শনিবার | ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:৩৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
হরপ্পার ব্যুৎপত্তি নিয়ে নতুন আলোকপাত : অসিত দাস বল পয়েন্ট কলমের জার্নির জার্নাল : রিঙ্কি সামন্ত মহেঞ্জোদারো নামের নতুন ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস পরিসংখ্যানে দারিদ্রতা কমলেও পুষ্টি বা খাদ্য সংকট কি কমেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী অথ স্নান কথা : নন্দিনী অধিকারী তন্ত্র বিদ্যার বিশ্ববিদ্যালয় চৌষট্টি যোগিনীর মন্দির : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়া ও সিন্ধুসভ্যতার ভাষায় ও স্থাননামে দ্রাবিড়চিহ্ন : অসিত দাস ধরনীর ধুলি হোক চন্দন : শৌনক দত্ত সিন্ধুসভ্যতার ভাষা মেসোপটেমিয়ার ব্যাবিলনের রাজা হামুরাবির নামে : অসিত দাস বিস্মৃতপ্রায় জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় ভাষায় সিন্ধুসভ্যতার মেলুহার ভাষার প্রভাব : অসিত দাস বঙ্গতনয়াদের সাইক্লিস্ট হওয়ার ইতিহাস : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘ঝড়ের পরে’ ভালো থাকার পাসওয়ার্ড (শেষ পর্ব) : বিদিশা বসু গাছে গাছে সিঁদুর ফলে : দিলীপ মজুমদার ভালো থাকার পাসওয়ার্ড : বিদিশা বসু সলিমুল্লাহ খানের — ঠাকুরের মাৎস্যন্যায় : ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা : মিল্টন বিশ্বাস নেহরুর অনুপস্থিতিতে প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদও ৩৭০ অনুমোদন করেছিলেন : তপন মল্লিক চৌধুরী সিঁদুরের ইতিকথা আর কোন এক গাঁয়ের বধূর দারুণ মর্মব্যথা : দিলীপ মজুমদার সাহিত্যিকদের সংস্কার বা বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে শ্রীপাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত দশহরার ব্যুৎপত্তি ও মনসাপূজা : অসিত দাস মেনকার জামাই ও জামাইষষ্ঠী : শৌনক ঠাকুর বিদেশী সাহিত্যিকদের সংস্কার ও বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভক্তের ভগবান যখন জামাই (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-এর ছোটগল্প ‘সময়ের প্ল্যাকটফর্ম’ গুহাচিত্র থেকে গ্রাফিটি : রঞ্জন সেন জামিষষ্ঠী বা জাময়ষষ্ঠী থেকেই জামাইষষ্ঠী : অসিত দাস কার্বাইডে পাকানো আম দিয়ে জামাইষষ্ঠীতে জামাই খাতির নয়, হতে পারে ক্যান্সার : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ভক্তের ভগবান যখন জামাই (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই প্রভু জগন্নাথদেবের শুভ স্নানযাত্রার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে : রঞ্জন সেন

রঞ্জন সেন / ৮২৮ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আমার প্রিয় কবি তারাপদ রায়ের এই নামে একটি কবিতা আছে। এটা অবশ্য বাঙালির জীবনে নতুন কোন কথা নয়। ‘সর্বনাশ হয়ে গেছে’, ‘গোল্লায় গেছে’, ‘ভোগে গেছে’, ‘অধঃপাতে গেছে’ জাতীয় কথাবার্তা শুনতে শুনতে আমরা বাঁচি এবং মরেও যাই। তবুও শেষ হয় না আক্ষেপ, শুধু বিলাপের বয়স বাড়ে। লেখার শিরোনামটিতে প্রিয় পাঠক একটু চমকাতে পারেন, অনেকেই ভেবে নিতে পারেন, এই ‘আকাট’ মালটা আবার ‘সিরিয়াস’ হওয়ার ভঙ্গী দিচ্ছে। তার উত্তরে বলা যাক, যে আক্ষেপগুলি মানুষ বার্ধক্যে পৌঁছে করতেন, এখন তা দুনিয়াদারি মোটেই দেখা হয়নি এমন ছেলেছোকরাও করছেন! এমনকি যার সর্বনাশ হতে বাকী ছিল না, তিনিও ‘সর্বনাশ’ হয়ে গেছে বলে জুড়ে দিয়েছেন চিলচিৎকার!

রাজনীতি, সাহিত্য, সিনেমা, খেলা, শিল্প সবেতেই নাকি চরম সর্বনাশ হয়ে গেছে!  অন্তত লোকজনের কথা শুনলে তাই তো মনে হয়! মনে হয়, শুধু ‘গলার জোর’ ছাড়া আর কিছুরই সর্বনাশ হওয়ার বাকি নেই। বাঙালির ওটুকুই শুধু টিঁকে আছে। যাকগে গলার জোরটুকু সর্বনাশের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে জেনে আশ্বস্ত হই, তা গেলে আমাদের আর কিছুই থাকতো না!

সর্বনাশের হাহাকার সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়ায়। অডিও-ভিডিও-টেক্সট এবং উপস্থাপকদের নিখুঁত ভঙ্গী সবকিছু মিলিয়ে সেখানে যাকে বলে সর্বনাশের নিরন্তর গ্রাফিক ডেসক্রিপশন। কে কত খারাপ, কে কতটা খারাপ কাজ আরও খারাপভাবে করেছেন তার যেন এক তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে সেখানে! সেসবের বর্ণনা দিতে দিতে উপস্থাপক ও অংশগ্রহণকারী উভয়পক্ষই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে তাৎক্ষনিক তর্কবিতর্কের আসরে একপক্ষ আরেকপক্ষের দিকে তেড়ে যান! ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দিনের শেষে সেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। চলতে থাকে একের পর এক সর্বনাশের বিবরণ — বাঙালির সর্বনাশের কাহিনী শুনতে শুনতে চোখে নামে ঘুমের ঘোর। পরেরদিন আবার নতুন কোন সর্বনাশের বিবরণ শোনার জন্য প্রস্তুত হই আমরা।

ধৈর্যশীল পাঠক যারা এটুকু পড়তে পেরেছেন, তাদেরও নিশ্চয় এতক্ষণে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। ভাবছেন লোকটা আসলে কি বলতে চাইছে? থিমটা কি? এ কোন টিমের লোক? আজ্ঞে সেসব কিছুই নয়, আসলে আমাকে কেউ তাদের টিমে নেয়নি। তাই সর্বনাশ কতটা হয়েছে ঠিক বুঝতে পারছি না। গোলা লোকজনদের যা হয়, সবকিছুই দেরিতে বুঝি। মুদির দোকান থেকে মাছবাজার, ভিড়ে কেউই যাদের কোন জায়গা ছেড়ে দেয়না। আমরা পিছিয়ে পড়ি, পড়ে গিয়ে আরও পিছই। আমি জনগণও নই, তারা তো শক্তির উৎস। সর্বশক্তিমান নেতারাও তাদের আদর করে মিটিং মিছিলে ডেকে নেন, বিপদে পড়লে ডাকেন।

চতুর্দিকে সর্বনাশ হয়ে গেছে শুনতে শুনতে এখন ভাবছি মা তো সবই জানেন, তিনি এসে আমাদের এবার বলুন – কোন সর্বনাশ হতে আমাদের বাকি আছে? কি সর্বনাশই বা আমাদের হবে? নাকি সর্বনাশ হওয়ার মত কিছু আমাদের ছিলই না? নাকি আমরা বুঝতেই পারিনি “আমাদের কবে সর্বনাশ হয়ে গেছে”। খেঁকি কুকুরকে অ্যালসেশিয়ান কিংবা বানরলাঠি গাছকে কৃষ্ণচূড়া ভাবলে যা হয় আর কী!


আপনার মতামত লিখুন :

2 responses to “আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে : রঞ্জন সেন”

  1. SUPRIYO ROY says:

    Khub bhalo laglo Ranjan Da… Onekdin por abar apnar lekha porlam…

  2. Ranjan sen says:

    ভালো থেকো সুপ্রিয়

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন