময় ইংরেজ রাজকর্মচারী ও কুম্ভমেলা দেখতে আসা সাহেবমেমদের গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের জন্যে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেখানে মদ, গোমাংস, নর্তকীর অঢেল জোগান দিয়েছিলেন। চব্বিশ বছর আগে ঘটে যাওয়া সিপাহী বিদ্রোহের ধাঁচে ইংরেজ শাসক তার বদ মতলব প্রকাশ করে ফেলেছিল।

আমেরিকার নামকরা লেখক মার্ক টোয়েন এখানে এসেছিলেন সেবার। তিনি ভক্তদের হতদরিদ্র, বুভুক্ষু, ছিন্নবস্ত্র বলে অভিহিত করেছিলেন, কিন্তু তাদের গভীর বিশ্বাস ও ভক্তিকে তিনি কুর্নিশ জানিয়েছিলেন।

গতবারের মহাকুম্ভের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। বঙ্কিমচন্দ্রের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন মাসিকপত্র তখন ৩ বছরে পা দিয়েছে। পত্রিকার কোনও লেখায় এই কুম্ভমেলার কথা আছে কিনা জানা যায় না।

প্রয়াগরাজে অনু্ষ্ঠিত ২০২৫-এর কুম্ভমেলা

তখনকার স্টেটসম্যান পত্রিকা (ফ্রেন্ডস অফ ইন্ডিয়া), হিন্দু প্যাট্রিয়ট, দি পায়োনিয়ার, ইংলিশম্যান ইত্যাদি ইংরেজি পত্রিকায় এই কুম্ভমেলার বিবরণ পাওয়া যেতে পারে।

বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শন তখন তিন বছরে পা দিয়েছে।

এলাহাবাদ থেকেই প্রকাশিত হত দি পায়োনিয়ার। ১৮৬৫ থেকে প্রকাশিত দি পায়োনিয়ার পত্রিকার ১৮৮১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির সংখ্যাগুলি আর্কাইভে গিয়ে দেখা যেতে পারে। সেবারে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছিল কিনা, দি পায়োনিয়ার পত্রিকায় সে কথা থাকতেও পারে। ইন্টারনেট সার্চ করে দেখলে ক্ষতি কী!

তখন উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সুবোধকুমার চক্রবর্তী জন্মাননি। জলধর সেনের কলম তখন সক্রিয়। তবে তিনি হিমালয় নিয়ে লিখলেও কুম্ভমেলা নিয়ে সম্ভবত লেখেননি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোনও লেখায় কুম্ভপ্রসঙ্গ এসেছে কিনা জানি না। কালকূটের অমৃতকুম্ভের সন্ধানে তো অনেক পরের ব্যাপার।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন