সোমবার | ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:২০
Logo
এই মুহূর্তে ::
রবীন্দ্রসাহিত্যে কবিয়াল ও কবির লড়াই : অসিত দাস নকল দাঁতের আসল গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বাংলা গান থাকুক সহৃদয়-হৃদয়-সংবাদী (প্রথম পর্ব) : আবদুশ শাকুর মুর্শিদাবাদের কৃষি ঐতিহ্য : অনুপম পাল নক্সী কাঁথায় বোনা জসীমউদ্দীনের বাল্যজীবন : মনোজিৎকুমার দাস পঞ্চানন কুশারীর জাহাজী গানই কি কবির লড়াইয়ের মূল উৎস : অসিত দাস দিব্যেন্দু পালিত-এর ছোটগল্প ‘ঝালমুড়ি’ নকশালবাড়ি আন্দোলন ও বাংলা কবিতা : কার্তিক কুমার মণ্ডল নিঃসঙ্গ ও একাকিত্বের আখ্যান : পুরুষোত্তম সিংহ ভিয়েতনামের গল্প (পঞ্চম পর্ব) : বিজয়া দেব অন্তরের আলো জ্বালাতেই কল্পতরু উৎসব : সন্দীপন বিশ্বাস কল্পতরু — এক উত্তরণের দিন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চলচ্চিত্র উৎসবে পানাজি থেকে কলকাতা (শেষ পর্ব) : সায়র ব্যানার্জী ফেলে আসা বছরে দেশের প্রবৃদ্ধির পালে হাওয়া না ঝড় : তপন মল্লিক চৌধুরী কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার জোয়ানিতা ম্যালে-র ছোটগল্প ‘নাইট জব’ অনুবাদ মনোজিৎকুমার দাস দেশজ ফসলের বীজকে কৃষির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে নদিয়া বইমেলা মুখপত্র : দীপাঞ্জন দে চলচ্চিত্র মহোৎসবে পানাজি থেকে কলকাতা (প্রথম পর্ব) : সায়র ব্যানার্জী শৌনক দত্ত-র ছোটগল্প ‘গুডবাই মাষ্টার’ হেলান রামকৃষ্ণ শিশু বিতানের রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত হল মহাসমারোহে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কার্ল মার্কসের পরিজন, পরিকর (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার জীবনানন্দ দাশের স্বপ্নের নদী ধানসিঁড়ি আজও আছে কিন্তু মৃতপ্রায় : মনোজিৎকুমার দাস মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-এর ছোটগল্প ‘শঠে শাঠ্যং’ যথোচিত মর্যাদায় পালিত হল খানাকুলের রূপকার শান্তিমোহন রায়ের জন্মদিন : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় আবার দেখা যদি হলো সখা প্রাণের মাঝে আয় — নেতাজী নগর বিদ্যামন্দিরের পুনর্মিলন : সুশান্ত দাস মোদি বনাম মনমোহন: ইতিহাস বারবার এই বিশ্লেষণ করবে : সন্দীপন বিশ্বাস কবির লড়াইয়ের স্রষ্টা হলেন রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষ পঞ্চানন কুশারী : অসিত দাস চল্লিশতম নদিয়া বইমেলা স্মরণিকা : দীপাঞ্জন দে ভাগ্নার পদধূলিতে ধন্য হল মামার বাড়ি, বেলুড় মঠ ও মিশন অধিগ্রহণ করে মর্যাদা দিল : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই ২০২৫ ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

হেলান রামকৃষ্ণ শিশু বিতানের রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত হল মহাসমারোহে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৪১৩ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

খানাকুলের হেলান রামকৃষ্ণ শিশু বিতানের রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত হল মহাসমারোহে। গত ২৭ ডিসেম্বর এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রজত জয়ন্তী উৎসব শুরু হয়। জমজমাট তিন দিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনেরা।

প্রসঙ্গত, বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকলকে নজর কেড়েছে। বৈদিক শান্তি মন্ত্র পাঠ ও প্রার্থনা সহকারে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর শোভাযাত্রা ও পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্মারক পত্রিকা প্রকাশ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আলাদা মাত্রা এনে দেয়। উল্লেখ্য, এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডি আই জি, আই পি এস ) ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুখেন্দু হীরা। তিনি শিশু বিকাশে মায়েদের ও স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। শিশুদের সঠিক পথে চালিত করার আটটি পথ দেখান। স্কুলের সার্বিক সাফল্য কামনা করে ঠাকুর ও মায়ের আর্শীবাদ প্রার্থনা করেন।

দ্বিতীয় দিনের মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃত বিবেকানন্দ মিশন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ড. সুনীতা বর্মন। তিনি উপনিষদ ও কথামৃত থেকে উল্লেখযোগ্য বাণী তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীদের বড়ো হবার মন্ত্র শেখান। আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক দেবাশিস শেঠ এই শিশু বিতানের উত্থাপনের কাহিনী শোনান। ধীরে ধীরে এই শিশু বিতান ২৫ বছরে অনেকটাই স্বাবলম্বী। এজন্য তিনি ধন্যবাদ জানান, এখানকার শিক্ষক- শিক্ষিকা ও কর্মীদের। সেই সঙ্গে অকৃপণ সহায়তার জন্য হেলান শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরামবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুপ্রভাত চ্যাটার্জি ও বিশিষ্টজনরা।

উল্লেখ করা যেতে পারে, তিন দিনের মনোরম পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকলকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে নদীয়ার পুতুল নাচ, যোগব্যায়াম প্রদর্শন, ম্যাজিক শো, ছাত্রছাত্রীদের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনার ফসলের প্রদর্শনী ও নাটক সকলের হৃদয়গ্ৰাহী হয়।

প্রসঙ্গত, রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব উপলক্ষে স্মরণিকায় বেলুড় মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ ভক্ত ও ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এক মহতী বার্তা দেন। বার্তায় তিনি বলেন, কেবল পুঁথিগত শিক্ষাই মানুষ তৈরি করে না, মূল্যবোধের শিক্ষাই প্রকৃত মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়। আশা করি, শিশু বিতানে পাঠ্যপুস্তক পঠন পাঠনের সাথে সাথে নৈতিক মূল্যবোধেরও শিক্ষা দেওয়া হবে। যার দ্বারা ছাত্রছাত্রীদের জীবনে শিক্ষার পরিপূর্ণতা পরিলক্ষিত হবে। তখনই শিশু বিতান প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আক্ষরিক অর্থে হয়ে উঠবে শ্রীসারদা-সরস্বতীর মন্দির স্বরূপ। কামারপুকুর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দ মহারাজ লিখিত বার্তায় জানান, উদ্ভিদ আলোর পথে গমনশীল, আলো ছাড়া তার অস্তিত্ব ভাবা যায় না।এই আলোর স্বাদ যে একবার পেয়েছে সে তার বিপরীতে আর সহজে যাবে না। শিক্ষা হল আমাদের কাছে আলোস্বরূপ।

এদিকে হেলান শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সভাপতি বলাই কুমার খাঁ ও সম্পাদক চন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব সাফল্যের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব কমিটির সভাপতি শান্তনু পুরকাইত ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার পাল জানান, এলাকার মানুষ ও অভিভাবকদের সহযোগিতা এবং বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের ঐকান্তিক ভালোবাসা, সেই সঙ্গে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজকের এই স্কুল রজত জয়ন্তী বর্ষে মন্দিরের রূপ ধারণ করেছে। এজন্য সকলকে কুর্নিশ জানাতেই হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

2 responses to “হেলান রামকৃষ্ণ শিশু বিতানের রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত হল মহাসমারোহে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়”

  1. পল্লবী দে says:

    তিনদিনের এই অনুষ্ঠান সত্যি খুব সুন্দর হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে খুবই আনন্দিত হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষিকারা এই অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ জন্য ছাত্রছাত্রীদের এত সুন্দর করে তৈরি করেছেন যা বলার ভাষা রাখে না। আশা রাখব ভবিষ্যতে এই রকম সুন্দর অনুষ্ঠান আমরা আবার দেখতে পাব।।

  2. দেবব্রত দত্ত says:

    পরপর তিনদিন ধরে চলা হেলান রামকৃষ্ণ শিশুবিতানের রজতজয়ন্তী বর্ষপূর্তি উৎসবে ছিল এক চরম মাত্রার উন্মদনা। এতো ভালোমাত্রার কালচারাল প্রোগ্রাম এর আগে কোনো স্কুলে হয়েছে বলে মনে হয় না। একটা কম্প্যাক্ট উৎসব। কোথাও খামতি চোখে পড়েনি। সর্বোপরি কচিকাঁচারা তিনদিন ধরে যা পারফর্ম করলো তা কোনোদিন ভুলবার নয়। সবটাই সম্ভব হয়েছে স্কুলের টিচারদের জন্যই। সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে দুপুরের মধ্যহ্ন ভোজন ব্যবস্থাটি। ছাত্র ছাত্রী সহ অগুনতি অভিভাবক ও অতিথি, অথচ কী দারুণ ডিসিপ্লিন!! দুই রাতের দুটি অভিনব নাটক দ্বারা সহজেই প্রমান পাওয়া যায়, এই স্কুল শিক্ষার পাশাপাশি এক্সট্রা ক্যারিক্যুলাম এক্টিভিটিসকেও কতটা যত্ন নিয়ে লালন করেন।
    ২৫ বছর ধরে এই শিক্ষালয় যে ধীরে ধীরে সুবিশাল এক মহীরূহ হয়ে হাজার হাজার কচি মনকে জীবনের উতুঙ্গ ধাপে অবতরণ করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি সর্বদা এই শিশুবিতানের সাথে আছি। শিক্ষকদের পাশে আছি।
    সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করি।

    দেবব্রত দত্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন