রবিবার | ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৪৫
Logo
এই মুহূর্তে ::
হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (চতুর্থ পর্ব) : অভিজিৎ রায় ভনিতাহীন চলন, সাইফুর রহমানের গল্প : অমর মিত্র সাইফুর রহমান-এর বড়োগল্প ‘করোনা ও কফিন’ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (তৃতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় নানা পরিচয়ে গৌরী আইয়ুব : গোলাম মুরশিদ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (দ্বিতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (চতুর্থ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী : সন্দীপন বিশ্বাস সাজানো বাগান, প্রায় পঞ্চাশ : অমর মিত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (তৃতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (একাদশ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের : তপন মল্লিক চৌধুরী মিয়ানমারের সীমান্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (দ্বিতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (দশম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বুদ্ধদেব গুহ-র ছোটগল্প ‘পহেলি পেয়ার’ ‘দক্ষিণী’ সংবর্ধনা জানাল সাইকেলদাদা ক্যানসারজয়ীকে : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (প্রথম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (নবম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘তোমার নাম’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (অষ্টম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘হাওয়া-বদল’
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ফেলে আসা শীতকাল… : যীশু নন্দী

যীশু নন্দী / ৩৭২ জন পড়েছেন
আপডেট রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২

বড়োদিন। কাতসুমিকে সান্তাটুপিতে দেখিনি অনেকদিন। সোনি নর্দিও মালয়েশিয়ার এক কোণে পড়ে আছেন। দেখা নেই ওডাফা ওকোলিরও যিনি হাফ ফিট হয়েও নাচিয়ে গেছেন ওপারাকে। বড়োদিন এসে গেলো। শহরে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। এতদিন রাতগুলোতে উত্তাপের পারদ চড়িয়েছিলো ফুটবল বিশ্বকাপ। এখন বিশ্বকাপ নেই, তাই আমাদেরও শীত কাটছে বড্ডো আলসেমিতে। অথচ অনেককাল আগে এই রাতগুলো কত চিন্তায়-দুশ্চিন্তায় কাটতো আমাদের। অক্টোবরের থেকে শুরু হয়ে যেতো জাতীয় লিগ। আর ডিসেম্বরের বড়োদিনের সময় মানেই জাতীয় লিগের ভরাট মরশুম। এইসময়টায় লিগের প্রায় সাত-আটটা ম্যাচ খেলা হয়ে যেতো। ব্যারেটো-আলভিটো-বাইচুংরা খেলতো মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের হয়ে, তার সাথে নামতো থিও সানডে-মাইক ওকোরো মহামেডানের হয়ে, নামতো র‍্যান্টি মার্টিন্স-বেটো ডেম্পোর হয়ে, নামতো ওডাফা-কালু চার্চিলের হয়ে, জেসিটিকে গাঁট করে তুলতো সুখবিন্দর সিং, কখনও আবার চিরাগ ইউনাইটেড টিডি হয়ে অর্ণব মন্ডল-মহম্মদ রফিদের স্টার করে তুলতো সুব্রত ভট্টাচার্য।

লাল, নীল, সবুজ, হলুদ—রংবেরঙের দলে মেতে উঠতো জাতীয় লিগ। আর এর সাথে সাথেই চায়ের ভাঁড়ে তুফান উঠতো কোচ-খেলোয়াড়-বিদেশীদের চর্চায়। ইয়াকুবু, সন্দীপ, ব্যারেটো-সহ মহিন্দ্রা ইউনাইটেড ভারতের বুকে এঁকে দিচ্ছে কর্পোরেট ফুটবল ক্লাবের ভ্রুণ। ওদিকে কার্লোস পাহিড়ার মোহনবাগান জিতে চলেছে একের পর এক ডার্বি। বেলজিয়ান কোচ ফিলিপ রাইডার বাহারি পনিটেল বেঁধে লাফিয়ে উঠছেন বাইচুংয়ের প্রতিটা গোলে, ওদিকে মোহনবাগান ঘুরে ডেম্পোয় গিয়ে বেটো যেন আরও ভয়ংকর আরও ধারালো। দিন, কাল, মাস পেরিয়ে জাতীয় লিগ আমাদের সাতসকালের শীতকালীন চা-আড্ডার রূপরেখা আঁকতো বছরের পর বছর। শীতের রাতগুলো কাটতো চিন্তায় দুশ্চিন্তায়। মোহনবাগান স্ট্যানলির লাজংয়ের কাছে হেরে যাবেনা তো? কিংবা সাব্বির আলি কি পারবেন মহামেডানকে জিতিয়ে ফিরতে?—সাতপাঁচ চিন্তায় ঘুম হতোনা আমাদের।

শীত জড়িয়ে থাকতো আমাদের। আর আমরা জড়াতাম ময়দানকে। কখনও আমাদের আড্ডায় বাইচুং ঘুরতো, আলভি ঘুরতো; কখনও ঘুরতো সোনি নর্দি, কখনওবা নাওরেমের বিস্ময়গোল। খইতে খইতে ক্ষয়ে গেছে আমাদের ময়দানবিভর শীতকাল, ক্ষয়ে গেছে জাতীয় লিগমুখর প্রাত্যহিক আড্ডা। কর্পোরেট দানব ঠান্ডা করে দিয়েছে আমাদের শীতকালীন আড্ডার উত্তপ্ত চায়ের ভাঁড়গুলো।

আগামীকাল বড়োদিন। রাত আসে, রাত যায়। ইস্টবেঙ্গল জেতেনা আর। মোহনবাগান নিজেদের বন্ধক রেখেছে। মহামেডান ডুরাণ্ড রানার্স, লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে জিইয়ে রাখছে নিজেদের কোনোমতে। ময়দানের স্মার্টেস্ট কর্মকর্তা নবাব ভট্টাচার্য লড়াই করছেন অনেকগুলো প্রতিকূলতার সাথে। বাইচুং, সোনি, বেইতিয়া হয়ে নিভে গেছে আমাদের ময়দানি আঁচ। পাল্স অক্সিমিটার ছাড়াই বলে দেওয়া যায় ময়দানের অক্সিজেন স্যাচুরেশন সত্তর শতাংশেরও নীচে। ময়দান বেঁচে আছে ধুঁকতে ধুঁকতে।

আমাদের হারিয়ে যাওয়া চিন্তা-দুশ্চিন্তার শীতের রাতগুলোর কথা, হারিয়ে যাওয়া ময়দানি তর্কমুখর শৈত্য আড্ডাগুলোর কথা বেঁচে থাক বড়োদিনের দুপুরের পৌষের রোদ হয়ে; বেঁচে থাক ওরা ঘাসের মতো করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন