বুধবার | ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:১৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
রাঁধুনীর বিস্ময় উন্মোচন — উপকারীতার জগৎ-সহ বাঙালির সম্পূর্ণ মশলা : রিঙ্কি সামন্ত রামনবমীর দোল : অসিত দাস মহারাষ্ট্রে নববর্ষের সূচনা ‘গুড়ি পড়বা’ : রিঙ্কি সামন্ত আরামবাগে ঘরের মেয়ে দুর্গাকে আরাধনার মধ্য দিয়ে দিঘীর মেলায় সম্প্রীতির মেলবন্ধন : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘বিজ্ঞান অন্বেষক’ পত্রিকার ২২তম বর্ষ উদযাপন : ড. দীপাঞ্জন দে হিন্দিতে টালা মানে ‘অর্ধেক’, কলকাতার টালা ছিল আধাশহর : অসিত দাস আত্মশুদ্ধির একটি বিশেষ দিন চৈত্র অমাবস্যা : রিঙ্কি সামন্ত চাপড়া বাঙ্গালঝি মহাবিদ্যালয় : ড. দীপাঞ্জন দে রায়গঞ্জে অনুষ্ঠিত হল জৈব কৃষি বিপণন হাট অশোকবৃক্ষ, কালিদাসের কুমারসম্ভব থেকে অমর মিত্রর ধ্রুবপুত্র : অসিত দাস কৌতুকে হাসতে না পারলে কামড় তো লাগবেই : তপন মল্লিক চৌধুরী জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর ও রোহিঙ্গা সংকটে অগ্রগতি : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন এথেন্সের অ্যাগনোডাইস — ইতিহাসের প্রথম মহিলা চিকিৎসক : রিঙ্কি সামন্ত সন্‌জীদা খাতুন — আমার শিক্ষক : ড. মিল্টন বিশ্বাস হিমঘরগুলিতে রেকর্ড পরিমাণ আলু মজুত, সস্তা হতে পারে বাজার দর : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় শিশুশিক্ষা : তারাপদ রায় জঙ্গলমহল জৈন ধর্মের এক লুপ্তভুমি : সসীমকুমার বাড়ৈ ওড়িশা-আসাম-ত্রিপুরার অশোকাষ্টমীর সঙ্গে দোলের সম্পর্ক : অসিত দাস পাপমোচনী একাদশী ব্রতমাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত ভগত সিংহের জেল নোটবুকের গল্প : কল্পনা পান্ডে নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘অমৃতসরী জায়কা’ মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা একের পর এক কয়েদি, এক বছরে ১৯৬ শিশুর জন্ম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘শোলে’র পঞ্চাশ বছর : সন্দীপন বিশ্বাস বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ইতিহাস পালটাতে চায় : তপন মল্লিক চৌধুরী অশোক সম্পর্কে দু-চারটে কথা যা আমি জানি : অসিত দাস চৈত্রের শুরুতেই শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে শুরু হলো সন্ন্যাস মেলা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বাঙালি পরিচালকের প্রথম নির্বাক লাভ স্টোরি : রিঙ্কি সামন্ত গোপিনী সমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলি ও ধ্যানী অশোকবৃক্ষ : অসিত দাস শেখাওয়াটির হোলী-হাভেলী : নন্দিনী অধিকারী সংস্কৃত সাহিত্যে অশোকবৃক্ষ যখন দোহলী : অসিত দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ দোলপূর্ণিমা ও হোলি ও বসন্ত উৎসবের  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

গাইনোকলজি ও গাইনি-ক্যান্সারে রোবোটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারীর ভূমিকা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৮৫৪ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ১ মে, ২০২৪

চিকিৎসা বিজ্ঞানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ধারাবাহিকভাবে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন ডা. রূপশ্রী দাশগুপ্ত। সি.এম.সি. ভেলোরের কৃতী ছাত্রী, অ্যাপোলো চেন্নাই হাসপাতালের প্রাক্তনী, বর্তমানে কলকাতা অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মরত ডা. রূপশ্রী দাশগুপ্ত মহিলাদের স্বাস্থ্যের প্রতি নিবেদিত, সামগ্ৰিকভাবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ও রোগির যত্নের উন্নতির জন্য নতুন প্রযুক্তি রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারীর মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতির যুগান্তরকারী পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছেন। তাই তিনি অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, কলকাতায় ল্যাপারোস্কোপিক এবং রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারী সাফল্যের সাথে করে চলেছেন। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য রোগিদের আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়া ও রোগীদের প্রতি যত্নবান হওয়া। আর এটাই তাঁর সকল আনন্দের উৎস।

রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারি আসলে কী?

রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারি হল একটি রোবোটের সাথে সংযুক্ত চারটি হাতের খুব ছোট সরঞ্জাম ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করার একটি পদ্ধতি। সার্জন সম্পূর্ণভাবে রোবট তথা রোবটিক হাতগুলি নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি তার গতিবিধি নির্দেশ করেন। ছোট অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম রোবটের বাহুতে সংযুক্ত করা হয়। ওপেন সার্জারী বা ল্যাপরোস্কোপির চেয়ে ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়। এই ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যে ছোট, সুনির্দিষ্ট নড়াচড়া সম্ভব, রোবোটিক বাহুগুলি ৩৬০° ঘুরতে পারে, তা এটিকে সাধারন অস্ত্রোপচারের কৌশলগুলির তুলনায় অনেক বেশী সুবিধা এনে দেয়।

উল্লেখ্য, অ্যাপোলো ইনস্টিটিউট অফ রোবটিক সার্জারি ভারতে রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারির জন্য সেরা হাসপাতাল বিবেচিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মানুষের হাত ও চোখের উপর ভরসা করে অস্ত্রোপচার হওয়াটাই একসময় দস্তুর হয়ে উঠেছিল। তারপর বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অপারেশনের বেদনা, রক্তপাত কমাতে ও অস্ত্রোপচারকে আরও নিখুঁত করে তুলতে ল্যাপারোস্কপির উপর ভরসা করা শুরু হয়। তারও পরে একটা সময় ল্যাপারোস্কপির কিছু অসুবিধা দূর করতে আরও উন্নত মানের রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারি নিয়ে আসা হল। এটি এমন একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, যেখানে রোবটিক সার্জারী সিস্টেমের সাহায্য নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা চার-বাহু সংযুক্ত একটি রোবোটের হাতের সঙ্গে সংযুক্ত খুব ছোট সরঞ্জাম ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করেন। রোবটিক আর্ম বা বাহু সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন সার্জেন স্বয়ং। ল্যাপারোস্কোপির তুলনায় এই ধরনের সার্জারির মাধ্যমে আরও নিরাপদ, সুনির্দিষ্ট ও নিখুঁতভাবে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়।

রোবটিক অ্যাসিস্টেড পদ্ধতিতে সার্জারী কেন করব?

উল্লেখ করতেই হয় গত দু-বছরে গোটা বিশ্বে ২০০ কোটিরও বেশি রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারী হয়েছে। দিনে দিনে এই ধরনের সার্জারির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ল্যাপারোস্কপির তুলনায় এই অস্ত্রোপচার বেছে নেওয়ার নেপথ্যে অনেকগুলো কারণ আছে।

প্রথমত, ল্যাপারোস্কপিতে ব্যবহৃত ক্যামেরার লেন্স দ্বিমাত্রিক(২ডি), কিন্তু রোবটের ক্যামেরার লেন্স মানুষের মতোই ত্রিমাত্রিক (৩ডি), তাই রোবটের ক্যামেরা অবশ্যই ল্যাপারোস্কপির ক্যামেরার চেয়ে অনেক বেশি দেখতে পায়, তাই সার্জারী করতেও অনেক বেশী সুবিধে হয়।

দ্বিতীয়ত, মানুষের চোখের চেয়ে ১০ গুণ বড় করে রোবটের ক্যামেরার লেন্স দিয়ে দেখতে পারেন সার্জেন। ফলে অস্ত্রোপচারের জায়গার সূক্ষ্ম শিরা-উপশিরা পর্যন্ত দেখা যায়।

তৃতীয়ত, রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারিতে রক্তপাত অনেক কম হয়। নামমাত্র রক্তপাতেই সম্পূর্ণ হয় অস্ত্রোপচার। এই পদ্ধতিতে যেহেতু রোবটের সূক্ষ্ম আঙুলের সাহায্যে অস্ত্রোপচার করা হয়, তাই ‘অস্ত্রোপচারের সময় আনুষঙ্গিক ব্যথা-বেদনা ও অন্যান্য অঙ্গে চাপ পড়া এড়ানো যায়। সার্জারী হয় অনেক নিরাপদ।

চতুর্থত, রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারিতে যেহেতু রক্তপাত খুব কম হয় ও ব্যথা-বেদনা প্রায় থাকে না, তাই রোগীর আরোগ্য অত্যন্ত দ্রুত হয়। জটিল গাইনোকলজিক্যাল অপারেশনের পরের দিনই হাসপাতাল থেকে বাড়ি পাঠানো যায়, এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিয়েছেন এমন উদাহরণই বেশী। অনেক সময় দেখা যায়, কোনও এক রোগীর বেলায় চিকিৎসক ঠিক করলেন ল্যাপারোস্কোপি করবেন। কিন্তু অপারেশন করতে গিয়ে জটিলতা এল। তখন ওপেন সার্জারি করতে বাধ্য হলেন। কিন্তু রোবটিক সার্জারীর ক্ষেত্রে এইরকম পরিস্থিতিকে খুব সহজেই দক্ষতার সাথে সামলে নিঁখুতভাবে সম্পূর্ণ সার্জারী করা সম্ভব হয়।

গাইনোকোলজিতে কী কী অপারেশন সম্ভব?

গাইনোকলজি বিভাগে এন্ডোমেট্রিওসিস, বিনাইন হিস্টেরেক্টমি, ফাইব্রয়েড বাদ দেওয়া, পেলভিক অঙ্গের নানা অপারেশন, জরায়ু এবং ওভারীর ক্যান্সার-সহ যেকোন সহজ ও কঠিন অপারেশন রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারীর মাধ্যমে করা সম্ভব হয়।

ওপেন ও ল্যাপারোস্কপির চেয়ে কি রোবটিক অ্যাসিস্ট্যান্স সার্জারী ব্যয়বহুল?

সারা বিশ্বে ১৯৮০ সাল থেকে রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারী শুরু হয়েছে। বর্তমানে ভারতে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই সার্জারী ছড়িয়ে পড়ছে। অধিকাংশ ইন্সুরেন্স কোম্পানী এই রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারীতে ১০০ শতাংশ ব্যয় বহন করে, কিছু ইন্সুরেন্স কোম্পানী অধিকাংশ ব্যয় বহন করে। আমাদের আশা অদূর ভবিষ্যতে সমস্ত ইন্সুরেন্স কোম্পানী এই সার্জারীর ১০০ শতাংশ ব্যয় বহন করবে ।

পরিশেষে উল্লেখ করতে হয় যে সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারি। এই রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারি কলকাতাতেও চালু হয়েছে। এই বিষয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে কলকাতার অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল। এই হাসপাতালের গাইনিকোলজিক্যাল ও গাইনি-ক্যান্সার-এর চিকিৎসারও মাধ্যম এখন রোবটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারি, ব্যবহৃত হচ্ছে “da Vinci Xi” সার্জিক্যাল সিস্টেম যা বর্তমানে সর্বাধুনিক।

Robotic assisted surgery is the future and it is here to stay.

ডাঃ রূপশ্রী দাশগুপ্ত, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ল্যাপারোস্কোপিক ও রোবটিক সার্জন, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোসার্জন, অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, 58 ক্যানাল সার্কুলার রোড (ই.এম. বাইপাশের পাশে), কলকাতা 700094, মোবাইল – +91 6291409310


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন