সৌম্য সিংহ
পশু এবং অরণ্যপ্রেমীদের জন্য অবশ্যই সুখবর। করোনা-অবসাদের মাঝে কিছুটা বৈচিত্র্যের স্বাদও। পশুরাজের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে চলেছে ভারতে। দেশে ম্যাজেস্টিক এশিয়াটিক লায়নের একমাত্র প্রাপ্তিস্থান গুজরাটের গির অরণ্যে সিংহ সংখ্যা ৫ বছরে ৫২৩ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭৪। শতকরা হিসেবে যা প্রায় ২৯-৩০শতাংশ। শুধু তাই নয়, বেড়েছে পশুরাজের ভৌগলিক বিচরণক্ষেত্রও। ২২,০০০ বর্গকিমি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০,০০০ বর্গকিমি। শতকরা হিসেবে যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। সিংহ গণনা হয় প্রতি ৫ বছরে একবার। এর আগে হয়েছিল ২০১৫তে। এবারে হওয়ার কথা ছিল মে মাসে। কিন্তু করোনার দাপটে তা পিছিয়ে যায়। গত ৫-৬জুন টানা দু’দিনরাত গণনায় নেমেছিলেন ১৪০০ কর্মী।
বনদপ্তরের হিসেব বলছে, গিরে সিংহ–সিংহির অনুপাতটা বেশ স্বাস্থ্যকর। সিংহ ১৬১ এবং সিংহি ২৬০। অপ্রাপ্ত বয়স্ক সিংহর সংখ্যা ৪৫ এবং অপ্রাপ্ত বয়সের সিংহির সংখ্যা ৪৯। বাচ্চা রয়েছে মোট ১৩৭টা। এর বাইরে ২২টাকে ভালোভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না এখনও।
লক্ষণীয়, ২০১৮তে ভাইরাস আক্রমণে বিপর্যস্ত হতে বসেছিল পশুরাজের গির-সৌরাষ্ট্র সম্রাজ্য। ‘ক্যানাইন ডিসটেম্পার ভাইরাস’ বা সিডিভি-র আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিল ৩৬টা সিংহ। শেষ পর্যন্ত বিদেশ থেকে প্রতিষেধক আমদানি করে অবস্থা সামাল দিতে হয় সরকারকে।
তবে ধাক্কা সামলে উঠে সিংহ সংখ্যা কিন্তু বেড়েই চলেছে সেই থেকে। কারণ, রীতিমতো গণচেতনা জাগিয়ে তুলে মানুষ আর সিংহর মধ্যে শত্রুতার মনোভাব ক্রমশ কমিয়ে আনা হচ্ছে। স্বাভাবিক বিচরণক্ষেত্রে সিংহ-র শিকার বা খাদ্যের অভাব যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। সবথেকে বড় কথা এদের স্বাস্থ্যরক্ষার প্রশ্নেও নেওয়া হচ্ছে যথেষ্ট সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।