সোমবার | ২৬শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:২৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি : মনোজিৎকুমার দাস কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সিন্ধু সভ্যতার ভূখণ্ড মেলুহা-র সঙ্গে বাণিজ্যে মাগান দেশ : অসিত দাস তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ট্রেড এন্ড কমার্সিয়াল অর্গানিজেশন ইন বেঙ্গল : সুশীল চৌধুরী (৫৬ নং কিস্তি), অনুবাদ : বিশ্বেন্দু নন্দ

বিশ্বেন্দু নন্দ / ২৫০ জন পড়েছেন
আপডেট রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

ট্রেড এন্ড কমার্সিয়াল অর্গানিজেশন ইন বেঙ্গল ১৬৫০-১৭২০, উইথ স্পেশাল রেফারেন্স টু দ্য ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

ষষ্ঠ অধ্যায়

চিনি, সুতো এবং অন্যান্য রপ্তানি পণ্য

তবুও অন্যান্য রেশম বা মেলানোমেশানো বহু বৈচিত্রময় কাপড়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিমানে রপ্তানি হত বাংলার সুতি বস্ত্র। ইওরোপিয় কম্পানির রপ্তানি তালিকার শীর্ষে ছিল ক্যালিকো, এবং ক্যালিকো শ্রেণীর মধ্যে এক রঙা সুতি বা সাধারণ মসলিন। কোম্পানি ছাপা সুতি, যার নাম চিন্টজ, সপ্তদশ শতকের শেষ দশকগুলিতে রপ্তানি করতে শুরু করে, সে সময়ে ইওরোপে সব ধরণের ভারতীয় চিন্টজের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে আরউইন মনে করতেন (জন আরউইন এবং পি আর সোয়ার্জের স্টাডিজ ইন ইন্দো-ইওরোপিয়ান টেক্সটাইল হিস্ট্রি, ৪৫) বাংলা রপ্তানি ব্যবসায় চিন্টজের পরিমান খুব কমই ছিল। তার এই ধারণা তৈরি হওয়ার কোনও ভিত্তি ছিল না। কারণ অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ব্রিটিশ কোম্পানি বেশ বড় অঙ্কের চিন্টজ রপ্তানি করেছে, সংখ্যায় যা বাফতা, খাসা, এমারতি, গুরা, মলমল, রুমাল এবং তাঞ্জেবের পরিমানকে অনেকটাই ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ১৭১১/১২তে কোম্পানির ২১,৩৯৭টি চিন্টজ কাপড় রপ্তানি করা চালানে লেখা দাম ছিল ৮৫,০৫০ টাকা।

অষ্টাদশ শতকের প্রথম দুদশকে ডাচ কোম্পানি বছরে গড়ে ১০ হাজারটি রপ্তানি করে। তবে এটাও সত্য যে পশ্চিম ভারত এবং করমণ্ডলের চিন্টজের গুণমানের সঙ্গে বাঙলার চিন্টজ প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠে নি)। পাটনা থেকে মূলত চিন্টজ আসত, দামে শস্তা, কিন্তু করমণ্ডল আর গুজরাটের তুলনায় নিকৃষ্ট। পাটনা থেকে এমারতি এবং লুকোওয়ারিও আসত। অন্যান্য সুতি টুকরো যেসব কাপড় কোম্পানি রপ্তানি করত, সেগুলির মধ্যে ছিল চিল্লা, বাফতা, ডাঙ্গারি (ডাচেদের লব্জে ডোঙ্গারিজ), ডিমিটি, ফোতা, আড়ংশি, চন্দনি, পুত্তা বা পাখির চোখ। এসব সত্ত্বেও কোম্পানির রপ্তানি চাহিদার মধ্যে সর্বাগ্রে সবার থেকে বেশি পরিমানে থাকত আবশ্যিকভাবে মসলিন। তবে কোম্পানি রোমক সময় থেকে বাঙলার সঙ্গে ইওরোপের ব্যবসার সময় থেকেই প্রখ্যাত হয়ে ওঠা বাংলার মিহি আর দামি মসলিন খুব বেশি পরিমানে রপ্তানি করত না। প্রাচীন কালে মসলিন প্রচুর পরিমানে উতপাদন হত না বলেই সে বিশ্ব বিখ্যাত হয়ে ওঠে এবং একই সঙ্গে স্থানীয় সওদাগরেরা সেই দামি মসলিনের বিশ্ববাজারে পৌঁছে দেওয়ার অধিকারটাও একচেটিয়া করে রেখে ছিল। স্থানীয় অভিজাতদের মসলিনের চাহিদা পূরণ করে ইওরোপে পাঠানোর জন্যে খুব বেশি পরিমানে মসলিনের মত মিহি কাপড় বাঁচতও না। তাছাড়া ইওরোপের চরমতম আবহাওয়ায় বেশি দিন মসলিন বাঁচিয়ে রাখা যেত না। কোম্পানি যে সব বৈচিত্রের মসলিন ইওরোপে পাঠাত, সেগুলি হল, আলবেলা, আদাতি, চৌতার, খাসা, শরহদখানি, গুরা, হামহাম, মাহমুদবানি, মলমল, নয়নসুখ, সানো, তাঞ্জিব, তেরেন্দাম, শিরবন্দ, রেহিং ইত্যাদি। এই মসলিনগুলির মধ্যে অধিকাংশ উৎপন্ন হত ঢাকা আর মালদা অঞ্চলের আশেপাশে। যদিও মলমল বা মাহামুদবানির মত মসলিন হুগলীর গ্রামগুলিতে উৎপন্ন হত আর সানো উৎপন্ন হত বালেশ্বরে। মূলত মলমল, তাঞ্জেব, খাসা, হামহামের মত মিহি মসলিনের কাপড়ের ওপর সূচের কাজ করা হত।

বিভিন্ন এলাকায় নানান ধরণের মসলিন উৎপন্ন হত এবং তাদের দামও আলাদা আলাদা প্রকারের ছিল। আমি বাঙলার কাপড়ের বৈচিত্র ইত্যাদির বিশ্লেষণ এবং শ্রেণিবদ্ধকরণ করার অমোঘ আকর্ষণ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছি কারণ, আমার ভয় হচ্ছে, এই কাজটি করতে গেলে আমরা হয়ত আবশ্যিকভাবে ভুল ফলে উপনীত হব (আরউইন মিহি মসলিনের শ্রেণীবদ্ধকরণ করেছেন সব থেকে বেশি থেকে ক্রমাহ্রাসমান দামে যেগুলি রপ্তানি হত তাঞ্জিব, মলমল, নয়নসুখ, তেরেন্দাম, আলিবেলি, শিরহদখানি (প্রাগুক্ত, ৪৯-৫০)। কিন্তু এই শ্রেণীবিভাগ পুরোপুরি ভুলেভর্তি যদি আমরা অষ্টাদশ শতকের প্রথম দুদশকে কোম্পানির সঙ্গে কলকাতা ব্যবসায়ীদের চুক্তিপত্র লক্ষ্য করি (বিপিসি, রেঞ্জ ১, খণ্ড ১-৪)। আরউইনের তালিকায় শিরহদখানির স্থান ছিল ষষ্ঠতম, যদিও দাম অনুযায়ী এটি ছিল সব থেকে খরুচে, যদি তিনি দামি কাপড় বিচার করে থাকেন। ১৭১০ এবং ১৭১১, এই দুই বছরে প্রতিটি শিরহদখানির জন্যে কোম্পানি দিয়েছিল ২৬টাকা (৪২ কোভিদ x ২ কোভিদ), অন্যদিকে তাঞ্জেব (সন্তোষ, ৪২ কোভিদ x ২.২৫ কোভিদ)-এর জন্যে কোম্পানির সর্বোচ্চ খরচ করেছিল ৭.৭৫ টাকা (বিপিসি, রেঞ্জ ১, খণ্ড ২, ১১-১৭, ৮১এ-৮৫এ)। ঢাকা আর সন্তোষ উভয় এলাকার প্রতিটি তাঞ্জেবের জন্যে (৪০ কোভিদ x ২ কোভিদ থেকে ৪০ কোভিদ x ২.২৫ কোভিদ) কোম্পানি অষ্টাদশ শতকের প্রথম দুদশকে খরচ করেছে ৬ টাকা ১৪ আনা থেকে ৮ টাকা ৮ আনা; ফুলেল রেশমি তাঞ্জেবের সব থেকে বেশি দাম ছিল কাপড় প্রতি ২০টাকা (৪০ কোভিদ x ২ কোভিদ)। তাঞ্জেবের থেকে অনেক বেশি দামে কিনতে হত মলমল। শিবাজীপুরের মলমলের জন্যে (৪২ কোভিদ x ২.২৫ কোভিদ) কোম্পানি দিত ৮টাকা ১২ আনা এবং ঢাকার (৪২ কোভিদ x ২ কোভিদ) আর শান্তাপুরের (না শান্তিপুর?) (৪২ কোভিদ x ২.২৫ কোভিদ) মলমলের জন্যে ১৬টাকা। ফলে আমরা দেখলাম মলমলের থেকে তাঞ্জেব অনেকটাই দামি। এবং যত মিহি হবে তত তার দাম বাড়বে। আরউইনের তালিকা মানলে মেনে নিতে হবে শিরহদখানির আগে থাকত নয়নসুখ আর তেরেন্দাম। কিন্তু মিহিত্ব অনুযায়ী দাম উল্টোটাই হওয়া উচিত ছিল কারণ ১৭১০য় একটি শিরহন্দখানির দাম (৪২ কোভিদ x ২ কোভিদ) ছিল ২৬টাকা, অন্যদিকে একটি তানসুখ বা নয়নসুখ (৪২ কোভিদ x ২.২৫ কোভিদ) এবং তেরেন্দাম (৪০ কোভিদ x ২.২৫ কোভিদ) দাম ছিল ১৮টাকা এবং ১২ টাকা ৮ আনা যথাক্রমে)।

উপনিবেশপূর্ব সময়ের রপ্তানি হওয়া বাংলাজাত কাপড়ের নাম আর পরিচয় —

আদাতি (Addaties) — সাদাসিধা মিহি সুতির কাপড় বা মসলিন, ঢাকা, মালদা আর কাশিমবাজারে বোনা।

আল্লাবেলি (Allaballies) — অতিমিহি মসলিন বা সুতির কাপড়।

আল্লাবানি (Allabanees) — রেশম আর সুতির সুতোয় বোনা কাপড়, যতদূর সম্ভব ডুরেদার, যদিও আরউইন বলছেন মালদা-কাশিমবাজারে বোনা হত, সুশীলবাবু সে তত্ত্ব মানছেন না।

আরুন্দি (Arundi) — মোটা, শস্তা, টেঁকিসই বাংলার তসর আর মুগায় কাশিমবাজারে বোনা কাপড়।

আমরিস (Amerees) — হুগলীর সুতিবস্ত্র।

আচাবানি (Atchabanees) — যতদূরসম্ভব মিহি সুতির কাপড়।

আতলাস (Atlasses) — সোনা রূপোর সুতো দিয়ে বোনা; হুগলীতে বোনা হত।

বাফতা (Baftas) — সাদাসিধা সুতির কাপড়।

বাকস (Buckshaws) — জানা যায় নি; হয়ত মসলিন।

বালচুল (Bulchuls) — জানা যায় নি; হয়ত মসলিন।

ক্যামকেনি (Camcanys) — পাটনার সাদাসিধা সুতির কাপড়।

কারিদারি বা চোরাদারি (Carridaries or Chioradarries) — ডুরে বা চৌখুপি কাপড়, সুতো আর রেশমের মেলানোমেশানো বোনা।

চেরকোনি (Cherconnaes) — রেশম, সুতির মেশানো হুগলী অঞ্চলের কাপড়; আরভিন যে বলেছেন শুধু ওডিসার হত, সেটা ঠিক নয়।

চন্দনী (Chandanees) — white drugget [গালিচা] piece-good, মূলত হুগলীজাত।

চন্দরবনী (Chanderbanees) — কাশিমবাজারের রেশম কাপড়।

চিল্লা (Chillaes) — সুতি; কখনও কখনও কাপড়ের রুমাল বলা হয়েছে।

চিন্টজ (Chintz) — রংকরা বা ছাপা ক্যালিকো, পাটনা বা তার আশেপাশে অঞ্চলের।

চৌতার (Chowtars) — সাদামাটা, সাদা কাপড়, হুগলীতে বোনা হয় [আরউইন যদিও বলেছেন শুধু দক্ষিণে বোনা হত)।

চাকলি (Chucklaes) — সুতি, রেশম মেশানো হুগলী আর তার আশেপাশের কাপড়।

কষা/খাসা (Cossaes) — সাদামাটা অলঙ্কার ছাড়া মসলিন, ভাল মিহি, ঢাকা আর মালদায় বোনা হত।

কুপি (Coopes) — জানা যায় নি।

কষ্টি (Cushtaes) — ডুরে বা চৌখুপি কাপড়, রেশম সুতি মেলানো।

কাটনি (Cuttanees) — মেলানো মেশানো রেশম সুতি (বাংলাজুড়ে হত; আরউইন বলছেন শুধুই দক্ষিণে হত)।

দিমিতি (Dimities) — হুগলীজাত সুতির কাপড়।

দোদামি (Doodamies) — বোঝা যায় নি।

ডুরে (Doreas) — ডুরে বা চৌখুপি কাপড়, সুতি বা রেশপমে মেলানো মেশানো, কাশিমবাজার, হুগলী আর মালদা।

দোসুতি (Dosooties) — সুতির কাপড়।

দুঙ্গারি (Dungarees) — মোটা খসখসে ক্যালিকো; বাংলাতেও উৎপন্ন হত (আরউইন বলেছেন শুধুই পশ্চিম উপকূলে হত)

এলাচি (Elatches) — রেশম, সুতির মেলানো মেশানো কাপড়, হুগলী মালদায় হত; আরইনের মতে কাশিমবাজারে হত — এটা ঠিক নয়।

অমৃতি/আম্বার্তি (Emerties or Ambertees) — পাটনার সাদা সুতির কাপড়।

ফারেন্ডাইন (Farrendines) — রেশম কাপড়। কাশিমবাজারের; ‘আরও পাতলা, আরও চকচকে, ঠিকঠাক কালো রঙ করতে হবে’।

গিংহ্যাম (Ginghams) — সুতি আর রেশম মেশানো কাপড়। বালেশ্বর অঞ্চলে তৈরি হত।

সোনার পাম্বার (Gold Pumbers) — ক্যাটক্যাটে সোনার রঙে, ‘সাধারণ রেশম সুতো থেকে মোটা সুতোয় বোনা’।

গারা (Gurrahs) — সাদাসিধা, মোটা সুতির কাপড়; প্রথম দুদশক বিপুল পরিমান রপ্তানি করা হয়েছে।

হুমাদি (Humades) — জানা যায় নি।

হামহাম (Huminims) — মসলিন বা সুতির কাপড়, ঢাকা আর মালদায় বোনা।

জামদানি (Jamdanies) — মসলিন বা সুতির কাপড়, সাদা বা রঙিন সুতি বা সাদা রেশম সুতোর সূচী কাজ, মূলত ফুলের কাজ।

জামওয়ার (Jamwars) — রেশম কাপড়, মালদা, কাশিমবাজার এলাকার।

জললসি (Jelolsies) — মসলিন।

লাকোরি (Luckowries) — বিহারের লাখোয়ারের সাদা সুতির কাপড়; অমৃতি কাপড়ের অন্য নাম।

লুঙ্গি (Lungees) — সুতি আর রেশমের।

মামুদবানি (Mahmudbannees) — হুগলীর মসলিন।

মাহামুদিয়াতি (Mahmudiatees) — জানা যায় নি।

মলমল (Mulmuls) — হুগলী, ঢাকা, মালদার মিহিতম মসলিন।

মান্ডিলা (Mmdilla) – ডুরে, সুতি আর রেশমের মেলানোমেশানো কাপড়, মালদা অঞ্চলের।

নয়নসুখ (Nainsook) — সাদাসিদা মিহি মসলিন, তমসুল নামও দেওয়া হয়েছে।

নেহালাওয়ার (Nehallmars) — ডুরে রীশম, সুতির মেশানো কাপড়, হুগলীতে বোনা হত।

নীলা (Nillaes) — সুতো রেশমের মেলানো কাপড়, বালেশ্বর অঞ্চলের কাপড়।

আড়ংশী (Orungshies) — হুগলীর সুতির কাপড়।

পেনিয়াকো (Peniascoes) — সুতি, রেশম মেলানো মেশানো কাপড়, সাধারণত ডুরে, হুগলী অঞ্চলের কাপড়।

ফুলগাড়ি (Phoolgarrees) — রেশমি সুতোয় বোনা, কাপ০ড়ে জমিনে ফুলেল কাজ করা; কাশিমবাজার এলাকায় বোনা।

ফোতা (Photaes) — বাংলার সুতির কাপড়; আরউইন বলেছেন দক্ষিণের কাপড় — সেটা সত্য নয়।

পুতা বা পাখির চোখ (Putta or Bird’s eye) — মিহি মসলিন, মালদা অঞ্চলের।

রেহিং (Rehings) — মহি মসলিন।

রেস্তা (Restaes) — ডুরে তাফেতা, কাশিমবাজারের।

রোমাল (Romalls) — মোটা রেশমের রংচঙ্গে রুমাল, সব অঞ্চলে বোনা হত, কখনও কখনও শুধু সুতির, কখনও কখনও সুতি রেশম মেলানো মেশানো।

সেলক্লথ (Sailcloth) — সাদসাসিদা কাপড়।

সালামপুরী (Sallampores) — সাদসাসিদা কাপড়।

সানো (Sannoes) — বালেশ্বরের সাধারন গুণমানের কাপড়।

সারসেনেত (Sarcenetts) — রেশমের, কাশিমবাজার অঞ্চলের।

শিরবন্দ (Seerbands) — ঢাকা আর মালদার মসলিন।

শরবতি (Serbettes) — সুতির কাপড়।

সেরহাউদকোনি (Serhaudconnaes) — মিহি মসলিন, ব্রিটিশ কোম্পানির সব থেকে দামি রপ্তানি করা মসলিন।

শিরসাকার (Seersuckers) – ডুরে রেশম, সুতির কাপড়, মালদা এলাকার।

শাহাজাদি (Shahzadies) – রেশমের কাপড়; কাশিমবাজার এলাকার।

শালবাফ (Sfialbafts) — জানা যায় নি।

সৌসি (Souses) — রেশম, সুতির মেলানো মেশানো কাপড়; হুগলী বালেশ্বর অঞ্চলের — আরভিনের প্রস্তাবমত কাশিমবাজার মালদার নয়।

তাফেতা (Taffetas) — রেশম সুতোয় বোনা, কাশিমবাজারের।

তাঞ্জিব (Tanjeebs) — ঢাকা মালদা অঞ্চলের মিহি মসলিন।

টিপয় (Tepoy) — চিন্টজের রকমফের, ছবি আঁকা বা ছাপা ক্যালিকো।

তেরেন্দাম (Terendam) — ঢাকা জেলায় বোনা মিহি মসলিন।

[সূত্র ট্রেড এন্ড কমার্সিয়াল অরগানাইজেশন; জন আরউইন স্টাডিজ ইন ইন্দো-ইওরোপিয়ান টেক্সটাইলস হিস্টোরি; আর সি টেম্পল ইন্ডিয়ান এন্টিকুইটি; স্ট্রেশ্যাম মাস্টার্স ডায়েরি; ডবলিউ ফার্মিঙ্গার দ্য মালদা ডায়েরি এন্ড কনসাল্টেশন্স; হবসন-জবসন; ট্রাভলস অব পিটারে মুন্ডি।] (চলবে)


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন