বৃহস্পতিবার | ৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১:২৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত নিজের আংশিক বর্ণান্ধতা নিয়ে কবিগুরুর স্বীকারোক্তি : অসিত দাস ঝকঝকে ও মজবুত দাঁতের জন্য ভিটামিন : ডা. পিয়ালী ব্যানার্জী সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা : লুৎফর রহমান রিটন সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম বসন্ত চৌধুরী : রিঙ্কি সামন্ত আংশিক বর্ণান্ধতাজনিত হীনম্মন্যতাই রবীন্দ্রনাথের স্কুল ছাড়ার কারণ : অসিত দাস পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী : তপন মল্লিক চৌধুরী সাত্যকি হালদার-এর ছোটগল্প ‘ডেলিভারি বয়’ নব নব রূপে এস প্রাণে : মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য ভারতের সংবিধান লেখার সেই ঝর্না কলমটা… : দিলীপ মজুমদার গীতা রাজনৈতিক অস্ত্র নয়, ভারতাত্মার মর্মকথা : সন্দীপন বিশ্বাস সিন্ধুসভ্যতা ও সুমেরীয় সভ্যতায় কস্তুরীর ভূমিকা : অসিত দাস রবি ঠাকুর ও তাঁর জ্যোতিদাদা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী তরল সোনা খ্যাত আগর-আতর অগুরু : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সাদা-কালো রীল’ গঙ্গার জন্য লড়াই, স্বার্থান্বেষীদের ক্রোধের শিকার সাধুরা : দিলীপ মজুমদার সিন্ধুসভ্যতার প্রধান মহার্ঘ রপ্তানিদ্রব্য কস্তুরী : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক করিডোর : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন রামকৃষ্ণ মিশন মানে ধর্মকর্ম নয়, কর্মই যাঁদের ধর্ম তাঁরাই যোগ্য : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সিংহবাহিনী মন্দির, নবগ্রাম (ঘাটাল) : কমল ব্যানার্জী পরিবেশ মেলা ২০২৫ : ড. দীপাঞ্জন দে মন্দির-রাজনীতি মন্দির-অর্থনীতি : দিলীপ মজুমদার স্বাধীনতা-সংগ্রামী মোহনকালী বিশ্বাস স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে অক্ষয়তৃতীয়া, নাকি দিদিতৃতীয়া : অসিত দাস আরএসএস-বিজেপি, ধর্মের তাস ও মমতার তৃণমূল : দিলীপ মজুমদার সাবিত্রি রায় — ভুলে যাওয়া তারার খোঁজে… : স্বর্ণাভা কাঁড়ার ছ’দশক পর সিন্ধু চুক্তি স্থগিত বা সাময়িক অকার্যকর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন : তপন মল্লিক চৌধুরী বিস্মৃতপ্রায় বঙ্গের এক গণিতবিদ : রিঙ্কি সামন্ত অসুখবেলার পাণ্ডুলিপি : পুরুষোত্তম সিংহ বাবু-ইংরেজি আর সাহেবি বাংলা : মাহবুব আলম
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার : দীপাঞ্জন দে

দীপাঞ্জন দে / ৭০৭ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সাহিত্যিক সুধীর চক্রবর্তী ছিলেন কৃষ্ণনগরের ভূমিপুত্র। বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন। ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর সাতাশি বছর বয়সে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। তিনি আমৃত্যু নদিয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরে সপরিবার বসবাস করেছেন এবং বাংলা ভাষায় সাহিত্যচর্চায় নিজের কৃতি প্রদর্শন করেছেন। শুধু একটি শহর বা একটি জেলার নয়, তিনি সমগ্র বাংলার গৌরব। সুধীর চক্রবর্তীর প্রয়াণের পর তাঁর নিজের শহর কৃষ্ণনগরে ‘সুধীর চক্রবর্তী’ নামাঙ্কিত একটি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এর মূল উদ্যোক্তা কৃষ্ণনগরের প্রকাশনা সংস্থা ‘মুদ্রা’। প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনে অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ গ্রন্থকে নির্বাচিত করে ‘সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়। ২০২৪ সালেও এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

সুধীর চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৩৪ সালে হাওড়ার শিবপুরে। জাপানি বোমা পড়ার আশঙ্কায় পিতা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী ও মা বীণাপাণি দেবীর সঙ্গে ভদ্রাসন নদিয়ার দিগনগর গ্রামে আগমন। সেখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিলে এবং সন্তানদের পড়াশোনার কথা ভেবে রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী কৃষ্ণনগরের ধোপাপাড়ায় বাড়ি কিনে সপরিবার চলে আসেন। তারপর থেকে কৃষ্ণনগরেই সুধীর চক্রবর্তীর পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠা। কৃষ্ণনগর কলেজ ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাভাষা ও সাহিত্যে তাঁর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। অধ্যাপনার সূচনা কলকাতায় বড়িশা বিবেকানন্দ কলেজে। এরপর কৃষ্ণনগর কলেজে ও চন্দননগর কলেজে, পরে আবার কৃষ্ণনগর কলেজে অধ্যাপনার পর্ব শেষ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অতিথি অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৫৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বিভিন্ন কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত অধ্যাপক ও কলকাতার রবীন্দ্রনাথ টেগোর সেন্টার ফর হিউম্যান ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ-এর ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। সংগীতচিন্তা এবং লোকায়ত সমাজজীবন তাঁর অন্যতম উৎসাহভূমি। ‘অজ্ঞাত গীতিকার কুবির গোঁসাই’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচ.ডি. উপাধি পান। সাহেবধনী, বলাহাড়ি সম্প্রদায় এবং তাদের গান বিষয়ে তাঁর গবেষণা, লোকসংস্কৃতি-গবেষণায় ভিন্নতর পথ-নির্দেশক। তাঁর মৌলিক ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় একশো। ‘গানের লীলার সেই কিনারে’, ‘গভীর নির্জন পথে’, ‘ব্রাত্য লোকায়ত লালন’, ‘চালচিত্রের চিত্রলেখা’, ‘বাউলফকির কথা’, ‘এলেম নতুন দেশে’, ‘নির্জন এককের গান রবীন্দ্রসঙ্গীত’, ‘কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প ও মৃৎশিল্পী সমাজ’-সহ বহু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের স্রষ্টা তিনি।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন সরোজিনী বসু স্বর্ণপদক ও এমিনেন্ট টিচার খেতাব। সাহিত্য অকাদেমি সম্মান, আনন্দ পুরস্কার, আচার্য সুকুমার সেন স্বর্ণপদক, বিদ্যাসাগর পুরস্কার, নরসিংহ দাস পুরস্কার-সহ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত। মননশীল গবেষণা ও স্বতন্ত্ররীতির গদ্যরচনার পাশাপাশি লিখেছেন নানা রকমের আখ্যান, যেগুলি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সম্পদ। বাংলার প্রথম সারির সকল পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত তাঁর বহু প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। একযুগ ধরে সম্পাদনা করেছেন বার্ষিক সংকলন ‘ধ্রুবপদ’ (১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত)। বাগ্মী হিসেবেও তিনি অতুলনীয়। বাংলা গান, সাহিত্য, লোকসংস্কৃতি, অবতলের মানুষদের নিয়ে তাঁর সুগভীর অথচ সাবলীল আলোচনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে বারংবার। বিরল-প্রতিভাধর ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বা সুধীর চক্রবর্তীর পরিচিত খ্যাতনামা মানুষদের সম্পর্কে তাঁর স্মৃতিচারণগুলি শোনার অভিজ্ঞতা যেকোনো শ্রোতার কাছেই এক দুর্মূল্য অর্জন।

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে ‘সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’-এর আয়োজন করা হয়। মুদ্রা সাহিত্যপত্রিকা ও তারকনাথ সরকার মেমোরিয়াল ট্রাস্ট-এর উদ্যোগে এবং কৃষ্ণনগর সেন্ট্রাল ক্লাবের সহযোগিতায় এই সাহিত্য বাসরের আয়োজন করা হয়েছিল। সন্ধে সাড়ে পাঁচটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের সূচনায় স্বাগত ভাষণ রাখেন মুদ্রা সাহিত্যপত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশনার কর্ণধার শৈবাল সরকার। এরপর উদ্বোধন সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রত্নদীপ দাস। এদিনের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক অনিতা অগ্নিহোত্রী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাহিত্যিক তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধন সংগীতের পর প্রধান অতিথি এবং পুরস্কার প্রাপকদের মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয়। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগ্রাহক ও লেখক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। এদিন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাহিত্যিক সুধীর চক্রবর্তীর জন্মদিনে তাঁর বক্তৃতামালা সম্বলিত একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘মুক্তধারা’-র আলোচনাসত্রে সুধীর চক্রবর্তী ধারাবাহিকভাবে এগারোটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেগুলির মধ্যে থেকে আটটি বক্তৃতাকে লিখিত রূপ দিয়ে ‘সুধীর চক্রবর্তী মুক্তধারা ভাষণমালা’ শীর্ষক গ্রন্থটি নির্মাণ করা হয়। গ্রন্থের প্রকাশক মুদ্রা। ‘সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’-এর মঞ্চে সাহিত্যিক অনিতা অগ্নিহোত্রীর হাত দিয়ে এদিন গ্রন্থটির আবরণ উন্মোচন করা হয়। সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রকাশক শৈবাল সরকার এবং ‘মুক্তধারা’-র পক্ষ থেকে ছিলেন সম্পদনারায়ণ ধর, রামকৃষ্ণ দে, তপনকুমার ভট্টাচার্য ও দীপাঞ্জন দে। সভাকক্ষে মুক্তধারা সাংস্কৃতিক সংস্থার একাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। ‘মুক্তধারা’-র অন্যতম আহ্বায়ক সম্পদনারায়ণ ধর গ্রন্থটির বিষয় সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন এবং তাদের সংস্থার পক্ষ থেকে সুধীর চক্রবর্তীকে নিয়ে এহেন গ্রন্থ নির্মাণের পশ্চাতে অন্তর্নিহিত ভাবনার বিষয়টি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। ‘সুধীর চক্রবর্তী মুক্তধারা ভাষণমালা’ গ্রন্থটিতে যে আটটি ভাষণ মুদ্রিত হয়েছে, সেগুলি হলো— রবীন্দ্র-বিচারের অভিমুখ, শরীর, রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধিজি, জীবনধারণ জীবনযাপন জীবনবিকাশ, মানুষের বিকাশে জনপদের ভূমিকা, রবীন্দ্রনাথের জীবনগান, অবতলের কয়েকজন মানুষ এবং আমার চেনা দুজন আশ্চর্য মানুষ। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন— সম্পদনারায়ণ ধর, রামকৃষ্ণ দে এবং দীপাঞ্জন দে।

এদিন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুদ্রা প্রকাশনার আরো দুটি বই প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে একটি হলো লেখক জয় মজুমদারের ‘আড্ডা দিতে দিতে’ এবং অন্যটি হলো লেখক দেবকুমার সোমের ‘আখ্যানে মঙ্গল-কথা’। গ্রন্থ দুটির আবরণ উন্মোচন করেন অনিতা অগ্নিহোত্রী এবং দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। গ্রন্থপ্রকাশ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলে এদিনের মূল আকর্ষণ অর্থাৎ ‘সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’-এর ঘোষণা করা হয়। এ বছর যে গ্রন্থটিকে সুধীর চক্রবর্তীর স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়, সেটি হলো— ‘চাঁদোয়া: শিল্প শিল্পী ইতিহাস’ (প্রকাশক: বীরুৎজাতীয় সাহিত্য সম্মিলনী)। বিচারকমণ্ডলী কর্তৃক প্রাচীন ভারতীয় শিল্পকলার একটি ঐতিহ্যবাহী ধারা ‘চাঁদোয়া’ নিয়ে রচিত এই গ্রন্থটিকে এই বছর পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। গ্রন্থের লেখক দীপঙ্কর পাড়ুইয়ের হাতে এদিন মানপত্র, পুরস্কার-স্মারক এবং পুরস্কার-মূল্য ষোলো হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার গ্রহণের পর গ্রন্থের লেখক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। গ্রন্থের বিষয়টির প্রতি তিনি প্রথম কীভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন সেকথা সকলকে জানান এবং গ্রন্থটির নির্মাণ প্রসঙ্গে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন। গ্রন্থটির প্রকাশক এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরও তিনি ধন্যবাদ জানান। এছাড়া এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ‘মুদ্রা বিশেষ গ্রন্থ সম্মান ২০২৪’ দেওয়া হয় তিনটি গ্রন্থকে। গ্রন্থ তিনটি হলো— ‘তারই কিছু রং’ (প্রকাশক: ধানসিঁড়ি, লেখক জয়দীপ ঘোষ), ‘বিজ্ঞাপনে বাঙালি’ (প্রকাশক: খসড়া খাতা, লেখক যশোধরা গুপ্ত) এবং ‘কথান্তরিকা কিংবা কাটাজিভের ব্যা’ (প্রকাশক: তৃতীয় পরিসর, লেখক অনির্বাণ ভট্টাচার্য)। তিন জন লেখকের হাতে এইদিন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে পুরস্কার-স্মারক, মানপত্র ও পুরস্কার-মূল্য তুলে দেওয়া হয়। প্রধান অতিথি সাহিত্যিক অনিতা অগ্নিহোত্রী ও দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে পুরস্কারগুলি তুলে দেওয়া হয়। এরপর তিনটি পুরস্কৃত গ্রন্থের লেখকেরা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নিজেদের গ্রন্থের বিশেষত্ব সকলের সামনে উপস্থাপন করেন।

‘সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ২০২৪’-এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ছিল ‘জন্ম শতবর্ষে স্মরণ সুচিত্রা কণিকা’। রবীন্দ্রসঙ্গীতের দুজন কিংবদন্তী শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুচিত্রা মিত্রকে তাঁদের গাওয়া গানগুলি পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে এদিন সন্ধ্যায় শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানের এই পর্বটির নাম দেওয়া হয়েছিল— ‘আজি এ আনন্দসন্ধ্যা’। এতে অংশগ্রহণ করেছিলেন সংগীতশিল্পী স্বপন সোম, দেবারতি সোম, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় ও ঋতপা ভট্টাচার্য। যন্ত্রসংগীতে তাদের সহযোগিতা করেন সৌগত দাস, সব্যসাচী দত্ত, অসিত ঘোষ ও দিলীপ বীরবংশী। এদিন সভাকক্ষে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সকলে মন দিয়ে সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এই সংগীতানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ‘সুধীর চক্রবর্তী স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’-এর পরিসমাপ্তি ঘটে।

লেখক : সম্পাদক, ‘সুধীর চক্রবর্তী মুক্তধারা ভাষণমালা’, মুদ্রা প্রকাশনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন