বৃহস্পতিবার | ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (চতুর্থ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী : সন্দীপন বিশ্বাস সাজানো বাগান, প্রায় পঞ্চাশ : অমর মিত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (তৃতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (একাদশ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের : তপন মল্লিক চৌধুরী মিয়ানমারের সীমান্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (দ্বিতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (দশম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বুদ্ধদেব গুহ-র ছোটগল্প ‘পহেলি পেয়ার’ ‘দক্ষিণী’ সংবর্ধনা জানাল সাইকেলদাদা ক্যানসারজয়ীকে : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (প্রথম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (নবম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘তোমার নাম’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (অষ্টম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘হাওয়া-বদল’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার প্রবোধিনী একাদশী ও হলদিয়ায় ইসকন মন্দির : রিঙ্কি সামন্ত সেনিয়া-মাইহার ঘরানার শুদ্ধতম প্রতিনিধি অন্নপূর্ণা খাঁ : আবদুশ শাকুর নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘শুভ লাভ’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা, পরিবেশ অপরিচ্ছন্নতা ও বিষাক্ত সাপ থেকে সাবধান : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ১৬০ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০২৪

রাজ্যে বেশ কিছু জায়গায় দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সুস্থ থাকতে হলে সতর্কতা জরুরি। রাজ্য সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। তা নাহলে সমূহ বিপদ। এই সময় বন্যার জল যে সমস্ত এলাকায় প্রবেশ করেছে, সেখানকার বাসিন্দাদের পানীয় জলের উপর জোর দিতে হবে, সেইসঙ্গে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বিষধর সাপের দংশন থেকে রক্ষা পেতে হলে সতর্কতা জরুরি।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বৃষ্টিতে ডিভিসি, মাইথন, পাঞ্চেত ও তেনুঘাট থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। আর তাতেই বন্যায় আক্রান্ত বেশ কয়েকটি জেলার বাসিন্দারা। চিন্তিত প্রশাসন।

উল্লেখ্য, আমাদের রাজ্যে প্রায় প্রতি বছরই কোনো না কোনো জেলায় বন্যা হয়েই থাকে। নদী-বাঁধে ভাঙ্গন, নদী বা সুমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস বা অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন হওয়ার ফলে বন্যা দেখা দেয়। এই সময় বহু মানুষকে ঘর বাড়ি ছেড়ে কোনো শিবিরে বা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়। অনেক লোক একসঙ্গে অল্প জায়গার মধ্যে থাকতে বাধ্য হয়। যারা বাড়িতে থেকে যেতে পারেন, তাদেরও দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বন্যায় যেমন মানুষের আকস্মিক প্রাণহানি হতে পারে, তেমনই জলের ব্যাপক দূষণ, উপযুক্ত খাদ্যের অভাব, বিপর্যস্ত শৌচ বাবস্থা, অপরিছন্ন পরিবেশ, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং সর্প দংশনের ভয়াবহ চিত্র দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সংক্রামক রোগেরও আশঙ্কা দেখা দেয়। যেমন ডায়ারিয়া, কলেরা হেপাটাইটিস (জন্ডিস), টাইফয়েড ইত্যাদি।

উপকূল বা বন্যাপ্রবণ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের আসন্ন বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তারজন্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জানা, বোঝা ও মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার কারণে স্থান ত্যাগ করার নির্দেশিকা জারি হলে দ্রুত তা পালন করুন এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন। এই বিষয়ে অযথা দ্বিধা বা দেরি করবেন না। আশ্রয়স্থলে যেখানে মানুষ থাকবেন, সেখান থেকে গৃহপালিত পশুদের যথা সম্ভব দূরে রাখুন। প্রয়োজনে গৃহপালিত পশুদের আশ্রয়ের জন্যে আলাদা ব্যাবস্থা গড়ে তুলুন। বন্যার সময় কুয়ো, টিউবওয়েল ইত্যাদি জলে ডুবে যায়; পুকুরের জলও দূষিত হয়ে পড়ে। ফলে নিরাপদ পানীয় জল পাওয়া মুস্কিল হয়ে পড়ে। এর জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি কার্যকর করা উচিৎ।

(ক) পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিউবওয়েল গুলিকে পাইপ জুড়ে উঁচু করার ব্যবস্থা করুন। তারপর সেটিকে শোধন করিয়ে নিন। বন্যাপ্রবণ এলাকার টিউব ওয়েল গুলিকে বন্যার আগে থেকেই এইভাবে উঁচু করে নেওয়া সবথেকে ভাল।

(খ) যদি প্যাকেটের জল সরবরাহ করা হয়, তবে সেই জল পান করুন।

(গ) যদি বন্যার ফলে দূষিত টিউবওয়েল, কুয়ো বা পুকুরের জলই পান করতে বাধ্য হন, তবে তা ফুটিয়ে নেওয়াই সব থেকে ভাল। (ফুটতে শুরু করা থেকে আরও দশ মিনিট আঁচে রাখতে হবে।) তা’ সম্ভব না হলে সংগ্রহ করা জল হ্যালোজেন বড়ি অথবা ক্লোরিন দ্রবণ দিয়ে শোধন করে নিন। হ্যালোজেন বড়ি প্রতি লিটার জলে একটি, আধ ঘণ্টা রেখে তারপর জল পান করা যাবে। ক্লোরিন দ্রবণ তৈরি করতে এক লিটার (চার গ্লাস) পরিস্কার জলে, চা চামচের সমান করে ছয় চামচ ব্লিচিং পাউডার মেশান। মিশ্রণের ওপর দিকের পরিস্কার জল কাঁচ বা প্লাস্টিকের পাত্রে বন্ধ করে রাখুন। তবে ঘন বাদামী বা ওইরকম গাঢ় রং-এর পাত্রে ভরে ছায়ায় রাখা বাঞ্ছনীয়; তাহলে অন্তত এক সপ্তাহ এই দ্রবণ কার্যকরী থাকে।

জলের পাত্রে ক্লোরিন দ্রবণ লিটার পিছু তিন-চার ফোঁটা দিন। আধ ঘণ্টা রেখে তারপর জলপান করুন।জল যদি ঘোলা হয়, তাহলে, শোধন করার আগে ছেঁকে নিন। ছাঁকার জন্যে পরিস্কার সুতির কাপড় ভাঁজ করে ব্যবহার করুন। ছাঁকার আগে জলে ফটকিরি মেশালে জল আরও পরিস্কার হবে। কেবল খাওয়ার জন্যেই নয়, বাসনপত্র ধোওয়া বা রান্নার কাজেও দূষণমুক্ত জল ব্যবহার করুন। অন্যথায় বাসন মাজার পর ক্লোরিন দ্রবণ (পাঁচ লিটার পরিস্কার জলে চা চামচের সমান করে ছয় চামচ ব্লিচিং পাউডার) দিয়ে শোধন করে নিন। বন্যার জল সরে গেলে পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিউবওয়েল গুলিকে শোধন করিয়ে নিন।

(১) টিউবওয়েলের হ্যান্ডেল এবং বাকেটের অংশগুলি খুলে নিচের সীট ভাল্বটি সরিয়ে নিতে হবে। তারপর এক দেশলাইবাক্স পরিমান ভাল মানের ব্লিচিং পাউডার জলে গুলে নীচের চুন অংশটি বাদ দিয়ে বাকিটুকু পাইপের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। বাকেট পিস্টন ইত্যাদিকে এইরকম ব্লিচিং জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। বারো ঘন্টা রাখার পর কিছুটা জল পাম্প করে বার করে দেবেন। তারপর টিউবওয়েলটি ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠবে।

(২) কুয়ো শোধন করার জন্যে এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

(৩) শোধন করা টিউবওয়েল ও কুয়োর কাছে সবুজ কাপড় বা ওই ধরনের কোন নিশান উঁচুতে ঝুলিয়ে দিন। শিবির বা আশ্রয়স্থলে, যেখানে সেখানে পায়খানা বা প্রস্রাব করবেন না। করলে সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। শিবিরের পায়খানা ঘরগুলি পরিস্কার ও দূষণমুক্ত রাখার জন্যে চুন (৯ ভাগ) ও ব্লিচিং পাউডারের (১ ভাগ) মিশ্রণ ছড়ান। যদি পায়খানা না থাকে তাহলে, মাটিতে গর্ত করে অস্থায়ী পায়খানা বানাতে হবে। গর্তটি আকারে লম্বা ১.৫ ফুট, চওড়া ১ ফুট, এবং ৩ থেকে ৫ ফুট গভীর হবে। তবে গর্তটি জলের উৎস থেকে যথাসম্ভব দূরে (৩০ থেকে ৫০ ফুট) হওয়া উচিত। এছাড়া খোঁড়া মাটি গর্তের কাছাকাছি রাখবেন। প্রত্যেকবার পায়খানার পর কিছু মাটি এবং ব্লিচিং পাউডার (যদি পাওয়া যায়) মলের ওপর চাপা দিয়ে দেবেন। জলশৌচের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। রান্না বা খাওয়ার আগে এবং শিশুকে খাওয়ানোর আগেও সর্বদা সাবান্ দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ঘরের চারপাশ এবং আশ্রয়স্থল যথাসম্ভব পরিস্কার রাখুন। যত্রতত্র ময়লা বা আবর্জনা ফেলবেন না। শিশুর মল ও পায়খানায় ফেলবেন। পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির জামাকাপড় পুকুর/ কুয়ো/ জলের কল থেকে অবশ্যই দূরে নিয়ে গিয়ে কাচবেন।

যদি ৬ মাসের কম বয়সের শিশুর ডায়ারিয়া হয় এবং সে কেবল বুকের দুধ খায়, তবে তাকে বারবার বুকের দুধ দিন। এবং মাঝে মাঝে ও. আর. এস. দিন। শিশুর বয়স যদি ছয় মাসের বেশি হয় বা সে দুধ ছাড়া অন্যান্য খাবার খেতে শুরু করে থাকে তবে তাকে ঘরে পাওয়া যায় এমন তরল খাবার দিন। যেমন, নুন মিশিয়ে ভাতের ফ্যান, ডালের জল, ঘোল, ডাবের জল, ফলের রস ইত্যাদি। স্বাস্থ্যকর্মী বা আশাদিদির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওআরএস-এর প্যাকেট জোগাড় করুন। তরল খাবার এবং ওআরএস বারবার দিন। বড়রা ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হলে জলশূন্যতা প্রতিরোধের জন্য তরল খাবার এবং ওআরএস বারবার খাবেন। ডায়ারিয়া দেখা দিলে শুরু থেকেই তরল খাবার দিতে থাকুন। দেরী করবেন না, তাহালে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। ওআরএস-এর প্যাকেট থেকে কিছু কিছু করে পাউডার নিয়ে গ্লাসে ঢালবেন না। প্যাকেটের পুরো পাউডার একসাথে এক লিটার জলে মিশিয়ে নিয়ে তারপর তার থেকে ঢেলে ঢেলে খাওয়াবেন। ওআরএস-এর দ্রবণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবহার করবেন। ২৪ ঘণ্টার বেশী হয়ে গেলে উদ্‌বৃত্ত অংশ ব্যবহার না করে ফেলে দেবেন। ডায়ারিয়া দেখা দিলে শিশুর খাওয়া বন্ধ করবেন না। কারণ আন্ত্রিক রোগে শরীরে খাদ্য শোষণ করার ক্ষমতা নষ্ট হয় না। তাই সহজে হজম হয় এমন খাবার অল্প অল্প করে বারেবারে দিন।

যেমন গলা ভাত, মাছ বা সব্জির পাতলা ঝোল, পাতলা ডাল, শুকনো মুড়ি, বিস্কুট ইত্যাদি। ডায়ারিয়া আক্রান্ত শিশুদের জিঙ্কের বড়ি খাওয়ান। ২ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্যে এই বড়ি সাব সেন্টার থেকে পাবেন। ২ মাস থেকে ৬ মাস বয়সী শিশুদের জন্যে অর্ধেক করে প্রতিদিন টানা ১৪ দিন এবং ৬ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের জন্যে একটি করে প্রতিদিন টানা ১৪ দিন খাওয়াতে হবে। যে কোনও মল এমনকি শিশুর মলও যেখানে-সেখানে ফেলবেন না। মল সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলুন বা মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলুন। মানুষের চলাফেরার জায়গা এবং জলের উৎস, যেমন পুকুর, কুয়ো, টিউবওয়েল ইত্যাদি থেকে নিরাপদ দূরত্বে রোগীর জামাকাপড় কাচুন। পায়খানা পরিষ্কারের পরে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নেবেন। ডায়ারিয়া আক্রান্ত শিশুর যদি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনও একটি দেখা দেয়, তাহলে তাকে অবিলম্বে মেডিকাল অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে। শিশু জল খেতে পারছে না বা বেহুঁশ হয়ে পড়ছে। শিশু অযথা ছটফট করছে বা বিরক্তি ভাব দেখাচ্ছে। খুব তেষ্টা বা জল টেনে নিয়ে খাচ্ছে, বার বার বমি, পায়খানাতে রক্ত , প্রবল জ্বর বা শ্বাস কষ্ট, বড়দের ক্ষেত্রে যদি জলের মত পায়খানা হতে থাকে, প্রবল বমি যদি বন্ধ না হয়, পায়খানাতে রক্ত দেখা যায়, জলশূন্যতা তৈরি হয়ে থাকে তাহলে অবিলম্বে মেডিক্যাল টিম বা মেডিক্যাল ক্যাম্পের সাহায্য নিন।

বন্যায় অযথা ভয় পাবেন না। সাবধানে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে সতর্কতা জরুরি। প্রশাসন সবসময় আপনার পাশে আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন