মঙ্গলবার | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:৫২
Logo
এই মুহূর্তে ::
আরএসএস-বিজেপি, ধর্মের তাস ও মমতার তৃণমূল : দিলীপ মজুমদার সাবিত্রি রায় — ভুলে যাওয়া তারার খোঁজে… : স্বর্ণাভা কাঁড়ার ছ’দশক পর সিন্ধু চুক্তি স্থগিত বা সাময়িক অকার্যকর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন : তপন মল্লিক চৌধুরী বিস্মৃতপ্রায় বঙ্গের এক গণিতবিদ : রিঙ্কি সামন্ত অসুখবেলার পাণ্ডুলিপি : পুরুষোত্তম সিংহ বাবু-ইংরেজি আর সাহেবি বাংলা : মাহবুব আলম সিন্ধুসভ্যতার ফলক ও সিলে হরিণের শিং-বিশিষ্ট ঋষ্যশৃঙ্গ মুনি : অসিত দাস বৈশাখ মাসে কৃষ্ণপক্ষে শ্রীশ্রীবরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত সিন্ধুসভ্যতার লিপি যে প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার অকাট্য প্রমাণ : অসিত দাস বাঙালির মায়াকাজল সোনার কেল্লা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ : রিঙ্কি সামন্ত ফের আমেদাবাদে হিন্দুত্ববাদীদের অন্য ধর্মের উপর হামলা : তপন মল্লিক চৌধুরী লোকসংস্কৃতিবিদ আশুতোষ ভট্টাচার্য ও তাঁর চিঠি : দিলীপ মজুমদার নববর্ষের সাদর সম্ভাষণ : শিবরাম চক্রবর্তী নববর্ষ গ্রাম থেকে নগরে : শিহাব শাহরিয়ার ফিরে আসছে কলের গান : ফজলুল কবির সিন্ধুসভ্যতার ফলকে খোদিত ইউনিকর্ন আসলে একশৃঙ্গ হরিণ : অসিত দাস একটু রসুন, রসুনের কথা শুনুন : রিঙ্কি সামন্ত ১২ বছর পর আরামবাগে শোলার মালা পরিয়ে বন্ধুত্বের সয়লা উৎসব জমজমাট : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কোনিয়াকদের সঙ্গে দু’দিন : নন্দিনী অধিকারী স্বচ্ছ মসলিনের অধরা ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস বাড়বে গরম, চোখের নানান সমস্যা থেকে সাবধান : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী আঠালো মাটি ফুঁড়ে জন্মানো শৈশব : আনন্দগোপাল হালদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত ওয়াকফ হিংসার জের কি মুর্শিদাবাদেই থেমে গিয়েছে : তপন মল্লিক চৌধুরী এক বাগদি মেয়ের লড়াই : দিলীপ মজুমদার এই সেনসরশিপের পিছনে কি মতাদর্শ থাকতে পারে : কল্পনা পাণ্ডে শিব কম্যুনিস্ট, বিষ্ণু ক্যাপিটেলিস্ট : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গায়ন’ থেকেই গাজন শব্দের সৃষ্টি : অসিত দাস কালাপুষ্প : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

টাকা মাটি, মাটি টাকা : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ২৫৮ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫

টাকা মাটি, মাটি টাকা। বলিয়াছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ দেব। কিছু চ্যাংড়া মানুষ ইহার কদর্থ করিতে ছাড়ে নাই। তাহারা বলিয়াছিল, মাটি অর্থাৎ জমি যে অর্থের আধার তাহা রামকৃষ্ণ বিলক্ষণ জানিতেন; তাই তিনি শিষ্য ও অনুরাগীবর্গকে জমি কিনিয়া রাখিতে বলিয়াছিলেন। কলিকাতা মহানগরী বা সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে যাহাদের জমি ছিল, তাহারা প্রমোটারকে দিয়া কিরূপ সুখে কালাতিপাত করিতেছে, তাহা আমরা সকলেই জানি। না, সে অর্থে রামকৃষ্ণদেব কথাটা বলেন নাই। তিনি বলিতে চাহিয়াছিলেন যে অর্থ সমূহ অনর্থের কারণ। আমাদের শাস্ত্রে আছে, ‘অর্থমনর্থং ভাবয় নিতং/নাস্তি ততঃ সুখ লেশং সত্যম’। অর্থাৎ প্রতি মুহুর্তে ভাবিয়ো যে অর্থ অনর্থের কারণ, ইহাতে লেশমাত্র সুখ নাই। ইদার্নীং কালে সোমনাথ সেনগুপ্ত মহাশয়ের ‘অর্থম অনর্থম’ নামক একটি পুস্তকও আমাদের দৃষ্টিগোচর হইয়াছে।

আমাদিগের মনে হয় আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তারবাবুরাও এক্ষণে এই সত্য অনুধাবন করিতেছেন। বুঝিতেছেন যে টাকাই মাটি করিয়া দিল সব। যাহারা আবেগে ভাসিয়াছিল, তাহারা প্রশ্ন করিতে শুরু করিয়াছে। কোথা হইতে আসিল এত টাকা? কিসের প্রয়োজন এত টাকার? ‘নিউজ দ্য ট্রুথ’ ইউটিউব চ্যানেলের তমাল সাহা মহাশয়, ‘বাংলা বাজার ইউটিউবে’র অনিকেত চট্টোপাধ্যায় মহাশয় প্রভৃতিরা জুনিয়ার ডাক্তারবাবুদের তহবিল লইয়া পড়িয়াছেন।

তাঁহাদিগের বক্তব্য হইতে জানিতে পারিলাম ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে ভয়ানক ঘটনা ঘটিবার ১২ দিন পরে ২১ আগস্ট ডা. রিয়া বেরা, ডা. প্রিয়া লাখড়া ও আরও একজন ডাক্তারবাবুর নামে স্টেট ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ২১ আগস্ট হইতে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সে অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে মোট ৪৪ লক্ষ ৫২ হাজার ১৭০ টাকা। আবার ২৯ আগস্ট ডা. শুভজিৎ সরকারের নামে স্টেট ব্যাঙ্কে আর একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সে অ্যাকাউন্টে ৩০ আগস্ট হইতে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা পড়ে ৬২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। আবার ২৬ সেপ্টেম্বর জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের নামে হাইকোর্ট পাড়ায় আবার একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। তাহাতেও কয়েক কোটি জমা পড়ে। একই শহরে কেন তিনটি অ্যাকাউন্ট, কেন পূর্বোক্ত দুটি অ্যাকাউন্টের টাকা শেষোক্ত অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে জমা পড়িল না, কেন টাকার যথাযথ হিসাব দেওয়া হয় নাই — এসব প্রশ্ন উঠিতেছে।

আমি কিন্তু জুনিয়ারবাবুদের পক্ষ লইব। দৃঢ়কণ্ঠে বলিব যে আন্দোলন চালাইতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। তমালবাবুরা বলিতেছেন আন্দোলনকে ব্যাপ্তি দিবার জন্য জুনিয়রবাবুরা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আশ্রয় লইয়াছিলেন। সে ম্যানেজারের নাম সম্ভবত অর্ণব পাল। দুর্গাপুরে তাঁহার নিবাস হইলেও কাজকর্ম কলিকাতায়। এই ইভেন ম্যনেজমেন্টের হস্তকৌশলের ফলে আন্দোলন ব্যাপক প্রচার লাভ করিয়াছে। ১৫০ গ্রাম বীর্য, আমি সোমা বলছি, পেলভিক ও কলার বোন ভাঙা, পুলিশ কমিশনারকে শিরদাঁড়া উপহার দেওয়া, দ্রোহের আগুন প্রভৃতি ভাইরাল হইয়াছে। বারবার মিথ্যা বলার ফলে জনমানসে মিথ্যা সত্য বলিয়া প্রতীত হইয়াছে। মিথ্যা এইসব গুজব দ্রুত ছড়াইয়া পড়িয়াছে। বিখ্যাত রুশ লেখক ইয়াকভ পেরেলম্যান তাঁহার ‘অঙ্কের খেলা’ বইতে দেখায়াইছেন গুজব কিভাবে দ্রুত ছড়ায়।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের পক্ষে বলিবার আছে বৈকি। যুগ বদলাইয়াছে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাইয়াছে, তাই প্রচারের ঢঙ তো বদলাইবে। নির্বাচনে জয়লাভ করিবার জন্য পি কে প্রমুখ প্রকৌশলীর সাহায্য গ্রহণ যেরূপ সঙ্গত, তদ্রূপ প্রচারের জন্য ইভেন ম্যনেজমেন্টের সাহায্য গ্রহণও সঙ্গত। বেশ করিয়াছেন জুনিয়রবাবুরা অর্ণব পালের সাহায্য লইয়া।

কিন্তু কথা হইতেছে আখেরে হইলটা কি? ইভেন ম্যানেজমেন্টের সাহায্য শেষমেষ ইঁদুরের মূষিক প্রসব হইল না তো! শাক দিয়া মাছ ঢাকিবার চেষ্টা ব্যর্থ হইয়া গেল না কি? আর এসবের মূলে সেই অর্থ। কেন সে অর্থকে জুনিয়রবাবুরা দৃশ্যমান করিয়া দিলেন? ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট না খুলিয়া হাতে হাতে দানের টাকা লইলে এত সব কথা উঠিত না।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন