বিতর্কের মধ্যেই পিছু হঠল কর্নাটকের বিজেপি সরকার। বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ট্রেনের আবেদন করেছিল সরকার। শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলতেও শুরু করে। কয়েক লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আটকে থাকলেও দানাপুর, ভুবনেশ্বর, হাতিয়া, লখনউ, বরকাখানা ও জয়পুরে বেশ কয়েকটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ৯৫৮৩ জন শ্রমিককে ফেরানো হয়। ভাড়া নিয়ে অস্বচ্ছতা থাকায় বাড়তে থাকে বিতর্ক। জানা যায়, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ভাড়া ধার্য হয় স্লিপার ক্লাসের ভাড়ার সঙ্গে সুপারফাস্ট চার্জ ৩০ টাকা ও অতিরিক্ত ২০ টাকা ভাড়া যোগ করে। বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়ায় আসার ভাড়া ধার্য হয় ৭৭০ টাকা। পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে এই টাকা আদায় করেছে বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা সরকার। এখানেই শেষ নয়, শ্রমিকদের বাসে করে স্টেশনে পৌঁছাতেও ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা করে নিয়েছে কর্নাটকের বিজেপি সরকার। বিপন্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে এভাবে টাকা নেওয়া অমানবিক বলে অভিহিত করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।
বিতর্ক শুরু হতেই পিছু হঠে কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, বুধবার ৬ মে থেকে কোনও রাজ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে না। মুখরক্ষায় ভালো যুক্তিও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সরকারের আলোচনায় যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যে ফিরে গেলে কাজের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে নির্মাণ কাজে সমস্যা বেশি দেখা দেবে। তাই শ্রমিকদের ফিরতে দেওয়া হবে না।